প্রবোধকুমার সান্যাল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultan (আলোচনা | অবদান) অনির্ভরযোগ্য উৎস বাতিল |
|||
৩ নং লাইন:
== প্রারম্ভিক জীবন ==
তার পিতার নাম ছিল রাজেন্দ্রলাল সান্যাল। তিনি [[কলকাতা]]<nowiki/>য় জন্মগ্রহন করেন। ছোটবেলায় পিতৃহীন হলে মাতুলালয়ে মানুষ হন। শিক্ষা সম্পুর্ন করেন কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল ও সিটি কলেজে। [[মহাত্মা গাঁধী]]<nowiki/>র ডাকে [[অসহযোগ আন্দোলন|অসহযোগ আন্দোলনে]] যোগ দিয়ে কারাবরণ করেছিলেন। জীবিকার জন্যে নানা পেশা অবলম্বন করেছেন। ১৯২৭ সালে সেনাবাহিনীতে কেরানীর কাজ নিয়ে উত্তর পশ্চিম ভারতের দুর্গম এলাকায় যান। এছাড়া ডাক বিভাগে, ছাপাখানায়, মাছের ভেড়িতে কাজ করেছেন।<ref name=":0" />
== সাহিত্যজীবন ==
তার প্রথম গল্প 'মার্জনা' কল্লোল পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি কল্লোল গোষ্ঠীর একজন নিয়মিত লেকগক হিসেবে পরিচিত হন। প্রথম উপন্যাস যাযাবর (১৯২৮)। 'মহাপ্রস্থানের পথে' ভ্রমণকাহিনী টি বাংলা সাহিত্যে বিশেষ স্থান অধিকার করেছিল। দুটি বিশ্বযুদ্ধ, জাতীয় আন্দোলন, দেশভাগ, দাঙ্গা, ইত্যাদি তার সাহিত্যে ছাপ ফেলে। ১৯৫৬ ও ৫৭ সালে নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। কল্লোল ছাড়াও বিজলী, স্বদেশ, দুন্দুভি, পদাতিক, ফরওয়ার্ড, বাংলার কথা প্রভৃতি পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন এবং বিজলী, স্বদেশ, সাপ্তাহিক যুগান্তর সাহিত্য পত্রিকা ও স্বদেশ পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন। স্বদেশ পত্রিকার সম্পাদক থাকাকালে একবার রাজদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত হন।<ref name=":1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
== ভ্রমন ==
তিনি [[এশিয়া]], [[ইউরোপ]], আমেরিকা ও রাশিয়ার বহু অঞ্চলে যান। তার বিপুল অভিজ্ঞতা তাকে ভ্রমণকাহিনী লিখতে সাহায্য করেছিল। পরিব্রাজক লেখক হিসেবে বাংলা সাহিত্যে তার স্থান অনন্য। হিমালয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন। ১৯৩২ সালে [[কেদারনাথ]] [[বদ্রীনাথ মন্দির|বদ্রীনাথ]] ভ্রমণ ও পরে [[হৃষিকেশ]] থেকে পার্বত্য শহর রাণীক্ষেত পর্যন্ত প্রায় ৪০০ মাইল পথ পায়ে হেঁটে পরিক্রমণ করেছিলেন ৩৮ দিনে। সেই অভিজ্ঞতার কাহিনী নিয়েই লিখেছিলেন ‘মহাপ্রস্থানের পথে’। ১৯৩২ থেকে ১৯৩৬ দীর্ঘ চার বছর হিমালয় সন্নিহিত নানা স্থান ভ্রমণ করেন, সেই ভ্রমণ অভিজ্ঞতা, হিমালয়ের নানান প্রদেশের মানুষের জীবন, সংস্কৃতি, সমাজ আর নানান মানুষের সংস্পর্শে আসার অভিজ্ঞতা নিয়ে তার রচিত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ প্রকাশ পায়। ১৯৭৮ খৃষ্টাব্দে [[উত্তর মেরু]]<nowiki/>তেও তিনি গিয়েছেন ৭২ বছর বয়েসে। কলকাতা হিমালয়ান এসোসিয়েশন ও হিমালয়ান ফেডারেশন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ১৯৫৭ সামে ভারতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দলের হয়ে পাকিস্তান সফরে যান। এফ্রো-এশিয় সাহিত্য সম্মেলনে [[তাশখন্দ|তাশখন্দে]] ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন।<ref name=":0">{{বই উদ্ধৃতি|
== রচনা ==
ইংরেজি ফরোয়ার্ড ও বাংলায় বাংলার কথা পত্রিকার লেখক ছিলেন। তার উপন্যাস ‘মহাপ্রস্থানের পথে’ পাঠ করার পর স্বয়ং [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] বলেছিলেন ‘''তোমার ভাষা পাঠকের মনকে রাস্তায় বের করে আনে''’। প্রায় দেড়শত গ্রন্থের রচয়িতা প্রবোধকুমারের বিখ্যাত বইগুলি হল: নদ ও নদী, শ্যামলীর স্বপ্ন, উত্তর কাল, দেবতাত্মা হিমালয়, উত্তর হিমালয় চরিত, রাশিয়ার ডায়েরী, উত্তর কাল, হাসুবানু, জলকল্লোল, পরিব্রাজকের ডায়রী, পর্যটকের পত্র, বনস্পতির বৈঠক ইত্যাদি।<ref name=":1" />
== সম্মাননা ==
প্রবোধকুমার সান্যাল
== মৃত্যু ==
|