ইউয়ার্ট অ্যাস্টিল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৫৬ নং লাইন:
খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে নীচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন। তবে যুদ্ধের পর চার কিংবা পাঁচ নম্বর অবস্থানে উইকেটে নামতেন ইউয়ার্ট অ্যাস্টিল।
 
আঠারো বছর বয়সে ১৯০৬ সালে অ্যাস্টিল তাঁরতার খেলোয়াড়ী জীবনের সূচনা ঘটান। ঐ মৌসুমে তিনি একটিমাত্র খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। তবে ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলিং পরবর্তী মৌসুমের ব্যাটিং সহায়ক পিচেও তাণ্ডবলীলা চালিয়েছিলেন।
১৬.৫৮ গড়ে ৭৪ উইকেট লাভ করেন তিনি। ৮৪ উইকেট নিয়ে পরের মৌসুমে লিচেস্টারশায়ারের প্রধান বোলারের মর্যাদা পান।
 
[[ডার্বিশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|ডার্বিশায়ারের]] বিপক্ষে ৬১ রানের বিনিময়ে তেরো উইকেট পান যা পঁচিশ বছর টিকে রয়েছিল। ১৯০৯ সালে আবারও ভালো করেন। তবে ১৯১০ ও ১৯১১ সালে দূর্বলমানের খেলা প্রদর্শন করায় দল থেকে বাদ পড়েন।
 
১৯১২ সালের বৃষ্টিস্নাত গ্রীষ্মকালে অ্যাস্টিল দলের সদস্য থাকলেও উপযুক্ত পরিবেশে তাঁকেতাকে বেশ মাসুল গুণতে হয়।<ref>Wisden 1913 Leicestershire Section</ref> এবড়ো-থেবড়ো উইকেটে সাফল্য লাভ না করার প্রেক্ষিতে দলের বাইরে থাকতে হয় তাঁকে।তাকে। তিনি মাত্র পাঁচটি খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯২১ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক সেঞ্চুরি করেন। সোয়ানসীতে নব উত্তরণ ঘটানো গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে এ সেঞ্চুরিটি হাঁকিয়েছিলেন তিনি।
 
== অর্জনসমূহ ==
১৯২১ থেকে ১৯২৬ ও ১৯২৮ থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত প্রত্যেক বছরেই ডাবল লাভ করেন। ১৯২১ সালে ১৫০-এর বেশী ও ১৯২২ সালে ১৪৪ উইকেট দখল করেন তিনি। বোলিংয়ে তেমন দৃষ্টিনন্দন ও উচ্চমানের না হলেও ১৯০০-এর দশকে তাঁরতার বোলিং স্থির ও মাঝে-মধ্যেই মৃত্যুদূতে পরিণত হতো।
 
কেবলমাত্র ১৯২৭ সালে ১০০ উইকেটের কোটা স্পর্শ করতে ব্যর্থ হন। তবে ঐ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৬৪ রান তুলেন। সর্বসাকুল্যে নয় মৌসুমে ১০০ উইকেট ও এগারোবার সহস্রাধিক রান সংগ্রহ করেন তিনি। লিচেস্টারশায়ারের পক্ষে সর্বাধিক ২১৩১টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পেয়েছেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Records/England/Firstclass/Leicestershire/Bowling_Records/Most_Career_Wickets.html |শিরোনাম=The Home of CricketArchive |প্রকাশক=Cricketarchive.com |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=4 May 2013}}</ref>
৭৪ নং লাইন:
 
== টেস্ট ক্রিকেট ==
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি সর্বমোট নয় টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। তবে স্বদেশে কিংবা বিদেশে কোন অ্যাশেজ সিরিজ খেলার সৌভাগ্য ঘটেনি তাঁর।তার। অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য কখনোই গুরুত্বতা দেখাননি অ্যাস্টিল।<ref>Wisden 1975 Cameos of the Nearly Great - B.Easterbrook</ref> তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ১৯২০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যান। ১৯২৭-২৮ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকায় ম্যাটিং পিচে পাঁচ টেস্টে অংশ নেন।
 
১৯২৯-৩০ মৌসুমে একই দলের বিপক্ষে চার টেস্টে অংশ নেন। তবে খেলাগুলোয় তিনি দক্ষতা প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হন।
 
১৯২৬-২৭ মৌসুমে [[আর্থার জিলিগান|আর্থার জিলিগানের]] নেতৃত্বে [[মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব]] ভারতে ২৬টি ও সিলনে চারটি [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর খেলায়]] অংশ নিয়েছিল। [[মরিস টেট]], [[মরিস লেল্যান্ড]], [[অ্যান্ডি স্যান্ডহাম]], [[বব ওয়াট]], [[আর্থার ডলফিন]], [[জর্জ গিয়েরি]], ইউয়ার্ট অ্যাস্টিল ও [[George Brown (Hampshire cricketer)|জর্জ ব্রাউনের]] ন্যায় খেলোয়াড়েরা দলের সদস্য ছিলেন।<ref name="CATI">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Events/2/Marylebone_Cricket_Club_in_India_and_Ceylon_1926-27.html |প্রকাশক=''CricketArchive'' |শিরোনাম=Marylebone Cricket Club cricket team in India and Ceylon in 1926–27 |সংগ্রহের-তারিখ=27 June 2014}}</ref> ২৪ খেলায় অংশ নিয়ে সর্বসাকুল্যে ৭১ উইকেট পান। তবে ১৯৩৩ সালের পর থেকে তাঁরতার খেলার মান পড়তির দিকে যেতে থাকে।
 
== প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ ==
৮৪ নং লাইন:
 
== অবসর ==
১৯৩৭ সালের শেষদিকে অ্যাস্টিল খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তাস্বত্ত্বেও লিচেস্টারশায়ারের কার্যকরী খেলোয়াড়ের অভাব হেতু ১৯৩৮ ও ১৯৩৯ সালে দুইবার আসা-যাওয়ার পালায় অবস্থান করতে হয় তাঁকে।তাকে।
 
== ব্যক্তিগত জীবন ==
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তবে, দূর্বল স্বাস্থ্যের কারণে কমিশন লাভ করেননি। তাঁরতার স্বাস্থ্যের ক্রমশঃ অবনতি ঘটতে থাকে। নিজ ষাটতম জন্মদিনের তিন সপ্তাহ পূর্বে লিচেস্টার হাসপাতালে তাঁরতার দেহাবসান ঘটে।
 
১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮ তারিখে ৬০ বছর বয়সে তাঁরতার দেহাবসান ঘটে। ওয়েলফোর্ড রোড সমাধিক্ষেত্রে তাঁকেতাকে সমাহিত করা হয়।
 
অ্যাস্টিল পরিবার ইউয়ার্ট অ্যাস্টিলের স্মরণার্থে ২০০৩ সালে একদিনের টেস্ট খেলার আয়োজন করে। ঐ টেস্টের পাশাপাশি নামফলক ও তাঁরতার অসাধারণ অর্জনের মুহূর্তকাল নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়েছিল।
 
চ্যাম্পিয়ন বিলিয়ার্ড খেলোয়াড় হিসেবেও তাঁরতার সুনাম ছিল।
 
লিচেস্টারশায়ারের ফাস্ট বোলার [[টমাস জয়েস]] সম্পর্কে তাঁরতার ভ্রাতৃস্পুত্র।
 
== তথ্যসূত্র ==