জন স্নো: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
পরিমার্জিত রূপ! |
|||
৯৫ নং লাইন:
== প্রারম্ভিক জীবন ==
স্কটিশ পুরোহিতের সন্তান জন স্নো ওরচেস্টারশায়ারের পিপলটন এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্টীয় এলাকা ওরচেস্টারশায়ারের এমলে ক্যাসল গ্রামে বসবাস করতে থাকে
[[পিটার মে]] ও [[ডেভিড শেফার্ড|ডেভিড শেফার্ডের]] পদাঙ্ক অনুসরণ করে বোগনর কোল্টসে যোগ দেন। অ্যান্টিলেসে অনুষ্ঠিত খেলায় [[ফ্রাঙ্ক ওরেল|ফ্রাঙ্ক ওরেলকে]] বোল্ড করে ব্যাপক পরিচিতি পান। এছাড়াও তিনি সাসেক্স ইয়ং অ্যামেচার্স ও জুনিয়র মার্লেটসের পক্ষে খেলতে থাকেন। কৈশোরে বোলারের তুলনায় ব্যাটসম্যান হিসেবেই তিনি দক্ষতা দেখিয়েছেন। কিন্তু বালকদের প্রায় সকলেই ব্যাটিংয়ের দিকে ধাবিত হওয়ায় পরবর্তীকালে বোলিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন। এছাড়াও তিনি রাগবিতে খেলেছেন; কিন্তু, ১৯৬১ সালে ঐ খেলা পরিত্যাগ করে ক্রিকেটের দিকে মনোনিবেশ ঘটান।<ref name="p21, Snow"/>
অক্সফোর্ডশায়ারের অ্যাবিংডনের কাছাকাছি কালহাম টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ভর্তি হন। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সময়কালে প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে ওডিংডিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। কিন্তু, প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যাপকসংখ্যক খেলায় অংশগ্রহণের কারণে
== কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ ==
সাসেক্সের খেলোয়াড় ও কোচ [[Ken Suttle|কেন সাটল]]
১৯৬১ সালে কার্ডিফ আর্মস পার্কে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় তিনি শৌখিন খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন। একমাত্র ইনিংসটিতে ২/১২ ও ৩/৬৭ বোলিং পরিসংখ্যানসহ ১২ রান তুলেছিলেন। কাউন্টি ক্যাপ লাভের জন্য
১৯৬০-এর দশকে সাসেক্স দল চারজন সিম বোলারকে খেলায়। এ সময়ে তাদের কোন স্পিনার ছিল না। জিলেট কাপ ও হোভের সবুজ উইকেটের উপযোগী বোলিং নিয়ে অগ্রসর হলেও অন্যত্র সফলতা পায়নি তারা। স্নো’র মতে, এরফলে দলকে বেশ মূল্য দিতে হয়েছে। ১৯৬৩ সালে [[কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ|কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে]] দলটি চতুর্থ স্থান দখল করে। অনেকগুলো খেলায় খণ্ডকালীন স্পিনারকে বোলিং করতে দেখা যায়।<ref name="p61, Snow">p61, Snow</ref> দলে প্রতিষ্ঠা লাভ ও টেস্ট বোলার হিসেবে নিয়মিত খেলার ফলে নির্জীব উইকেটেও
এ প্রসঙ্গে সাসেক্স কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, যোগাযোগ রক্ষা করতে না পারা ও দলকে পরিচালনা না করার কথা বলেন যা ক্লাবের ও দলের গতিপথ রুদ্ধ করে দেয়।<ref>p62, Snow</ref> উল্টো তারা জানায় যে, তিনি
== টেস্ট ক্রিকেট ==
১৭ জুন, ১৯৬৫ তারিখে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে [[এম. জে. কে. স্মিথ|এম. জে. কে. স্মিথের]] নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ডের সদস্যরূপে টেস্ট অভিষেক ঘটে জন স্নোয়ের। লর্ডসে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি ফ্রেড ট্রুম্যানের সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এ টেস্টে সাসেক্সের দলীয় সঙ্গী [[টেড ডেক্সটার]] ও [[উইকেট-রক্ষক]] [[জিম পার্কস (ক্রিকেটার, জন্ম ১৯৩১)|জিম পার্কসও]] অংশগ্রহণ করেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২৮/৪ থাকা অবস্থায় তিনি বোলিং আক্রমণে নামেন। মধ্যাহ্নবিরতির পূর্বে [[জন রিচার্ড রিড|জন রিডকে]] পার্কসের কটে ও উইকেট-রক্ষক [[Artie Dick|আর্টি ডিককে]] বোল্ড করেন জন স্নো।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/27/27696.html|শিরোনাম=The Home of CricketArchive|ওয়েবসাইট=cricketarchive.com}}</ref> তবে [[গ্রেইম পোলক|গ্রেইম পোলকের]] ১২৬ রান ও [[পিটার পোলক|পিটার পোলকের]] ১০/৮৭ বোলিং পরিসংখ্যানের ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা দল খেলায় জয় পায়। স্নো ১/৬৩ ও ৩/৮৩ লাভ করেছিলেন। ফলশ্রুতিতে, সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টসহ [[মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব|এমসিসি দলের]] সাথে অস্ট্রেলিয়া গমনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।
১৯৬৬ সালে [[গারফিল্ড সোবার্স|গ্যারি সোবার্সের]] নেতৃত্বাধীন শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ইংল্যান্ড সফরে আসে। হোভে ১০,০০০ দর্শকের সম্মুখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশের বিপক্ষে ৭/২৯ ও ৪/১৮ নিয়ে চমক দেখান।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/28/28154.html|শিরোনাম=The Home of CricketArchive|ওয়েবসাইট=cricketarchive.com}}</ref> খেলায় সাসেক্স দল সফরকারী দলকে ৯ উইকেটে পরাভূত করে। ফলশ্রুতিতে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ট্রেন্ট ব্রিজে খেলার জন্য দলে ফিরিয়ে আনা হয়। খেলায় তিনি ৪/৮৪ ও ০/১১৭ লাভ করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/28/28227.html|শিরোনাম=The Home of CricketArchive|ওয়েবসাইট=cricketarchive.com}}</ref> হেডিংলিতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ টেস্টে ৩/১৪৩ লাভ করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/28/28357.html|শিরোনাম=The Home of CricketArchive|ওয়েবসাইট=cricketarchive.com}}</ref> তাস্বত্ত্বেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে যায়। এ অবস্থায় সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে দলের নেতৃত্বে আসেন অবিস্মরণীয় ক্রিকেট তারকা [[ব্রায়ান ক্লোজ]]। শুরুতে দলের বাইরে অবস্থান করছিলেন জন স্নো।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/28/28408.html|শিরোনাম=The Home of CricketArchive|ওয়েবসাইট=cricketarchive.com}}</ref> কিন্তু, ইংল্যান্ডের তৎকালীন সেরা গতিসম্পন্ন বোলার [[John Price (England cricketer)|জন প্রাইস]] আঘাত পেলে তিনি খেলার সুযোগ পান। সুযোগকে কাজে লাগান তিনি। এক পর্যায়ে দলের সংগ্রহ ছিল ১৬৬/৭। [[টম গ্রেভেনি]] ১৬৫ ও [[জন মারে]] ১১২ রান তুলে দলের বিপর্যয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। এরপর স্নো আট বাউন্ডারি সহযোগে অপরাজিত ৫৯ ও সতীর্থ বোলার [[কেন হিগস]] ৬৩ রান তুলে ১২৮ রান যুক্ত করে দলকে চালকের আসনে এনে দেন। আর মাত্র দুই রান যুক্ত করতে পারলেই
দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানদ্বয় - [[কনরাড হান্ট]] ও [[Easton McMorris|ইস্টন ম্যাকমরিসকে]] ১২ রানে ফেরৎ পাঠান। সোবার্সকে প্রথম বলেই [[শূন্য রান|শূন্য রানে]] ব্রায়ান ক্লোজের কটে পরিণত করেন। এরফলে ইংল্যান্ড খুব সহজেই ইনিংস ও ৩৪ রানে জয় পায়। খেলায় জন স্নো ২/৬৬ ও ৩/৪০ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করিয়েছিলেন। সোবার্স
== ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন==
ব্রায়ান ক্লোজের স্থির দৃষ্টিভঙ্গী কখনো লর্ডসে প্রতিষ্ঠা পায়নি। ফলশ্রুতিতে, অমায়িক প্রকৃতির অধিকারী [[কলিন কাউড্রে|কলিন কাউড্রেকে]] দলের নেতৃত্বে নিয়ে আসা হয়। তিনি ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে এমসিসি দলের অধিনায়ক হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যান। এখানেই প্রকৃতপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্নো
প্যাভিলিয়নের পথে পা বাড়ানো বুচারের আউটের পর দাঙ্গার উপক্রম হয়। দাঙ্গা পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।<ref>p51-54, Snow</ref> ফলো-অনের কবলে পড়েও ৩৯১ রান তুলে। স্নো ১/৯১ লাভ করেন। শেষদিনে ইংল্যান্ড ৬৮/৬ তুলে খেলা শেষ করে। এ সময় পুরো স্টেডিয়াম খালি করা ছিল। বার্বাডোসে ব্যাটিং উপযোগী পিচে সোবার্স ব্যাট করতে নামেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/29/29297.html|শিরোনাম=The Home of CricketArchive|ওয়েবসাইট=cricketarchive.com}}</ref> স্নো ৫/৮০ লাভ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৪৯ রানে ইনিংস শেষ করে দেন। ইংল্যান্ডের ৪৪৯ রানের বিপরীতে স্বাগতিক দল ২৮৪/৬ করে। স্নো ৩/৩৯ পান। ত্রিনিদাদে জয়ের মাধ্যমে ইংল্যান্ড সিরিজ জয় করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/29/29305.html|শিরোনাম=The Home of CricketArchive|ওয়েবসাইট=cricketarchive.com}}</ref> তবে ঐ টেস্টে স্নো ০/৬৮ ও ১/২৯ লাভ করে দলকে জয়ে তেমন ভূমিকা পালন করতে পারেননি। গ্যারি সোবার্স ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারী দলকে পৌনে তিন ঘন্টায় ২১৫ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেন। তবে ইংল্যান্ড দল তিন মিনিট বাকী থাকতে নাটকীয়ভাবে তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। গায়ানার সিরিজের শেষ টেস্টে স্নো ৪/৮৪ ও ৬/৬০ পান।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/29/29310.html|শিরোনাম=The Home of CricketArchive|ওয়েবসাইট=cricketarchive.com}}</ref>
খেলায় তিনি নিজস্ব সেরা টেস্ট পরিসংখ্যান ১০/১৪৪ লাভ করেন যা
== অ্যাশেজ সিরিজ==
১৯৬৮ সালে অস্ট্রেলিয়া দল ইংল্যান্ড সফরে আসে। বৃষ্টিবিঘ্নিত সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে ড্র হলে সফরকারী দল অ্যাশেজ নিজেদের করায়ত্ত্ব রাখে। ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিরিজের প্রথম টেস্টে দলটি ১৫৯ রানে স্বাগতিক দলকে পরাজিত করেছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/29/29449.html|শিরোনাম=The Home of CricketArchive|ওয়েবসাইট=cricketarchive.com}}</ref> স্নো
