বিজয় মার্চেন্ট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
কমন্স বিষয়শ্রেণী যুক্তকরণ!
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৫৭ নং লাইন:
}}
 
'''বিজয়সিংহ মাধবজী মার্চেন্ট''' ({{অডিও|Vijay_Merchant.ogg|উচ্চারণ}}; {{lang-mr|विजय मर्चंट}}; [[জন্ম]]: [[১২ অক্টোবর]], [[১৯১১]] - [[মৃত্যু]]: [[২৭ অক্টোবর]], [[১৯৮৭]]) ব্রিটিশ ভারতের বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। তাঁরতার প্রকৃত নাম ছিল '''বিজয় মাধবজী থাকেরসে'''। ১৯২৯ থেকে ১৯৫১ সময়কালে [[ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল|ভারত ক্রিকেট দলের]] অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বোম্বে ক্রিকেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন '''বিজয় মার্চেন্ট'''।
 
== প্রারম্ভিক জীবন ==
১৯১১ সালে সম্পদশালী পরিবারের সন্তানরূপে বোম্বেতে মার্চেন্টের জন্ম। কলেজ পর্যায়েই অসাধারণ ক্রিকেটার ছিলেন। বোম্বের সাইডেনহাম কলেজে অধ্যয়নকালীন দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সাইডেনহামে তাঁরতার সফলতা লাভের প্রেক্ষিতে ১৯২৯ সালের বোম্বে চতুর্দেশীয় প্রতিযোগিতায় হিন্দু ক্রিকেট দলের পক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন তিনি। ১৯৩১ সালের বোম্বে আন্তঃকলেজ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় ৫০৪ রানের পাশাপাশি ২৯ উইকেট লাভ করে রেকর্ড গড়েন।
 
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে অন্যতম ভারতীয় ব্যাটসম্যান [[বিজয় হাজারে|বিজয় হাজারের]] সাথে তাঁকেতাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হয়েছে। বোম্বে পঞ্চদেশীয় খেলায় বহিঃএকাদশের বিপক্ষে হাজারের গড়া ২৪২ রানের বিপরীতে তিনি মুসলিম দলের বিপক্ষে করেন অপরাজিত ২৫০। পরের ইনিংসেই হাজারে দলের ৩৮৭ রানের মধ্যে করেন ৩০৯ রান। পরবর্তীতে রঞ্জি ট্রফিতে মহারাষ্ট্রের বিপক্ষে মনোরম ৩৫৯ রান তুলেন তিনি।
 
== খেলোয়াড়ী জীবন ==
মার্চেন্টের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনের ব্যাপ্তিকাল ১৮ বছরের ছিল। এ সময়ে তিনি মাত্র দশ টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পেরেছিলেন যার সবগুলোই ছিল [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ডের]] বিপক্ষে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে সফলতা লাভের ফলে ভারতীয় ক্রিকেট দলে খেলার জন্য অন্তর্ভূক্ত হন। সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে বোম্বে জিমখানা তথা ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে অংশ নেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল = http://content-usa.cricinfo.com/india/content/story/154658.html | শিরোনাম = India's original batting hero | কর্ম = Cricinfo | সংগ্রহের-তারিখ = 28 October 2016|ভাষা= en}}</ref> [[English cricket team in India in 1933–34|১৫ ডিসেম্বর, ১৯৩৩ তারিখে]] সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট ক্রিকেটে]] অভিষেক ঘটে তাঁর।তার। এর পূর্বে [[Indian cricket team in England in 1932|১৯৩২]] সালে ভারত দল প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলায় অংশ নেয়। শুরুতে তাঁকেতাকে দলের সদস্য করা হলেও বিজয় মার্চেন্টসহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ ও জানুয়ারি, ১৯৩২ সালে [[মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী|মহাত্মা গান্ধীকে]] গ্রেফতারের প্রতিবাদে এতে অংশ নেননি।<ref>Guha, p. 193.</ref>
 
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে তাঁরতার খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা সময় নষ্ট হয়। এছাড়াও দূর্বল স্বাস্থ্যের কারণে অস্ট্রেলিয়া সফরে যেতে পারেননি ও [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল|ওয়েস্ট ইন্ডিজের]] বিপক্ষে খেলেননি। তবে দিল্লি টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে ১৫৪ রানের মনোজ্ঞ ইনিংস উপহার দেন। এটিই তাঁরতার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল। এরফলে ভারতের বয়োঃজ্যেষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। ১৯৫১-৫২ মৌসুমে [[শতক (ক্রিকেট)|সেঞ্চুরিকালীন]] তাঁরতার বয়স ছিল ৪০ বছর ২১ দিন। ফিল্ডিং চলাকালে কাঁধে আঘাত পেলে তাঁকেতাকে জোরপূর্বক খেলার জগৎ থেকে বিদায় নিতে হয়।
 
