মোহিতলাল মজুমদার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সুশান্ত ঘোষ (আলোচনা | অবদান)
→‎প্রবন্ধগ্রন্থ: বিষয়বস্তু যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৯ নং লাইন:
 
== প্রথম জীবন ==
মোহিতলাল মজুমদারের পৈতৃক বাড়ি ছিল অধুনা [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গের]] [[হুগলি জেলা|হুগলি জেলার]] চুঁচুড়া মহকুমার অন্তর্গত বলাগড় গ্রাম। তাঁরতার বাবার নাম নন্দলাল মজুমদার। নন্দলাল ছিলেন কবি [[দেবেন্দ্রনাথ সেন|দেবেন্দ্রনাথ সেনের]] জ্ঞাতি ভাই। মোহিতলালের কৈশোর এবং বিদ্যালয়জীবন বলাগড় গ্রামেই অতিবাহিত হয়। তিনি চব্বিশ পরগণা জেলায় মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলায় তিনি কিছুদিন [[কাঁচড়াপাড়া|কাঁচড়াপাড়ার]] কাছে [[হালিশহর|হালিশহরে]] মায়ের মামাবাড়িতে অবস্থান করে সেখানকার বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। মোহিতলাল চার-পাঁচ বছর বয়সে [[কাশীরাম দাস|কাশীরাম দাসের]] [[মহাভারত|মহাভারতের]] সঙ্গে পরিচিত হন। নয় বছর বয়সে তার রোমান্স পাঠে আগ্রহ জন্মায়। বারো-তেরো বছর বয়সে [[পলাশীর যুদ্ধ]] এবং [[মেঘনাদ বধ কাব্য]] পড়ে শেষ করেন।
 
== কর্মজীবন ==
২৫ নং লাইন:
 
== সাহিত্য প্রতিভা ==
[[মানসী]] পত্রিকাতে তাঁরতার সাহিত্যজীবনের সূত্রপাত হয়। [[বীরভূমি]] পত্রিকায় কবিতা প্রবন্ধ অনুবাদ প্রকাশ করেন। দেবেন্দ্রনাথ সেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরিচয়ের ফলে তাঁরতার কাব্যচর্চায় দেবেন্দ্রনাথের প্রভাব দেখা যায়। এছাড়াও, [[করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়]] এর কবিতার ছন্দোমাধুর্য তাঁকেতাকে মুগ্ধ করেছিল। মোহিতলাল কিছুকাল ভারতী গোষ্ঠীর অন্যতম লেখক ছিলেন। তিনি [[শনিচক্র|শনিচক্রের]] সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|রবীন্দ্র]] পরবর্তী কাব্যে কবি মোহিতলালের স্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য-সমালোচক হিসাবেও তাঁরতার সবিশেষ খ্যাতি ছিল। ভাষারীতির বিশুদ্ধতা নিয়ে তাঁরতার প্রবল আগ্রহ ও নিষ্ঠা ছিল।<ref>সাহিত্য-সম্পুট শ্রী [[প্রমথনাথ বিশী]] ও শ্রী বিজিতকুমার দত্ত সম্পাদিত [[বিশ্বভারতী]], [[কলকাতা]], দ্বিতীয় সংস্করণ, মার্চ, ১৯৬২</ref> কবি ও প্রবন্ধকাররূপে তিনি বাংলা সাহিত্যে স্থায়ী আসন লাভ করেন।
 
== লেখার ধরণ ==
মোহিতলাল মজুমদার সৃজনধর্মী [[সাহিত্য সমালোচক]] ও প্রবন্ধকাররূপে [[বাংলা সাহিত্য|বাংলা সাহিত্যে]] স্থায়ী আসন লাভ করেন। তিনি একজন নিপুণ ও শব্দ সচেতন [[কবি]]। [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের]] জীবদ্দশাতেই তাঁরতার [[কাব্য]] আপন বৈশিষ্ট্যে প্রোজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। [[কাজী নজরুল ইসলাম|নজরুল ইসলামের]] পূর্বে আরবি-ফারসি শব্দের সার্থক প্রয়োগ তাঁরতার রচনায়ই বিশেষভাবে লক্ষণীয়।<ref name = "du">প্রবন্ধ সংগ্রহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সম্পাদনায়ঃ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও সৈয়দ আকরম হোসেন, ১ম সংস্করণ, ১৯৯২ইং, পৃষ্ঠাঃ ৪৬৫-৬</ref>
ভাবে ও ভাষায় প্রচলিত কাব্যরীতিতে মোহিতলাল ছিলেন বিদ্রোহীস্বরূপ। বাংলা সাহিত্যের ''দেহাত্মবাদী কবি'' হিসেবে তাঁরতার রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য।<ref name = "BLH">"বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম, খান ব্রাদার্স এ্যান্ড কোম্পানি, ঢাকা, ৭ম সংস্করণ, ১৯৯৭, পৃষ্ঠাঃ ৫০১-২</ref> তাঁরতার [[কাব্য|কাব্যে]] ক্লাসিক্যাল ভঙ্গি এবং রোমান্টিক ভাবের অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে। তাঁরতার ''মানস-লক্ষ্মী'' [[কবিতা|কবিতার]] প্রথম কয়েকটি পংক্তি নিম্নরূপ--
{{উক্তি|আমার মনের গহন বনে<br />
পা টিপে বেড়ায় কোন্ উদাসিনী<br />