হেডিংলিতে<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/29/29620.html|শিরোনাম=The Home of CricketArchive|ওয়েবসাইট=cricketarchive.com}}</ref> [[কিথ ফ্লেচার|কিথ ফ্লেচারের]] টেস্ট অভিষেক হয়। স্নো’র বলে স্লিপে দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ফ্লেচার। একটি ডানদিকে ও অপরটি বামদিকে ছিল। স্নো ৩/৯৮ পেয়েছিলেন।<ref>p11, Freddi</ref> চূড়ান্ত টেস্টটি ওভালে অনুষ্ঠিত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/29/29713.html|শিরোনাম=The Home of CricketArchive|ওয়েবসাইট=cricketarchive.com}}</ref> মূলতঃ [[ডেরেক আন্ডারউড|ডেরেক আন্ডারউডের]] কারণে বৃষ্টি নামার মাত্র তিন মিনিট পূর্বে ইংল্যান্ড জয় পায়। স্নো ও কাছাকাছি থাকা অপর আটজন ফিল্ডার তখন দূর্ভাগা অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানের পাশে ‘‘রিং এ রিং ও’ রোজেস’’ গান গাইতে থাকেন।<ref name="p61, Snow"/> প্রথম ইনিংসে ৩/৬৭ পেলে সিরিজে ২৯.০৮ গড়ে ১৭ উইকেট পান। কেবলমাত্র আন্ডারউড ১৫.১০ গড়ে ২০ উইকেট নিয়ে
== পাকিস্তান গমন ==
১৯৬৮-৬৯ মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো সিলন যান। এরপর পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান গমন করেন। দেশটি তখন অস্থিতিশীল অবস্থায় ছিল। ছাত্ররা সশস্ত্র অবস্থায় [[ঢাকা|ঢাকাকে]] নিয়ন্ত্রণ করছিল ও সফর চালিয়ে নেবার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ব্রিটিশ হাই কমিশন থেকে এমসিসিকে তাঁদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করে।<ref>p66-74, Snow</ref>
কাউড্রে প্রথম টেস্ট শুরুর পূর্বে পূর্ণ শক্তি নিয়ে কয়েক ওভার অনুশীলনীর কথা স্নোকে জানান। কিন্তু, স্নো তা প্রত্যাখান করে জানান যে, আগামী দুই দিন তিনি অনুশীলনী করতে পারবেন না; কেবলমাত্র মিডিয়াম পেস বোলিং করতে সক্ষম হবেন। ফলশ্রুতিতে,
== ক্রিকেট বিশ্বকাপ ==
[[১৯৭৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ|১৯৭৫]] সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত [[ক্রিকেট বিশ্বকাপ|ক্রিকেট বিশ্বকাপের]] উদ্বোধনী আসর অনুষ্ঠিত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.cricinfo.com/england/content/image/372857.html?object=20282|শিরোনাম=(Photo) Sunil Gavaskar watches John Snow send down a delivery|প্রকাশক=}}</ref>
[[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়ার]] বিপক্ষে বিপর্যকর [[ফলাফল (ক্রিকেট)|ফলাফলের]] পর জন স্নো পুণরায় ইংল্যান্ড দলে খেলার জন্য মনোনীত হন। লর্ডসে [[ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল|ভারতের]] বিপক্ষে নির্ধারিত ১২ ওভারে মাত্র চব্বিশ রান দিলেও কোন উইকেট পাননি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/35/35184.html|শিরোনাম=The Home of CricketArchive|প্রকাশক=}}</ref> তবে ঐ খেলায়
ঐ প্রতিযোগিতায় ১০.৮৩ গড়ে ৬ উইকেট নিয়ে বোলিং গড়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ বোলার ও ইংল্যান্ডের সেরা বোলার হন।<ref>https://cricketarchive.com/Archive/Events/ENG/Prudential_World_Cup_1975/Bowling_by_Average.html.</ref>
