আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৯ নং লাইন:
 
== জন্ম ==
বর্তমান [[নাটোর জেলা|নাটোর জেলার]] অন্তর্গত বাগাতিপাড়ার মালঞ্চী রেলস্টেশন সংলগ্ন নূরপুর গ্রামে মামার বাড়িতে ১৯২৬ সালের ২৬ জুন তারিখে এ এইচ এম কামারুজ্জামান জন্মগ্রহণ করেন।<ref name=govt>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ= এইচ টি ইমাম |শিরোনাম= বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১ |প্রকাশক= আগামী প্রকাশন |আইএসবিএন= 984-401-783-1 }}</ref> তাঁরতার পৈতৃক বাড়ি ছিল [[রাজশাহী]] জেলার কাদিরগঞ্জ মহল্লায়। তিনি বনেদি জমিদার পরিবারের সন্তান ছিলেন। তার পিতা আবদুল হামিদ ও মাতা বেগম জেবুন্নিসা। তার ১২ ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন প্রথম। তাঁরতার ডাকণাম ছিল হেনা।
 
== পরিবার জীবন ==
১৯৫১ সালে কামারুজ্জামান জাহানারা বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁরতার স্ত্রী [[বগুড়া]] জেলার [[দুপচাঁচিয়া উপজেলা]]র চামরুল গ্রামের আশরাফ্উদ্দিন তালুকদারের মেয়ে জাহানারা । আশরাফ উদ্দিন তালুকদার ঐ অঞ্চলের জোতদার হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
 
পারিবারিক জীবনে তিনি ৬ সন্তানের পিতা।<ref name=gunijon/> তার বড় ছেলে এ এইচ এম খাইরুজ্জামান লিটন [[রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন|রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের]] সাবেক মেয়র ছিলেন।<ref>http://www.samoik.com/print_article/print_page/6268{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ডিসেম্বর ২০১৮ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> মেজো ছেলে এ.এইচ.এম. এহসানুজ্জামান স্বপন (জন্ম ১৯৬১)। বর্তমানে তিনি একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পনীতে চাকুরীরত রয়েছেন। মেয়েদের নাম ফেরদৌস মমতাজ পলি (জন্ম ১৯৫৩), দিলারা জুম্মা রিয়া (জন্ম ১৯৫৫), রওশন আক্তার রুমী (জন্ম ১৯৫৭) ও কবিতা সুলতানা চুমকি (জন্ম ১৯৬৪)।
২৮ নং লাইন:
== শিক্ষাজীবন ==
[[চিত্র:আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান.jpg|thumb|left|আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন]]
লেখাপড়ার শুরু [[রাজশাহী]] কলেজিয়েট স্কুলে। রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের এক শিক্ষক ছিলেন তাঁরতার ফুপা। তিনি রাজশাহী থেকে [[চট্টগ্রাম|চট্টগ্রামে]] বদলী হয়ে যাবার সময় কামারুজ্জামানকেও সাথে করে নিয়ে যান এবং [[চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল|চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে]] ভর্তি করে দেন। সেখান থেকেই ১৯৪২ সালে তিনি মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর [[রাজশাহী কলেজ]] থেকে ১৯৪৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। তিনি এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য [[কলকাতা]] যান এবং বিখ্যাত [[প্রেসিডেন্সী কলেজ, কলকাতা|প্রেসিডেন্সী কলেজ]] থেকে ১৯৪৬ সালে [[অর্থনীতি|অর্থনীতিতে]] অনার্স পাশ করেন।<ref name=gunijon>[http://www.gunijan.org.bd/GjProfDetails_action.php?GjProfId=187 www.gunijan.org.bd]</ref> এরপর তিনি রাজশাহী আইন কলেজ হতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে ১৯৫৬ সাল থেকে রাজশাহী জর্জকোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন।<ref name=en>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ= মুনতাসির মামুন |শিরোনাম= কিশোর মুক্তিযুদ্ধ কোষ |প্রকাশক= সময় প্রকাশন |আইএসবিএন= 984-458-70114-0070-9 }}</ref>
 
== রাজনৈতিক জীবন ==
[[চিত্র:Kamaruzzaman Chattar, Rajshahi.jpg|thumb|জাতীয় চার নেতার একজন এএইচ এম কামারুজ্জামান হেনার নামে স্মৃতিস্তম্ভ]]
কামারুজ্জামান ছিলেন পারিবারিক ভাবে রাজনীতি সচেতন। তাঁরতার দাদা হাজি লাল মোহাম্মদ সরদার কংগ্রেস রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তবে ওহাবী আন্দোলনের সাথেও তাঁরতার সম্পৃক্ততা ছিলো বলে জানা যায়। এ কারণে কংগ্রেস ও প্রথম সারীর মুসলিম লীগ নেতাদের সাথে তাঁরতার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিলো। হাজী লাল মোহাম্মদ দু'বার অবিভক্ত বাংলার লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য (এম.এল.সি) নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি রাজশাহী এসোসিয়েশন ও বরেন্দ্র একাডেমীর একমাত্র মুসলিম সদস্য ছিলেন। তাঁরতার পিতা মুসলিম লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং দীর্ঘদিন রাজশাহী অঞ্চলের মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত বাংলাদেশ ও পরে পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন। তাই তাঁরতার রাজনীতি সম্পর্কে আগ্রহী হওয়া স্বাভাবিক ছিল।<ref name=gunijon/>
 
=== রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ===