গিল ল্যাংলি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
১টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta15)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৫৯ নং লাইন:
 
== শৈশবকাল ==
সরকারী বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন গিল ল্যাংলি। ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবেও শিক্ষানবিশ ছিলেন। কিশোর অবস্থাতেই সর্বক্রীড়ায় পারদর্শী হয়ে উঠেন। [[ক্রিকেট]] ও [[Australian rules football|অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলে]] দক্ষতা দেখান। সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার ও শীর্ষস্থানীয় ফুটবলার [[ভিক রিচার্ডসন|ভিক রিচার্ডসনের]] কাছ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ হয় তাঁর।তার।<ref name="obit">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.telegraph.co.uk/news/obituaries/1330472/Gil-Langley.html|শিরোনাম=Obituaries: Gil Langley|তারিখ=17 May 2001 | অবস্থান=London|কর্ম=The Daily Telegraph}}</ref>
 
১৯৩৯ সালে সাউথ অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ফুটবলে লীগে (এসএএনএফএল) স্টার্ট ক্লাবের পক্ষে রোভার হিসেবে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় গিল ল্যাংলি’র। এরপর থেকে ১৬৩ খেলায় অংশ নিয়ে ৩৪১ গোল করেন। ১৯৪৫ ও ১৯৪৭ সালে ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এ পর্যায়ে ১৯৪৫ ও ১৯৪৬ সালে [[Sturt Football Club|স্টার্টের]] সেরা ও পরিচ্ছন্ন খেলোয়াড়ের [[পুরস্কার]] লাভ করেছিলেন তিনি।
 
[[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ]] চলাকালীন এসেনডন ফুটবল ক্লাবের পক্ষে ভিক্টোরিয়ান ফুটবলে লীগে (ভিএফএল) চারটি খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি।<ref name="obit"/> তন্মধ্যে, ১৯৪৩ সালের ভিএফএল গ্র্যান্ড ফাইনালেও তাঁরতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। ১৯৫০ মৌসুম শেষে ফুটবল খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করেন গিল ল্যাংলি।
 
== আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ==
মূলতঃ ব্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতার নিয়ে [[South Australia cricket team|সাউথ অস্ট্রেলিয়ার]] সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করেন গিল ল্যাংলি। ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৪৫ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে অভিষেক ঘটে তাঁর।তার। এরপর ডিসেম্বর, ১৯৪৭ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো উইকেট-রক্ষণে অগ্রসর হন। তাৎক্ষণিকভাবেই স্ট্যাম্পের পিছনে অবস্থান করে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন।
 
ফলশ্রুতিতে, ১৯৪৯-৫০ মৌসুমে [[দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দল|দক্ষিণ আফ্রিকা]] গমনকল্পে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে, ঐ সফরে কোন টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়নি তাঁর।তার। পরবর্তীতে অবশ্য টেস্ট ক্রিকেটে অভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৫১-৫২ মৌসুমে [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল|ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল]] অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে আসে। নিয়মিত উইকেট-রক্ষক [[ডন টলন]] আঘাত পেলে তিনি তাঁরতার স্থলাভিষিক্ত হন ও টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ঐ টেস্টে তিনি তিনটি ক্যাচ ও চারটি স্ট্যাম্পিং করেছিলেন। ১৯৫৩ সালে ডন টলনের অবসর গ্রহণের পর তিনিই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম পছন্দের উইকেট-রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ১৯৫৬ সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত এ দায়িত্বে ছিলেন তিনি।<ref name="obit"/>
 
১৯৫৬ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিহীন অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় রাখেন তিনি। লর্ডস টেস্টে নয়টি ডিসমিসালের সাথে স্বীয় নামকে জড়িয়ে রাখেন। এটিই সমগ্র [[অ্যাশেজ সিরিজের তালিকা|অ্যাশেজ সিরিজে]] সফরকারীদের একমাত্র জয় ছিল। ঐ সময়ে এ পরিসংখ্যানটি টেস্ট রেকর্ডরূপে বিবেচিত ছিল। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে [[বব টেলর]] এ রেকর্ড ভেঙে ফেললেও ২০০০ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলীয় রেকর্ডরূপে টিকেছিল। এরই স্বীকৃতিস্বরূপ উইজডেন কর্তৃপক্ষ গিল ল্যাংলিকে এ খেলার নির্ভরযোগ্য উইকেট-রক্ষক হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৫৭ সালে [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটারের]] সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি।<ref name="wisden">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.espncricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/209422.html |শিরোনাম=Wisden's Five Cricketers of the Year |ওয়েবসাইট=[[ESPNcricinfo]] |প্রকাশক=[[ESPN]] |সংগ্রহের-তারিখ=15 April 2015 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150323121917/http://www.espncricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/209422.html |আর্কাইভের-তারিখ=২৩ মার্চ ২০১৫ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ |df= }}</ref>
 
এছাড়াও, রাণীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তাঁরতার পোশাক ছিঁড়ে যাবার বিষয়টিও সংবাদপত্রের শিরোনামে চলে আসে। দলীয় সঙ্গী [[কিথ মিলার]] ও [[ইয়ান জনসন]] অবশ্য খুব দ্রুত সেফটি পিন দিয়ে ছেঁড়া অংশটুকু ঢেকে দিয়েছিলেন।
 
নভেম্বর, ১৯৫৬ সালে কোলকাতার ইডেন গার্ডেনে স্বাগতিক [[ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলভারতের]] বিপক্ষে নিজস্ব সর্বশেষ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন গিল ল্যাংলি। এর একমাস পর দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার সদস্যরূপে [[অ্যাডিলেড ওভাল|অ্যাডিলেড ওভালে]] নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে [[শতক (ক্রিকেট)|সেঞ্চুরি]] করার পর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটকে বিদেয় জানান তিনি।<ref name="obit"/>
৭৯ নং লাইন:
 
== রাজনীতিতে অংশগ্রহণ ==
লেবার পার্টির পক্ষ থেকে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার আইনসভায় যোগ দেন। এ পর্যায়ে ১৯৬২ সালের দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনে [[Electoral district of Unley|আনলে]] ইলেকট্রোরাল জেলা থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৬৫ সালের নির্বাচনের পর ৩২ বছরের মধ্যে প্রথম গঠিত শ্রমিক সরকারের সদস্য হন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সময়কালে আইনসভার স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৮২ সালে রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর নেন। ১৯৮২ সালের দক্ষিণ অস্ট্রেলীয় রাজ্যে নির্বাচনে শ্রমিক দলের কিম মেইস তাঁরতার স্থলাভিষিক্ত হন।
 
১৯৮৪ সালে অস্ট্রেলীয় দিবসের সম্মাননায় গিল ল্যাংলিকে অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া পদবীতে ভূষিত করা হয়। ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো ঘোষিত স্টার্ট ফুটবল ক্লাব হল অব ফেমে অন্তর্ভূক্ত হন। ক্রিকেটে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁরতার সম্মানার্থে অ্যাডিলেড ওভালে ‘গিল ল্যাংলি ফাংশন রুম’ নামাঙ্কিত করা হয়।
 
== ব্যক্তিগত জীবন ==