১৪৭ নং লাইন:
== খেলার ধরন ==
জন স্নো
১৯৭০-৭১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে ছয় টেস্টে অংশ নিয়ে ২২.৮৩ গড়ে ৩১ উইকেট পেলেও সফরের অন্য ছয়টি [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর খেলায়]] ৭১.৫৭ গড়ে মাত্র ৭ [[উইকেট]] পেয়েছিলেন। টেস্টে তিনি চতুরতার সাথে বোলিং করতেন। ১৯৬০-এর দশকে [[চার্লি গ্রিফিথ|চার্লি গ্রিফিথের]] ন্যায় কিছুটা খাঁটোমানের বোলিং করতেন। ফলে, কিছুটা লাফিয়ে ব্যাটসম্যানের শরীরে স্পর্শ করতো।<ref name="ReferenceB"/> এরফলে, তিনি বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যানের মাথায় আঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়ান। ১৯৬৮ সালে হোভে [[সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|সমারসেটের]] পক্ষে [[কাউন্টি ক্রিকেট|কাউন্টি ক্রিকেটে]] অংশগ্রহণকারী গ্রেগ চ্যাপেল এবং ১৯৭০-৭১ মৌসুমে সিডনি টেস্টে [[ব্যাটিং অর্ডার|নিচেরসারির]] ব্যাটসম্যান [[গ্রাহাম ম্যাকেঞ্জি|গার্থ ম্যাকেঞ্জি]] ও [[Terry Jenner|টেরি জেনার]]
আক্রমণধর্মী ও খাঁটো প্রকৃতির বোলিং করে মাঠে বেশ কিছু ঘটনায় বিতর্কের সৃষ্টি করে গেছেন। ব্যাটসম্যানেরা
ট্রুম্যান ও [[ব্রায়ান স্ট্যাদাম|স্ট্যাদাম]] বাদে নিয়মিতভাবে আর কোন নতুন বলের জুটি গড়তে পারেননি। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত উইলিস খেললেও আঘাত কিংবা দলে অন্তর্ভূক্তির বিষয়ের সমস্যা থাকায়
[[ফ্রেড ট্রুম্যান]] ও [[বব উইলিস|বব উইলিসের]] সাথে তিনিও ইংল্যান্ডের সর্বাপেক্ষা অবিস্মরণীয় ফাস্ট বোলারের মর্যাদা লাভ করেছেন।<ref name="ReferenceA">p231, Swanton, 1986.</ref> উভয়ের সাথেই খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে একত্রে [[টেস্ট ক্রিকেট]] খেলেছেন। ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ১৯৭০-৭১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্মরণীয় বোলিং করে দলে বিজয়ে সবিশেষ অবদান রাখেন। ১৯৭৩ সালে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ উইজডেন কর্তৃক [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটার]] হিসেবে নামাঙ্কিত হন।
== প্রকাশনা জগৎ ==
‘ক্রিকেট রেবেল’ শীর্ষক আত্মজীবনী প্রকাশ করেছেন। এতে সাসেক্স ও লর্ডস কর্তৃপক্ষের সাথে
দুইটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেছেন তিনি। ১৯৭১ সালে ফুলার ডি’আর্ক স্মিথ লিমিটেড থেকে ‘কন্ট্রাস্টস’ ও ১৯৭৩ সালে কে এন্ড ওয়ার্ড লিমিটেড থেকে ‘মোমেন্টস অ্যান্ড থটস’ শীর্ষক দুই খণ্ডের কাব্যগ্রন্থ জন স্নো প্রকাশ করেন। উভয় গ্রন্থটিই নিজ আত্মজীবনী ‘ক্রিকেট রেবেল’ থেকে সঙ্কলিত। ‘লর্ডস টেস্ট’ শীর্ষক একটি কবিতায় বিশ্ব ক্রিকেটের সদর দফতরে খেলার উপযুক্ততা<ref name="p77 Snow"/> ও
১৯৬৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৫/১১৪ লাভ করেন। এক টেলিভিশন প্রতিষ্ঠান কবিতাটির কথা জানতে পারে ও লর্ডসের পরবর্তী গ্রীষ্মে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে চলচ্চিত্র আকারে ধারনের আয়োজন করে। জন বেজেম্যানের সাথে
== তথ্যসূত্র ==
|