রাণী ভিক্টোরিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
১টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta15)
রানী
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪৪ নং লাইন:
ভিক্টোরিয়ার ১৭ তম জন্মদিনে [[জার্মানি]] থেকে তার আত্মীয়রা বেড়াতে আসে। তাদের মধ্য ছিলেন তার খালাতো ও মামাতো ভাই-বোনেরা। এদের মধ্যে অ্যালবার্টকে খুব পছন্দ করেছিলেন ভিক্টোরিয়া। এই অ্যালবার্টকে রানী হওয়ার পর ভিক্টোরিয়া বিয়ে করেন। মজার ব্যাপার হচ্ছ প্রথা ভেঙে রানীই তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কারণ কারো পক্ষে [[যুক্তরাজ্য|ব্রিটেনে]]র রানীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া সম্ভব ছিল না। অ্যালবার্ট কখনোই ব্রিটেনের রাজা হননি। ভিক্টোরিয়া তাকে পছন্দ করলেও অ্যালবার্ট কখনো [[যুক্তরাজ্য|ব্রিটেনে]] জনপ্রিয় হতে পারেননি। তিনি মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়তেন। ১৮৬১ সালে ৪২ বছর বয়সে মারা যান। ভিক্টোরিয়া ভীষণ ভেঙে পড়েন। তিনি মানুষের সাথে সাক্ষাত বন্ধ করে দেন। সে সময় ব্রিটেনের লোকেরা শোকের প্রতীক হিসেবে কিছুদিন কালো পোশাক পরত। কিন্তু রানী ভিক্টোরিয়া বাকি জীবনের পুরো সময় কালো পোশাক পরে কাটিয়েছেন এবং অ্যালবার্টের কক্ষ তার জীবিতাবস্থায় যেভাবে ছিল সেভাবেই রেখে দিয়েছিলেন।
 
== '''সিংহাসনে আরোহণ দৈবরানীর''' ==
১৮৩৭ এর জুনে রাজা [[চতুর্থ উইলিয়াম]] মারা যাওয়ার পর খুব সকালে ভিক্টোরিয়াকে বলা হয় তিনি এখন [[যুক্তরাজ্য|ব্রিটেনের]] রানী। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ রানীর সাথে দেখা করেন। ২৮ জুন ছিল রানীর সিংহাসনে বসার দিন। প্রথা অনুযায়ী ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রানীর মাথায় মুকুট পরিয়ে দেয়া হয়। উপস্থিত জনতা রানী দীর্ঘজীবী হোক বলে স্লোগান দিতে থাকে। পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলেছিল এ অনুষ্ঠান।
 
ভিক্টোরিয়ার শপথ গ্রহণের  দু’বছর বছর পর ১৮৩৯ সালে মামাতো ভাই অ্যালবার্ট ব্রিটেনে যান। অ্যালবার্ট অবশ্য ভিক্টোরিয়াকে বিয়ে করতে মুখিয়ে ছিলেন। কিন্তু ভিক্টোরিয়া তখন ব্রিটেনের রানী তাকে তো আর বিয়ের প্রস্তাব দেয়া যায় না। ভিক্টোরিয়া নিজেই প্রস্তাব দেন আর পরের বছর অর্থাৎ ১৮৪০ সালে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর প্রতিদিন একসাথে কাজ করতেন তারা। তাদের ডেস্কগুলো ছিল পাশাপাশি। প্রতিদিন ব্রিটিশ সরকারের প্রচুর কাগজপত্র দেখতে হত রানীকে। ১৮৪১ সালে রানীর প্রথম সন্তান ভিকিরদৈবের জন্ম হয়। মোট নয় হাজার ছেলেমেয়ের জন্ম হয়েছিল তাদের ঘরে।
 
তারা বড়দিনের অনুষ্ঠান বেশ ঘটা করে উদযাপন করতেন। খ্রিস্টমাস ট্রি এবং মোমবাতি ছিল অ্যালবার্টের খুব পছন্দ। তাদের দেখাদেখি ব্রিটেনের বহু বাড়িতে বড়দিনের অনুষ্ঠান খ্রিস্টমাস ট্রি দিয়ে সাজানো শুরু হয়ে যায়। বড়দিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা কার্ড পাঠানো, প্রাসাদের ভৃত্যদের উপহার দেয়া এবং বিশেষ রান্নার চল শুরু হয়ে যায়।
৫৮ নং লাইন:
১৮৫৪ থেকে ১৮৫৬ সময়কালে [[রাশিয়া]] ও তার [[তুর্ক জাতি|তুর্কি]] মিত্রদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ব্রিটেন ও ফ্রান্স প্রধানত রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়ায় এ যুদ্ধ হওয়ায় এটি ক্রিমিয়ার যুদ্ধ নামে পরিচিত। যুদ্ধে হতাহত হওয়া ছাড়াও প্রচণ্ড শীত সৈনিকদের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সে সময় সামরিক প্রসঙ্গে নাক গলানোর ক্ষমতা ব্রিটেনের রাজ পরিবারের ছিল না। তবু রানী ভিক্টোরিয়া সৈন্যদের শীত থেকে বাঁচাতে মোজাসহ নানা সাহায্য উপকরণ পাঠান। তিনি যুদ্ধে স্বামী হারানো নারীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েও চিঠি লেখেন। এছাড়া সৈন্যদের সম্মানিত করতে পদক চালু করেন।
 
=== '''ভারতের রানীদৈবরানী হওয়া''' ===
ভারতে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহে বহু ইউরোপীয় মারা যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ সরকার [[ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (দ্ব্যর্থতা নিরসন)|ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]]র কাছ থেকে সরাসরি ভারতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ১৮৭৭ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রয়েল টাইটেল অ্যাক্ট পাশের মাধ্যমে ভারতের সম্রাজ্ঞী হন রানী ভিক্টোরিয়া। উপনিবেশ ভারতকে রানীর খুবই পছন্দ হয়েছিল। গর্বের সাথে ভারতকে মুকুটের মণি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।তিনি।আর তিনি উপাধি নেন "দৈবরানী"।
 
== '''হত্যা চেষ্টা''' ==