হাসান হাফিজুর রহমান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বিষয়শ্রেণী যোগ
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৩ নং লাইন:
| পুরস্কার = [[বাংলা একাডেমি]], [[একুশে পদক]] পুরস্কার
}}
'''হাসান হাফিজুর রহমান''' ([[জুন ১৪]], [[১৯৩২]] – [[এপ্রিল ১]], [[১৯৮৩]]) [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] একজন প্রথিতযশা কবি, সাংবাদিক ও সমালোচক ছিলেন। তাঁরতার পূর্বপুরুষ [[জামালপুর জেলা]]র অন্তর্গত কুলকান্দি গ্রামে বাস করতেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের দলিল সম্পাদনার জন্য বিখ্যাত।
 
== জন্ম ও ব্যক্তিজীবন ==
'''হাসান হাফিজুর রহমান''' ১৯৩২ সালে ১৪ জুন [[জামালপুর জেলা]]য় তাঁরতার নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন<ref>[http://www.shokalerkhabor.com/online/details_news.php?id=7037&&%20page_id=%2011 দৈনিক সকালের খবর]</ref> পৈত্রিক বাড়ি ছিল [[জামালপুর জেলা|জামালপুর জেলার]] ইসলামপুর থানার কুলকান্দি গ্রামে। তাঁরতার বাবার নাম আবদুর রহমান এবং মার নাম হাফিজা খাতুন। ১৯৫৮ সালের ১৭ এপ্রিল হাসান হাফিজুর রহমান সাঈদা হাসানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। হাসান হাফিজুর রহমান ও সাঈদা হাসানের প্রথম সন্তানের নাম হাসান সাঈদ দিশা। দ্বিতীয় সন্তানের নাম এশা হাসান মুন্নী ।
 
== শিক্ষাজীবন ==
[[১৯৩৮]] সালে ঢাকার নবকুমার স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে সরাসরি তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন। [[১৯৩৯]] সালে তাঁরতার বাবা বরিশালে বদলি হয়ে গেলে তিন বছর [[জামালপুর জেলা|জামালপুরের]] সিংজানী হাইস্কুলে পড়াশুনা করেন তিনি। [[১৯৪২]] সালে তাঁরতার বাবা ঢাকায় বদলি হয়ে এলে [[ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল|ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে]] ভর্তি হন এবং মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত এই স্কুলেই পড়াশোনা করেন। ১৯৪৬ সালে হাসান হাফিজুর রহমান ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে দ্বিতীয় বিভাগে মাধ্যমিক পাস করেন। এবং এ বছরই [[ঢাকা কলেজ|ঢাকা কলেজে]] উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে মানবিক শাখায় ভর্তি হন। ১৯৪৮ সালে হাসান হাফিজুর রহমান ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। এবং এ বছরই [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে বি.এ. অনার্স শ্রেণিতে ভর্তি হন। কিন্তু অনার্স ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ না করে ১৯৫১ সালে তিনি পাস কোর্স-এ বি.এ. পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হন। [[১৯১৪]] সালে মাধ্যমিক পাস করার পর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু ডাক্তারি পড়া অসমাপ্ত রেখেই তিনি শিক্ষা বিভাগে চাকুরি নেন। পরবর্তীতে [[১৯৫১]] সালে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে পাস কোর্স-এ বি.এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এবং এ বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রথম পর্ব এম.এ. শ্রেণিতে ভর্তি হন।<ref>[http://gunijan.org.bd/GjProfDetails_action.php?GjProfId=237 গুণীজন]</ref> চাকরি জীবনের পুরো সময় তিনি ঢাকা শহরেই অতিবাহিত করেন। তবে [[১৯৩৯]]-[[১৯৪২]] সাল পর্যন্ত তিনি [[বরিশাল জেলা|বরিশালে]] কর্মরত ছিলেন। চাকুরি ছাড়াও তাঁরতার আয়ের উৎস ছিল গ্রামের ভূ-সম্পত্তি। হাসান হাফিজুর রহমান ছিলেন পিতার দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রথম সন্তান। প্রথম স্ত্রী নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যাওয়ার পর আবদুর রহমান দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন এবং তাঁরতার প্রথম সন্তান হাসান হাফিজুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। তাঁরাতারা ছিলেন সাত ভাই ও তিন বোন। ভাই-বোনদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয় অপরিণত বয়সে। স্কুলে ভর্তি হবার পূর্বে মাকে তিনি মুখে মুখে একটি ছড়া শুনাতেন-'খেয়ে মোদের অন্নজল/হবে মোদের হাতির বল'।
 
== কর্মজীবন ==
২৫ নং লাইন:
 
== সাহিত্য ==
[[১৯৪৬]] সালে তিনি যখন স্কুলছাত্র তখন তার ছোট গল্প “অশ্রুভেজা পথ চলাতে” প্রকাশিত হয় সওগাত পত্রিকায়। এর দুবছর পর সোনার বাংলায় তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। [[১৯৫২]] সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অবদান রাখেন। একুশের চেতনার উপর ভিত্তি করে তাঁরতার কবিতা অমর একুশে প্রকাশিত হয় [[১৯৫২]] সালেই। এটিসহ আরও কিছু লেখা একত্র করে [[১৯৫৩]] সালে তিনি তার প্রথম বই একুশে ফেব্রুয়ারী প্রকাশ করেন।
 
== রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ==