শাফী ইমাম রুমী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
২৪ নং লাইন:
{{Quote box|width=23%|fontsize=85%|quoted=1|quote=প্রাণপ্রিয় পাশা মামা,<br>অবাক হয়ো না। এটা লেখা হয়েছে আর তােমার কাছে পৌছেছে। আর পড়ার পর চিঠিটা নষ্ট হলে ফেলো। এ নিয়ে আম্মাকেও কিছু লিখো না। তা হলে তাঁদের বিপদে পড়তে হবে। তাড়াহুড়া করে লিখলাম। আমার হাতে সময় খুব কম। বেস ক্যাম্পের উদ্দেশে কাল এখান থেকে চলে যেতে হবে।<br>আমরা একটা ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ লড়ছি। আমরা জয়ী হব। আমাদের সবার জন্য দোয়া করো। কী লিখবো বুঝতে পারছি না- কত কী নিয়ে যে লেখার আছে। নৃশংসতার যত কাহিনী তুমি শুনছ, ভয়াভয় ধংশের যত ছবু তুমি দেখছ, জানবে তার সবই সত্য। ওরা আমাদের নৃশংসতার সঙ্গে ক্ষতবিক্ষত করছে, মানব ইতিহাসে যার তুলনা নেই। আর নিউটন আসলেই যথার্থ বলেছেন, একই ধরনের হিংস্রতা নিয়ে আমরাও তাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ব। এরই মধ্যে আমাদের যুদ্ধ অনেক এগিয়ে গেছে। বর্ষা শুরু হলে আমরা আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়ে দেব।<br>জানি না আবার কখন লিখতে পারব। আমাকে লিখাে না। সােনার বাংলার জন্য সর্বোচ্চ যা পারো, করো। এখনকার মতাে বিদায়।|source=—সৈয়দ মোস্তফা কামাল পাশাকে লেখা চিঠিতে শফি ইমাম রুমী<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=একাত্তরের চিঠি|বছর=২০০৯|প্রকাশক=প্রথমা প্রকাশন|অবস্থান=ঢাকা|আইএসবিএন=978-984-8765-00-5|পাতাসমূহ=২৫}}</ref>}}
যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে, রুমী ধারাবাহিকভাবে তার মা ও বাবাকে নিজের যুদ্ধে যাবার ব্যাপারে রাজি করানোর চেষ্টা করেন। ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল মাকে অবশেষে রাজি করিয়ে সীমান্ত অতিক্রমের সুযোগ খুজছিলেন। পরে ২ মে রুমী সীমান্ত অতিক্রমের প্রথম প্রয়াস চালান। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে
সেখানে একটি পাকিস্তানী সেনা জিপ তাদের বহনকারী গাড়ির পিছু নিলে তিনি গাড়ির পেছনের কাচ ভেংগে "'দেখো দেখো, একটি জিপ আমাদের অনুসরণ করছে"' বলে স্টেন গান ব্রাশফায়ার করেন। তার গুলিতে পাকিস্তানি জিপের ড্রাইভার নিহত হয় এবং গাড়ি ল্যাম্পপোস্টে যেয়ে ধাক্কা খায়। বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা তার গুলিতে মারা যায়।
==পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দ্বারা গ্রেফতার ও পরিণতি==
ধানমণ্ডি রোডের অপারেশনের পর রুমী তার সহকর্মীদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ১৯৭১ সালের ২৯ আগস্ট তিনি
ইয়াহিয়া খান ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দিলে অনেক আত্মীয়
== হত্যার বিচার ==
|