মোরিস মাতরলাঁক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Nazmul Hasan 7862 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩৭ নং লাইন:
 
১৮৯৫ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত শিল্পী ও অভিনেত্রী [[জর্জেট লেবলাঙ্ক]] এর সাথে অন্তরঙ্গ সম্পর্কে জড়িত ছিলেন । পরবর্তী দুই দশক মেটারলিংকের কাজ লেবলাঙ্ককে প্রভাবিত করে। ''অ্যাগলাভ্যাইন এট সেলাইসেট '' নাটকের মধ্য দিয়ে মেটারলিংক চরিত্র, বিশেষ করে নারী চরিত্র তৈরি করতে শুরু করেন, বেশির ভাগই তাদের ভাগ্যের উপর নিয়ন্ত্রিত ছিল ।
লেবলাঙ্ক মঞ্চে এইসব নারী চরিত্রে অভিনয় করতেন । যদিও অতীন্দ্রি়বাদ ও দর্শনশাস্ত্র তার কর্মজীবনে তার কাজকে প্রভাবিত করেছিল, তবুও সে ধীরে ধীরে তাঁরতার [[প্রতীকীবাদ]]কে আরও বেশি অস্তিত্ব-সম্বন্ধীয় রচনাশৈলী দিয়ে আগের বিষয়ে ফিরে আসেন ।<ref name="Knapp, 87-92">Knapp, 87–92.</ref>
 
১৮৯৫ সালে তার পিতা-মাতা তার এই খোলামেলা সম্পর্ককে অসমর্থন করলে, মেটারলিংক ও লেবলাঙ্ক [[প্যারিস]] এর [[পাসি]] জেলায় চলে যান। ক্যাথলিক চার্চ তাকে তার [[স্প্যানিশ]] স্বামীর থেকে তার বিবাহবিচ্ছেদে অনুমোদন দিতে অনিচ্ছুক ছিলেন । তাঁরাতারা প্রায়ই অতিথিদের (যেমন-'''মিরবো, [[জিন লরেইন]] ও [[পল ফোর্ট]]''') আপ্যায়ন করতেন। তারা তাদের গ্রীষ্মের দিনগুলো [[নরম্যান্ড]] এ অতিবাহিত করতেন । এই সময়ের মধ্যে মেটারলিংক তার "টুয়েলভ সংস" (১৮৯৬), "দ্য ট্রেজার অব দ্য হাম্বল" (১৮৯৬), "দ্য লাইফ অব দ্য বি" (১৯০১) এবং "অ্যারিয়ান এন্ড ব্লুবিয়ার্ড" (১৯০২) প্রকাশ করেন।<ref name="Knapp, 87-92"/>
 
১৯০৩ সালে মেটারলিংক নাটকীয় সাহিত্যের জন্য বেলজিয়াম সরকারের নিকট থেকে ত্রিবার্ষিক পুরস্কার পান ।<ref>Knapp, 111.</ref> এই সময়ে এবং মহাযুদ্ধের শুরুতে, তিনি একজন মহাজ্ঞানী ও সেই সময়ের উচ্চ ধ্যান-ধারণার মূর্তপ্রতীক হিসেবে সমগ্র ইউরোপে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন ।
 
১৯০৬ সালে মেটারলিংক ও লেবলাঙ্ক [[গ্র্যাস]] এর একটি বাগানবাড়িতে চলে আসেন । তিনি তাঁরতার সময়গুলো হাঁটতে ও চিন্তার মধ্যে অতিবাহিত করতেন । যখন তিনি '''লেবলাঙ্কের''' থেকে দূরে সরে যাওয়ার টান অনুভব করতেন, তখন তিনি বিষণ্ণতায় ভোগতেন । তিনি তাঁরতার অস্থিরতা বুঝতে পেরে নরম্যান্ডের '''সেইন্ট ভ্যান্ড্রিলেইনের''' বেনেডিক্টিন মঠকে খাজনা দেন তাঁকেতাকে এই অস্থিরতা থেকে আরাম দেওয়ার জন্য । মঠকে খাজনা দেওয়ার মাধ্যমে একটি রাসায়নিক কারখানাকে বিক্রি হওয়ার অপব্যবহার থেকে রক্ষা করেন এবং এভাবেই তিনি পোপের কাছ থেকে আশীর্বাদ পান । <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=The Banning of Bergson |ইউআরএল=https://archive.org/stream/independen79v80newy#page/n77/mode/1up |সংবাদপত্র=The Independent |তারিখ=20 July 1914 |সংগ্রহের-তারিখ=21 August 2012}}</ref>
লেবলাঙ্ক প্রায়শই একজন মঠধারিণীর পোশাকে ঘুরে বেড়াতেন; তিনি রোলার স্কেইট পরিধান করে ঘরের আশপাশে ঘুরে বেড়াতেন ।<ref>Knapp, 129.</ref>
এই সময়, তিনি তাঁরতার প্রবন্ধ "ফুলের বুদ্ধিমত্তা" (১৯০৬) রচনা করেন, যার মধ্যে তিনি সমাজতান্ত্রিক মনোভাবের সাথে সহানুভূতি প্রকাশ করেন। তিনি শ্রমিকদের বিভিন্ন সংস্থাকে এবং সমাজতান্ত্রিক দলকে অর্থ দান করেন । এই সময়, তিনি তার সর্বশ্রেষ্ঠ সাফল্যের জন্ম দিয়েছেন: ''রূপকথার নাটক, '''নীল পাখি'''(১৯০৮, তবে মূলত ১৯০৬ সালে লেখা হয়েছিল)'' । "ফুলের বুদ্ধিমত্তা" লেখার পর, তিনি অস্থিরতা ও লেখার প্রতিবন্ধকতায় ভোগেন । যদিও তিনি পরবর্তী এক বা দুই বছরে এই অসুখ থেকে সুস্থতা লাভ করেন, তবুও তিনি আগের উদ্ভাবনাগুলোর মতো আর কখনোই লেখতে পারেননি । তার পরবর্তী নাটকগুলি, যেমন ''মেরি-ভিক্টোয়ার'' (১৯০৭) ও ''মেরি ম্যাগডালেন'' (১৯১০), লেবলাঙ্কের জন্য নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রেখেছিল,<ref>Knapp, 127–28.</ref> লক্ষ্যণীয়ভাবে ইহা তার পূর্বসূরিদের থেকে নিম্নতর ছিল এবং কখনও কখনও কেবল তার পূর্বের ফর্মুলা পুনরাবৃত্তি করত। যদিও সেইন্ট ভ্যান্ডারিলে তার কিছু নাটক উন্মুক্তভাবে মঞ্চস্থ করা হয় এবং তা সফল হয়, তবুও মেটারলিংক মনে করেছিলেন যে তিনি তার গোপনীয়তা হারাচ্ছেন । ১৯১০ সালের ১১ জুন, তাঁরতার মায়ের মৃত্যু তাঁকেতাকে আবারও অস্থিরতায় ফেলে ।<ref>Knapp, 133–34.</ref>
 
[[File:Maurice Maeterlinck and his Wife.jpg|thumb|left|upright|মেটারলিংক ও তাঁর স্ত্রী]]
[[File:Renee-Dahon-1910.jpg|thumb|left|upright|রিনি ডাহন]]
১৯১০ সালে "নীল পাখি" নাটকের মহড়া চলাকালীন সময়ে তাঁরতার সাথে ১৮ বছর বয়সী অভিনেত্রী '''[[রিনি ডাহন]]''' এর সাক্ষাৎ হয় । সে তাঁরতার হাসি-খুশির সঙ্গীতে পরিণত হয় । '''[[কার্ল বিল্ট]]''' তাঁকেতাকে [[সুইডিশ একাডেমি]]র সদস্য হিসেবে মনোনীত করার পর, ১৯১১ সালে তিনি [[সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার]] পান, যা তাঁরতার মানসিক অস্থিরতাকে আরো হালকা করে ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.nobelprize.org/nomination/archive/show.php?id=2143.|শিরোনাম=The official website of the Nobel Prize - NobelPrize.org|ওয়েবসাইট=NobelPrize.org}}</ref>
১৯১৩ সালে, ধর্মঘট চলাকালীন সময়ে সে আরো বেশি খোলাখুলিভাবে [[সমাজতান্ত্রিক]] হয়ে পড়ে এবং পাশাপাশি ''বেলজিয়ান ট্র্যাড ইউনিয়নের'' সাথে একত্রে ''ক্যাথলিক পার্টির'' বিরোধিতা করে ।<ref>Knapp, 133–36.</ref>
তিনি তাঁরতার প্রবন্ধগুলিতে মহাবিশ্বের ইতিহাসের ধরণকে ভুল করার জন্য অতীন্দ্রিবাদ পড়তে এবং ''ক্যাথলিক চার্চের'' নিন্দা করতে শুরু করেন ।<ref>Knapp, 136–38.</ref>
২৬ জানুয়ারি,১৯১৪ সালে [[রোমান ক্যাথলিক চার্চ]] এক রাজকীয় ফরমানের মাধ্যমে তাঁরতার গীতিনাট্য ''ওমনিয়াকে'' [[লিব্রোরাম প্রোহিবিটোরাম সূচী]]তে স্থাপন করেন ।
 
১৯১৪ সালে, যখন [[জার্মানি]] [[বেলজিয়াম]] আক্রমণ করে, মেটারলিংক তখন [[ফরাসি বৈদেশিক সৈন্যবাহিনী]]তে যোগদান করতে চেয়েছিল, কিন্তু তাঁরতার বয়সের জন্য তাঁরতার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয় । তিনি এবং '''লেবলাঙ্ক''' সিদ্ধান্ত নেন তাঁরাতারা [[গ্র্যাস]] ত্যাগ করে [[নাইস]] এর কাছাকাছি এক বাগানবাড়িতে উঠবেন, যেখানে তিনি তাঁরতার জীবনের পরবর্তী দশক অতিবাহিত করেন । তিনি যুদ্ধে [[বেলজিয়ান]]দের নির্ভীকতা এবং [[জার্মান]]দের অপরাধিত্ব সম্পর্কে বক্তব্য দেন । যদিও তাঁরতার স্বদেশপ্রেমিকতা, ও ক্ষতির প্রতি তাঁরতার উদাসীনতা, তবুও তিনি জার্মানিতে তাঁরতার সম্মানজনক অবস্থার জন্য কৃতজ্ঞ ছিলেন, এটাকে তিনি কৃতিত্ব দিতেন, এটাই একজন মহাজ্ঞানী হিসেবে তাঁরতার খ্যাতিকে গুরুতরভাবে নষ্ট করে । নাইসে, যখন তিনি "স্টিলমান্ডের মেয়র" রচনা করেন, যা [[আমেরিকান গণমাধ্যম]] দ্বারা "মহাযুদ্ধের নাটক" হিসেবে আখ্যায়িত হয় এবং ১৯২৯ সালে [[ব্রিটিশ ফিল্ম]] এর উপর একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে । তিনি আরও রচনা করেন "নীল পাখি" নাটকের পরিণতির একটি ধারাবাহিক বেত্রথ্যাল, স্পষ্টত যেটার নায়িকা '''লেবলাঙ্ক''' ছিল না ।<ref>Knapp, 147–50.</ref>
 
১৯১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে '''মেটারলিংক''' '''ডাহনকে''' বিয়ে করেন । তিনি [[আমেরিকা]]র আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করেন । '''[[স্যামুয়েল গোল্ডউইন]]''' তার চলচ্চিত্রের জন্য তাঁকেতাকে কিছু চিত্রনাট্য রচনা করার অনুরোধ করেন । মেটারলিংকের নতির শুধুমাত্র দুটি এখনও বিদ্যমান আছে; '''গোল্ডউইন ''' সেগুলো ব্যবহার করেননি । '''মেটারলিংক''' সেগুলো "মৌমাছির জীবনের" উপর ভিত্তি করে বানিয়েছিলেন । ইহার প্রথম কয়েক পাতা পড়ার পর '''গোল্ডউইন''' তার অফিসে বিস্ফারিত কন্ঠে চিৎকার করে বললেন, "ওহ্ ঈশ্বর, নাটকের নায়ক একটা মৌমাছি!"
 
১৯২০ সালের পরে '''মেটারলিংক''' থিয়েটারে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখা বন্ধ করে দেন, কিন্তু তিনি তাঁরতার পছন্দের বিষয়: "প্রাকৃতিক, নীতিশাস্ত্র এবং জীবতত্ত্বের" উপর প্রবন্ধ লেখা চালিয়ে যান । ১৯২০'র দশকের শুরুর দিকে এইসবের প্রতি আন্তর্জাতিক চাহিদা প্রবলভাবে হ্রাস পায়, কিন্তু ১৯৩০'র দশকের শেষের দিকে ফ্রান্সে তাঁরতার বিক্রয় যথেষ্ট পরিমাণে ছিল ।
১৯২৫ সালে '''ডাহন''' একটি মৃত শিশু জন্ম দেয় ।
 
===প্রতিপাদিত রচনাচুরি===
[[File:Maurice Maeterlinck 1925.jpg|thumb|left|upright|১৯২৫ সালে মেটারলিংক]]
১৯২৬ সালে, '''মেটারলিংক''' তাঁরতার প্রবন্ধ "লা ভায় দেস টারমাইটস" (ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয় "সাদা পিঁপড়ের জীবন" নামে) প্রকাশ করেন, এটি একটি [[তাত্ত্বিক]] বই, যেটা আফ্রিকান কবি ও বিজ্ঞানী [[ইউগেন মারিস]] এর গবেষণা ও লেখা " সাদা পিঁপড়ের সত্তা" বইয়ের সত্ত্ব চুরি করে লেখা,<ref>"Die Huisgenoot", ''Nasionale Pers'', 6 January 1928, cover story.</ref> যাকে [[লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়]] এর জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক, [[ডেভিড বিগনেল]] "একাডেমিক চুরির সর্বোত্তম উদাহরণ" হিসেবে আখ্যায়িত করেন ।<ref name="bignell">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.biology.qmul.ac.uk/research/staff/bignell/Inaugural.htm |শিরোনাম=Termites: 3000 Variations On A Single Theme |সংগ্রহের-তারিখ=2009-07-28 |লেখক=David E. Bignell |অকার্যকর-ইউআরএল=yes |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070827211941/http://www.biology.qmul.ac.uk/research/staff/bignell/Inaugural.htm |আর্কাইভের-তারিখ=27 August 2007 |df= }}</ref>
 
মারিস মেটারলিংককে তাঁরতার বইয়ে উইপোকার বাসার "সাংগঠনিক অবিচ্ছিন্নতা" সম্পর্কে তাঁরতার ধারণা নকল করার জন্য অভিযুক্ত করেন ।<ref name="swart">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=The Construction of Eugène Marais as an Afrikaner Hero |লেখক=Sandra Swart |সাময়িকী=Journal of Southern African Studies |বছর=2004 |খণ্ড=December |সংখ্যা নং=30.4 |ইউআরএল=http://www.oulitnet.co.za/seminarroom/marais_swart.asp |অকার্যকর-ইউআরএল=yes |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20100308014642/http://www.oulitnet.co.za/seminarroom/marais_swart.asp |আর্কাইভের-তারিখ=8 March 2010 |df= }}</ref> ১৯২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ডায় বার্গারে এবং [[দক্ষিণ আফ্রিকা]]র [[আফ্রিকা]]ন ভাষী পত্রিকায় মারিস উইপোকার বাসা সম্পর্কে তাঁরতার ধারণা প্রকাশ করেন, যা ১৯২৫ থেকে ১৯২৬ সাল পর্যন্ত "সাদা পিঁপড়ের সত্তা" শিরোনামের অধীনে উইপোকা সম্পর্কিত নিবন্ধ আকারে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হয় । ১৯২৬ সালে মেটারলিংকের বইটি প্রায় একই রকম বিষয়বস্তু<ref name="bignell" /> নিয়ে প্রকাশিত হয় । কথিত আছে যে, ১৯২৫ থেকে ১৯২৬ সাল পর্যন্ত আফ্রিকান পত্রিকা '''ডায় হুইসগেনোট''' এ প্রকাশ হওয়া ইউগেন মারিসের নিবন্ধগুলি মেটারলিংক সংগ্রহ করে আসছিলেন, এবং মেটারলিংকের জন্য সেগুলো ফরাসিতে অনুবাদ করা সহজ ছিল । কারণ তিনি [[ডাচ]] ভাষা জানতেন এবং ইতিমধ্যেই তিনি [[ডাচ]] ভাষা থেকে [[ফরাসি]]তে বেশ কিছু নিবন্ধ অনুবাদও করেছিলেন ।<ref name=d'Ass>V. E. d'Assonville, ''Eugene Marais and the Waterberg'', Marnix, 2008, pp. 53–54.</ref> সেই সময় আফ্রিকান পত্রিকায় প্রকাশিত মূল্যবান নিবন্ধগুলি [[ফ্লেমিশ]] ও [[ডাচ]] পত্রিকায় পুনর্মুদ্রণ করা হতো ।
 
মারিস মেটারলিংকের সম্পর্কে লন্ডনে ড. উইনিফ্রেড ডে কককে একটি চিঠি লিখেছিলেন । তার কিছু অংশ নিচে দেওয়া হল :
৭১ নং লাইন:
মারিস তার আফ্রিকান জাতীয়তাবাদী বন্ধুদের এক সম্প্রদায়ের সমর্থন পেয়ে [[দক্ষিণ আফ্রিকা]]র গণমাধ্যমে ন্যায়বিচার চেয়েছিলেন এবং মেটারলিংকের বিরুদ্ধে একটা আন্তর্জাতিক মামলা করার চেষ্টা করেছিলেন । কিন্তু সেটা প্রমাণ করা আর্থিকভাবে অসম্ভব ছিল এবং তাই মামলাটি আর চলেনি । যাইহোক, মারিস একজন আফ্রিকান গবেষক ও ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, যিনি নিজেকে তার সত্ত্ব চুরির মাধ্যমে প্রকাশ করেন, কারন তিনি আফ্রিকায় জাতীয়তাবাদী আনুগত্যের বাইরে নিবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন । মারিস এই কেলেঙ্কারির সময় গভীরভাবে চিন্তা করেছিলেন এবং বলেছিলেন, "আমি বিস্মিত হয় যে মেটারলিংক যখন এই ধরনের বিষয়গুলো (সংকটপূর্ণ প্রশংসা) পড়েন, এবং তিনি অচেনা বোয়ারকর্মীর সাথে যে অবিচার করছেন সে সম্পর্কে কোন চিন্তাভাবনা করেন কি?"<ref name="swart" />
 
''সাদা পিঁপড়ের জীবন'' প্রবন্ধে মেটারলিংকের নিজস্ব কথা ইঙ্গিত করে যে সত্ত্ব চুরির কথা প্রকাশ হওয়া বা অভিযুক্ত হওয়া সম্ভব, যা তাঁকেতাকে চিন্তিত করেছিল :
<blockquote>পাঠ্যসূচি ও তথ্যসূত্রের সাথে নিবন্ধটিকে বদ্ধ করার জন্য প্রতিটি বিবৃতির বিষয় সহজ ছিল । কিছু অধ্যায়ে কোনো বাক্য ছিল না তবে এর জন্য কথা বলা হবে ; এবং মুদ্রাঙ্কিত বিষয়সমূহ করায়ত্ত করা হবে, যেমনটা আমাদের স্কুলের বইগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঘৃণ্য বইয়ের সাথে করা হত । খন্ডটির শেষে একটি সংক্ষিপ্ত গ্রন্থপঞ্জি রয়েছে যা একই তাত্পর্য সরবরাহ করবে না এতে সন্দেহ করার কিছুই নেই ।</blockquote>
এই বিভ্রান্তি থাকা সত্ত্বেও, উক্ত গ্রন্থপঞ্জিতে ইউগেন মারিসের কোনো উল্লেখ নেই । তাত্ত্বিক বিষয় নিয়ে মেটারলিংকের অন্যান্য রচনাসমূহ হচ্ছে ''পিঁপড়ের জীবন'' (১৯৩০) এবং ''দ্য গ্লাস স্পাইডার'' (১৯৩২) ।
৮৩ নং লাইন:
===শেষ জীবন===
[[File:Maurice Maeterlinck 7862.jpg|thumb|]]
১৯৩০ সালে তিনি একটা জমিদার বাড়ি কিনেন এবং এর নাম দেন '' ওরলামন্ড'', যা তাঁরতার রচিত কুইঞ্জ চ্যান্সন্সে দেখা যায় ।<ref>Maurice Maeterlinck.
[http://www.kellscraft.com/maeterlinckbioch8.html ''Quinze Chansons'', 1896–1900 (VII)]:<br> {{quote|''"Les sept filles d'Orlamonde,<br> Quand la fée fut morte,<br> Les sept filles d'Orlamonde,<br> Ont cherché les portes."''}}</ref>
 
১৯৩২ সালে বেলজিয়ামের রাজা প্রথম আলবার্ট তাঁকেতাকে কাম্ট উপাধি দেন ।<ref>Joris Casselman, ''Etienne De Greeff (1898–1961): Psychiatre, criminologue et romancier''.[https://books.google.com/books?id=8_UvBwAAQBAJ&pg=PT340&dq=Etienne+De+Greeff++comte++Maeterlinck&hl=en&sa=X&ved=0ahUKEwih2PHr2ofXAhUFUJAKHSHwDAEQ6AEIJjAA#v=onepage&q=Etienne%20De%20Greeff%20%20comte%20%20Maeterlinck&f=false 9. "Maurice Maeterlinck (1862–1949). 9.1 Sa vie et son oeuvre" ]. Bruxelles : Larcier, DL 2015 {{ISBN|9782804462819}} Primento Digital Publishing , 2015 e {{ISBN|9782804479831}}.</ref>
 
