ওয়াল্টার রবিন্স: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
অপ্রয়োজনীয় বিষয়শ্রেণী বাদ
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৫৮ নং লাইন:
== খেলোয়াড়ী জীবন ==
১৯২৫ সালে বিদ্যালয় অধ্যয়নকালীন মিডলসেক্সের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। এই দলে তিনি ১৯৫০ সাল পর্যন্ত দলে অনিয়মিতভাবে খেলেছেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বমোট ১৩,৪৯০ রান তুলেছেন ২৬.৪৫ গড়ে এবং ২৩.৫৯ গড়ে ৯৪৬ উইকেট পান।
প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্স, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলেছেন তিনি। ডানহাতে কার্যকারী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন ও লেগ ব্রেক বোলিংয়ে সক্ষমতা দেখাতে পারতেন। কাউন্টি দলের পক্ষে ২৫৮টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ২২.২৮ গড়ে ৬৬৯ উইকেট তুলে নেন। তন্মধ্যে, ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করিয়েছেন ৮/৬৯। ঝুঁকিগ্রহণকারী অধিনায়ক হিসেবে তাঁরতার সবিশেষ পরিচিতি ছিল। খেলায় ইপ্সিত ফলাফল আনয়ণে এ ঝুঁকিগ্রহণ করতেন তিনি। ১৯৩৫-১৯৩৮, ১৯৪৬-৪৭ ও ১৯৫০ - এ তিন ধাঁপে মিডলসেক্সের পক্ষে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৪৭ সালের [[কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ|কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের]] শিরোপা বিজয়ে নেতৃত্ব দেন।
 
২৯ জুন, ১৯২৯ তারিখে সফরকারী [[দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দল|দক্ষিণ আফ্রিকার]] বিপক্ষে রবিন্সের টেস্ট অভিষেক হয়। ১৪ আগস্ট, ১৯৩৭ তারিখে ওভালে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন সফরকারী [[নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল|নিউজিল্যান্ডের]] বিপক্ষে। ১৯২৫ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত তাঁরতার খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। তিনি তাঁরতার সময়কালে ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা গতিশীল অল-রাউন্ডার ছিলেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২১৭ ও টেস্ট খেলায় ১২ ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন তিনি।
 
== অস্ট্রেলিয়া সফর ==
১৯৩৬-৩৭ মৌসুমে [[দি অ্যাশেজ|অ্যাশেজ]] সফরের তৃতীয় টেস্টে [[ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান|ডন ব্র্যাডম্যানের]] ক্যাচ ফেলে দেয়ার ন্যায় ঘটনাও তাঁরতার হাত দিয়েই হয়েছিল। [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়কদের তালিকা|অধিনায়ক]] [[গাবি অ্যালেন]] রবিন্সকে স্কয়ার লেগ অঞ্চলে নিয়ে আসেন যাতে [[ফাস্ট বোলিং|ফাস্ট বোলার]] ব্রাউন্সার দেয়ার পূর্বেই [[ফিল্ডিং (ক্রিকেট)|লং লেগ অঞ্চলে]] দৌঁড়ে যাওয়া যায়। ব্র্যাডম্যান আনন্দচিত্তে হুক মারলে রবিন্স দৌঁড়ে গিয়ে বল মাটি স্পর্শ করার পূর্বেই হাতে নেয়ার চেষ্টা চালালেও ব্যর্থ হন। অ্যালেনের কাছে দুঃখপ্রকাশ করলে প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন, ‘ওয়াল্টার, তোমার কাছে এটি আশা করিনি। সম্ভবতঃ তুমি আমাদেরকে অ্যাশেজ রাখতে দিবে না। তবে এ নিয়ে কোন চিন্তা করো না। খেলায় ব্র্যাডম্যান ২৭০ রান তুলেছিলেন।’ ৩৬৫ রানে জয় পেয়ে [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়া]] ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে।
 
রবিন্স ইংল্যান্ড দলের পক্ষে তিনটি সিরিজে অধিনায়কত্ব করেন। ১৯৩৭ সালে নিজ দেশে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করেছিল ইংল্যান্ড দল।
৭০ নং লাইন:
১৯৩০ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটার]] মনোনীত হন তিনি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.cricketarchive.com/Archive/Players/Overall/Wisden_Cricketers_of_the_Year.html |শিরোনাম=Wisden Cricketers of the Year |সংগ্রহের-তারিখ=2009-02-21 |প্রকাশক=CricketArchive}}</ref> ব্যবসায়িক দায়বদ্ধতার প্রেক্ষিতে ১৯৪৮ সালে অধিনায়ক থেকে চলে আসেন ও [[ক্রিকেট]] থেকে অবসর নেন। তাস্বত্ত্বেও ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত মাঝে-মধ্যে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিতেন ওয়াল্টার রবিন্স।
 
অবসর পরবর্তীকালে ইংল্যান্ডের টেস্ট দল নির্বাচকমণ্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। অতঃপর ৬২ বছর বয়সে ১২ ডিসেম্বর, ১৯৬৮ তারিখে লন্ডনের লর্ডমের কাছাকাছি সেন্ট জোন্স উড এলাকায় নিজ গৃহে তাঁরতার দেহাবসান ঘটে। চার্লস রবিন্স নামীয় পুত্র প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটার ছিলেন। তাঁরতার জামাতা কেনেথ কেম ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে ক্যারিয়ার অফিসার ছিলেন।
 
== তথ্যসূত্র ==