টিকেন্দ্রজিৎ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্বাধীন মণিপুর রাজপরিবারের রাজকুমার
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নতুন
(কোনও পার্থক্য নেই)

০২:৪২, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

টিকেন্দ্রজিৎ সিং (২৯ ডিসেম্বর ১৮৫৬ - ১৩ আগস্ট ১৮৯১) তিনি স্বাধীন মণিপুর রাজপরিবারের রাজকুমার ছিলেন। তিনি বীর টিকেন্দ্রজিৎ তথা কৈরেং বলে পরিচিত। তিনি মণিপুরী সেনাবাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। তিনি ১৮৯১ সালের মণিপুর 'মহল-বিপ্লব'-এর হাল ধরেছিলেন। এই বিপ্লবের পরিণতিতে ব্রিটিশ আর মণিপুরীদের মাঝে যুদ্ধের সূচনা হয়।[১][২]

বীর টিকেন্দ্রজিৎ


ব্রিটিশ-মণিপুর যুদ্ধ

১৮৮৬ সালে মহারাজা চন্দ্রপ্রকাশের মৃত্যুর পরে তাঁর পুত্র সুরচন্দ্র সিংহ তাঁর উত্তরাধিকার গ্রহণ করেন। সিংহাসনে বসা নতুন রাজার মুকুটে হস্তক্ষেপ করার জন্য আগের মতো এইবারও সিংহাসনে বসার ক্ষমতা রাখা কোনো কুমারের দ্বারা অভিসন্ধি করা হল। প্রথম তিনটি প্রচেষ্টা দমন করার পরে ১৮৯০ সালে পুনরায় চতুর্থ বারের জন্য রাজার দুই ভাই টিকেন্দ্রজিৎ ও কুলচন্দ্র সঅবশেষেকেতৃক রাজমহল আক্রমণ করা হয়, উপায় না দেখে সুরচন্দ্র সিংহ সিংহাসন ত্যাগ করতে বাধ্য হন ও সিংহাসন ছেড়ে শিলচরে পলায়ন করেন।

রাজার ছোট ভাই কুলচন্দ্র সিংহ পরবর্তী রাজা হয়ে পিতৃব্য টিকেন্দ্রজিৎকে মণিপুরী সৈন্যবাহিনীর সেনাপতি পদ প্রদান করেন। দায়িত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল টিকেন্দ্রজিৎ মণিপুরী সৈন্যের এক সবল বাহিনী তৈরী করেন। এইজন্য মাঝে একবার পুনরায় সিংহাসন অধিকারের আশায় সুরচন্দ্র সিংহ দূরের থেকে ইংরেজদের সহায়তা ভিক্ষা করেন।[৩]

ইংরেজগণ যুবরাজ কুলচন্দ্র সিংহকে রাজা হিসাবে পুনরায় মান্যতা প্রদান ও টিকেন্দ্রজিৎকে পরিবারকেন্দ্রিক বিসম্বাদের মূল দোষী হিসাবে শাস্তি প্রদানের জন্য মণিপুরে ইংরেজ সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করে। [৩] ১৮৯১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখে ভারতের ব্রিটিশ প্রধান লর্ড লেন্সডাউন যুবরাজ কুলচন্দ্র সিংহকে রাজা করতে ও টিকেন্দ্রজিৎকে করায়ত্ব করতে অসমের মুখ্য আয়ুক্ত জে. ডব্লিউ কুইণ্টনক আদেশ দেন। কুইন্টন ১৮৯১ সালের ২২ মার্চ তারিখে সঙ্গে ৪০০ সৈন্য নিয়ে মণিপুর অভিমুখে যাত্রা করেন। তিনিলোকে টিকেন্দ্রজিৎক ব্রিটিশ প্রধানর আদেশ অনুসারে করায়ত্ব করার জন্য সমর্পন করার জন্য রাজা কুলচন্দ্র সিংহকে আবেদন করেন। পরিণতিতে দুইপক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হয় এবং এই যুদ্ধে কুইণ্টন সহ পাঁচ ব্রিটিশ কর্মচারীর মৃত্যু হয়।

১৮৯১ সালের ৩১ মার্চ তারিখে ব্রিটিশ সরকার মেজর জেনেরেল এইসের তত্বাবধানে কোহিমা থেকে এবং কর্ণেল আর. এস. এফের তত্বাবধানে শিলচর থেকে তথা ব্রিগেডিয়ারের তত্বাবধানে তমুর থেকে সৈন্যবাহিনীর তিনটি দল মণিপুরের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন। এই যুদ্ধে টিকেন্দ্রজিৎ মণিপুরী সৈন্যদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৮৯১ সালের ২৭ এপ্রিলের দিন ব্রিটিশ সৈন্য কংলা প্যালেস অধিগ্রহন করতে সক্ষম হয়। অবশেষে ব্রিটিশ সৈন্য মণিপুরী সৈন্যদলকে পরাস্ত করে তথা সুরচন্দ্রকে দ্বিতীয়বারের জন্য সিংহাসনে বসাতে সক্ষম হয় এবং ২৩ মে তারিখে টিকেন্দ্রজিৎকে কারারুদ্ধ করে।

তথ্যসূত্র