তাজউদ্দীন আহমদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
২টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ১টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২০ নং লাইন:
}}
 
'''তাজউদ্দীন আহমদ''' (২৩ জুলাই ১৯২৫ - ৩ নভেম্বর ১৯৭৫) [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] প্রথম [[বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকা|প্রধানমন্ত্রী]] ও [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|স্বাধীনতা সংগ্রামের]] অন্যতম নেতা। তিনি [[১৯৭১]] সালে বাংলাদেশের [[বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ|মুক্তিযুদ্ধের]] সময় [[অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার|বাংলাদেশ সরকারের]] প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সাফল্যের সাথে পালন করেন। একজন সৎ ও মেধাবী রাজনীতিবিদ হিসেবে তাঁরতার পরিচিতি ছিল।
 
তাজউদ্দীন আহমদ মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন যা [[মুজিবনগর সরকার]] নামে অধিক পরিচিত। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসাবে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হবার পর আরও তিনজন জাতীয় নেতাসহ তাঁকেতাকে বন্দী করে [[ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার|ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে]] রাখা হয়। সেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারেই ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর বন্দী অবস্থায় ঘাতকের বুলেটে তিনি নিহত হন।
 
== ব্যক্তিগত জীবন ==
তাজউদ্দীন আহমদ [[১৯২৫]] সালের [[২৩ জুলাই]] [[গাজীপুর জেলা]]র অন্তর্গত [[কাপাসিয়া উপজেলা|কাপাসিয়ার]] দরদরিয়া গ্রামে [[জন্ম|জন্মগ্রহণ]] করেন। তাঁরতার পিতা ''মৌলভী মোঃ ইয়াসিন খান'' এবং মাতা ''মেহেরুননেসা খান''।
 
তাঁরতার [[স্ত্রী]] [[সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন]] ছিলেন [[বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ|বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের]] সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। তাঁদের ৪ [[সন্তান]] রয়েছে।<ref>দৈনিক সংবাদ, মুদ্রিত সংস্করণ, ২৬ আগস্ট, ২০১২ইং, প্রধান পাতা, গাজীপুর-৪ উপনির্বাচন - আওয়ামী লীগের প্রার্থী রিমি</ref> বড় মেয়ে শারমিন আহমদ রিপি; মেজো মেয়ে বিশিষ্ট লেখিকা ও কলামিস্ট এবং গাজীপুর-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য [[সিমিন হোসেন রিমি]] এবং কনিষ্ঠা মেয়ে মাহজাবিন আহমদ মিমি। পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান [[তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ]] গাজীপুর-৪ আসনের [[সংসদ সদস্য]] হিসেবে আসীন অবস্থায় পদত্যাগ করেন ও ৭ জুলাই, ২০১২ইং তারিখে তাঁরতার আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।<ref>দৈনিক প্রথম আলো, মুদ্রিত সংস্করণ, ২৬ আগস্ট, ২০১২ইং, প্রধান পাতা, তাজউদ্দীনকন্যা রিমি গাজীপুর-৪ আসনে মনোনয়ন পেলেন</ref>
 
== শিক্ষাজীবন ==
৪ ভাই, ৬ বোনের মাঝে ৪র্থ তাজউদ্দীন আহমদের পড়াশোনা শুরু বাবার কাছে আরবি শিক্ষার মাধ্যমে। এই সময়ে ১ম শ্রেণীতে ভর্তি হন বাড়ির দুই কিলোমিটার দূরের ভূলেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে৷ ১ম ও ২য় শ্রেণীতে ১ম স্থান অর্জন করেন৷ ৪র্থ শ্রেণীতে ভর্তি হন বাড়ি থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরের কাপাসিয়া মাইনর ইংলিশ স্কুলে।<ref name=Gj>http://www.gunijan.org/GjProfDetails_action.php?GjProfId=172 {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120506203206/http://www.gunijan.org/GjProfDetails_action.php?GjProfId=172 |তারিখ=৬ মে ২০১২ }} গুণীজন ডট অর্গ এর ওয়েবসাইট</ref> এরপর পড়েছেন কালিগঞ্জ [[সেন্ট নিকোলাস উচ্চ বিদ্যালয়|সেন্ট নিকোলাস ইনস্টিটিউশন]], ঢাকার মুসলিম বয়েজ হাই স্কুল ও [[সেইন্ট গ্রেগরী উচ্চ বিদ্যালয়|সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুলে]]। তাজউদ্দীন আহমদ [[কুরআন|পবিত্র কোরআনে হাফেজ ]] ছিলেন, যা তিনি নিয়মিত লেখাপড়ার পাশাপাশি বাবার সান্নিধ্যে আয়ত্ত করেন। তিনি ম্যাট্রিক (১৯৪৪) ও ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় [[জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়]] (তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ) থেকে অবিভক্ত বাংলার সম্মিলিত মেধাতালিকায় যথাক্রমে দ্বাদশ ও চতুর্থ স্থান (ঢাকা বোর্ড ) লাভ করেন। [[১৯৫০]] সালে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে অর্থনীতিতে বি.এ (সম্মান) ডিগ্রী লাভ করেন। [[১৯৬৪]] সালে রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে কারাগারে থাকা অবস্থায় এল.এল.বি. ডিগ্রীর জন্য পরীক্ষা দেন এবং পাস করেন।
 
