বব টেলর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
1টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 0টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1) |
|||
৮৮ নং লাইন:
'''রবার্ট উইলিয়াম টেলর''' ({{lang-en|Bob Taylor}}; [[জন্ম]]: [[১৭ জুলাই]], [[১৯৪১]]) স্টাফোর্ডশায়ারের স্টোক-অন-ট্রেন্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের]] অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭১ থেকে ১৯৮৪ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে [[আন্তর্জাতিক ক্রিকেট|আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে]] অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে [[Derbyshire County Cricket Club|ডার্বিশায়ারের]] প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ [[উইকেট-রক্ষক|উইকেট-রক্ষকের]] দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মাঝে-মধ্যে দলের প্রয়োজনে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন ‘চ্যাট’ ডাকনামে পরিচিত '''বব টেলর'''।
১৯৬১ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট]] জীবন চলমান ছিল বব টেলরের। ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১ তারিখে [[নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল|নিউজিল্যান্ডের]] বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে বব টেলরের। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৫৭ [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট]] ও ৬৩৯টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ১,৪৭৩টি ক্যাচ গ্লাভস বন্দী করেছিলেন। ২,০৬৯টি ডিসমিসাল ঘটিয়ে [[ক্রিকেট|ক্রিকেটের]] ইতিহাসের যে-কোন উইকেট-রক্ষকের চেয়ে সেরা অবস্থানে রয়েছেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://stats.cricinfo.com/ci/content/records/283381.html|শিরোনাম=Records – Most dismissals in career|কর্ম=[[Cricinfo]]|সংগ্রহের-তারিখ=5 June 2010}}</ref>
১৯৫৮ সালে স্টাফোর্ডশায়ারের পক্ষে প্রথম খেলতে নামেন। এরপর ১৯৬০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে [[Minor Counties|মাইনর কাউন্টিজের]] সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে বব টেলরের। [[George Dawkes|জর্জ ডকসের]] আঘাতের কারণে খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটলে তিনি ডার্বিশায়ারের প্রথম পছন্দের উইকেট-রক্ষক হয়ে উঠেন। ১৯৮৮ সালে স্কারবোরা উৎসবে সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন বব টেলর। ১৯৬৪ সালে স্বল্প সময়ের জন্য [[Laurie Johnson (cricketer)|লরি জনসন]] ব্যাটসম্যান-উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় অগ্রসর হলে ও অবসরের পূর্ব-পর্যন্ত দলের প্রথম পছন্দের উইকেট-রক্ষকের মর্যাদা লাভ করেন।
১০২ নং লাইন:
== কাউন্টি ক্রিকেট ==
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৬৩৯টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন বব টেলর। ১,৪৭৩টি [[Caught (cricket)|কট]] ও ১৭৬টি [[স্ট্যাম্প (ক্রিকেট)|স্ট্যাম্পড]] নিয়ে সর্বমোট ১,৬৪৯টি ডিসমিসাল ঘটিয়ে অদ্যাবধি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে
১ জুন, ১৯৬০ তারিখে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অভিষেক ঘটে বব টেলরের। মাইনর কাউন্টিজ একাদশের সদস্যরূপে তিনি উইকেট-রক্ষক হিসেবে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১১ ও [[শূন্য রান]] করেন। তবে, স্ট্যাম্পের পিছনে অবস্থান করে কোন ক্যাচ গ্লাভস বন্দী করতে পারেননি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/24/24120.html|শিরোনাম=Scorecard: Minor Counties v South Africans – South Africa in England 1960|প্রকাশক=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=7 May 2010}}</ref> [[Cliff Gladwin|ক্লিফ গ্ল্যাডউইনের]] বদান্যতায় [[কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ|কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে]] খেলার সুযোগ পান। পরের বছর ৭ জুন তারিখে ডার্বির কাউন্টি গ্রাউন্ডে ডার্বিশায়ারের পক্ষে অভিষেক ঘটে
পরের বছর ১৯৬০ সালে ২৯ খেলায় অংশ নেন।
১৯৬৩ মৌসুমে প্রথমবারের মতো অর্ধ-শতক স্পর্শ করেন। তাস্বত্ত্বেও
১৯৬৪ সালে মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে বব টেলরের গোড়ালীতে আঘাতের কারণে ব্যাঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে, এ আঘাতটি ফুটবল খেলায় হয়েছিল। চলন্ত সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে এ আঘাত পেয়েছিলেন বলে তিনি জানান। [[উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক|উইজডেনের]] মতে, এ ঘটনায় তিনি শারীরিক সুস্থতায় দিকে মনোনিবেশ ঘটান।<ref name="Wisden Cricketers of the Year" /> তবে, এ মৌসুমেই নিজস্ব দ্বিতীয় অর্ধ-শতক ও ৫৮ ক্যাচ নিয়েছিলেন।<ref name="First-class Batting and Fielding in Each Season by Bob Taylor" /> তাস্বত্ত্বেও, আরও দক্ষ ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত লরি জনসনকে
১৯৬৭ সালে আবারও আঘাতের কবলে পড়েন। বল
পরবর্তী দুই মৌসুমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় বব টেলরের কিছুটা উত্তরণ পরিলক্ষিত হয়। ১৯৬৮ সালে একটি অর্ধ-শতক ও ১৯৬৯ সালে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৬৫ রান তুলেন।<ref name="First-class Batting and Fielding in Each Season by Bob Taylor" /> ১৯৬৯ সালে [[লিস্ট এ ক্রিকেট|লিস্ট এ ক্রিকেটে]] বড় ধরনের ব্যক্তিগত পরিবর্তন আনেন তিনি। ঐ বছরে ১৯ খেলায় অংশ নিলেও পূর্ববর্তী ছয় মৌসুমে মাত্র সাতটি করে খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। স্ট্যাম্পের পিছনে অবস্থান করে মাত্র ১৮০ রান তুলতে সক্ষম হন যা
== সিলন গমন ==
১৯৬৯ সালের শীতকালে [[মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব|মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের]] সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা সফরে যান। একটিমাত্র খেলায় অংশ নিয়েছিলেন বব টেলর। ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭০ তারিখে কলম্বোয় অনুষ্ঠিত খেলায় সিলনের বিপক্ষে ৭ ও [[অপরাজিত (ক্রিকেট)|অপরাজিত]] ১৯ রানের [[ইনিংস]] খেলেন। এছাড়াও, স্ট্যাম্পের পিছনে থেকে [[অনূঢ়া তেনেকুন|অনূঢ়া তেনেকুনকে]] স্ট্যাম্পড করেছিলেন। খেলায় এমসিসি দল জয়লাভ করেছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/30/30689.html|শিরোনাম=Scorecard: Ceylon v Marylebone Cricket Club – Marylebone Cricket Club in Ceylon and the Far East 1969/70|প্রকাশক=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=29 May 2010}}</ref>
১৯৭০ সালে [[কাউন্টি ক্রিকেট|কাউন্টি ক্রিকেটে]] বেশ ভালো করেন তিনি। লিস্ট এ ক্রিকেটে স্ট্যাম্পের পিছনে অবস্থান করে ২১ ও চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় ৫১ ক্যাচ নেন। এছাড়াও, ১১ স্ট্যাম্পিং করে নিজস্ব সেরা অর্জন লাভ করেন।<ref name="First-class Batting and Fielding in Each Season by Bob Taylor" /><ref name="ListA Batting and Fielding in Each Season by Bob Taylor" /> শীতকালে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য এমসিসি দলের সাথে যান। চার খেলায় ১৬জন
== টেস্ট ক্রিকেট ==
এমসিসি দলের সাথে অভিজ্ঞতা লাভের ফলে ও স্ট্যাম্পের পিছনে অবস্থান করে কাউন্টি ক্রিকেটে সফলতার প্রেক্ষিতে [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়কদের তালিকা|ইংল্যান্ড দলনায়ক]] [[রে ইলিংওয়ার্থ|রে ইলিংওয়ার্থের]] সুনজরে পড়েন তিনি। নটের অভিষেক ঘটলেও ইলিংওয়ার্থ টেলরকে
২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বব টেলরের টেস্ট অভিষেক ঘটে। খেলায় ইংল্যান্ড দল আট উইকেটে জয় পায়। দুই ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিং করলেও মাত্র চার রান করে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকারে পরিণত হন তিনি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=England in New Zealand Test Series – 1st Test New Zealand v England |ইউআরএল=http://www.cricinfo.com/ci/engine/match/63071.html|প্রকাশক=CricInfo}}</ref> তবে
== কাউন্টি ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ==
১৩১ নং লাইন:
