বদরুল আলম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩২ নং লাইন:
 
== জন্ম ও শিক্ষাজীবন ==
বদরুল আলমের পৈতৃক বাড়ি [[মানিকগঞ্জ জেলা|মানিকগঞ্জের]] [[সিঙ্গাইর উপজেলা|সিঙ্গাইর উপজেলার]] বাড়াইয়ের চর গ্রামে। তাঁরতার বাবার নাম খন্দকার মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা এবং মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। তাঁরতার স্ত্রীর নাম নাদেরা আলম। তাঁদের এক ছেলে, এক মেয়ে।
 
== কর্মজীবন ==
পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে ফ্লাইং অফিসার ছিলেন বদরুল আলম। [[১৯৭১]] সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের সারগোদা বিমানঘাঁটিতে কর্মরত ছিলেন। এ সময় নিজের ইচ্ছায় বদলি হয়ে [[ঢাকা|ঢাকায়]] আসেন। [[মুক্তিযুদ্ধ]] শুরু হলে তিনি মে মাসের প্রথমার্ধে [[ঢাকা]] থেকে পালিয়ে [[ভারত|ভারতে]] যান। প্রথম দিকে তিনি মুক্তিবাহিনীর সদর দপ্তরে স্টাফ অফিসার হিসেবে কাজ করেন। পরে [[বাংলাদেশ বিমানবাহিনী]] গঠিত হলে তিনি এতে যোগ দেন। বিমানবাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় বৈমানিক ও এয়ারম্যান রিক্রুট ও তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। নভেম্বর থেকে প্রত্যক্ষ অপারেশন শুরু করেন। তিনি গোদনাইল ছাড়াও আখাউড়া, সিলেট ও নরসিংদীর রায়পুরাসহ আরও কয়েকটি স্থানে বিমান অপারেশন করেন। এসব হামলার বেশির ভাগ তাঁরতার কমান্ডেই পরিচালিত হয়। বদরুল আলম [[১৯৭৫]] সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তিনি পরে বাংলাদেশ বিমানে চাকরি করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম= একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা (খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রন্থ)|শেষাংশ= |প্রথমাংশ= |লেখক-সংযোগ= |coauthors= |বছর=জুন ২০১২ |প্রকাশক= জনতা ব্যাংক লিমিটেড |অবস্থান= |আইএসবিএন= 978-984-33-5144-9|পাতা= ১০১|পাতাসমূহ= |সংগ্রহের-তারিখ= |ইউআরএল=}}</ref>
 
== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
[[১৯৭১]] সালের [[৩ ডিসেম্বর]] গভীর রাতে ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্যের পাহাড়ি এলাকা ডিমাপুর থেকে উড্ডয়ন করল একটি হেলিকপ্টার। সেটি চালাচ্ছেন বদরুল আলম, [[সুলতান মাহমুদ]] ([[বীর উত্তম]]) ও [[শাহাব উদ্দিন]] ([[বীর উত্তম]])। তাঁদের সঙ্গে আছেন আরও দুজন। তাঁরাতারা অপারেটর। হেলিকপ্টারটি ছোট আকৃতির। নাম অ্যালুয়েট। এতে আছে ১৪টি রকেট ও একটি মেশিনগান। তাঁরাতারা যাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল অভিমুখে। হেলিকপ্টারটির রাতে ওড়ার ক্ষমতা ছিল না। তার পরও ঝুঁকি নিয়ে তাঁরাতারা অপারেশনে রওনা হয়েছেন। তাঁদের লক্ষ্য, গোদনাইলের তেলের ডিপো। এই ডিপো থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর স্থল, নৌ ও আকাশ যানগুলোর জন্য জ্বালানি সরবরাহ করা হয়। ভারতের সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে পাকিস্তানিরা এখানে মজুদ রেখেছিল বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল। মুক্তিবাহিনীর গেরিলারা অনেক চেষ্টা করেও এই ডিপোর ক্ষতিসাধন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। কারণ এর নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল অনেক শক্তিশালী। অবশেষে সেদিন পাকিস্তানিদের শক্তিশালী নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে সফল হামলা চালান বদরুল আলমেরা। তাঁরাতারা সীমান্ত অতিক্রম করে ইলিয়টগঞ্জ থেকে প্রথমে কুমিল্লা ঢাকা-মহাসড়ক লক্ষ্য করে দাউদকান্দির দিকে অগ্রসর হন। পরে ঢাকার ডেমরার কাছে এসে গোদনাইল তেলের ডিপো লক্ষ্য করে দক্ষিণ দিকে মোড় নেন। পাকিস্তানিরা কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁরাতারা গোদনাইলের তেলের ট্যাংকারের ওপর বোমা নিক্ষেপ করেন। মুহূর্তের মধ্যে ট্যাংকারগুলো একের পর এক বিস্ফোরিত হতে থাকল। আগুনের লেলিহান শিখা যেন আকাশ গ্রাস করে ফেলল। চারদিক আলোকিত হয়ে পড়ল। আশপাশের মানুষ বিস্ফোরণের শব্দে জেগে উঠে অবাক বিস্ময়ে দেখতে থাকল সেই আগুন। গোদনাইল তেলের ডিপোর আগুন জ্বলে পরের দিনও। কয়েক মাইল দূর থেকেও এই আগুন দেখা যায়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম= একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (প্রথম খন্ড)|শেষাংশ= |প্রথমাংশ= |লেখক-সংযোগ= |coauthors= |বছর=এপ্রিল ২০১২ |প্রকাশক= প্রথমা প্রকাশন |অবস্থান= |আইএসবিএন= 978-984-90253-7-5|পাতা= ২৮|পাতাসমূহ= |সংগ্রহের-তারিখ= |ইউআরএল=}}</ref>
 
== পুরস্কার ও সম্মাননা ==