কনরাড হান্ট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারিত রূপ!
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৮২ নং লাইন:
 
== প্রারম্ভিক জীবন ==
বার্বাডোসের উত্তরে সেন্ট অ্যান্ড্রু পারিশের গ্রাম্য এলাকায় কনরাড হান্টের জন্ম। বাবা আখ চাষকর্মে নিয়োজিত ছিলেন।<ref name="WisdenObit">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Obituary – Conrad Hunte|ইউআরএল=http://www.espncricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/155302.html|কর্ম=Wisden Cricketers' Almanack – online archive|প্রকাশক=John Wisden & Co|সংগ্রহের-তারিখ=31 July 2011|বছর=2000}}</ref> হান্টের পরিবার আর্থিক দিক দিয়ে বেশ দূর্বল ছিল। নয় ভাই-বোনকে নিয়ে এককক্ষবিশিষ্ট গৃহে হান্ট বড় হন। ছয় বছর বয়স থেকে গ্রামের বালকদেরকে নিয়ে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন।<ref name="WisdenObit"/> ভালোমানের শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে তাঁরতার পিতা তিন মাইল দূরবর্তী পায়েহাঁটা রাস্তা দিয়ে বেলেপ্লেইন বয়েজ স্কুলে ভর্তি করান।<ref name=WCOTY>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Cricketer of the Year 1964 – Conrad Hunte|ইউআরএল=http://www.espncricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/154557.html|কর্ম=Wisden Cricketers' Almanack – online archive|প্রকাশক=John Wisden & Co|সংগ্রহের-তারিখ=31 July 2011|বছর=1964}}</ref><ref name=Change>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Dodds|প্রথমাংশ=Dickie|লেখক২=Coulter, Jim|শিরোনাম=A Cricketer for the Oppressed|ইউআরএল=http://www.forachange.net/browse/article/1665.html|কর্ম=For A Change|সংগ্রহের-তারিখ=31 July 2011|তারিখ=1 April 2000}}</ref> শুরুতেই স্বীয় প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেন কনরাড হান্ট। দশ বছর বয়সেই বিদ্যালয়ের প্রথম একাদশে ঠাঁই হয় তাঁর।তার। তাঁরতার তুলনায় লম্বা ও বয়সে বড়োদের সাথে খেলতে থাকেন। ১২ বছর বয়সে বৃত্তিলাভ করে অ্যালিয়েন সেকেন্ডারি স্কুলে ভর্তি হন। তাঁরতার প্রতিভা বিদ্যালয়ের ক্রীড়াশিক্ষকের নজর কাড়ে ও বিদ্যালয়ের প্রথম একাদশে অন্তর্ভূক্ত করেন। সেখানে তিনি অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সীদের বিপক্ষে খেলেন। উদ্দীপনা জোগাতে প্রতি ২৫ রানের জন্য ক্রীড়াশিক্ষক হান্টকে এক সিলিং করে দিতেন। শেষ তিন বছর বিদ্যালয় দলের অধিনায়ক মনোনীত হন।<ref name=WCOTY/> বিদ্যালয়ের শেষ বর্ষে থাকাকালে নবপ্রতিষ্ঠিত বেলেপ্লেইন স্পোর্টস এন্ড সোশ্যাল ক্লাবে খেলার জন্য প্রস্তাবনা দেয়া হয়।
 
বার্বাডোস ক্রিকেট লীগের (বিসিএল) উত্তরাঞ্চলে বেলেপ্লেইন খেলতো। দলটি দরিদ্র ও গ্রাম্য বার্বাডীয়দেরকে নিয়ে গঠন করা হয়েছিল। ১৯৫০ সালে বিসিএলে দলের বার্ষিক খেলায় অভিজাত ও সামাজিক মর্যাদাসম্পন্নদের নিয়ে গড়া বার্বাডোস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন দলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। ইনিংসের শুরুতে টেস্ট খেলোয়াড় [[ডেনিস অ্যাটকিনসন|ডেনিস অ্যাটকিনসনের]] বোলিংয়ে আউট থেকে বেঁচে যাবার পর মনোরম ১৩৭ রানের ইনিংস খেলেন। এরফলে প্রথম বিসিএল খেলোয়াড় হিসেবে পূর্ব-নির্ধারিত বার্ষিক প্রতিযোগিতায় সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন।<ref name="WisdenObit"/><ref name=WCOTY />
৮৯ নং লাইন:
বিসিএল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পর বার্বাডোস ক্রিকেট দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে কনরাড হান্টের। ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম খেলায় তিনি প্রথম ইনিংসে ৬৩ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫ রান তুলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Barbados v Trinidad|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/19/19640.html|কর্ম=First-Class matches in West Indies 1950/51|প্রকাশক=CricketArchive|সংগ্রহের-তারিখ=31 July 2011}}</ref> [[এভারটন উইকস|এভারটন উইকসের]] একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন তিনি। বার্বাডোস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম বিভাগের অন্যতম প্রধান ক্লাবে উইকস খেলেছিলেন। এ ক্লাবের পক্ষে খেলার জন্যও তিনি প্রস্তাব পান। ঐ সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে খুব কমই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হতো। ফলে হান্টের ক্রিকেট জীবনও বেশ ধীরলয়ে উত্তরণ ঘটতে থাকে।
 