১৯৭১-৭২ মৌসুমের শীতকালে [[রোহন কানহাই|রোহন কানহাইয়ের]] [[অধিনায়ক (ক্রিকেট)|নেতৃত্বাধীন]] [[List of World XI Test cricketers|বিশ্ব টেস্ট একাদশের]] সদস্যরূপে খেলার জন্য মনোনীত হন ও সাতটি চারদিনের খেলায় অংশ নেন। ২১ ক্যাচ ও তিনটি স্ট্যাম্পড করলেও মাত্র ১৬.০০ গড়ে ১২৮ রান তুলেছিলেন। ৪ ডিসেম্বর তারিখে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একমাত্র অর্ধ-শতক করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Events/AUS/World_XI_in_Australia_1971-72/f_World_XI_Batting.html|শিরোনাম=First-class Batting and Fielding for World XI – World XI in Australia 1971/72|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=17 June 2010}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/32/32074.html|শিরোনাম=Scorecard: Western Australia v World XI – World XI in Australia 1971/72|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=17 June 2010}}</ref>
১৯৭২ সালের গ্রীষ্মে ইংল্যান্ডে ফিরে আরও একটি অর্ধ-শতক করেন ও কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় স্ট্যাম্পের পিছনে অবস্থান করে পঞ্চাশজন ব্যাটসম্যানকে আউট করেন।<ref name="First-class Batting and Fielding in Each Season by Bob Taylor"/> এছাড়াও, একদিনের খেলায় আরও ২৩জনকে আউট করেছিলেন।<ref name="ListA Batting and Fielding in Each Season by Bob Taylor"/> ১৯৭৩ সালে ৭৭জন ব্যাটসম্যান
== নিউজিল্যান্ড গমন ==
ইংল্যান্ডের শীতকালীন সফরগুলোয় নিয়মিত উইকেট-রক্ষক নটের সহযোদ্ধারূপে বব টেলরকে রাখা হয়। ১৯৭৪ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় আরও একটি অর্ধ-শতক ও গ্লাভস হাতে ৮৬জনকে আউটে সহায়তা করলে<ref name="First-class Batting and Fielding in Each Season by Bob Taylor"/><ref name="ListA Batting and Fielding in Each Season by Bob Taylor"/> ইংল্যান্ড দলের সাথে নিউজিল্যান্ড গমনের সুযোগ পান। এরপর আরও ১১১ উইকেটে সহায়তা করলে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় [[গ্রেগ চ্যাপেল|গ্রেগ চ্যাপেলের]] অধীনে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন।<ref name="First-class Batting and Fielding in Each Season by Bob Taylor"/><ref name="ListA Batting and Fielding in Each Season by Bob Taylor"/> ২ এপ্রিল তারিখে জোহেন্সবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকান আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে খেলতে নামেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা ৯৭ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি। এরপর [[Howard Bergins|হাওয়ার্ড বার্গিন্সের]] বলে আউট হন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/35/35955.html |শিরোনাম=Scorecard: South African Invitation XI v International Wanderers – International Wanderers in South Africa 1975/76 |কর্ম=Cricket Archive |সংগ্রহের-তারিখ=17 June 2010 |অকার্যকর-ইউআরএল=yes |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20071001181010/http://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/35/35955.html |আর্কাইভের-তারিখ=1 October 2007 }}</ref> ১৯৭৬ ও ১৯৭৭ সালে ১৬৪ ডিসমিসাল ঘটান ও একটি অর্ধ-শতক সহযোগে ৯১০ রান তুলেন।<ref name="First-class Batting and Fielding in Each Season by Bob Taylor"/><ref name="ListA Batting and Fielding in Each Season by Bob Taylor"/>
অনিন্দ্য সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৭ সালে উইজডেন কর্তৃক [[মাইক ব্রিয়ারলি]], [[গর্ডন গ্রীনিজ]], [[মাইকেল হোল্ডিং]] ও [[ভিভ রিচার্ডস|ভিভ রিচার্ডসের]] সাথে
== টেস্টে প্রত্যাবর্তন ==
ইংল্যান্ডের পক্ষে অভিষেক ঘটা অ্যালান নট ১৯৭৭ সালে [[টনি গ্রেগ|টনি গ্রেগের]] পরামর্শক্রমে [[World Series Cricket|বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে]] যোগ দেন। ফলে
