উইলফ্রেড রোডস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
অপ্রয়োজনীয় বিষয়শ্রেণী বাদ
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৬১ নং লাইন:
 
== প্রারম্ভিক জীবন ==
হাডার্সফিল্ডের অদূরে কির্কহিটন গ্রামে রোডস জন্মগ্রহণ করেন তিনি। খুব ছোটবেলায় তাঁরতার পরিবার দুই মাইল দূরে স্থানান্তরিত হন।<ref name="Rogerson 31">Rogerson, p. 31.</ref> হপটনের কাছাকাছি একটি বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরবর্তীকালে হাডার্সফিল্ডের স্প্রিং গ্রোভ স্কুলে চলে যান। তাঁরতার বাবা আলফ্রেড রোডস কির্কহিটন ক্রিকেট দলের দ্বিতীয় একাদশের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি তাঁকেতাকে ক্রিকেট খেলায় উদ্বুদ্ধ করতে প্রয়াস চালান ও সফলকাম হন। আনুসাঙ্গিক ক্রীড়া সরঞ্জামাদি ক্রয় করে বাড়ীর কাছাকাছি থাকা পিচে উইলফ্রেডকে অনুশীলনে সহায়তা করেন।<ref name="Rogerson 31"/><ref>Thomson, p. 100.</ref>
 
১৮৯৬ ও ১৮৯৭ সালে গালা ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতে থাকেন। ব্যাটিং উদ্বোধনসহ মিডিয়াম পেস [[Seam bowling|সিম বোলিং]] করতেন তিনি।<ref>Thomson, p. 102.</ref> প্রথম মৌসুমেই ৯২ উইকেট পান। ১৮৯৭ মৌসুমের শেষদিকে এমসিসি’র জনৈক স্কটিশ সদস্যের অনুপ্রেরণায় গালা দল ত্যাগ করে ইংল্যান্ডে কাজের সন্ধানে বেড়িয়ে পড়েন।<ref>Rogerson, pp. 36–7.</ref>
 
প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে ওয়ারউইকশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের মাঠকর্মী হিসেবে রোডস আবেদন করেন। কিন্তু আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাঁকেতাকে নিয়োগ দেয়নি।<ref>Rogerson, pp. 38–9.</ref> আগস্ট, ১৮৯৭ সালে দলীয় অধিনায়ক [[মার্টিন হক|লর্ড হকের]] সাথে মাঠে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে স্পিনার [[ববি পিল|ববি পিলকে]] বিতাড়িত করা হয়। ফলে তাঁরতার স্থলে রোডসের আবেদনক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল = http://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/195/195141.html|শিরোনাম = Yorkshire v Yorkshire Colts in 1897 | প্রকাশক = CricketArchive| সংগ্রহের-তারিখ = 7 November 2009}}</ref>
 
== কাউন্টি ক্রিকেট ==
১৮৯৮ সালে [[Left-arm orthodox spin|ধীরগতির বামহাতি বোলার]] হিসেবে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে খেলা শুরু করেন। কাউন্টি একাদশের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম খেলায় তাঁরতার অংশগ্রহণ বেশ হতাশাব্যঞ্জক ছিল। পিলের প্রবল প্রতিপক্ষ [[Albert Cordingley|আলবার্ট কর্ডিংলি]] পান নয় উইকেট।<ref>Rogerson, pp. 39–40.</ref> পাশাপাশি কার্যকরী ব্যাটসম্যান হিসেবেও দলে অবদান রাখেন। তিনি খুব দ্রুত বিশ্বের অন্যতম সেরা স্লো বোলার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
 
[[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ|প্রথম বিশ্বযুদ্ধের]] পূর্বে তাঁরতার ব্যাটিংয়ে দক্ষতা বেশ বাড়তে থাকে ও [[জ্যাক হবস|জ্যাক হবসের]] সাথে ইংল্যান্ড দলের [[ব্যাটিং অর্ডার#Opening batsmen or openers|ব্যাটিং উদ্বোধনে]] মাঠে নামতেন।<ref>Rogerson, pp. 92–93.</ref> এসময় তাঁরতার [[বোলিং (ক্রিকেট)|বোলিংও]] ছিল ঈর্ষনীয়।<ref name="obituary">{{ওয়েব উদ্ধৃতি| শেষাংশ = Cardus| প্রথমাংশ = Sir Neville| ইউআরএল=http://www.espncricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/152485.html| শিরোনাম = Wilfred Rhodes&nbsp;– Yorkshire personified (Wisden obituary)| কর্ম = Wisden Cricketers' Almanack| বছর = 1974| প্রকাশক = John Wisden & Co | অবস্থান = London | সংগ্রহের-তারিখ = 9 November 2009}}</ref> কিন্তু বিশ্বযুদ্ধের পর ইয়র্কশায়ারের প্রথমসারির বোলারের মর্যাদা হারাতে থাকেন।<ref>Rogerson, pp. 10, 72.</ref> ১৯২০-এর দশকে অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতে থাকেন ও ১৯৩০ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। দলে তাঁরতার স্থলাভিষিক্ত হন [[হেডলি ভেরিটি]]।
 
