আর্থার মিচেল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৬৩ নং লাইন:
 
== প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ==
ব্যাটিং চলাকালীন অনবরত বিড়বিড় করে কথা বলার অভ্যাসের কারণে ‘টিকার’ ডাকনামে আখ্যায়িত হন। খাঁটিমানের ও দৃঢ়প্রত্যয়ী মনোভাবের অধিকারী ছিলেন আর্থার মিচেল। কিছু সময় [[ব্যাটিং অর্ডার|মাঝারিসারিতে]] ব্যাটিংয়ে নামতেন। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে [[পার্সি হোমস]] অবসর গ্রহণ করলে তিনি ব্যাটিংয়ের অবস্থান পরিবর্তন করেন। স্ট্রোক মারার চেয়ে দৌঁড়িয়ে রান নেয়ার অভ্যাস ছিল তাঁর।তার। খুব কম সময়ই ব্যাট হাতে খুলে মারার অভ্যাস ছিল। এক পর্যায়ে লক্ষ্য করেন যে, ফাইন কাটার মারের দিকেই তিনি অধিক ঝুঁকে পড়েছেন।
 
১৯২২ থেকে ১৯৪৭ সময়কালীন আর্থার মিচেলের [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর]] খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।<ref name="YB"/> ১৯২৬ সালে [[নর্দাম্পটনশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|নর্দাম্পটনশায়ারের]] বিপক্ষে ১৮৯ রানের ইনিংস খেলেন। এরফলে সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়। তাসত্ত্বেও পরবর্তী দুই বছর আবারও অপেক্ষা করতে হয়। এরপরই কেবল দলে নিজের স্থান পাকাপোক্ত করতে পেরেছিলেন। ইয়র্কশায়ার দলের ব্যাটিংয়ের মান এতোটাই উন্নততর ছিল যে, ১৯৩০ সালে দলের পাঁচজন খেলোয়াড়ের ব্যাটিং গড় ৫০-এর অধিক ছিল। ঐ সময়ে আর্থার মিচেলকে তিন, চার কিংবা পাঁচ নম্বর অবস্থানে ব্যাটিংয়ে নামতে হতো। কিন্তু, ১৯৩৩ সালে পার্সি হোমসের অবসর গ্রহণের ফলে তাঁকেতাকে প্রায়শঃই ব্যাটিং উদ্বোধন করার সুযোগ দেয়া হয়।
 
১৯৩৩ সালে উপর্যুপরী চারটি ইনিংসে [[শতক (ক্রিকেট)|শতরান]] করেছিলেন তিনি। ১৯৩৪ সালে [[জেন্টলম্যান বনাম প্লেয়ার্স|প্লেয়ার্সের]] সদস্যরূপে জেন্টলম্যানের বিপক্ষে লর্ডসের খেলায় অংশ নেন। দুই ঘন্টা পাঁচ মিনিট সময় ব্যয় করে পঞ্চাশ রান তুলেন ও এক ঘন্টা পর ১২০ রানে আউট হন।
৭২ নং লাইন:
 
== আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ==
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ছয়টিমাত্র [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্টে]] অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন আর্থার মিচেল। ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৩৩ তারিখে মুম্বইয়ে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তাঁর।তার। ২৭ জুন, ১৯৩৬ তারিখে লর্ডসে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
 
১৯৩৩-৩৪ মৌসুমে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল [[ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল|ভারত]] সফরে আসে। এ পর্যায়ে [[মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব|এমসিসি দলের]] সদস্যরূপে তিনি তিন টেস্টে অংশ নেন। মূলতঃ দ্বিতীয় একাদশে অবস্থান করছিলেন তিনি। ১৯৩৫ সালে [[দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দল|দক্ষিণ আফ্রিকা দল]] ইংল্যান্ড গমন করে। হেডিংলি টেস্টের পূর্বক্ষণে [[মরিস লেল্যান্ড]] আঘাতগ্রস্ত হলে আর্থা মিচেল এ সুযোগকে কাজে লাগাতে তৎপর হন। লিডস টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিন ঘন্টার অধিক সময় ক্রিজে অবস্থান করে মূল্যবান ৫৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু, দ্বিতীয় ইনিংসে [[ডেনিস স্মিথ (ইংরেজ ক্রিকেটার)|ডি. স্মিথের]] সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে দুই ঘন্টারও কম সময়ে ৭২ রান তুলেন। এ পর্যায়ে উদ্বোধনী জুটিতে ১২৮ রান ওঠে। ফলশ্রুতিতে, সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেয়ার সুযোগ পান। একই সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে আবারও প্রথম ইনিংসে তিন ঘন্টায় মাত্র ৪০ রান তুলেন।
৭৯ নং লাইন:
 
