শাহজাহান সিরাজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Manisha Mrittika (আলোচনা | অবদান)
Imonreza (আলোচনা | অবদান)
AftabBot-এর করা 3453976 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে: অপ্রয়োজনীয় সম্পাদনা । (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
৭ নং লাইন:
১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্যদিয়ে শাহজাহান সিরাজ ছাত্র-রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সেই সময় তিনি [[টাঙ্গাইল|টাঙ্গাইলের]] [[সরকারী সাদাত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ|করটিয়া সা’দত কলেজের]] ছাত্র ছিলেন। এরপর তিনি ছাত্রলীগের মাধ্যমে ছাত্র-রাজনীতিতে উঠে আসেন। ১৯৬৪-৬৫ এবং ১৯৬৬-৬৭ দুই মেয়াদে তিনি দুইবার করটিয়া সা’দাত কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।<ref name=bangladeshinside/> একজন সক্রিয় ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি [[১১ দফা কর্মসূচী|১১ দফা আন্দোলন]] এবং [[উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান|১৯৬৯ সালের গণঅভ্যত্থানে]] অংশগ্রহন করেন। এরপর তিনি ১৯৭০-৭২ মেয়াদে অবিভক্ত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন ‘[[স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ]]’ (যার অন্য নাম '''নিউক্লিয়াস''') এর সক্রিয় কর্মী, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা।
 
মুক্তিযুদ্ধের পর সর্বদলীয় সমাজতান্ত্রিকসমাজতান্ত্রীক সরকার গঠনের পক্ষেপক্ষ্যে অবস্থান নিয়ে জাসদ ([[জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল|জাতীয় (জাসদসমাজতান্ত্রীক দল]]) গঠনে ভূমিকা পালন করেন, যা ছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিরোধী দল। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রতিষ্ঠাতা সহকারী সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন শাহজাহান সিরাজ। পরবর্তীতে জাসদে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাসদের মনোনয়নে ৩ বার তিনি জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।<ref name=parliament.gov>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=জাতীয় সংসদ সদস্য তালিকা|ইউআরএল=http://www.parliament.gov.bd/index.php/bn/mps-bangla/members-of-parliament-bangla/former-mp-s/2014-03-23-11-54-57|প্রকাশক=বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ|লেখক=|সংগ্রহের-তারিখ=১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮}}</ref> শাহজাহান সিরাজ ১৯৯৫ সালে [[খালেদা জিয়া|বেগম খালেদা জিয়া]]<nowiki/>র নেতৃত্বাধীন [[বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল|বিএনপি]]<nowiki/>তে যোগ দেন। তিনি বিএনপির মনোনয়নেও একবার একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বেগম খালেদা জিয়া সরকারের শেষ পর্যায়ের দিকে নৌপরিবহননৌ-পরিবহন মন্ত্রি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
 
== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
শাহজাহান সিরাজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের ‘চার খলিফা’ বলা হতো শাহজাহান সিরাজ ছিলেন তাদেরই একজন। [[১৯৭১-এ বাংলাদেশ|১৯৭১]] সালের ১ মার্চ তিনি [[সিরাজুল আলম খান]], [[শেখ ফজলুল হক মনি|শেখ ফজলুল হক]], [[আব্দুর রাজ্জাক (রাজনীতিবিদ)|আব্দুর রাজ্জাক]], [[তোফায়েল আহমেদ]], [[আবদুল কুদ্দুস মাখন]], [[নূরে আলম সিদ্দিকী]], [[আ.স.ম. আবদুর রব|আ . .ম আবদুর রব]] প্রভৃতি ছাত্রনেতাদের পাশাপাশি [[স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ]] গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] বটতলায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন আ . .ম আবদুর রব। সেখান থেকেই পরবর্তী দিনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের পরিকল্পনা করা হয়। <ref name=poriborton>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=নিশ্চুপ শাজাহান সিরাজ, খোঁজ নেয় না কেউ|ইউআরএল=https://www.poriborton.com/interview/18359/|প্রকাশক=পরিবর্তন ডটকম|লেখক=সিফাত বিনতে ওয়াহিদ|সংগ্রহের-তারিখ=১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮}}</ref> সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩ মার্চ ১৯৭১, পল্টন ময়দানে বিশাল এক ছাত্র -জনসভায় বঙ্গবন্ধুর সামনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেছিলেন শাজাহান সিরাজ। এরপর যুদ্ধ শুরু হলে, তিনি সশস্ত্র যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ‘[[বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সেস|বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স]]’ (বিএলএফ) বা [[মুজিব বাহিনী]]<nowiki/>র কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।<ref name=poriborton/>
 
== ব্যক্তিগত জীবন ==