ডেভন ম্যালকম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৯২ নং লাইন:
 
== খেলার ধরন ==
১৯৯০-এর দশকে ইংল্যান্ডের স্বল্প কয়েকজন প্রকৃত ফাস্ট বোলারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। জামাইকার কিংস্টনে জন্মগ্রহণ করলেও ইংল্যান্ডের নাগরিক হন। ১৯৮৪ সালে [[Derbyshire County Cricket Club|ডার্বিশায়ারের]] পক্ষে তাঁরতার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। এরপর ১৯৮৭ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলার সুযোগ লাভ করেন। ৪০ টেস্টে অংশগ্রহণ করলেও তিনি মাত্র দশটি [[একদিনের আন্তর্জাতিক|একদিনের আন্তর্জাতিকে]] অংশ নেয়ার সুযোগ পান। তিনি তাঁরতার সময়কালে বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার ছিলেন।
 
ব্যাট হাতে নিদারুণ ব্যর্থ হলেও তাঁরতার জনপ্রিয়তা ছিল।<ref>[http://content-uk.cricinfo.com/ci/content/story/303300.html Cricinfo – The Jack of all rabbits<!-- Bot generated title -->]</ref> সচরাচর এগারো নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামতেন। [[ব্যাটিং অর্ডার]] নিয়ে তাঁকেতাকে প্রায়শঃই [[ফিল টাফনেল|ফিল টাফনেলের]] সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হতো। বেশ কিছু দূর্দান্ত ছক্কা হাঁকাতেন ও ধারাভাষ্যকার [[Brian Johnston|ব্রায়ান জনস্টনের]] কাছে জনপ্রিয়তা পান। ক্রিকেট লেখক কলিন ব্যাটম্যান মন্তব্য করেন যে, ম্যালকম মনে প্রাণে কিন্তু সাবলীলভাবে মাঠে নামতেন ও জাতীয় বীর বনে যেতেন।<ref name="Cap"/>
 
== খেলোয়াড়ী জীবন ==
১৯৮৯ সালের [[দি অ্যাশেজ|অ্যাশেজ সিরিজ]] চলাকালে টেস্ট দলের অনেক সদস্য [[South African rebel tours|দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্রোহী সফরে]] আগ্রহ প্রকাশ করলে [[ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড|দল নির্বাচকমণ্ডলী]] তাঁদেরকে সিরিজের বাদ-বাকী টেস্ট থেকে বাদ দেয়। ফলে, ম্যালকমের ইংল্যান্ড দলের পক্ষে খেলার সুযোগ ত্বরান্বিত হয়। ইতোমধ্যেই ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়া দলের]] বিপক্ষে ৫ম টেস্টে মাঠে নামেন। [[মার্ক টেলর]]-[[জিওফ মার্শ]] অপরাজিত অবস্থায় থাকলে প্রথম দিন তাঁরতার উইকেটবিহীন অবস্থায় কাটে। দ্বিতীয় দিন [[স্টিভ ওয়াহ|স্টিভ ওয়াহকে]] শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরৎ পাঠান। তাস্বত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়া পুণরায় ইনিংস ব্যবধানে জয়ী হয়। নীচের সারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উভয় ইনিংসে সর্বমোট ১৪ রান তুলেন। তন্মধ্যে একটি চার ও একটি ছক্কার মার ছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরবর্তী সিরিজে নিজস্ব সর্বোচ্চ ২৯ তুলেন মাত্র ১৮ বলে। এতে তিনটি চারের মার ছিল ও [[শেন ওয়ার্ন|শেন ওয়ার্নের]] বলে উপর্যুপরি দুইটি ছক্কা হাঁকান।<ref name="Cricinfo - Long live the tail">[http://content-usa.cricinfo.com/england/content/story/276556.html Cricinfo – Long live the tail<!-- Bot generated title -->]</ref>
 