এক পর্যায়ে সেন্ট সিমন্স মিক্সড স্কুলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা, বার্বাডোস সিভিল সার্ভিসে হিসাব করণিক ও পরবর্তীতে জীবনবীমার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে স্বীয় প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে ব্যর্থ হন। তিনি [[শূন্য রান|শূন্য]] ও তিন রান তুলতে পেরেছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Barbados v Australians|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/21/21482.html|কর্ম=Australia in West Indies 1954/55|প্রকাশক=CricketArchive|সংগ্রহের-তারিখ=31 July 2011}}</ref> অবশেষে পরের মৌসুমে হান্ট তাঁরতার সক্ষমতার কথা জানান দেন। [[E. W. Swanton|ই. ডব্লিউ. সোয়ানটনের]] ব্যবস্থাপনায় সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত দুই খেলায় ১৫১ ও ৯৫ রান তুলেন।
 
== ইংল্যান্ড গমন ==
১৯৫৬ সালে অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনার জন্য ইংল্যান্ড চলে যান। ইংরেজ লীগ ক্রিকেটে পেশাদারী চুক্তিতে খেলার সুযোগ খুঁজতে থাকেন। ল্যাঙ্কাশায়ারে অবস্থানকালে বাস নির্মাণ ও তুলার কারখানায় কাজ করেন তিনি। এরপর নর্দার্ন লীগে লেল্যান্ড মটর্স ক্রিকেট ক্লাবে যোগ দেন। পরের বছর ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে এনফিল্ড ক্রিকেট ক্লাবের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। হান্ট ও এনফিল্ডের মধ্যকার সম্পর্ক বেশ চমৎকার ছিল। অধিকাংশ পেশাদার ক্রিকেটারই বিরক্তবোধ করলেও হান্ট ঐ ক্লাবে ছয় মৌসুম অতিবাহিত করেন। ১৯৫৯ সালে এক মৌসুমে সর্বাধিক রান তুলে ক্লাবের নতুন রেকর্ড গড়েন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Stockley|প্রথমাংশ=Nigel|শিরোনাম=Enfield lose Van Jaarsveld to Northants|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Articles/0/481.html|প্রকাশক=CricketArchive|সংগ্রহের-তারিখ=31 July 2011|তারিখ=8 September 2003}}</ref>
 
ইংল্যান্ডে গমনকালে [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড|ওয়েস্ট ইন্ডিজের দল নির্বাচকমণ্ডলীর]] কাছ থেকে ১৯৫৭ সালে ইংল্যান্ড সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যতা লাভের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিপ্রাপ্ত হন। এ সফরে আমন্ত্রণবার্তা লাভের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এছাড়াও, ইংরেজ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে [[কেন্ট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|কেন্টের]] পক্ষে খেলার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। আমন্ত্রণবার্তা না আসায় পরের মৌসুমের জন্য এনফিল্ডের সাথে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। পরবর্তীকালে হান্ট বলেছিলেন যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (ডব্লিউআইসিবি) তাঁকেতাকে চিঠি প্রেরণ করেছিল। তবে, ল্যাঙ্কাশায়ারে অবস্থানকালে তিনি চিঠি পাননি। এনফিল্ডের সাথে চুক্তিবদ্ধ হবার পর ডব্লিউআইসিবির সদস্যদের কাছ থেকে বার্তা পান। তাতে লেখা ছিল যে, যদি তিনি আগ্রহ ব্যক্ত করেন, তাহলে তাঁকেতাকে দলের সদস্যরূপে নেয়া হবে। এর প্রত্যুত্তরে হান্ট জানিয়েছিলেন, এনফিল্ড কর্তৃপক্ষ চুক্তি থেকে তাঁকেতাকে দায়মুক্ত করতে প্রস্তুত। তবে, সফরের জন্য দলের নাম ঘোষণা হলে হান্টের নাম বাদ যায়। হান্টকে অগ্রাহ্য করার বিষয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কর্তৃপক্ষ ক্ষমা প্রার্থনা করে। তাঁরতার পরিবর্তে [[Nyron Asgarali|নাইরন আসগরআলী]] ও [[অ্যান্ডি গ্যানটিউম|অ্যান্ডি গ্যানটিউমকে]] মনোনীত করা হয়। তবে, তাঁরাতারা টেস্ট খেলাগুলোয় তেমন সফলতা লাভ করতে পারেননি।
 
