কামিনী রায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
1টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 0টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২০ নং লাইন:
 
== জীবনী ==
কামিনী রায়ের জন্ম পূর্ববঙ্গের (বর্তমান [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]]) বাকেরগঞ্জের বাসণ্ডা গ্রামে (বর্তমানে যা [[বরিশাল জেলা|বরিশাল জেলার]] অংশ)। তাঁরতার পিতা [[চণ্ডীচরণ সেন]] একজন ব্রাহ্মধর্মাবলম্বী, বিচারক ও ঐতিহাসিক লেখক ছিলেন। ১৮৭০ খ্রীস্টাব্দে চণ্ডীচরণ ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা লাভ করেন। পরের বছর তাঁরতার স্ত্রী-কন্যাও কলকাতায় তাঁরতার কাছে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত হন।<ref name="sba" /> তিনি ব্রাহ্ম সমাজের বিশিষ্ট নেতা ছিলেন। তাঁরতার ভগিনী যামিনী সেন লেডি ডাক্তার হিসাবে খ্যাতিলাভ করেছিলেন।<ref name="sbc" />
 
[[১৮৯৪]] খ্রীস্টাব্দে কামিনীর সাথে স্টাটুটারি সিভিলিয়ান [[কেদারনাথ রায়|কেদারনাথ রায়ের]] বিয়ে হয়।<ref name="bac">''বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান'', সম্পাদকঃ সেলিনা হোসেন ও নূরুল ইসলাম, ২য় সংস্করণ, ২০০৩, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, পৃ. ১১৯</ref>
 
== শিক্ষাজীবন ==
কন্যা কামিনী রায়ের প্রাথমিক শিক্ষার ভার চণ্ডীচরণ সেন নিজে গ্রহণ করেন। বার বৎসর বয়সে তাঁকেতাকে স্কুলে ভর্তি করে বোর্ডিংয়ে প্রেরণ করেন।<ref name="sba" /> ১৮৮০ খ্রীস্টাব্দে তিনি [[কলকাতা]] বেথুন স্কুল হতে এন্ট্রান্স (মাধ্যমিক) পরীক্ষা ও ১৮৮৩ খ্রীস্টাব্দে এফ.এ বা ফার্স্ট আর্টস (উচ্চ মাধ্যমিক সমমানের) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। [[বেথুন কলেজ]] হতে তিনি ১৮৮৬ খ্রীস্টাব্দে ভারতের প্রথম নারী হিসাবে সংস্কৃত ভাষায় সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।<ref name="sbc">''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', সম্পাদকঃ অঞ্জলি বসু, ৪র্থ সংস্করণ, ১ম খণ্ড, ২০০২, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, পৃ. ৮৩</ref>
 
== কর্মজীবন ==
স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের পর ১৮৮৬ সালেই তিনি [[বেথুন কলেজ|বেথুন কলেজের]] স্কুল বিভাগে শিক্ষয়িত্রীর পদে নিযুক্ত হন। পরবর্তীকালে তিনি ঐ কলেজে অধ্যাপনাও করেছিলেন। যে যুগে মেয়েদের শিক্ষাও বিরল ঘটনা ছিল, সেই সময়ে কামিনী রায় নারীবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁরতার অনেক প্রবন্ধেও এর প্রতিফলন ঘটেছে। তিনি নারী শ্রম তদন্ত কমিশন (১৯২২-২৩) এর সদস্য ছিলেন।
 
== সাহিত্য ==
শৈশবে তাঁরতার পিতামহ তাঁকেতাকে কবিতা ও স্তোত্র [[আবৃত্তি]] করতে শেখাতেন। এভাবেই খুব কম বয়স থেকেই কামিনী রায় সাহিত্য রচনা করেন ও কবিত্ব-শক্তির স্ফূরণ ঘটান। তাঁরতার জননীও তাঁকেতাকে গোপনে বর্ণমালা শিক্ষা দিতেন। কারণ তখনকার যুগে হিন্দু পুরমহিলাগণের লেখাপড়া শিক্ষা করাকে একান্তই নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হতো।<ref name="sba">''সরল বাঙালা অভিধান'', সংকলকঃ সুবলচন্দ্র মিত্র, নিউ বেঙ্গল প্রেস প্রাইভেট লিমিটেড, ৮ম সংস্করণ, ১৯৯৫, কলকাতা, পৃ. ৩৭০</ref> মাত্র ৮ বছর বয়স থেকে তিনি কবিতা লিখতেন। রচিত কবিতাগুলোতে জীবনের সুখ-দুঃখ, আশা-আকাঙ্ক্ষা, আনন্দ-বেদনার সহজ-সরল ও সাবলীল প্রকাশ ঘটেছে।<ref name="bac"/> পনের বছর বয়সে তাঁরতার প্রথম কাব্য গ্রন্থ ''আলো ও ছায়া'' প্রকাশিত হয় ১৮৮৯ খ্রীস্টাব্দে। এ গ্রন্থটির ভূমিকা লিখেছিলেন [[হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]]। কিন্তু প্রথমে এতে গ্রন্থকর্ত্রী হিসেবে কামিনী রায়ের নাম প্রকাশিত হয় নাই। গ্রন্থটি প্রকাশিত হলে তাঁরতার কবিখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।<ref name="sba"/>' তাঁরতার লেখা উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে -
{| border="0" width="100%"
|- valign="top"
৪৮ নং লাইন:
* ''শ্রাদ্ধিকী''
|}
অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত ''মহাশ্বেতা'' ও ''পুণ্ডরীক'' তাঁরতার দুটি প্রসিদ্ধ দীর্ঘ কবিতা।<ref name="sbc" /> এছাড়াও, ১৯০৫ সালে তিনি শিশুদের জন্য ''গুঞ্জন'' নামের কবিতা সংগ্রহ ও প্রবন্ধ গ্রন্থ ''বালিকা শিক্ষার আদর্শ'' রচনা করেন।
 
কামিনী রায় সবসময় অন্য সাহিত্যিকদের উৎসাহ দিতেন। ১৯২৩ খ্রীস্টাব্দে তিনি বরিশাল সফরের সময় কবি [[সুফিয়া কামাল|সুফিয়া কামালকে]] লেখালেখিতে মনোনিবেশ করতে বলেন।
 
তাঁরতার কবিতা পড়ে বিমোহিত হন সিবিলিয়ান কেদারনাথ রায় এবং তাঁকেতাকে বিয়ে করেন। ১৯০৯ খ্রীস্টাব্দে কামিনী রায়ের স্বামীর অপঘাতে মৃত্যু ঘটেছিল।<ref name="sba"/> সেই শোক ও দুঃখ তাঁরতার ব্যক্তিগত জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে, যা তাঁরতার কবিতায় প্রকাশ পায়। তিনি [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] ও [[সংস্কৃত]] সাহিত্য দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন।
 
== সম্মাননা ==
৬০ নং লাইন:
 
== মহাপ্রয়াণ ==
জীবনের শেষ ভাগে তিনি [[হাজারীবাগ|হাজারীবাগে]] বাস করেছেন। ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৩ খ্রীস্টাব্দে তাঁরতার জীবনাবসান ঘটে।
 
== তথ্যসূত্র ==