প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ ব্যাটসম্যান হিসেবে আবির্ভাব ঘটে আর্থার কারের। ১৯১০ সালে বিদ্যালয়ের ছাত্র অবস্থাতেই নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথম খেলতে নামেন। এরপর থেকে বেশ ভালো খেলতে থাকেন। ফলশ্রুতিতে ১৯১৯ সালে নটিংহ্যামশায়ারের অধিনায়কত্ব লাভ করেন।
১৯৩৪ সালে নটিংহ্যামশায়ারের অধিনায়কত্ব করা থেকে তাঁকেতাকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়। এরপর আর কোন প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে আর্থার কারকে দেখা যায়নি।
আর্থার কার তাঁরতার সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১১ টেস্টে অংশ নিয়ে ১৯.৭৫ গড়ে ২৩৭ রান তুলেছিলেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৪৬৮ খেলায় ৩১.৫৬ গড়ে ২১০৫১ রান তুলেন। তন্মধ্যে ৪৫টি [[শতক (ক্রিকেট)|সেঞ্চুরি]] করেছেন তিনি। এছাড়াও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে মাঝে-মধ্যে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন। ৩৭.০৯ গড়ে ৩১ উইকেট পেয়েছেন।
== আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ==
১৯২২-২৩ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য আর্থার কারকে ইংল্যান্ড দলের সদস্য মনোনীত করা হয়। এ সফরেই ২৩ ডিসেম্বর, ১৯২২ তারিখে [[দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দল|দক্ষিণ আফ্রিকার]] বিপক্ষে তাঁরতার [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট ক্রিকেটে]] অভিষেক ঘটে।
১৯২৬ সালে [[অ্যাশেজ সিরিজের তালিকা|অ্যাশেজ সিরিজ]] খেলার জন্য ইংল্যান্ডে আসে অস্ট্রেলিয়া দল। এ সিরিজে আর্থার কারকে ইংল্যান্ডের দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। লিডসে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্টে [[জর্জ ম্যাকাউলি|জর্জ ম্যাকাউলিকে]] মনোনীত করা হয়। ইংরেজ অধিনায়ক আর্থার কার বোধহয় ধারনা করেছিলেন যে, পিচ হয়তোবা স্পিনারদের সহায়তা করবে। অস্ট্রেলীয়রা জর্জ ম্যাকাউলি সম্পর্কে সচেতন ছিল ও তাঁদের ব্যাটিংয়ে প্রভাব বিস্তার করার কথা ভাবে। টসে জয়লাভের পরও অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিং করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এরপর খেলার প্রথম ওভারেই [[চার্লি ম্যাককার্টনি|চার্লি ম্যাককার্টনির]] ক্যাচ স্লিপে ফেলে দেন। ম্যাককার্টনি মধ্যাহ্নভোজনের পূর্বেই সেঞ্চুরি করেন। অস্ট্রেলিয়া দল ৪৯৪ রানে ইনিংস শেষ করে।<ref name=Ashes26>{{Citeওয়েব webউদ্ধৃতি| urlইউআরএল = http://www.cricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/151709.html| titleশিরোনাম = England v Australia 1926| workকর্ম = Wisden Cricketers' Almanack| yearবছর = 1927| publisherপ্রকাশক = John Wisden & Co | locationঅবস্থান = London | accessdateসংগ্রহের-তারিখ =10 March 2010}}</ref><ref>{{Citeওয়েব webউদ্ধৃতি| lastশেষাংশ = Cardus | firstপ্রথমাংশ = Neville | urlইউআরএল = http://www.cricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/152670.html| titleশিরোনাম = Charles Macartney and George Gunn| workকর্ম = Wisden Cricketers' Almanack| yearবছর = 1959| publisherপ্রকাশক = John Wisden & Co | locationঅবস্থান = London | accessdateসংগ্রহের-তারিখ =14 March 2010}}</ref><ref>{{citeবই bookউদ্ধৃতি|firstপ্রথমাংশ=Roland |lastশেষাংশ=Perry |authorlinkলেখক-সংযোগ=Roland Perry| titleশিরোনাম=Bradman's best Ashes teams: Sir Donald Bradman's selection of the best ashes teams in cricket history| yearবছর=2002 |locationঅবস্থান=Milsons Point, New South Wales |publisherপ্রকাশক=[[Random House|Random House Australia]] | isbnআইএসবিএন=1-74051-125-5| pagesপাতাসমূহ=110–12}}</ref> দশ নম্বরে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন জর্জ ম্যাকাউলি। ইংল্যান্ডের সংগ্রহ তখন ১৮২/৮ ও পরাজয়ের সমূহ আশঙ্কায় ধুকছিল। আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন ও দশটি চারের মারে ৭৬ রান তুলেন। এ পর্যায়ে [[জর্জ গিয়ারি|জর্জ গিয়ারির]] সাথে ১০৮ রান তুলে ড্র করান।<ref name=Ashes26/><ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি| urlইউআরএল= https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/11/11973.html| titleশিরোনাম = England v Australia in 1926| publisherপ্রকাশক = CricketArchive| accessdateসংগ্রহের-তারিখ =10 March 2010}}</ref>
সিরিজের চতুর্থ টেস্টে টনসিলে আক্রান্ত হন। পঞ্চম টেস্টে আরোগ্য লাভ করলেও [[পার্সি চ্যাপম্যান|পার্সি চ্যাপম্যানকে]] অধিনায়ক হিসেবে তাঁরতার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। তিনি এ সিদ্ধান্তে বেশ মনঃক্ষুণ্ণ হন। তবে, ১৯২৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আরও দুই টেস্টে দলকে শেষবারের মতো নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এরপর থেকেই নটিংহ্যামশায়ারের অধিনায়কত্ব করে অধিকাংশ সময় ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় প্রভাববিস্তারকারী দলে পরিণত করতে সচেষ্ট ছিলেন।