== অর্জনসমূহ ==
[[চিত্র:বিজয় মার্চেন্ট.jpg|thumb|200px|right|বিজয় মার্চেন্টের স্থিরচিত্র]]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১০টি টেস্টে ভারত দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। টেস্টে সীমিত পর্যায়ে অংশগ্রহণ করলেও ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত প্রভাববিস্তার করেছেন। ৭১.৬৪ গড়ে রান সংগ্রহ করে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গড়ের অধিকারী হন। কেবলমাত্র [[ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান|ডন ব্র্যাডম্যানই]] তাঁরতার তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন। বোম্বে স্কুল থেকে আগত ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে তিনি তাঁরতার সঠিক কৌশল অবলম্বন, ইস্পাততুল্য ইচ্ছাশক্তি ও স্বাধীনভাবে ব্যাট করতে অনাগ্রহতা প্রকাশের কারণে অনেকের কাছেই তা অনুসরণীয়। পরবর্তীতে [[শচীন তেন্ডুলকর|শচীন তেন্ডুলকরের]] আবির্ভাবে এ দৃষ্টিভঙ্গীটি ভেঙ্গে পড়ে ও নতুনভাবে লিখিত হয়।
 
সমগ্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি দুইবার ইংল্যান্ড সফরে যান ও আট শতাধিক রান সংগ্রহ করেছিলেন। বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেটার [[চার্লস বার্জেস ফ্রাই|সিবি ফ্রাই]] মন্তব্য করেন যে, তাঁরতার মুখে রঙ লাগিয়ে শ্বেতাঙ্গের তকমা লাগিয়ে আমাদের সাথে অস্ট্রেলিয়া সফরে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামাই।<ref name="cricpro">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.cricinfo.com/ci/content/player/30996.html|শিরোনাম=Vijay Merchant|কর্ম=[[Cricinfo]]|সংগ্রহের-তারিখ=14 August 2010|ভাষা= en}}</ref>
 
== মূল্যায়ণ ==
মাত্র দশ টেস্টে অংশগ্রহণ করলেও বিজয় মার্চেন্ট তাঁরতার সময়কালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের মর্যাদা পেয়েছেন। চমৎকার পায়ের কারুকাজ, দৃষ্টিনন্দন কাটে আকর্ষণীয় স্ট্রোক মারতেন। এছাড়াও গ্ল্যান্স ও লেট-কাটের সমারোহতায় গড়া খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে হুক স্ট্রোকও মারতেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তাঁরতার ব্যাটিং গড় ছিল ৭১.৬৪ যা অস্ট্রেলিয়ার ডন ব্র্যাডম্যানের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ঘরোয়া রঞ্জি ট্রফিতে ৪৭ ইনিংসে ৯৮.৭৫ গড়ে রান তুলেছেন। উইকেটে আবরণবিহীন অবস্থায় তাঁরতার এ রানগুলো আসে।
 
১৯৩৭ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন।
 
== অবসর ==
ক্রিকেটের পাশাপাশি তিনি হিন্দুস্তান স্পিনিং এন্ড ওয়েভিং মিলসের (থাকেরসে গ্রুপ) সাথে জড়িত ছিলেন। তাঁরতার ভাই [[Uday Merchant|উদয় মার্চেন্ট]] প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
 
খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর তিনি ক্রিকেট প্রশাসক মনোনীত হন। এছাড়াও ধারাভাষ্যকার, লেখক ও জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন বিজয় মার্চেন্ট। ‘বিজয় মার্চেন্টের সাথে ক্রিকেট’ শিরোনামীয় বেতার অনুষ্ঠান বিবিধ ভারতীতে প্রত্যেক রোববার বিকেলে বিজয় মার্চেন্টের উপস্থাপনায় প্রচারিত হতো।<ref name="Memon-20120326">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.hindustantimes.com/News-Feed/ColumnsOthers/Government-must-infuse-life-into-its-dull-media/Article1-830955.aspx|শিরোনাম=Government must infuse life into its dull media|শেষাংশ=Memon|প্রথমাংশ=Ayaz|তারিখ=2012-03-26| কর্ম = Hindustan Times | সংগ্রহের-তারিখ = 31 March 2012|অবস্থান=New Delhi|ভাষা= en}}</ref> আনু ডি. আগরওয়াল এক জরীপ চালিয়ে দেখেছেন যে, অনুষ্ঠানটি অন্যতম সেরা শ্রোতাপ্রিয় অনুষ্ঠানের মর্যাদা পেয়েছিল।<ref name="Aggarwal-19841015">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.cscsarchive.org:8081/MediaArchive/essays.nsf/(docid)/9242803070EEB3706525693F00383C23|শিরোনাম=A Shift Towards Television|শেষাংশ=Aggarwal|প্রথমাংশ=Anu D.|তারিখ=1984-10-15|প্রকাশক=Industrial Times|সংগ্রহের-তারিখ=31 March 2012|ভাষা=en}}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref>
১০৫ নং লাইন:
{{প্রবেশদ্বার দণ্ড|ক্রিকেট|জীবনী}}
{{কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ}}
{{পূর্বনির্ধারিতবাছাই:মার্চেন্ট, বিজয়}}
 
{{পূর্বনির্ধারিতবাছাই:মার্চেন্ট, বিজয়}}
[[বিষয়শ্রেণী:১৯১১-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৮৭-এ মৃত্যু]]