== টেস্ট ক্রিকেট ==
১০৩ নং লাইন:
১৯৬৩ সালে [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ড]] সফরে যান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজ জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। আক্রমণধর্মী খেলা উপহার দিয়ে দলের ইনিংসের ভিত্তি গড়েন। দুইটি সেঞ্চুরিও করেন তিনি। গ্রীষ্মের প্রথম ইনিংসে ১৮২ রান তুলে দলকে ১০ উইকেটে জয় এনে দেন। গ্রীষ্মের চূড়ান্ত টেস্টে পরাজয় এড়িয়ে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নেমে চতুর্থ [[ইনিংস|ইনিংসে]] ২৫৩ রানে অগ্রসর হয়। দুই দিনে এ লক্ষ্যমাত্রাকে বেশ কঠিন মনে করা হয়েছিল। তবে, হান্ট অপরাজিত ১০৮ রান তুললে দল আট উইকেটে জয়ী হয়। এরফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে। ঐ সিরিজে ৫৮.৬৭ গড়ে রান তুলেন কনরাড হান্ট।
 
ইংল্যান্ড সফরের পর [[ফ্রাঙ্ক ওরেল]] ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কত্ব থেকে অবসর নেন। হান্টকে তাঁরতার স্থলাভিষিক্ত করার কথা আশা করলেও গারফিল্ড সোবার্সকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়। ফলে মনক্ষুণ্ণ হয়ে খেলার বাইরে ছয় সপ্তাহ ছিলেন ও পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। তবে খেলার জগতে ফিরে আসেন ও ১৯৬৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন। সেঞ্চুরিবিহীন অবস্থাতে দশ ইনিংসের ছয়টিতে অর্ধ-শতক করে তিনি ৫৫০ রান তুলেন। সর্বোচ্চ রান করেন ৮৯ ও রানের গড় ছিল ৬১.১১। [[শতক (ক্রিকেট)|সেঞ্চুরিবিহীন]] অবস্থায় সিরিজে তাঁরতার গড়া এ রেকর্ড পরবর্তীকালে ১৯৯৩ সালে [[মাইকেল অ্যাথারটন|মাইক অ্যাথারটন]] ১৯৯৩ সালে ছয় টেস্টের সিরিজে [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়ার]] বিপক্ষে ৫৫৩ রান তুলে নিজের করে নেন।
 
== অর্জনসমূহ ==
১৯৫৮ থেকে ১৯৬৭ সময়কালে কনরাড হান্ট ৪৪ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। এ সময়ে ব্যাটিং উদ্বোধনে তেরোজন খেলোয়াড়কে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন। ৪৫.০৬ গড়ে ৩,২৪৫ রান তুলতে পেরেছেন। আটটি ভিন্ন দেশের প্রত্যেকের বিপক্ষে কমপক্ষে একটি করে মোট আটটি সেঞ্চুরি করেছেন। ১৯৬৪ সালে [[উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক|উইজডেন]] কর্তৃক অন্যতম [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটারের]] মর্যাদা লাভ করেন তিনি।<ref name="wisden">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.espncricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/209422.html |titleশিরোনাম=Wisden's Five Cricketers of the Year |websiteওয়েবসাইট=[[ESPNcricinfo]] |publisherপ্রকাশক=[[ESPN]] |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=15 April 2015 |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://www.webcitation.org/6Y4blUcbj?url=http://www.espncricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/209422.html |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=26 June 2019 |deadurlঅকার্যকর-ইউআরএল=no |df= }}</ref> দুইজন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটারের একজনরূপে স্যার কনরাড হান্ট টেস্টের ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে [[অপরাজিত (ক্রিকেট)|অপরাজিত]] ছিলেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি | ইউআরএল = http://stats.espncricinfo.com/ci/content/records/283149.html | শিরোনাম = Test Batting Records – Carrying bat through a completed innings | কর্ম = ESPN Cricinfo | সংগ্রহের-তারিখ= 3 November 2016}}</ref> ১৯৯৮ সালে বার্বাডোসের সর্বোচ্চ সম্মাননা সেন্ট অ্যান্ড্রু নাইট উপাধীতে ভূষিত হন।
 
== ব্যক্তিগত জীবন ==