নীলরতন সরকার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৭৩ নং লাইন:
 
== জন্ম ও পরিবার ==
চব্বিশ পরগণার নেতড়াতে [[১৮৬১]] খ্রিস্টাব্দের [[১ অক্টোবর]] তিনি জন্মগ্রহণ করেন । তাঁরতার আদি নিবাস [[যশোহর]]। তাঁরতার পিতার নাম নন্দলাল সরকার । নন্দলাল সরকার যশোরের একটি দরিদ্র কায়স্থ পরিবারের মানুষ ছিলেন । তিনি পরবর্তী কালে [[জয়নগর|জয়নগরে]] থাকতে আরম্ভ করেন । বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক [[যোগীন্দ্রনাথ সরকার]] নীলরতন সরকারের ভাই । <ref name=ss>সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান - প্রথম খণ্ড - সাহিত্য সংসদ {{আইএসবিএন|81-85626-65-0}}</ref>
 
== শিক্ষা ==
৮০ নং লাইন:
== কর্মজীবন ==
মেট্রোপলিটান কলেজ থেকে এলএ ও বিএ পাস করে কিছুদিন তিনি চাতরা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। [[কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল|কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে]] থেকে এমবি হয়ে তিনি মেয়ো নেটিভ হাসপাতালে হাউস সার্জেনের পদে যোগ দেন।
নীলরতন সরকার অল্প সময়ের মধ্যেই চিকিৎসক হিসাবে বিখ্যাত হন । তাঁরতার পারিশ্রমিক দুই টাকায় আরম্ভ হয়ে আস্তে আস্তে ৬৪ টাকা অবধি হয় ।<ref name=ss/><ref name=nn/> তিনি দরিদ্র রোগীদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা করতেন এবং তাদের বিনামূল্যে ওষুধ ও খাবার দিতেন ।
[[১৮৯৩]] খ্রিস্টাব্দে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো এবং এরপর ফ্যাকাল্টি অফ সায়েন্স ও ফ্যাকাল্টি অফ মেডিসিনের ডিন হন । তিনি স্নাতকোত্তর কলা (১৯২৪ থেকে ১৯২৭ পর্যন্ত) ও বিজ্ঞান শিক্ষা বিভাগের (১৯২৪ থেকে ১৯৪৩ পর্যন্ত) সভাপতিও হয়েছিলেন ।
 
৮৭ নং লাইন:
নীলরতন [[১৯০৮]] সালে ''বুট অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট'' এর নির্দেশক হয়েছিলেন । ''[[বসু বিজ্ঞান মন্দির]]'', ''বিশ্বভারতী'' এবং ''[[ভারতীয় যাদুঘরে|ভারতীয় যাদুঘরের]]'' ট্রাস্টি ছিলেন । [[১৯১২]] থেকে [[১৯২৭]] খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য ছিলেন ।
 
তিনি ''সায়েন্স কলেজ অফ দ্য ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি'' এবং ''ন্যাশন্যাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনের'' (জাতীয় শিক্ষা পরিষদ) স্থপতিদের মধ্যে ছিলেন । তিনি [[ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স]] এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন । জাতীয় শিক্ষা পরিষদের সম্পাদক হিসাবে তিনি এদেশে বৃত্তিগত প্রশিক্ষনের চেষ্টা করেছিলেন । ''বেঙ্গল টেকনিক্যাল স্কুল'', ''যাদবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ'' প্রভৃতি স্থাপনেও তাঁরতার ভূমিকা ছিল । ''যাদবপুর যক্ষ্মা হাসপাতাল'' (বর্তমানে ''কুমুদশঙ্কর রায় যক্ষা হাসপাতাল'') প্রতিষ্ঠায় তিনি সহযোগিতা করেছিলেন ।
 
[[১৯১৯]] খ্রিস্টাব্দ থেকে [[১৯২১]] খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ছিলেন । [[১৯২০]] খ্রিস্টাব্দে তিনি লন্ডনে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় সম্মেলনে যোগদান করেন । [[অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়]] তাঁকেতাকে ডিসিএল এবং [[কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়]] তাঁকেতাকে এলএলডি উপাধি প্রধান করেছিল । <ref name=ss/><ref name=nn/>
 
নীলরতন সরকারের দেশের সামগ্রিক উন্নতির প্রতি আগ্রহ তাঁকেতাকে বিভিন্ন শিল্প স্থাপনের দিকে উৎসাহিত করেছিল । তিনি ''রাঙামাটি চা কম্পানি'' (পরবর্তী কালে ইস্টার্ন টি কম্পানি), ''ন্যাশন্যাল সোপ ফ্যাক্টরি'' এবং ''ন্যাশন্যাল ট্যানারি কম্পানি''তে তাঁরতার টাকা নিয়োগ করেছিলেন । নীলরতন সরকার রাজনৈতিক ভাবে সক্রিয় ছিলেন । তিনি [[১৮৯০]] খ্রিস্টাব্দ থেকে [[১৯১৯]] খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত [[ভারতের জাতীয় কংগ্রেস|ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের]] সদস্য ছিলেন । <ref name=nn/>
 
''ক্যাম্বেল মেডিকেল স্কুল'' কলেজে রূপান্তরিত হয়ে তাঁরতার নামে ''নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল'' নামাঙ্কিত হয় ।
 
== তথ্যসূত্র ==