গারফিল্ড সোবার্স: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
২টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta15)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৯১ নং লাইন:
| source = http://content-uk.cricinfo.com/ci/content/player/52946.html ক্রিকইনফো.কম
}}
'''স্যার গারফিল্ড সেন্ট অব্রান সোবার্স''' বা '''গ্যারি সোবার্স''' ({{lang-en|Garfield Sobers}}; [[জন্ম]]: [[২৮ জুলাই]], [[১৯৩৬]]) [[বার্বাডোস|বার্বাডোসের]] ব্রিজটাউনে জন্মগ্রহণকারী [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল|ওয়েস্ট ইন্ডিজের]] বিখ্যাত ও সাবেক আন্তর্জাতিক [[ক্রিকেট]] তারকা। ক্রিকেটবোদ্ধাদের অনেকেই তাঁকেতাকে [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট ক্রিকেটের]] ইতিহাসে সর্বকালের সেরা [[অল-রাউন্ডার]] হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন।
 
[[ব্যাটিং (ক্রিকেট)|ব্যাটিং]]-[[বোলিং (ক্রিকেট)|বোলিং]] উভয় বিভাগেই তিনি সমান পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি ছিলেন খুবই উঁচুমানের এবং বোলিংয়েও কার্যকারিতা প্রদর্শন করেছেন। [[ফাস্ট বোলিং]] এবং স্পিন - উভয়ভাবেই বোলিং করেছেন '''গারফিল্ড সোবার্স'''।
 
== প্রারম্ভিক জীবন ==
বার্বাডোসের ব্রিজটাউন এলাকার ওয়ালকট এভিনিউতে ''শামন্ত'' ও ''থেলমা সোবার্স'' দম্পতির সন্তানরূপে ২৮ জুলাই, ১৯৩৬ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন গারফিল্ড সেন্ট অব্রান সোবার্স।<ref name=GS7/><ref name="Wisden Cricketer of the Year 1964">[http://www.cricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/154556.html Wisden Cricketer of the Year 1964]. Retrieved on 16 August 2009.</ref><ref>[http://www.cricketarchive.com/Archive/Players/0/985/985.html CricketArchive – confirmation of name]. Retrieved on 16 August 2009.</ref> তিনি ছিলেন পরিবারের ছয় সন্তানের মধ্যে পঞ্চম।<ref name=GS7>Sobers, p. 7.</ref><ref name="BGIS">[http://www.barbados.gov.bb/garfieldsob.htm Barbados Government Information Service] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20071124143407/http://www.barbados.gov.bb/garfieldsob.htm |তারিখ=২৪ নভেম্বর ২০০৭ }}. Retrieved on 7 November 2008.</ref> জন্মকালীন সময়ে তাঁরতার উভয় হাতেই দুইটি [[polydactyly|অতিরিক্ত আঙ্গুল]] ছিল যা শৈশবকালেই ধারালো ছোড়ার সাহায্যে অঙ্গচ্ছেদন করা হয়েছিল।<ref>Sobers, p. 6.</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি
| শেষাংশ =
| প্রথমাংশ =
১০৮ নং লাইন:
| ডিওআই =
| সংগ্রহের-তারিখ = 5 February 2009}}
</ref> পাঁচ বছর বয়সে জানুয়ারি, ১৯৪২ সালে তাঁরতার বাবা সমুদ্রে ডুবে মৃত্যুবরণ করেন। [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] সময় জার্মানদের ইউ-বোটের টর্পেডোর আঘাতই জাহাজডুবির কারণ ছিল।<ref name=GS7/> বার্বাডোসের বে সেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করেন।
 
বালক অবস্থায় গ্যারি সোবার্সকে অনুশীলনে বোলিং করার জন্য সাহস জোগাতেন [[ডেনিস অ্যাটকিনসন]]। বার্বাডোসের ওয়ান্ডেরার্স ক্রিকেট ক্লাবে ডেনিস অ্যাটকিনসন খেলতেন। তিনি স্ট্যাম্পের ওপর একটি সিলিং রাখতেন ও সোবার্সকে তা স্পর্শ করার কথা বলতেন। এ প্রসঙ্গে সোবার্স বলেছিলেন, সিলিং স্পর্শ করার সুবাদে তিনি নিজের কাছে তা রাখতেন।<ref>Garry Sobers, ''My Autobiography'', Headline, London, 2002, pp. 14–15.</ref> এভাবেই বামহাতি স্পিনার হিসেবে আবির্ভূত হন গ্যারি সোবার্স।
১১৫ নং লাইন:
ক্রিকেট খেলায় তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান ও বামহাতি বোলার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ব্যতিক্রমধর্মী বোলার হিসেবে পরিচিত ছিলেন সোবার্স। ওভারের এক-একটি বলকে মিডিয়াম পেস থেকে শুরু করে বামহাতি স্পিন করতেন। [[ফিল্ডিং (ক্রিকেট)|ফিল্ডার]] হিসেবেও যে-কোন অবস্থানে থেকে তিনি সফলতা দেখিয়েছেন। তবে উইকেটের কাছাকাছি এলাকাতেই ফিল্ডিং করতে পছন্দ করতেন।
 
১৯৫২-৫৩ মৌসুমে [[কেনসিংটন ওভাল|কেনসিংটন ওভালে]] [[Barbados cricket team|বার্বাডোসের]] সদস্যরূপে সফরকারী [[ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল|ভারত দলের]] বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। শুরুতে তাঁকেতাকে দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে মনোনীত করা হলেও [[ফ্রাঙ্ক কিং]] স্বেচ্ছায় নাম প্রত্যাহার করায় তিনি নিয়মিত একাদশে খেলার সুযোগ পান।<ref name="BGIS"/> এরপর ৩১ জানুয়ারি, ১৯৫৩ তারিখে ১৬ বছর বয়সে [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে]] তাঁরতার অভিষেক ঘটে। নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে তিনি অপরাজিত ৭* রান করলেও বোলিংয়ে চমক দেখান। উভয় ইনিংসে যথাক্রমে ৪/৫০ ও ৩/৯২ করেন।<ref>[http://www.cricketarchive.co.uk/Archive/Scorecards/20/20522.html CricketArchive: match scorecard]. Retrieved on 7 November 2008.</ref> এক বছর পর তিনি দ্বিতীয়বারের মতো [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর খেলায়]] সফরকারী [[মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব|মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)’র]] বিপক্ষে অংশগ্রহণ করেন।<ref>[http://www.cricketarchive.co.uk/Archive/Scorecards/20/20977.html second first-class appearance]</ref> খেলায় তিনি ৪৬ ও ২৭ রান করার পাশাপাশি দুই উইকেট লাভ করেন। এরফলে [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড|ওয়েস্ট ইন্ডিজ কর্তৃপক্ষ]] তাঁকেতাকে [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট ক্রিকেটে]] অন্তর্ভুক্ত করে।
 
== টেস্ট ক্রিকেট ==
৩০ মার্চ, ১৯৫৪ তারিখে [[১৯৫৩-৫৪ ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর|সফরকারী]] [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ডের]] বিপক্ষে গ্যারি সোবার্সের টেস্ট অভিষেক ঘটে। কিংস্টনের [[সাবিনা পার্ক|সাবিনা পার্কে]] অনুষ্ঠিত ৫ম ও চূড়ান্ত টেস্টে [[আল্ফ ভ্যালেন্টাইন|আল্ফ ভ্যালেন্টাইনের]] পীড়াজনিত কারণেই তাঁরতার অংশগ্রহণ।<ref name="Sobers: 36">Sobers (2002), p. 36.</ref><ref>[http://www.cricketarchive.co.uk/Archive/Scorecards/21/21007.html CricketArchive: match scorecard]. Retrieved on 8 November 2008.</ref> বোলার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ঘটলেও বার্বাডোসে অনুষ্ঠিত টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দূর্দান্ত ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। প্রথম ইনিংসের উদ্বোধনী ওভারেই উইকেট প্রাপ্তিসহ ৪/৭৫ লাভ করেন। নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে অপরাজিত ১৪* ও ২৬ রান সংগ্রহ করেন। তারপরও ইংল্যান্ড ৯ উইকেটের ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে পরাজিত করেছিল।<ref name="Sobers:38-40">Sobers (2002), pp. 38–40.</ref>
 
