এ্যানেট সুসানা এ্যাক্রয়েড বেভারীজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
2টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 1টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১২ নং লাইন:
}}
 
'''এ্যানেট সুসানা এ্যাক্রয়েড বেভারীজ''' ([[১৮৪২]] - [[১৯২৯]]) ( যিনি '''এ্যানেট এ্যাক্রয়েড''' নামে অধিক পরিচিত) বাংলার নারী শিক্ষা সংস্কার কাজের জন্য এবং প্রাচ্যবিশারদ হিসেবে বিখ্যাত ছিলেন।<ref name="Banglapedia">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল = http://banglapedia.search.com.bd/HT/B_0437.htm | শিরোনাম = বেভারীজ,এ্যানেট সুসানা এ্যাক্রয়েড | সংগ্রহের-তারিখ = 2007-04-18 | শেষাংশ = আমিন | প্রথমাংশ = সোনিয়া | কর্ম = বাংলাপেডিয়া | প্রকাশক = এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ | আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20070422155327/http://banglapedia.search.com.bd/HT/B_0437.htm | আর্কাইভের-তারিখ = ২০০৭-০৪-২২ | অকার্যকর-ইউআরএল = হ্যাঁ }}</ref> তাঁরতার পুত্র [[উইলিয়ম বেভারীজ|লর্ড উইলিয়ম বেভারীজ]] একজন খ্যাতনাম ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ।
 
== প্রাথমিক জীবন ==
তিনি [[ইংল্যান্ডের]] [[ওরচেস্টারশায়ারের]] [[স্টাউরব্রীজের]] একটি ব্যবসায়ী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এ্যানেট তাঁরতার যুগে মেয়েদের জন্য লভ্য শিক্ষার মধ্যে সর্বোচ্চ শিক্ষা লাভ করেন। তিনি [[১৮৬০]] সাল থেকে [[১৮৬৩]] সাল পর্যন্ত লন্ডনের বেডফোর্ড কলেজে লেখাপড়া করেন। শিক্ষা গ্রহণের শেষে তিনি কিছুদিন কাজ করেন। এ সময় তিনি [[ইংল্যান্ড|ইংল্যান্ডে]] [[কেশবচন্দ্র সেন|কেশবচন্দ্র সেনের]] বক্তৃতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার নারী শিক্ষা উন্নয়নের জন্য [[১৮৭৩]] সালে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।<ref name = "Banglapedia"/> তার ভারতে আসার আগেই, [[মেরি অ্যান কুক]] ও [[মেরি কার্পেন্টার]] ভারতে এসেছিলেন এবং [[বেথুন]] [[১৮৪৯]] সালে মহিলাদের জন্য [[বেথুন স্কুল]] স্থাপন করেছিলেন <ref name="চরিতাভিধান-৩৬৬">সুবোধ চন্দ্র বসু ও অঞ্জলি বসু ( সম্পাদনা ),'' সংসদ বাঙ্গালি চরিতাভিধান-চতুর্থ সংস্করণ,প্রথম খন্ড, p ৩৬৬, {{আইএসবিএন|81-85626-65-0}}''</ref> কিন্তু এই বিদ্যালয় ছাত্রীদের সেই ভাবে আকর্ষণ করেতে পারেনি।
 