১৯২৩ মৌসুমে ছয়জন ব্যাটসম্যানের একজন হিসেবে দলের পক্ষে সহস্রাধিক প্রথম-শ্রেণীর রান সংগ্রহ করেছিলেন। অন্যরা হচ্ছেন - [[মরিস লেল্যান্ড]], [[পার্সি হোমস]], [[হার্বার্ট সাটক্লিফ]], [[রয় কিলনার]] ও [[Edgar Oldroyd|এডগার ওল্ডরড]]।<ref name=W326>Woodhouse (1989), p. 326.</ref> ১৯২২ থেকে ১৯২৫ সময়কালে ইয়র্কশায়ার দল উপর্যুপরী চার মৌসুমে [[আনুষ্ঠানিক কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ বিজয়ী দলের তালিকা|কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয়ে]] সক্ষমতা দেখিয়েছিল। তন্মধ্যে, ইয়র্কশায়ারকে ধারাবাহিকভাবে [[আনুষ্ঠানিক কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ বিজয়ী দলের তালিকা|চারটি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ের]] প্রথমটিতে ভীষণ অবদান রাখেন।<ref name=ccwin>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| ইউআরএল = http://static.cricinfo.com/db/NATIONAL/ENG/CHAMPIONSHIP/CC_WINNERS_1890-PRESENT.html#| শিরোনাম = County Champions 1890–present| প্রকাশক = ESPNCricinfo| সংগ্রহের-তারিখ =8 March 2010}}</ref> এ মৌসুমে বোলিং গড়ে উইলফ্রেড রোডস দলের শীর্ষস্থানীয় বোলারে পরিণত হন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| ইউআরএল = https://cricketarchive.com/Yorkshire/Seasons/Seasonal_Averages/1922_f_Bowling_by_Average.html| শিরোনাম = First-class Bowling for Yorkshire in 1922| প্রকাশক = CricketArchive| সংগ্রহের-তারিখ =28 February 2010}}</ref>
 
১৯২৬ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের মুকুট লাভের আশা ত্যাগ করতে হয় ইয়র্কশায়ার দলকে। ১৯২১ সালে শিরোপাবিহীন অবস্থায় থাকার পর এবারই প্রথম এ ঘটনা ঘটে।<ref name=ccwin>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| ইউআরএল = http://static.cricinfo.com/db/NATIONAL/ENG/CHAMPIONSHIP/CC_WINNERS_1890-PRESENT.html#| শিরোনাম = County Champions 1890–present| প্রকাশক = ESPNCricinfo| সংগ্রহের-তারিখ =8 March 2010}}</ref> উইজডেন লক্ষ্য করে যে, উইলফ্রেড রোডস পূর্বের সাথে তুলনান্তে কম কার্যকরী বোলিং করলেও ইয়র্কশায়ারের বোলিং আক্রমণে তিনিই ব্যতিক্রম ছিলেন। <ref name=rog>Rogerson, p. 142.</ref>
 
== টেস্ট ক্রিকেট ==
[[Australian cricket team in England in 1899|১৮৯৯]] সালে ইংল্যান্ড দলে প্রথমবারের মতো টেস্টে অংশ নেন যা ১৯২১ সাল পর্যন্ত চলমান ছিল। পাঁচ টেস্টের সিরিজে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বিপক্ষে তার অভিষেক ঘটে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.espncricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/150162.html|শিরোনাম = England v Australia 1899 (First Test)| কর্ম = Wisden Cricketers' Almanack| বছর = 1900| প্রকাশক = John Wisden & Co|অবস্থান = London|সংগ্রহের-তারিখ = 9 November 2009}}</ref> ১ থেকে ৩ জুন, ১৮৯৯ তারিখে নটিংহামের ট্রেন্টব্রিজে [[অ্যাশেজ সিরিজের তালিকা|ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার]] মধ্যে [[দি অ্যাশেজ|অ্যাশেজ সিরিজের]] ঐ টেস্টটি ট্রেন্ট ব্রিজে প্রথম টেস্ট খেলা ছিল ও খেলাটি [[ফলাফল (ক্রিকেট)|ড্রয়ে]] পরিণত হয়। জয়ের জন্যে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৩৫ রান ও অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩ উইকেট। ঐ খেলায় [[ডব্লিউ জি গ্রেস]] তাঁরতার সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ করেন এবং [[ভিক্টর ট্রাম্পার]] ও অস্ট্রেলিয়ার [[ফ্রাঙ্ক লেভার|ফ্রাঙ্ক লেভারের]] সাথে তাঁরওতারও একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল।
 
