মহিষাসুরমর্দিনী (বেতার অনুষ্ঠান): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Added links ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা |
Stanglavine (আলোচনা | অবদান) অ 118.179.72.101-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে NahidSultanBot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত ট্যাগ: পুনর্বহাল SWViewer [1.3] |
||
১ নং লাইন:
'''মহিষাসুরমর্দ্দিনী''' (অর্থাৎ মহিষাসুরকে দমনকারী) হল ১৯৩১ সাল থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ''
দেবীপক্ষের সূচনায় মহালয়া অমাবস্যা ও দুর্গাপুজোর সাথে এই অনুষ্ঠানের নাড়ির যোগ। এই মহালয়ার পুণ্যলগ্নে শিশিরভেজা মৃদুশীতল ভোরে প্রায় প্রত্যেক বাঙালি জেগে ওঠেন এবং "মহিষাসুরমর্দ্দিনী" সম্প্রচার শুনবার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে থাকেন। ইদানীং আকাশবাণীর স্বত্ব গ্রহণ করে এর রেকর্ডিং
==বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র==
মহিষাসুরমর্দ্দিনীর আড়ালে তাঁর মন্ত্রমুগ্ধকর কণ্ঠের জন্য এবং বাঙালির মহালয়ার প্রভাতকে মোহময় করে তোলার জন্য [[বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র]] চিরস্মরণীয় থাকবেন। এই কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী চমৎকারভাবে সংস্কৃত শ্লোক এবং দেবী দুর্গার মর্ত্যে অবতরণের কাহিনি ফুটিয়ে তুলেছেন। মহালয়া উপলক্ষ্যে দেবীপক্ষের সূচনায় দেব-দেবীরা শারদোৎসবের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেন। ১৯৩১ সালে [[কলকাতা|কলকাতার]] আকাশবাণী বেতারে প্রথম মহালয়া সম্প্রচারিত হয়। [[প্রেমাঙ্কুর আতর্থী]], বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, [[নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়]] এবং [[রাইচাঁদ বড়াল]] এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণের জনপ্রিয়তা
বীরেন্দ্রের মৃত্যু হয়েছে অনেককাল হল, কিন্তু তাঁর কণ্ঠ ছাড়া মহালয়ার সকাল এখনও ভাবা যায় না। আশ্বিনের ভোরের দুটো ঘণ্টা তাঁর উদাত্ত কণ্ঠের উচ্চারণে নিমজ্জিত হয়, তাঁর শ্লোকপাঠে মন্ত্রমুগ্ধ বাঙালি দেবীর প্রতি সশ্রদ্ধ প্রণাম জানায়।
==সংগীত==
পৌরাণিক পটভূমিতে আধারিত এবং বৈদিক মন্ত্র সমন্বিত হওয়া সত্ত্বেও এই অনুষ্ঠানটি একটি অতুল্য অদ্বিতীয় সৃষ্টি। এর রচনা করেছেন [[বাণীকুমার ভট্টাচার্য]] , বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র করেছেন শ্লোকপাঠ এবং দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় (জাগো দুর্গা দশপ্রহরণধারিণী), [[মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়]] (তব অচিন্ত্য), [[সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়]], [[আরতি মুখোপাধ্যায়]], উৎপলা সেন (''শান্তি দিলে ভরি'' ), [[শ্যামল মিত্র]] (''শুভ্র শঙ্খ-রবে'')এবং সুপ্রীতি ঘোষ (বাজলো তোমার আলোর বেণু) তাঁদের মধুর স্বরে গান গেয়েছেন। সংগীত-পরিচালনা করেছেন [[পঙ্কজকুমার মল্লিক]]। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার সাথে সাথে শঙ্খধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখর হয়ে ওঠে।
জাগো, তুমি জাগো, জাগো দুর্গা,
৩২ ⟶ ৩৩ নং লাইন:
===শিল্পী===
====প্রধান শিল্পী====
====গান ও গায়ক====
*''যা চণ্ডী'' ― সমবেত কণ্ঠ
*''সিংহস্থা শশিশেখরা'' ― সমবেত কণ্ঠ
*''বাজলো তোমার আলোর বেণু'' ―
*''জাগো দুর্গা দশপ্রহরণধারিণী'' ―
*''ওগো আমার আগমনী-আলো'' ―
*''তব অচিন্ত্য রূপ-চরিত-মহিমা'' ―
*''অহং রুদ্রেভির্বসুভিশ্চরা'' ― সমবেত কণ্ঠ
*''অখিল-বিমানে তব জয়-গানে'' ―
*''জয়ন্তী মঙ্গলা কালী'' ― সমবেত কণ্ঠ
*''শুভ্র শঙ্খ-রবে'' ―
*''জটাজুটসমাযুক্তামর্দ্ধেন্দুকৃতশেখরাম'' ― সমবেত কণ্ঠ
*''নমো চণ্ডী, নমো চণ্ডী'' ―
*''মাগো তব বিনে সঙ্গীত প্রেম-ললিত'' ―
*''বিমানে বিমানে আলোকের গানে'' ― গীতশ্রী
*''জয় জয় জপ্যজয়ে'' ― সমবেত কণ্ঠ
*''হে চিন্ময়ী'' ―
*''অমল-কিরণে ত্রিভুবন-মনোহারিণী'' ―
*''জয়ন্তী মঙ্গলা কালী'' ―
*''শান্তি দিলে ভরি'' ―
==চণ্ডীপাঠ==
চণ্ডীপাঠে দেবী দুর্গাকে সনাতনী শক্তিরূপা গুণময়ী হিসেবে চিত্রায়িত করা হয়েছে। তিনিই জ্যোতির্ময়ী নারায়ণী, ব্রহ্মাণী, মাহেশ্বরী, কৌমারী, ঐন্দ্রী, শিবদূতিনী ও নৃমুণ্ডমালিনী চামুণ্ডারূপে প্রকাশমতী। দেবী চণ্ডিকা চিন্ময়ী। তাঁর আদি নেই, তাঁর প্রাকৃত মূর্তি নেই। বিশ্বের অনন্ত প্রকাশ তার মূর্তি। নিষ্কাসিত অসুরপীড়িত দেবতা রক্ষণে তাঁর আবির্ভাব হয়।
দেবীর শ্বাশ্বত অভয় বাণী- ইচ্ছং যদা যদা বাধা দানবোত্থা ভবিষ্যতি, তদা তদা অবতীর্যাহং করিষ্যামি অরি সংক্ষয়ম। কোথা তুমি শঙ্খচক্র গদাপদ্মধারী ত্রিনয়নী দূর্গা। তুমি ওঠো, তুমি জাগো। জাগো! জাগো মা। তুমি না জাগলে সন্তানকূল ঘুমিয়ে পড়বে। সন্তানকে অভয় দাও মা আদ্যাশক্তি মহামায়া।
পূর্বকল্প অবসানের পর, প্রলয়কালে, সমস্ত জগত্ যখন কারণসলিলে পরিণত হল, ভগবান বিষ্ণু অখিল প্রভাব সংহত করে, সেই কারণ সমুদ্রে রচিত অনন্ত শয্যাপরে যোগনিদ্রায় হলেন অভিভূত। বিষ্ণুর যোগনিদ্রার অবসানকালে তাঁর নাভিপদ্ম থেকে জেগে উঠলেন আদিকল্পের সৃষ্টি বিধাতা ব্রহ্মা। বিষ্ণু সুদর্শনচক্র চালনে মধুকৈটভের মস্তক ছিন্ন করলেন।পুনরায় ব্রহ্মা ধ্যানমগ্ন হলেন। ব্রহ্মার বরে মহিষাসুর অপরাজেয়, তার দ্বারা দৈত্যরাজের ক্ষয় সম্ভবপর নয় জেনে কমলযোনি বিধাতাকে মুখপাত্র করে বৈকুণ্ঠে গিয়ে দেখলেন- হরিহর আলাপনে রত। ব্রহ্মার সম্মুখে নিবেদন করলেন মহিষাসুরের দুর্বিষহ অত্যাচার কাহিনী। স্বর্গভ্রষ্ট দেবতাকূলের সব বার্তা শুনলেন তারা। শান্ত যোগীবর মহাদেবের সুগৌর মুখমণ্ডল ক্রোধে রক্তজবার মত রাঙাবরণ ধারণ করল। আর শঙ্খচক্রগদাপদ্মধারী নারায়নের আনন ভ্রুকূটিকুটিল হয়ে উঠল। তখন মহাশক্তির আহ্বানে গগনে গগনে নিনাদিত হল মহাশঙ্খ। বিশ্বজ্যোতি বিষ্ণুর রুদ্রের বদন থেকে অপূর্ব তেজরশ্মি বিচ্ছুরিত করে আবির্ভুতা হলেন দেবী দূর্গা, তিনিই দুর্গা, আদ্যাশক্তি মহামায়া।
সর্বভূতা যদা দেবী স্বর্গমুক্তি প্রদায়িনী।
৭৫ ⟶ ৮১ নং লাইন:
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তসৈ নমো নমঃ।।
উদাত্তকণ্ঠে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মন্ত্রপাঠ শারদ আকাশে মহালয়ার
==তথ্যসূত্র==
|