তাঁরতার দল [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়াকে]] পরাভূত করে। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে [[পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল|পাকিস্তানের]] বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টের এক ইনিংসে সোবার্স [[অপরাজিত (ক্রিকেট)|অপরাজিত]] ৩৬৫* রান করেন। এ রান করার ফলে তিনি [[বিশ্বরেকর্ড]] করেন যা ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত অক্ষত ছিল। তারপর ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করতে দলকে সহায়তা করেন।
 
== কীর্তিগাঁথা ==
{{টেস্ট ক্রিকেট ব্যাটিং গড়}}
টেস্ট ক্রিকেটে তিনি প্রায় বিশ বছর জড়িত ছিলেন। সর্বমোট নয়জন বার্বাডিয়ান ক্রিকেটার ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তন্মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে ৩৯বার [[অধিনায়ক (ক্রিকেট)|নেতৃত্ব]] দেন তিনি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://stats.cricinfo.com/ci/engine/records/individual/most_matches_as_captain.html?class=1;id=4;type=team |শিরোনাম=Records / West Indies / Test matches / Most matches as captain|সংগ্রহের-তারিখ=2010-06-29|প্রকাশক=Cricinfo }}</ref>
এছাড়াও বার্বাডিয়ানদের মধ্যে সর্বাধিক টেস্ট রান সংগ্রহ করেছেন। তাঁরতার সংগৃহীত ৮,০৩২ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে চতুর্থ সর্বোচ্চ সংগ্রহ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://stats.cricinfo.com/ci/engine/records/batting/most_runs_career.html?class=1;id=4;type=team |শিরোনাম=Records / West Indies / Test matches / Most runs|সংগ্রহের-তারিখ=2010-06-29|প্রকাশক=Cricinfo }}</ref> তিনি ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত [[কাউন্টি ক্রিকেট|কাউন্টিতে]] [[নটিংহ্যামশায়ার ক্রিকেট দল|নটিংহ্যামশায়ার ক্রিকেট দলের]] অধিনায়ক ছিলেন।
 
১৯৬৮ সালে [[ম্যালকম ন্যাশ|ম্যালকম ন্যাশের]] এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকিয়ে গ্যারি সোবার্স বিশ্বরেকর্ড গড়েন। এরফলে ২৪ আগস্ট, ১৯৩৮ তারিখে ওয়েলসে অনুষ্ঠিত খেলায় [[কেন্ট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|কেন্টের]] অল-রাউন্ডার [[ফ্রাঙ্ক ওলি|ফ্রাঙ্ক ওলি’র]] এক ওভার থেকে [[আর্থার ওয়েলার্ড|আর্থার ওয়েলার্ডের]] সংগৃহীত পাঁচ ছক্কা হাঁকানোর বিশ্বরেকর্ড ম্লান হয়ে যায়।
১৩৪ নং লাইন:
১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে বর্ষসেরা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটারের পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৬৪ সালে [[উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক|উইজডেন]] কর্তৃক [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটার]] মনোনীত হন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.cricketarchive.com/Archive/Players/Overall/Wisden_Cricketers_of_the_Year.html |শিরোনাম=Wisden Cricketers of the Year |সংগ্রহের-তারিখ=2009-02-21 |প্রকাশক=CricketArchive|ভাষা=en}}</ref> ইংরেজ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে শীর্ষ অল-রাউন্ডার হবার সুবাদে ১৯৭০ সালে ক্রিকেট সোসাইটি ওয়েথেরাল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৪ সালে লাভ করেন ওয়াল্টার লরেন্স ট্রফি।
 