এরপর ৪৯ বছর বয়সে ১৯২৬ সালে পুণরায় দলে ফিরে আসেন<ref>Thomspon, pp. 162–3.</ref> ও [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়ার]] বিপক্ষে [[দি অ্যাশেজ|অ্যাশেজের]] চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ঐ খেলায় ইংল্যান্ডের জয়লাভে তিনি প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন ও ১৯১২ সালের পর প্রথমবারের মতো [[অ্যাশেজ সিরিজের তালিকা|অ্যাশেজ]] পুণরুদ্ধারে সক্ষম হয় তাঁরতার দল। এপ্রিল, ১৯৩০ সালে [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল|ওয়েস্ট ইন্ডিজের]] বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। ১৯০২ সালের [[দি ওভাল|ওভাল]] টেস্টে তিনি ও তাঁরতার ইয়র্কশায়ারের বোলিং সঙ্গী [[জর্জ হার্স্ট]] শেষ উইকেটে ১৫ রান তুলে নিয়ে দলকে জয় এনে দেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.espncricinfo.com/ci/content/story/133471.html|শিরোনাম=All Today's Yesterdays - September 7 down the years |কর্ম=ইএসপিএন ক্রিকইনফো|সংগ্রহের-তারিখ=16 April 2017|ভাষা=ইংরেজি|অনূদিত-শিরোনাম= }}</ref>
 
রোডস তাঁরতার সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১২৭টি টেস্ট উইকেটের পাশাপাশি ২,৩২৫ রান তোলেন। ১৯৩০ সালে ৫২ বছর ১৬৫ দিন বয়সে তিনি সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| ইউআরএল= http://stats.espncricinfo.com/ci/content/records/283722.html|শিরোনাম = Oldest players| প্রকাশক = Espncricinfo|সংগ্রহের-তারিখ = 6 December 2009}}</ref> এরফলে তিনি সর্বাপেক্ষা বয়োজ্যেষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে অংশগ্রহণের রেকর্ড সৃষ্টি করেন।
 
== অর্জনসমূহ ==
[[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে]] সর্বাধিক ১,১১০ খেলায় অংশগ্রহণসহ ৪,২০৪টি উইকেট লাভ করে বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী তিনি। এছাড়াও ইংরেজ ক্রিকেট [[মৌসুম (ক্রীড়া)|মৌসুমে]] ১৬বার ১,০০০ রান ও ১০০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। পঞ্চাশ বছর বয়সেও ইয়র্কশায়ার ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলে খেলেছেন। তিনি ও হার্স্ট [[আনুষ্ঠানিক কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ বিজয়ী দলের তালিকা|ইয়র্কশায়ারকে ধারাবাহিকভাবে তিনবার চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা]] এনে দেন।
 
সর্বাধিক ২৩ মৌসুম শতাধিক উইকেট লাভের দৃষ্টান্ত গড়েন; তবে তা ধারাবাহিকভাবে ছিল না। তারপরই ২০ মৌসুমে ধারাবাহিকভাবে শতাধিক উইকেট পেয়েছেন [[ডেরেক শ্যাকলটন]]। ১৮৯৯ সালে [[উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক|উইজডেন]] কর্তৃক [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটারের]] মর্যাদা পান তিনি। উইলফ্রেড রোডস এক মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় এক হাজার বা ততোধিক রান এবং একশত বা ততোধিক উইকেট লাভের ন্যায় অনন্য সাধারণ কৃতিত্ব সর্বাধিক ১৬বার ডাবল লাভ করেছেন। তাঁরতার পরবর্তী স্থানে রয়েছে [[জর্জ হার্স্ট|জর্জ হার্স্টের]] ১৪বার ডাবল লাভের কৃতিত্ব।
 
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে এক ইনিংসে দশ উইকেট লাভকারী বোলারদের অন্যতম তিনি। এ তালিকায় তাঁরতার পরই [[টিচ ফ্রিম্যান]], [[চার্লি পার্কার]], [[জে. টি. হার্ন]], [[টম গডার্ড]], [[ডব্লিউ. জি. গ্রেস]] ও [[অ্যালেক কেনেডি]] অবস্থান করছেন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইয়র্কশায়ারের পক্ষে এক মৌসুমে জর্জ ম্যাকাউলি, উইলফ্রেড রোডস, জর্জ হার্স্ট ও [[বব এপলইয়ার্ড]] ২০০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরেছিলেন।<ref name="P166">Pope, p. 166.</ref>
 
== অবসর ==
খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর তিনি হ্যারো স্কুলে প্রশিক্ষণের কাজে অংশ নেন।<ref>Rogerson, p. 152.</ref> কিন্তু ১৯৩৯ সালের দিকে তাঁরতার দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পেতে থাকে। এরপর ১৯৫২ সালের দিকে তিনি পুরোপুরি [[অন্ধ]] হয়ে যান। ১৯৪৯ সালে [[মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব|মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)]] কর্তৃপক্ষ তাঁকেতাকে সম্মানসূচক সদস্যপদে মনোনীত করে।<ref>Rogerson, pp. 171–2.</ref> ৮ জুলাই, ১৯৭৩ তারিখে ৯৫ বছর বয়সে দেহাবসানের পূর্ব-পর্যন্ত ক্রিকেটের পূজনীয় ব্যক্তি হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছিলেন।
 
== তথ্যসূত্র ==