মোহিতমোহন মৈত্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

'''মোহিতমোহন মৈত্র''' ({{lang-en|Mohitamohan Maitra}}) (? - [[মে ২৮|২৮ মে]], [[১৯৩৩]]) ছিলেন [[ভারতীয় উপমহাদেশ|ভারতীয় উপমহাদেশের]] [[ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন|ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের]] একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী। তিনি [[যুগান্তর দল]]<nowiki/>এর সদস্য ছিলেন। [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ রাজবিরোধী]] কার্যকলাপের অভিযোগে ফেব্রুয়ারি ১৯৩২ সালে পুলিস তাঁকেতাকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরতার বাড়ি থেকে রিভলভার ও গোলাবারুদ পাওয়ায় তাঁকেতাকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে [[আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ|আন্দামান জেলে]] পাঠানো হয়। সেই বন্দিশিবিরে অনশন ধর্মঘট করে যে কজন বিপ্লবী প্রাণ উৎসর্গ করেন মোহিতমোহন তাঁদের অন্যতম। তিনি, [[মোহনকিশোর নমোদাস]] এবং [[মহাবীর সিং]] নামের মোট তিনজন বন্দি এই অনশনে প্রাণ দেন।<ref name="সংসদ">সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৫৮৯, {{আইএসবিএন|978-81-7955-135-6}}</ref><ref name="ত্রৈলোক্যনাথ">[[ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী]], ''[[জেলে ত্রিশ বছর|জেলে ত্রিশ বছর - ব্রিটিশ :পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস]]'', ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৯৫।</ref> তার স্মৃতিতে একটি মূর্তি [[আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ|আন্দামানের]] [[সেলুলার জেল|সেলুলার জেলের]] বাইরে স্থাপিত হয়েছে।

১৭ মে, ১৯৩৩ তারিখে অনশনচলাকালে তাঁকেতাকে জোর করে খাওয়াবার নাম করে বর্বর প্রাণ হত্যার কাজ চলে। তাঁরতার ফুসফুসে জোর করে দুধ ঢুকিয়ে দেয়া হয় এবং তা থেকে জ্বর ও পরে [[নিউমোনিয়া]] হয়। দশদিনব্যাপী নিউমোনিয়ার সাথে লড়াই করে মোহিত মারা যান।<ref>শৈলেশ দে, ''মৃত্যুর চেয়ে বড়'', বিশ্ববাণী প্রকাশনী, কলিকাতা, প্রথম (বি) সংস্করণ অগ্রহায়ণ ১৩৯২, পৃষ্ঠা ১৭৫-১৭৬।</ref>

মোহিতমোহন মৈত্রের জন্ম [[পাবনা জেলা|পাবনা জেলার]] [[বেড়া উপজেলা|বেড়া উপজেলার]] নতুন ভারেঙ্গায়। তাঁরতার পিতার নাম হেমচন্দ্র মৈত্র।<ref name="সংসদ"/>