== ভারতের প্রতি আগ্রহ ==
 
== নারী শিক্ষা সংস্কার ==
পরবর্তীসময়ে তিনি বিখ্যাত বঙ্গীয় ব্রাহ্ম সংস্কারকের সাথে কলহে জড়িয়ে পড়েন এবং জনজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন। [[১৮৭৩]] সালের নভেম্বর মাসে তাঁরতার প্রচেষ্টার ফলে কলকাতায় ১২ জন ছাত্রী নিয়ে [[হিন্দু মহিলা বিদ্যালয়]] (পরবর্তীতে নাম হয় [[বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয়]]) প্রতিষ্ঠিত হয়। এ্যানেটের কঠোর তত্ত্বাবধানে স্কুলটি পশ্চিমা ধাঁচে পরিচালিত হচ্ছিল। [[১৮৭৫]] সালের [[৬ এপ্রিল]] এ্যানেট তাঁরতার পরিকল্পনায় হতাশ হয়ে বারাসাতে কর্মরত আই.সি.এস সদস্য [[হেনরী বেভারীজ|হেনরী বেভারীজকে]] বিয়ে করেন এবং স্কুলটির প্রশাসনিক কর্তৃত্ব প্রগতিশীল ব্রাহ্ম সমাজের কাছে হস্তান্তর করেন। স্কুলটি কিছুদিন বন্ধ থাকার পর [[১৮৭৬]] সালে [[বাংলা মহিলা বিদ্যালয়]] নামে পুনরায় চালু হয়। [[১৮৭৮]] সাল নাগাদ [[বেথুন কলেজ]] প্রতিষ্ঠার জন্য স্কুলটিকে [[বেথুন স্কুল|বেথুন স্কুলের]] সাথে সংযুক্ত করা হয়।তাঁরহয়।তার বিয়ের পর বাংলা নারী শিক্ষা সংস্কার আন্দোলন একজন যোগ্য নেতৃত্ব হারায়। এ্যানেট একজন জেলা জজের স্ত্রী হিসেবে সম্পূর্ণভাবে ব্যস্ত জীবন কাটালেও সম্পূর্ণ ভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এ মর্যাদায় তিনি বর্তমান বাংলাদেশ এবং ভারতের বাংলা ও বিহারে ভ্রমণ করে সময় কাটান।
 
== প্রাচ্যবিশারদ ==
মধ্যযুগীয় ভারতীয় গ্রন্থাবলির নির্ভরযোগ্য ইংরেজি অনুবাদ ছিল এ্যানেটের স্থায়ী অবদান। জীবনের শেষভাগে তিনি ফার্সি ও তুর্কি ভাষা শিখতে শুরু করেন এবং প্রাচ্য ভাষা গবেষণার জগতে প্রবেশ করেন; এক্ষেত্রে তাঁরতার স্বামী একজন সহযোদ্ধা ও সঙ্গী ছিলেন। তিনি একজন স্বীকৃত প্রাচ্য ভাষাবিদ এবং ফার্সি ও তুর্কি ভাষায় লিখিত গ্রন্থাবলির অনুবাদক ছিলেন। এ অনুবাদগুলির মধ্যে ছিল [[গুলবদন বেগমের]] [[হুমায়ুননামা]] এবং [[বাবুরনামার]] নতুন অনুবাদ। এ অনুবাদগুলিকে পাণ্ডিত্যপূর্ণ অনুবাদ বলে গণ্য করা হয়। রাজনৈতিকভাবে রক্ষণশীল এ্যানেট তৎকালীন ইংল্যান্ডে বিকাশমান নারী ভোটাধিকার আন্দোলনের বিরোধী ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, তিনি পিটফোর্ডের নারী ভোটাধিকার বিরোধী দলের সেক্রেটারি ছিলেন।<ref name = "Banglapedia"/>
 
== শেষ জীবন ==
এ্যানেট তাঁরতার সুবিখ্যাত পুত্র [[উইলিয়ম বেভারীজ|লর্ড উইলিয়ম বেভারীজের]] লন্ডনের বাড়িতে বৃদ্ধা অবস্থায় ৮৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। বেভারীজ তাদের নিজস্ব চিঠিপত্রের সমৃদ্ধ সংগ্রহের ওপর ভিত্তি করে রচিত পিতা-মাতার জীবনী ইনিন্ডয়া কল্ড দেম ( India Called Them )-এ এ্যানেট ও হেনরীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল = http://www.tribuneindia.com/2005/20050508/spectrum/main1.htm | শিরোনাম = Frozen Frames | সংগ্রহের-তারিখ = 2007-04-19 | শেষাংশ =Karlekar | প্রথমাংশ = Malavika | কর্ম = Spectrum | প্রকাশক = ''The Tribune'', 8 May 2005 }}</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==