২০০০ সালে [[উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক|উইজডেন]] কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তিনি শতাব্দীর সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজনরূপে মনোনীত হন। ১০০ সদস্যের ক্রিকেট বোদ্ধাদের নিয়ে গড়া কমিটির মাধ্যমে তিনি দ্বিতীয় সর্বাধিক ৯০ ভোট পান। তাঁরতার সম্মুখে ছিলেন [[ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান]] (১০০)। এছাড়াও, [[জ্যাক হবস]] (৩০), [[শেন ওয়ার্ন]] (২৭) ও [[ভিভ রিচার্ডস]] (২৫) এ তালিকায় ছিলেন।
 
২০০৪ সালে [[আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল|আইসিসি]] কর্তৃক প্রবর্তিত [[স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি]] তাঁরতার নাম অনুসরণে রাখা হয়। [[ট্রফি|ট্রফির]] নামকরণের পর সোবার্স তাঁরতার পছন্দের কমিটিতে বিখ্যাত ক্রিকেটার [[রিচি বেনো]], [[সুনীল গাভাস্কার]] ও [[মাইকেল হোল্ডিং|মাইকেল হোল্ডিংকে]] রাখেন। পরবর্তীতে আইসিসি কর্তৃক তাঁদেরকে ‘একজন ব্যক্তিকে নির্ধারণপূর্বক ক্রিকেটের সম্মান বৃদ্ধিকল্পে ব্যক্তিগত পুরস্কার প্রদানে’ ক্ষমতা প্রদান করেছিল।
 
== বিতর্কিত ভূমিকা ==
[[চিত্র:Sobers statue kensington.jpg|right|200px|কেনসিংটনে গারফিল্ড সোবার্সের আবক্ষ মূর্তি]]
সেপ্টেম্বর, ১৯৫৯ সালে ইংল্যান্ডে অবস্থানকালে গ্যারি সোবার্স চালকের অবস্থানে ছিলেন ও ঐ গাড়ীতে [[টম ডিউডনি|টম ডিউডনিসহ]] নিহত দলীয় সঙ্গী [[কোলি স্মিথ]] ছিলেন।<ref name="car">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=A South African great arrives |ইউআরএল=http://www.espncricinfo.com/magazine/content/story/149202.html |প্রকাশক=ESPN Cricinfo |সংগ্রহের-তারিখ=8 May 2017}}</ref> গাড়ীটি ট্রাকের ধাক্কা খায়। ঐ মৌসুমে তাঁরাতারা সকলেই ইংরেজ লীগ ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছিলেন। আঘাতের কারণে ডিউডনি ও সোবার্সকে আরোগ্যলাভের জন্য কিছুকাল হাসপাতালে অবস্থান করতে হয়েছিল।
 
৭ সেপ্টেম্বর ভোর ৪:৪৫ ঘটিকায় দূর্ঘটনাটি ঘটে। দাতব্য খেলায় অংশ নিতে তাঁরাতারা ভ্রমণ করছিলেন। এ সময় স্মিথ পিছনে ঘুমোচ্ছিলেন ও সামনে ছিটকে পড়েন। শুরুতে তাঁরতার আঘাত তেমন গুরুতর ছিল না যা সোবার্সকে তিনি বলেছিলেন। অন্যদিকে টম ডিউডনি মন্তব্য করেন যে, আমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করো না। কিন্তু তাঁরতার মেরুদণ্ডে গুরুতরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয় ও এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন কোলি। তিনদিন পর তাঁরতার মৃত্যু ঘটে।
 
সোবার্সকে জেরার মুখোমুখি হতে হয়।<ref name=times12sep>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |সংবাদপত্র=The Times |তারিখ=12 September 1959 |পাতা=10 |শিরোনাম=News in brief - Prosecution notice on cricketer}}</ref> ১১ নভেম্বর তারিখে স্টোনের ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সোবার্সকে দায়িত্বজ্ঞানহীন অবস্থায় গাড়ী চালনার অভিযোগ আনা হয়। সোবার্স বন্ধনী ব্যবহার করেননি ও বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাক চালকের গাড়ীর মুখোমুখি হন। সোবার্সকে ১০ পাউন্ড জরিমানা প্রদান করা হয় ও ১৬.১৭ পাউন্ড ক্ষতিপূরণ গুণতে হয়। এছাড়াও, এক মাসের জন্য তাঁরতার লাইসেন্স স্থগিত করা হয়। তবে, সোবার্স নিজেকে দোষী হিসেবে মনে করেননি। তিনি দাবী করেন যে, গাড়ীর বাতিতে বিভ্রান্তির কবলে পড়েছিলেন।<ref name=times12nov>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |সংবাদপত্র=The Times |তারিখ=12 November 1959 |পাতা=16 |শিরোনাম=West Indian cricketer fined - Chairman refers to a "disastrous episode"}}</ref>
 