১৯৮৯-৯০ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ড জয় পায়। দ্বিতীয় টেস্টে ম্যালকম দশ উইকেট তুলে নেন ও চার টেস্টের সিরিজে ১৯ উইকেট পান। এরফলে ঐ সফরে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন তিনি।
 
২০ আগস্ট, ১৯৯৪ তারিখে ওভালে সফরকারী [[দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দল|দক্ষিণ আফ্রিকার]] বিপক্ষে [[Fanie de Villiers|ফ্যানি ডি ভিলিয়ার্সের]] বলে ম্যালকমের হেলমেটে আঘাত লাগে। এরপর তিনি তাঁরতার জনপ্রিয় বাক্য "তুমি ইতিহাস হয়ে আছ" বলেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/sport1/hi/cricket/england/7541544.stm | কর্ম=BBC News | প্রথমাংশ=Pranav | শেষাংশ=Soneji | শিরোনাম=Malcolm's greatest spell | তারিখ=5 August 2008|ভাষা=en}}</ref> এরপর তিনি স্মরণীয় বোলিং করেন ৯/৫৭ যাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং অর্ডার ধূলিস্মাৎ হয়ে যায়। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তাঁরতার এ বোলিং পরিসংখ্যান ঐ সময় ষষ্ঠ সেরা ছিল। তাঁরতার এ সাফল্য ২০০২ সালে চ্যানেল ফোরের ১০০ সেরা ক্রীড়া মূহূর্তে ৯১তম অবস্থানে ছিল। বিংশ শতকে ইংরেজ ফাস্ট বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং পরিসংখ্যান হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৯৯৫ সালে উইজডেন কর্তৃক [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটার]] মনোনীত হন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.cricketarchive.com/Archive/Players/Overall/Wisden_Cricketers_of_the_Year.html |শিরোনাম=Wisden Cricketers of the Year |সংগ্রহের-তারিখ=2009-02-21 |প্রকাশক=CricketArchive|ভাষা=en}}</ref>
 
১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে অংশ নেয়ার পর ইংল্যান্ড দলের ম্যানেজার [[রে ইলিংওয়ার্থ|রে ইলিংওয়ার্থের]] সাথে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/sport1/low/cricket/counties/leicestershire/2019449.stm | কর্ম=BBC News | প্রথমাংশ=Paul | শেষাংশ=Grunill | শিরোনাম=Devon built for speed | তারিখ=31 May 2002|ভাষা=en}}</ref> এছাড়াও ইংল্যান্ডের তৎকালীন [[কোচ (ক্রীড়া)|বোলিং কোচ]] [[Peter Lever|পিটার লিভারের]] সাথেও তাঁরতার মতানৈক্য ঘটে।<ref name="content-uk.cricinfo.com">[http://content-uk.cricinfo.com/ci/content/story/133797.html Cricinfo – England's erratic assassin<!-- Bot generated title -->]</ref> চূড়ান্ত টেস্টে দ্বিতীয় নতুন বল হাতে নিয়েও [[ডেভ রিচার্ডসন]] ও [[পল অ্যাডামস|পল অ্যাডামসের]] শেষ উইকেট জুটিতে ৭৩ রান উঠে।
 
ম্যালকমের আট বছরের খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে ১৯৯৭ সালের অ্যাশেজ সিরিজের ওভালের চূড়ান্ত টেস্টে। তাঁরতার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূত্রপাত ঘটে অ্যাশেজের পরাজয় ও সমাপ্তি ঘটে অ্যাশেজ টেস্ট জয়ের মাধ্যমে। কিন্তু, তিনি ১৪ ওভার বোলিং করে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসের তৃতীয় বলে [[ম্যাথু এলিয়ট|ম্যাথু এলিয়টকে]] লেগ বিফোরের ফাদে ফেলে একটিমাত্র উইকেট পেয়েছিলেন। যদিও ইংল্যান্ডের পক্ষে শতাধিক উইকেট পেয়েছেন, কিন্তু তাঁরতার শেষ টেস্টের [[বোলিং গড়]] ছিল ৩৭-এর উপর।
 
== অবসর ==