১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭৭ তারিখে লাহোরের [[গাদ্দাফি স্টেডিয়াম|গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে]] [[পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল|পাকিস্তানের]] বিপক্ষে খেলার মাধ্যমে টেস্টে ফিরে আসেন। এরপূর্বে তিনটি প্রথম-শ্রেণীর প্রস্তুতিমূলক খেলার আয়োজন করা হলেও টেলর ব্যাট হাতে তেমন আশাপ্রদ ভূমিকা রাখতে পারেননি। ফলশ্রুতিতে, দ্বিতীয় খেলায় [[Paul Downton|পল ডাউনটনকে]]
নিউজিল্যান্ড সফরেও গ্লাভস পরিধানের অধিকারী হন। দুইটি প্রস্তুতিমূলক খেলাসহ তিনটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেন তিনি। প্রথম খেলায় চারটি ক্যাচ নেন তিনি। সবগুলোই [[ক্রিস ওল্ড|ক্রিস ওল্ডের]] বোলিং থেকে পেয়েছিলেন। এছাড়াও, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা ৪৫ রান তুলেন।<ref name="First-Class Matches played by Bob Taylor">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Players/1/1376/First-Class_Matches.html|শিরোনাম=First-Class Matches played by Bob Taylor|সংগ্রহের-তারিখ=18 June 2010}}</ref> পুরো সফরে ২১.৪৫ গড়ে ২৩৬ রানসহ ২০ ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিং করেছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Events/NZ/England_in_New_Zealand_and_Pakistan_1977-78/f_England_Batting.html|শিরোনাম=England in New Zealand and Pakistan 1977/78|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=18 June 2010}}</ref>
== পাকিস্তানের মুখোমুখি ==
সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অংশগ্রহণের পূর্বে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের তিনটি খেলায় অংশ নেন।<ref name="First-Class Matches played by Bob Taylor" /> তিন টেস্টের সবগুলোতেই
ওডিআই সিরিজে পাঁচটি ক্যাচ ও তিনটি স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে নিজ নামকে জড়ান। একবার ব্যাট হাতে নামলেও কোন রানই করতে সক্ষম হননি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Events/ENG/Prudential_Trophy_1978/England_Batting.html|শিরোনাম=Prudential Trophy 1978|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=18 June 2010}}</ref>
এরপর আরও দুইটি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় অংশ নেন। ২৭ জুলাই সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অংশ নেন। ১২ ক্যাচ ও এক স্ট্যাম্পিং করলেও ব্যাট হাতে সুবিধে করতে পারেননি। ১০.৩৩ গড়ে ৩১ রান তুলেছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Events/ENG/New_Zealand_in_British_Isles_1978/t_England_Batting.html|শিরোনাম=New Zealand in British Isles 1978|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=18 June 2010}}</ref> তাস্বত্ত্বেও দলে
== অস্ট্রেলিয়া গমন ==
১৯৭৮-৭৯ মৌসুমের শীতকালে অ্যাশেজ সিরিজে
প্রস্তুতিমূলক খেলাগুলোয়া ইংল্যান্ড দল মিশ্র সফলতা পায়। ১ ডিসেম্বর তারিখে ইংল্যান্ড দল প্রথম টেস্টে খেলতে নামে। অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে। তবে, বব উইলিস, ক্রিস ওল্ড ও [[ইয়ান বোথাম|ইয়ান বোথামের]] উইকেট লাভে সক্ষমতা এবং টেলরের পাঁচটি ক্যাচ নেয়ার কল্যাণে দলটি মাত্র ১১৬ রান তুলতে সক্ষম হয়। টেলর চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন। ২০ রান তুলে ইংল্যান্ডের সংগৃহীত ২৮৬ রানে কিছুটা ভূমিকা রাখতে সমর্থ হন। তবে, সফরকারী দলের দ্বিতীয়বার বোলিং আক্রমণে সফলতা না পাওয়ায় স্বাগতিকরা ৩৩৯ রান তুলে খেলাটি রক্ষা করতে সমর্থ হয়। স্ট্যাম্পের পিছনে ঐ ইনিংসে টেলরও তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি। খেলা শেষে ইংল্যান্ড দল ১৭০/৩ তুলেছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/38/38681.html|শিরোনাম=Scorecard: Australia v England – England in Australia 1978/79 (1st Test)|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=18 June 2010}}</ref>
১৫৯ নং লাইন:
২৫ ডিসেম্বর তারিখে [[the WACA|ওয়াকায়]] ইংল্যান্ড দল দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেয়। ঐ টেস্টে সফরকারী দলটি ১৬৬ রানের ব্যবধানে জয় পায়। টেলর কেবলমাত্র ১৪ রান তুলতে সক্ষমতা দেখান। তবে, ছয়টি ক্যাচ নিয়ে ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/38/38729.html|শিরোনাম=Scorecard: Australia v England – England in Australia 1978/79 (2nd Test)|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=18 June 2010}}</ref> এর বিপরীতে তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দল ১০৩ রানের জয় তুলে নেয়। গ্লাভস কিংবা ব্যাট হাতে টেলর ম্রিয়মান ছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/38/38770.html|শিরোনাম=Scorecard: Australia v England – England in Australia 1978/79 (3rd Test)|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=18 June 2010}}</ref> চতুর্থ টেস্টেও টেলর তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি। তাস্বত্ত্বেও, ইংল্যান্ড দল ৯৩ রানের জয়লাভ করে সিরিজে এগিয়ে যায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/38/38794.html|শিরোনাম=Scorecard: Australia v England – England in Australia 1978/79 (4th Test)|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=18 June 2010}}</ref>
২৭ জানুয়ারি, ১৯৭৯ তারিখে অনুষ্ঠিত পঞ্চম টেস্টে [[জিওফ্রে বয়কট]] ও ব্রিয়ারলি ব্যাট হাতে মাঠে নামেন। অস্ট্রেলিয়া টসে জয়লাভ করে [[ফিল্ডিং (ক্রিকেট)|ফিল্ডিং]] করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সফরকারীরা ১৬৯ রান তুলতে সমর্থ হয়। টেলর করেন মাত্র চার রান। বোথামকে সহযোগিতা করে দুই ক্যাচ নেন ও অস্ট্রেলিয়াকে ১৬৪ রানে অল-আউটে সহায়তা করেন। ২৬৭/৭ তুলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাষ সৃষ্টি করার দরকার। এ অবস্থায় টেলর ডার্বিশায়ারের সহযোদ্ধা মিলারকে সঙ্গ দিতে এগিয়ে আসেন। ৬৪ রানে মিলার আউট হলে [[জন এম্বুরি]] ক্রিজে আসেন। ৩৩৬/৮ হলে টেলর প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ৩০০ বল মোকাবেলা করে তিনি ৯৭ রান তুলেছিলেন। এরফলে টেস্টে পূর্বেকার সর্বোচ্চ ৪৫ রানকে অতিক্রম করে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রানের সাথে সমান করেন। এছাড়াও, ৯,৫০০ প্রথম-শ্রেণীর রানের মাইলফলকে পৌঁছেন। লেগ সাইডে তিনি আউট হন ও মাত্র তিন রানের জন্য সেঞ্চুরি করা থেকে বঞ্চিত হন। ২০০৪ সালে জন থিকনেস লেখেন যে, সবটুকু
চূড়ান্ত টেস্টে টেলর ৩৬ রান করেছিলেন। তিনটি ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে যুক্ত করে নয় উইকেটে দল জয়ী হলে সিরিজও করায়ত্ত্ব করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/38/38887.html|শিরোনাম=Scorecard: Australia v England – England in Australia 1978/79 (6th Test)|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=18 June 2010}}</ref> ২৬.০০ গড়ে ২০৮ রান তুলে অধিনায়ক ব্রিয়ারলিকে ছাপিয়ে যান। এছাড়াও, এ সিরিজে ১৮ ক্যাচ ও দুইটি স্ট্যাম্পিং করেছেন তিনি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Events/AUS/England_in_Australia_1978-79/t_England_Batting.html|শিরোনাম=England in Australia 1978/79|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=18 June 2010}}</ref>
১৭০ নং লাইন:
জুন, [[১৯৭৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ|১৯৭৯]] সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য ইংল্যান্ড দলের সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রতি ইনিংসে ৬০ ওভারের খেলায় টেলরকে উইকেট-রক্ষক হিসেবে মনোনীত করা হয়। ইংল্যান্ডকে প্রতিযোগিতার অন্যতম সেরা দল হিসেবে বিবেচনায় আনা হয়েছিল। পূর্ববর্তী ছয় টেস্টের মধ্যে পাঁচটিতে জয়ী হয়েছিল ইংল্যান্ড দল। উইজডেনের তথ্য মতে, বোলারদের সহায়তায় বব টেলরের দক্ষতাপূর্ণ উইকেট-রক্ষণশৈলী এবং ইয়ান বোথামের [[অল-রাউন্ডার|অল-রাউন্ড]] ক্রীড়ানৈপুণ্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।<ref name="Notes By the Editor - England rich in young Talent">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.cricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/154183.html|শিরোনাম=Notes By the Editor – England rich in young Talent|শেষাংশ=Preston|প্রথমাংশ=Norman|বছর=1979|কর্ম=Wisden|সংগ্রহের-তারিখ=18 June 2010}}</ref>