১৯৪০ সালে [[নিউইয়র্ক টাইমস]] এর একটি শিরোনাম অনুসারে, তিনি [[লিসবন]] থেকে '''গ্রিক লাইনার নিয়া হেলাসে''' করে [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]] পৌঁছান । তিনি বেলজিয়াম এবং ফ্রান্সে [[নাৎসি]] বাহিনীর আক্রমণ থেকে বাঁচতে লিসবন চলে আসেন । দ্য টাইমসকে তিনি বলেছেন, "আমি জানতাম যে যদি জার্মানরা আমাকে ধরতে পারতো, তাহলে আমাকে এক গুলিতে হত্যা করত । কারণ, আমাকে তারা আমার নাটকের ("স্টিলমান্ডের মেয়র" ১৯১৮ সালে বেলজিয়ামে জার্মানদের ব্যবসায় প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল) জন্য জার্মানির শত্রু হিসেবে গণ্য করতো ।" [[আমেরিকা]]য় তাঁরতার আগে থেকেই যাতায়াত থাকায়, সে তখনও তাঁরতার সুনামের জন্য আমেরিকানদের নৈমিত্তিক, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ফ্রান্সের প্রতি প্রচন্ড রকম মমত্ববোধ সম্পন্ন হিসেবে খুঁজে পান ।<ref>Knapp, 157-58.</ref>
<br/>
যুদ্ধ শেষে ১৯৪৭ সালের ১০ আগস্ট তিনি নাইসে ফিরে আসেন । তিনি ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত বিশ্ব লেখক সমিতি '''পেন ইন্টারন্যাশনালের''' সভাপতি ছিলেন । ১৯৪৮ সালে, ফরাসি একাডেমি তাঁকেতাকে ফরাসি ভাষার জন্য পদক প্রদান করে । ৬ মে, ১৯৪৯ সালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ।
 
==সম্মাননা==
৯৮ নং লাইন:
==স্থির নাটক==
[[File:Maurice Maeterlinck's Portrait.jpg|thumb|left|upright|মরিস মেটারলিংক]]
'''মেটারলিংকের''' মৃত্যুর পর তাঁরতার খ্যাতি তাঁরতার প্রথম নাটকগুলির উপর নির্ভর করে (১৯৮৯ ও ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত), যা রচনায় এক নতুন শৈলী উদ্ভাবন করেছিল, সেখানে যা বলা হয় তার থেকে যে পরামর্শ দেওয়া হয় তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । নাটকের চরিত্রগুলোর কোন পারদর্শিতা নেই এবং তা শুধু তাদের বোধশক্তি বা তাদের চারপাশের পরিবেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ।
 
'''মেটারলিংক''' [[আর্থার শোপেনহাওয়ার]] এর একজন আগ্রহী পাঠক ছিলেন, যিনি ভাগ্যের ক্ষমতার বিরুদ্ধে ক্ষমতাহীন মানুষকে বিবেচনা করতেন । তিনি বিশ্বাস করতেন যে কোনো অভিনেতা, শারীরিক ধরন ও অভিব্যক্তিগুলোর প্রতিবন্ধকতা রোধে, অপর্যাপ্তভাবে তাঁরতার নাটকের প্রতীকী দৃশ্যগুলো দৃশ্যায়ন করবে । তাই তিনি এর বিকল্প হিসেবে পুতুলনাচকে বেছে নিয়েছিলেন । পুতুলকে দড়ির দ্বারা পরিচালনা করার মাধ্যমে মেটারলিংক বিবেচনা করেছিলেন পুতুলনাচ মানুষের বিকল্প হিসেবে খুবই চমৎকার প্রতিনিধিত্ব করে । তিনি পুতুলনাচের নাট্যশালার জন্য ''ইন্টিরিয়র, দ্য ডেথ অব টিন্টাগিলস ও আলাদিন এন্ড প্যালোমাইডস'' রচনা করেছিলেন ।<ref>Knapp, 77–78.</ref>
 