== খেলার ধরন ==
ইয়র্কশায়ার কাউন্টি দলের স্বর্ণালী সময়ে আর্থার মিচেলের অংশগ্রহণ ছিল। তাঁরতার [[ব্যাটিং (ক্রিকেট)|ব্যাটিং]] তেমন দর্শনীয় না হলেও সর্বদাই দলের প্রয়োজনে বিশেষতঃ দলের বিপর্যয়কালীন নিজেকে যথাসাধ্য উজাড় করে দেয়ার মানসিকতা ছিল তাঁর।তার। তাঁকেতাকে আউট না করে কোন দল [[ফলাফল (ক্রিকেট)|জয়ের]] সন্ধান পায়নি। সম্ভবতঃ দ্বৈত ভূমিকার কারণে উপস্থিত দর্শকেরা তাঁকেতাকে মনে রেখেছিলেন। অন-সাইডে তাঁরতার খেলার প্রবণতা লক্ষ্যণীয় ছিল। কিন্তু, রানের দরকার পড়লে দ্রুত দৌঁড়ে তা সম্পন্ন করতেন। কখনোবা অফ-সাইডে স্ট্রোক খেলতেন যা প্রতিপক্ষীয় দল ঘুনাক্ষরেও টের পেতো না। কাটারের দিকেই তাঁরতার সবিশেষ নজর ছিল।
 
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি সুদক্ষ [[ফিল্ডিং (ক্রিকেট)|ফিল্ডারের]] ভূমিকায়ও অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। সচরাচর [[উইকেট|উইকেটের]] কাছাকাছি লেগ কিংবা অফের দিকে অবস্থান করতেন। যুদ্ধ পর্যন্ত নিয়মিতভাবে দলের পক্ষে খেলে যান। কোচের দায়িত্ব পালনকালীন তিনি শুধুমাত্র শিক্ষাই দিতেন না; বরং খেলা সম্পর্কে আলাপচারিতায়ও মত্ত থাকতেন।
 
== মূল্যায়ন ==
আর্থার মিচেলের খেলোয়াড়ী জীবনে শেষদিকে ইয়র্কশায়ারের অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা [[ব্রায়ান সেলার্স]] মন্তব্য করেন যে, তাঁরতার মৃত্যুতে ক্রিকেট জগৎ একজন সেরা ব্যক্তিত্বকে হারালো এবং আমিও অত্যন্ত কাছের বন্ধু ও পুরনো দলীয়সঙ্গীকে হারালাম। আর্থার ইয়র্কশায়ারের বিশ্বস্ত সমর্থক ও কঠোর পরিশ্রমী ছিলেন। [[কোচ (ক্রীড়া)|কোচ]] হিসেবে তিনি অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁকেতাকে ক্লাব কর্তৃপক্ষ বিরাটভাবে শূন্যতা অনুধাবন করবে। তিনি এ খেলায় নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞাবদ্ধ খেলোয়াড় ছিলেন। শুরুরদিকে [[কাউন্টি ক্রিকেট|লীগ ক্রিকেটে]] দূর্বলমানের ফিল্ডার হিসেবে খেলতে নামেন। পরবর্তীকালে দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন ঘটিয়ে বিশ্বের সেরা ফিল্ডারের ভূমিকায় আসীন হন।
 
== অবসর ==