== রাজনৈতিক জীবন ==
৪৩ নং লাইন:
 
প্রথমে আত্মরক্ষা তারপর প্রস্তুতি এবং সর্বশেষে পাল্টা আক্রমণ এই নীতিকে সাংগঠনিক পথে পরিচালনার জন্য তিনি সরকার গঠনের চিন্তা করতে থাকেন। তাই তাজউদ্দীন আহমদ আত্মগোপন করেন এবং যুদ্ধকে সংগঠিত করার জন্য সীমান্তের দিকে যাত্রা করেন।
এরই মধ্যে ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় তিনি ফরিদপুর কুষ্টিয়া পথে পশ্চিম বাংলার সীমান্তে পৌঁছান।<ref name="profile-bengal.com">http://www.profile-bengal.com/muldhara/</ref> ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ৩১ মার্চ [[মেহেরপুর জেলা|মেহেরপুর]] সীমান্ত অতিক্রম করে [[ভারত|ভারতে]] পদার্পণ করেন। সীমান্ত অতিক্রম করার বিষয়ে মেহেরপুরের মহকুমা শাসক তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী তাদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করেন। সীমান্ত অতিক্রম করার পর ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মহাপরিদর্শক গোলক মজুমদার তাজউদ্দীন আহমদ ও ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামকে যথোপযুক্ত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন। গোলক মজুমদারের কাছে সংবাদ পেয়ে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক কেএফ রুস্তামজী তাদের আশ্রয়স্থলে এবং তাজউদ্দিন আহমদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেন এবং পূর্ববাংলা সার্বিক পরিস্থিতি এবং বাঙালির স্বাধীনতা লাভের অদম্য স্পৃহা সম্পর্কে সম্যক অবগত হন। সীমান্তে পৌঁছে তাজউদ্দিন দেখেন যে বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহী সেনাদের সমর্থনে ভারত সরকার থেকে নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত ভারতীয় সামরিক বাহিনী এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কিছুই করার নেই। [[মুক্তিফৌজ]] গঠনের ব্যাপারে তাজউদ্দীন আহমদ [[বিএসএফ]] এর সাহায্য চাইলে তৎকালীন বিএসএফ প্রধান তাকে বলেন যে মুক্তি সেনা ট্রেনিং এবং অস্ত্র প্রদান সময় সাপেক্ষ কাজ। তিনি আরো বলেন যে ট্রেনিং বিষয়ে তখন পর্যন্ত [[ভারত]] সরকারের কোন নির্দেশ না থাকায় তিনি [[মুক্তিবাহিনী|মুক্তিবাহিনীকে]] ট্রেনিং ও অস্ত্র দিতে পারবেন না। কেএফ রুস্তামজী দিল্লির ঊর্ধ্বতন সাথে যোগাযোগ করলে তাকে জানানো হয় তাজউদ্দীন আহমদ ও ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামকে নিয়ে দিল্লি চলে আসার জন্য।<ref>http://www.sangbad.com.bd/?view=details&pub_no=198&menu_id=23&news_type_id=1&type=single&val=18713 {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110823064410/http://www.sangbad.com.bd/?view=details&pub_no=198&menu_id=23&news_type_id=1&type=single&val=18713 |তারিখ=২৩ আগস্ট ২০১১ }} দৈনিক সংবাদে প্রকাশিত নিবন্ধ</ref> উদ্দেশ্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী [[ইন্দিরা গান্ধী]] এবং তাজউদ্দিন আহমদের বৈঠক। দিল্লিতে যাবার পর ভারত সরকার বিভিন্ন সূত্র থেকে নিশ্চিত হন যে, তাজউদ্দীন আহমদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠতম সহকর্মী। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের আগে ভারত সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাজউদ্দিন আহমদের কয়েক দফা বৈঠক হয় এবং তিনি তাদের বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম পরিচালনার জন্য যেসব সাহায্য ও সহযোগিতার প্রয়োজন তা বুঝিয়ে বলেন। এসময় তিনি উপলব্ধি করেন যে আওয়ামী লীগের একজন নেতা হিসেবে তিনি যদি সাক্ষাৎ করেন তবে সামান্য সহানুভূতি ও সমবেদনা ছাড়া তেমন কিছু আশা করা যায় না। সরকার গঠন ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ঐ সরকারের দৃঢ় সমর্থন ছাড়া বিশ্বের কোন দেশই বাংলাদেশের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে না। এছাড়া ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের আগের দিন এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাজউদ্দীনের কাছে জানতে চান যে স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে কোন সরকার গঠিত হয়েছে কিনা। তখন তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে বৈঠকে তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরূপে নিজেকে তুলে ধরবেন। কারণ এতে 'পূর্ব বাংলার জনগণের সংগ্রামকে সাহায্য করার জন্য ৩১ মার্চ ভারতীয় পার্লামেন্টে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়'<ref name=paper>weekly economist (London), 3 April 1971</ref> তা কার্যকর রূপলাভ করতে পারে বলে তাজউদ্দিনের ধারণা হয়। ইন্দিরা গান্ধীর সাথে বৈঠকের সূচনাতে তাজউদ্দিন জানান যে পাকিস্তানী আক্রমণ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই ২৫/২৬ মার্চেই বাংলাদেশকে স্বাধীন ঘোষণা করে সরকার গঠন করা হয়েছে। শেখ মুজিব সেই স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রেসিডেন্ট এবং [[শেখ মুজিবুর রহমান|মুজিব]] - [[ইয়াহিয়া খান|ইয়াহিয়া]] বৈঠকে যোগদানকারী সকল প্রবীণ সহকর্মীই মন্ত্রীসভার সদস্য। মুজিবের গ্রেফতার ছাড়া তখন পর্যন্ত দলের অন্যান্য প্রবীণ নেতা-কর্মীর খবর অজানা থাকায় সমাবেত দলীয় প্রতিনিধিদের সাথে পরামর্শক্রমে [[দিল্লি|দিল্লির]] উক্ত সভায় তাজউদ্দীন নিজেকে প্রধানমন্ত্রীরূপে তুলে ধরেন।<ref name="profile-bengal.com"/><ref name=history>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ= মঈদুল হাসান |শিরোনাম= মূলধারা ৭১|প্রকাশক= ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড |বছর= ২০০৪ |আইএসবিএন=984 05 0121 6|}}</ref> ঐ বৈঠকে তাজউদ্দীন আহমদ ইন্দিরা গান্ধীর কাছে স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানের জন্য অনুরোধ করেন। ইন্দিরা গান্ধী তাঁকেতাকে এই বলে আশ্বস্ত করেন যে, উপযুক্ত সময়ে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়া হবে। এভাবেই অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের ধারণার সূচনা।
[[এপ্রিল ৪|৪ঠা এপ্রিল]] [[দিল্লী|দিল্লীতে]] [[ইন্দিরা গান্ধী|ইন্দিরা গান্ধীর]] সঙ্গে তাজউদ্দীনের আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়। [[এপ্রিল ১০|১০ এপ্রিল]] [[মেহেরপুর জেলা|মেহেরপুর জেলার]] [[মুজিবনগর|মুজিবনগরে]] বাংলাদেশের স্বাধীনতার সনদ ঘোষণা করা হয়। ১১ এপ্রিল তাজউদ্দীন বেতারে ভাষণ দেন। [[এপ্রিল ১৭|১৭ এপ্রিল]] মুজিবনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তাজউদ্দীন আহমদ হন [[বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী|বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী]]। শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন [[সৈয়দ নজরুল ইসলাম]]।
অস্থায়ী সরকার [[ডিসেম্বর ১৬|১৬ই ডিসেম্বর]] স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত [[কলকাতা]] থেকে কার্য পরিচালনা করে। তাজউদ্দীন আহমদ দৃঢ়তা ও নিষ্ঠার সাথে এতে নেতৃত্ব দেন।
৫৪ নং লাইন:
১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের সমাপনী অধিবেশনের বক্তৃতায় তিনি দল, সরকার এবং নেতা ও কর্মীদের মাঝে দূরত্ব দূর করে, সংগঠন এবং সরকারের মাঝে এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানান৷<ref name=Gj/>
 
পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধুর সাথে তাজউদ্দীনের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। বঙ্গবন্ধু তাঁরতার দীর্ঘ ৩০ বছরের বিশ্বস্ত রাজনৈতিক সহকর্মীকে ভুল বুঝেন। [[১৯৭৪]] সালের [[অক্টোবর ২৬|২৬শে অক্টোবর]] তাজউদ্দীন মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট প্রথম গৃহবন্দী ও পরে ২৩ আগস্ট গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।তাকে।<ref name=Gj/>
 
== মৃত্যু ==
[[আগস্ট ১৫|১৫ আগস্ট]], [[১৯৭৫]]-এ বঙ্গবন্ধু [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিবুর রহমানকে]] স্বপরিবারে [[হত্যা]] করার পর হত্যাকারীদের নির্দেশে তাজউদ্দীন আহমদকে গৃহবন্দী করা হয়। [[আগস্ট ২৩|২৩ আগস্ট]] সামরিক আইনের অধীনে তাজউদ্দীন আহমদ-সহ ২০ জনকে [[গ্রেফতার]] করা হয়। তাঁকেতাকে [[ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার|ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে]] রাখা হয়। [[নভেম্বর ৩|৩রা নভেম্বরে]] [[কারাগার|কারাগারের]] ভিতরে তাজউদ্দীন আহমদ, [[সৈয়দ নজরুল ইসলাম]], [[মোঃ মনসুর আলী]] এবং [[এ এইচ এম কামরুজ্জামান|এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে]] নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে [[জেল হত্যা দিবস]] নামে কুখ্যাত হয়ে আছে।
 
== তথ্যসূত্র ==