সেখান থেকেই ''স্থির নাটকের'' প্রতি তাঁরতার প্রবণতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছিল । তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে এটা একজন শিল্পীর দায়িত্ব, সৃজনশীল কিছু তৈরি করা যা মানুষের আবেগ প্রকাশ করতে পারতো না বরং এটা একটা বাহ্যিক বল যা মানুষকে বাধ্য করতো ।<ref>Knapp, 78.</ref> মেটারলিংক একসময় বলেছিলেন, "মঞ্চ হচ্ছে এমন একটি যায়গা যেখানে শিল্পের কাজকে ধ্বংস করা হয় । কবিতা মরে যায় যখন জীবন্ত মানুষ এর মর্মার্থ বুঝতে পারে ।"<ref>"Drama—Static and Anarchistic", ''New York Times'', 27 December 1903.</ref>
 
তিনি তাঁরতার প্রবন্ধ ''দ্য ট্রেজিক অন ডেইলি লাইফে'' (১৮৯৬) তাঁরতার ধারণা ব্যাখ্যা করেছিলেন, যা ''দ্য ট্রেজার অব দ্য হাম্বলে'' প্রদর্শিত হয়েছিল । অভিনেতাদের কথা বলা এবং নড়াচড়া করার জন্য অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করে টানা এবং ধাক্কা দেওয়া হতো । তারা তাদের গতিবিধিকে বাধ্য করতে তাদের ভিতরের আবেগকে বল প্রয়োগ করতে পারতো না । মেটারলিংক প্রায়ই চরিত্রগুলোকে পুতুল হিসেবে উল্লেখ করতেন।<ref>Peter Laki, ''Bartók and His World'', Princeton University Press, 1995, pp. 130–31.</ref>
 
তিনি বেশ কয়েকটি অ্যাথেনিয়ান ট্রাজেডির উদ্ধৃতি দেন-তিনি প্রমান করেন যা প্রায় স্থির এবং যা "স্বতঃস্ফুর্তের মুখোমুখি হওয়া" -তে স্বার্থের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণের জন্য মানসিক কর্মশক্তিকে হ্রাস করে-যেমন স্থির নাটক সম্পর্কে তাঁরতার ধারণা একটি উদাহরণ; ''অ্যাসাইলাস'' এবং ''সোফোক্লেস'' অ্যাজ্যাক্স , অ্যান্টিগোন , ওডিপাস এট কলোনাস এবং ফিলোকটেটেস এগুলির মধ্যে তাঁরতার বেশ কিছু রচনা রয়েছে ।<ref>Cole 1960, 31–32.</ref> এই নাটকগুলি দিয়ে তিনি বুঝিয়েছেন :
<blockquote>
এটা আর হিংস্র নয়, এটা আমাদের জীবনের এক ব্যতিক্রমী মুহূর্ত যা আমাদের চোখের সামনে দিয়ে ভেসে যায়- এটিই জীবন।সেখানে হাজার হাজার আইন আছে, যা আবেগপ্রবণদের চেয়ে শক্তিশালী এবং আরো শ্রদ্ধাশীল; কিন্তু এই আইন নীরব, এবং বিচক্ষণ এবং ধীর গতির; এবং এটি কেবলমাত্র সেই সন্ধ্যায়ই দেখা যায় এবং শুনতে পাওয়া যায়, যা জীবনের শান্ত মুহূর্তগুলিতে আমাদের কাছে আসে।<ref>Cole 1960, 32.</ref></blockquote>
২৪০ নং লাইন:
 
==আরও দেখুন==
* মরিসের সর্বাধিক সমসাময়িক সাফল্যের ১০০ বছর পূর্তিতে তাঁরতার বিখ্যাত নাটক '''দ্য ব্লু বার্ড''' উচ্চ মানসম্মত সংগ্রাহক মুদ্রার মুখ্য প্রসঙ্গ হিসেবে নির্বাচিত হয় : দ্য বেলজিয়ান ৫০ ইউরো '''মরিস মেটারলিংক স্মারক মুদ্রা'''<ref>''MauricenMaeterlinck commemorative coin'' [https://en.m.wikipedia.org/wiki/Euro_gold_and_silver_commemorative_coins_(Belgium)#2008_coinage],</ref> তৈরি করা হয় ২০০৮ সালে ।
* [[বেলজিয়ান সাহিত্য]]<ref>[https://en.m.wikipedia.org/wiki/Belgian_literature ''Belgian literature'']</ref>