'''আবদুল জলিল শিকদার''' ([[জন্ম]]: অজানা - মৃত্যু: [[২০০৬]]) [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের]] একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁরতার সাহসিকতার জন্য [[বাংলাদেশ]] সরকার তাঁকেতাকে [[বীর প্রতীক]] খেতাব প্রদান করে।<ref>[http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2011-10-22/news/195728 দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না" | তারিখ:২২-১০-২০১১]</ref>
== জন্ম ও শিক্ষাজীবন ==
আবদুল জলিল শিকদারের জন্ম [[নড়াইল জেলা| নড়াইল জেলার]] [[লোহাগড়া উপজেলা| লোহাগড়া উপজেলার]] চাচই গ্রামে। তাঁরতার বাবার নাম আবদুল হক শিকদার এবং মায়ের নাম পুটি বেগম। তাঁরতার স্ত্রীর নাম নূরজাহান বেগম। তাঁরতার সাত ছেলেমেয়ে। <ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম= একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ |শেষাংশ= |প্রথমাংশ= |লেখক-সংযোগ= |coauthors= |বছর=জুন ২০১২ |প্রকাশক= জনতা ব্যাংক লিমিটেড |অবস্থান= |আইএসবিএন= 9789843351449|পাতা=১৪০|পাতাসমূহ= |সংগ্রহের-তারিখ= |ইউআরএল=}}</ref>
== কর্মজীবন ==
৩৮ নং লাইন:
== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
[[১৯৭১]] সালের [[১১ এপ্রিল]] [[যশোর জেলা|যশোর জেলার]] [[ঝিকরগাছা উপজেলা]] এলাকায় [[মুক্তিযুদ্ধ]] শুরু হলে [[৩০ মার্চ]] থেকে যশোরে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয়। এ যুদ্ধে যশোর ইপিআর সেক্টর হেডকোয়ার্টারের অধীন বেশির ভাগ বাঙালি ইপিআর সদস্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। হেডকোয়ার্টারের অধীন খুলনার ৫ নম্বর উইংয়ের তিন কোম্পানি ইপিআর সদস্য যশোরে সমবেত হয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেন। [[আবু ওসমান চৌধুরী|আবু ওসমান চৌধুরীর]] নির্দেশে ৫ নম্বর উইংয়ের তিন কোম্পানি ইপিআর সদস্যের একাংশ যশোর শহরে, অপর অংশ ঝিকরগাছায় প্রতিরক্ষা অবস্থান নেয়। দুই দলের সার্বিক নেতৃত্বে থাকেন আবদুল জলিল শিকদার। তাঁরতার নির্দেশে সুবেদার হাসান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ‘সি’ কোম্পানি যশোর সেনানিবাসে মর্টারের সাহায্যে আক্রমণ করে। কিন্তু তাঁরাতারা পাকিস্তানি সেনাদের প্রচণ্ড পাল্টা আক্রমণে পিছে হটে [[নড়াইল জেলা|নড়াইলের]] দিকে চলে যায়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা একদল আরেক দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ঝিকরগাছার পতন হলে সেখানকার মুক্তিযোদ্ধারা ভারত সীমান্ত-সংলগ্ন বেনাপোলে আশ্রয় নেন। কয়েক দিন পর বেনাপোলও পাকিস্তানি সেনাদের দখলে চলে যায়। তখন মুক্তিযোদ্ধারা ভারতে অবস্থান নেন।
আবদুল জলিল শিকদার খবর পেলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরাট একটি দল সেনানিবাস থেকে বেরিয়ে রাস্তার দুপাশের বাড়িঘর জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে তাঁদের অবস্থানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তিনি এক দল মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে প্রতিরক্ষা অবস্থানে ছিলেন ঝিকরগাছার লাউজানিতে। তাঁরতার দলের দুই প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা সামনের দিকে পাঠালেন পাকিস্তানি সেনাদের প্রতিরোধে। যশোর-বেনাপোল সড়ক ধরে তাঁরাতারা কিছুদূর অগ্রসর হতেই পড়ে গেলেন পাকিস্তানি সেনাদের সামনে। পাকিস্তানি সেনারা তাঁদের প্রচণ্ড গতিতে আক্রমণ করল। প্রবল আক্রমণে তাঁরাতারা পিছু হটতে বাধ্য হলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাকিস্তানি সেনারা হাজির হলো আবদুল জলিল শিকদারের প্রতিরক্ষা অবস্থানের সামনে। তাঁরতার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাকলেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দল অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। তার পরও তাঁরাতারা প্রতিরোধ চালিয়ে গেলেন। <ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম= একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (প্রথম খন্ড)|শেষাংশ= |প্রথমাংশ= |লেখক-সংযোগ= |coauthors= |বছর=এপ্রিল ২০১২ |প্রকাশক= প্রথমা প্রকাশন |অবস্থান= |আইএসবিএন= 9789843338884|পাতা=১৭১|পাতাসমূহ= |সংগ্রহের-তারিখ= |ইউআরএল=}}</ref>