== ব্যক্তিগত জীবন ==
১৯৮০ সালে বৈবাহিকসূত্রে তিনি বার্বাডিয়ান-অস্ট্রেলীয় হিসেবে দ্বৈত নাগরিকত্ব লাভ করেন।<ref name=cit80>[http://www.telegraph.co.uk/news/worldnews/europe/1356900/Sobers-bat-that-hit-six-sixes-is-up-for-sale.html Telegraph, 19 June 2001, Sobers bat that hit six sixes is up for sale]</ref><ref name=citmarr>[http://in.rediff.com/cricket/2003/jun/09waugh.htm Reuters:Cricket, 9 June 2003, Australia honours Steve Waugh in Queen's Birthday list]</ref> ১৯৯৮ সালে [[Parliament of Barbados|বার্বাডোসের সংসদের]] অধ্যাদেশ বলে দশজনের একজন হিসেবে [[Barbadian National Heroes|বার্বাডোসের জাতীয় বীরের]] মর্যাদা লাভ করেন।<ref name=NationNews>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Sir Garry: What about Wes? |লেখক= |প্রথমাংশ=Kenmore |শেষাংশ=Bynoe |লেখক-সংযোগ= |লেখক-সংযোগ২= |ইউআরএল=http://www.nationnews.com/articles/view/sir-garry-what-about-wes/ |এজেন্সি= |সংবাদপত্র=[[The Daily Nation (Barbados)|Nation Newspaper]] |প্রকাশক= |অবস্থান= |আইএসবিএন= |issn= |oclc= |pmid= |pmd= |বিবকোড= |ডিওআই= |আইডি= |তারিখ=3 May 2011 |পাতা= |পাতাসমূহ= |at= |সংগ্রহের-তারিখ=28 June 2011 |ভাষা=en |trans_title= |উক্তি=Just a couple of days after Barbados celebrated its heroes, the sole living National Hero, The Right Excellent Sir Garfield Sobers, has expressed amazement that one of his closest comrades on the cricket field, Wesley Hall, has not been given a knighthood by his country. |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110508145409/http://www.nationnews.com/articles/view/sir-garry-what-about-wes/ |আর্কাইভের-তারিখ=৮ মে ২০১১ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ |সূত্র= }}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.barbadosparliament.com/history.php |শিরোনাম=Parliament's History |লেখক=[[Parliament of Barbados]] |বছর=2009 |প্রকাশক=Barbadosparliament.com |সংগ্রহের-তারিখ=15 November 2011 |ভাষা=en |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070523083154/http://www.barbadosparliament.com/history.php |আর্কাইভের-তারিখ=২৩ মে ২০০৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
 
সোবার্স ক্রিকেট বিষয়ক বেশ কয়েকটি পুস্তক রচনা করেছেন। এছাড়াও, ১৯৬৭ সালে ‘বোনাভেঞ্চার এন্ড দ্য ফ্ল্যাশিং ব্লেড’ শীর্ষক উপন্যাস এবং একই বছরে জে.এস. বার্কারের সাথে যৌথভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট ইতিহাস নামের বই প্রকাশ করেন। প্রথিতযশা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান টেস্ট ক্রিকেটার [[ডেভিড হলফোর্ড]] সম্পর্কে তাঁরতার কাকাতো ভাই হন।<ref>Lawrence Booth, "[http://content-uk.cricinfo.com/allrounder/content/current/story/287801.html Nothing he couldn't do]" (March 30, 2007).</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==