এম হামিদুল্লাহ খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
0টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 1টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৪ নং লাইন:
| occupation = সশস্ত্র বাহিনী কর্মকর্তা/রাজনীতিবিদ}}
'''এম হামিদুল্লাহ খান''' (জন্মঃ [[১১ সেপ্টেম্বর]], [[১৯৩৮]] - মৃত্যুঃ [[৩০ ডিসেম্বর]], [[২০১১]]), যিনি '''উইং কমান্ডার (অব.) হামিদুল্লাহ খান''' নামে সচরাচর পরিচিত, [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে]],
বাংলাদেশ প্রবাসী সৱকাৱেৱ প্রধান সামৱিক প্রতিনিধী(গুপ্ত যুদ্ধ), ১১নম্বর সেক্টরের(ডিভিশন) ১ম উপ-সেক্টৱেৱ(মানকাচৱ) কমান্ডার এবং ১১নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। তিনি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একজন কর্মকর্তা ছিলেন। '৭১ সালে তিনি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর চাকুরি পরিত্যাগ করে [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ]] অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার তাঁকেতাকে [[বীর প্রতীক]] উপাধিতে ভূষিত করে। <ref>[http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2012-10-26/news/300945 তোমাদের এ ঋন কোনদিন শোধ হবে না, প্রথম আলো]</ref> ১৯৭৮-এ তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন।
 
== শৈশবকাল ==
১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৮ সালে এম হামিদুল্লাহ খানের জন্ম হয় তৎকালীন ইংৱেজ শাসন কালে বিক্রমপুর পরগণায় লৌহজং থানার (র্বতমান মুন্সীগঞ্জে) মেদিনীমণ্ডল গ্রামে। বাবা - দবিরউদ্দিন খান এবং মা - জসিমুন্নেসা খানের নয় সন্তানের মধ্যে তাঁরতার অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। পিতার চাকুরীজনিত কারণে তিনি বিভিন্ন জায়গায় পড়াশোনা করেছিলেন।<ref name="dj">[http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2011-12-31&ni=81753 চলে গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল্লাহ খান - দৈনিক জনকণ্ঠ, সংগ্রহকালঃ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১১ইং]</ref> তিনি ম্যাট্রিক পাস করেন ১৯৫৪ সালে লৌহজং এ. টি. ইনস্টিটিউশন থেকে। এরপর তিনি ভর্তি হন জগন্নাথ কলেজে এবং এ কলেজ থেকেই ১৯৫৬ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। জগন্নাথ কলেজে ব্যাচেলর অফ কমার্স কোর্সে দুই বছর অধ্যয়ন করে তিনি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর চাকুরী চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন । পাকিস্তান বিমান বাহিনীর রিসালপুর একাডেমীতে (তখন কলেজ) তিনি ৩৪তম জিডিপি কোর্সে যোগদান করেন ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে, এখানে দুই বছর ৬ মাস প্রশিক্ষণ শেষে কমিশনপ্রাপ্ত হন প্রশাসনিক শাখায় (১৯৬২ সালের জুনে)।<ref name="munshigonj.info">[http://munshigonj.info/2010/04/19/28710/ মুন্সিগঞ্জের খবর]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=জানুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref>
 
== ব্যক্তি জীবন ==
২৩ নং লাইন:
 
== কর্মজীবন ==
১৯৫৯ সালে তিনি পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে পাইলট কোর্সে যোগ দেন যদিও পরে প্রশাসনিক শাখায় কমিশন পান। স্বাধীনতা যুদ্ধের কিছু পূর্বে ১৯৭০ সালের শেষভাগে তিনি ঢাকা বিমান ঘাঁটিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিযুক্ত হন।<ref name="dj" /> ১৯৭৩-১৯৭৯ উইং কমান্ডার হিসেবে [[বাংলাদেশ বিমান বাহিনী|বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে]] কর্মরত ছিলেন তিনি। বিমান বাহিনীতে তিনি মোট ২১ বৎসর চাকুরী করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে চলাকারে তাঁকেতাকে স্বোয়াড্রন লীডার পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়।
 
== স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ ==
{{মূল|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ}}
 
১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের শেষ দিকে এম হামিদুল্লাহ খান পাকিস্তান বিমান বাহিনী ঘাঁটি ঢাকার সহকারী প্রভোস্ট মার্শাল (নিরাপত্তার দায়িত্ব) হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ২৫ শে মার্চের রাত্রে গণহত্যা শুরু হলে তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেরণা অনুভব করেন। এ সময় কবি বেগম সুফিয়া কামালের বাসায় তাঁরতার গতায়াত ছিল। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ভাগে বিহারের চাকুলিয়ায় সর্ববৃহৎ গেরিলা ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রবাসী সরকারের সামরিক প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব করেন তিনি। অতঃপর স্বাধীনতা যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর [[এম এ জি ওসমানী]] তাঁকেতাকে উত্তর ফ্রন্টে নিযুক্ত করেন যা ছিল ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তেলঢালায় [[জিয়াউর রহমান|মেজর জিয়ার কমান্ড]] অধীন ১১ নং সেক্টর এবং জেডফোর্সের হেড কোর্য়াটার। হেডকোয়ার্টারে রিপোর্ট করার পর মেজর জিয়া তাঁকেতাকে বৃহত্তর রংপুর ও ময়মনসিংহ জেলার বিপরীতে মেঘালয়ের নদীবন্দরে স্থাপিত মানকাচর প্রথম সাব সেক্টরের অধিনায়ক নিযুক্ত করে দায়িত্ব দেন। হামিদুল্লাহ খান ঐ ঘাঁটি থেকে রংপুরের কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা এলাকায় অবস্থিত পাকিস্তান বাহিনীর ঘাটিতেঁ অভিযান পরিচালনা করেন। রৌমারি ও রাজিবপুর থানাধীন ৫৫০ বর্গমাইল মুক্ত এরাকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্বও তাঁকেতাকে প্রদান করা হয়।<ref name="munshigonj.info"/>
 
অতঃপর ১১ নং সেক্টর এবং জেডফোর্সের অধিনায়ক [[জিয়াউর রহমান|মেজর জিয়ার রহমান]] তাঁকেতাকে ১১ নম্বর সেক্টরে 'সাব সেক্টর কমান্ডার' নিযুক্ত করেন। ১০ই অক্টোবরে মেজর জিয়াউর রহমান নিযুক্ত মেজর তাহের ২ নভেম্বরে আহত হলে তিনি ১৯৭১-এর ৩ নভেম্বর থেকে সেক্টরের কমান্ডারের দায়িত্ব লাভ করেন। তিনি পাক সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রবাসী সরকারে বাংলাদেশ ফোর্সেস সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানী [[এম এ জি ওসমানী]] তাঁকেতাকে সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ ফিল্ড প্রমোশন দিয়ে স্কোয়াড্রন লীডার পদে উন্নীত করে। [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] মহান [[স্বাধীনতা যুদ্ধে]] ১১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন তিনি।<ref>[http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=181299&hb=3 উইং কমান্ডার হামিদুল্লাহ খান মারা গেছেন - বিডিনিউজ২৪.কম, সংগ্রহকালঃ ৩0 ডিসেম্বর, ২০১১ইং]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ডিসেম্বর ২০১৮ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ ও সবিশেষ অবদান রাখায় তিনি [[বীরপ্রতীক]] খেতাবে ভূষিত হন।
 
== রাজনৈতিক জীবন ==