৯ জুন তারিখে গ্রুপ এ’র উদ্বোধনী খেলায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড দল লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়। টেলর একটি ক্যাচ নেন। তবে, ব্যাট হাতে
২৩ জুন লর্ডসে চূড়ান্ত খেলায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড দল শক্তিধর ও পূর্ববর্তী শিরোপাধারী দল [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল|ওয়েস্ট ইন্ডিজের]] মুখোমুখি হয়। আঘাতের কারণে উইলিস খেলতে পারেননি। ফলে টসে জয়ী হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাঠে নামানো হয়। তবে, ভিভ রিচার্ডসের সেঞ্চুরিতে দলটি ২৮৬/৯ তুলে। টেলর একটি ক্যাচ লাভ করেন। ব্রিয়ারলি ও বয়কট উদ্বোধনী জুটিতে ১২৯ রান করেন। তাস্বত্ত্বেও স্বাগতিকরা ১৯৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। টেলর [[ব্যাটিং অর্ডার|দশ নম্বরে]] ব্যাটিংয়ে নামেন। [[কলিন ক্রফট|কলিন ক্রফটের]] বলে হেনড্রিক এবং জোয়েল গার্নারের প্রথম বলেই শূন্য রানে টেলর আউট হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল শিরোপা ধরে রাখে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/39/39336.html|শিরোনাম=Scorecard: England v West Indies 1979 World Cup Final|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=18 June 2010}}</ref> টেলর গড়পড়তা খেলেন। ১৬.০০ গড়ে মাত্র ৩২ রান তুলেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেন অপরাজিত ২০ এবং চারটি ক্যাচ পেলেও কোন স্ট্যাম্পিং করতে পারেননি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Events/ENG/Prudential_World_Cup_1979/England_Batting.html|শিরোনাম=Prudential World Cup 1979|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=18 June 2010}}</ref>
১৭৯ নং লাইন:
== ভারত গমন ==
আগস্ট, ১৯৭৯ থেকে নভেম্বর, ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের অংশগ্রহণকৃত দুইটি অ্যাশেজ সিরিজের প্রত্যেকটিতে
১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮০ তারিখে বোম্বেতে [[ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড|বিসিসিআইয়ের]] সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে একমাত্র টেস্টের আয়োজন করা হয়েছিল। ভারতরে প্রথম ইনিংসে তিনি সাত ক্যাচ তালুবন্দী করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি আরও তিনটি ক্যাচ নেন। বোথামের বোলিং থেকে দুইটি বাদে সবগুলোই
১৯৮০ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে অংশ নেন। ২০ খেলায় অংশ নিয়ে ১৪.৮৭ গড়ে মাত্র ২৩৮ রান তুললেও ৩৪ ক্যাচ ও সাতটি স্ট্যাম্পিং করার সাথে নিজেকে যুক্ত করেন তিনি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Events/ENG/Schweppes_County_Championship_1980/Derbyshire_Batting.html|শিরোনাম=Schweppes County Championship 1980|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=18 June 2010}}</ref> ঐ মৌসুমে ডার্বিশায়ার দল যৌথভাবে নবমস্থানে ছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Events/Tables/Schweppes_County_Championship_1980.html|শিরোনাম=Schweppes County Championship 1980 Table|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=18 June 2010}}</ref>
== অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি ==
১০ জুন, ১৯৮১ তারিখে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে ডার্বিতে ড্র হওয়া তিনদিনের খেলায় ডার্বিশায়ারের পক্ষে অংশ নেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/41/41228.html|শিরোনাম=Scorecard: Derbyshire v Australians – Australia in British Isles 1981|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=18 June 2010}}</ref> ১৭ জুন তারিখে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে মনোমুগ্ধকর সেঞ্চুরি করেন। এটিই
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রুডেনশিয়াল ট্রফিতে টেলরকে আবারও একদিনের দল থেকে বাদ দেয়া হয়। [[Geoff Humpage|জিওফ হামপেজকে]]
দ্বিতীয় টেস্টে বব টেলরকে পুণরায় দলে ফিরিয়ে আনা হয়। শূন্য ও নয় রান তুললেও ড্র হওয়া খেলাটিতে চারটি ক্যাচ নিয়েছিলেন তিনি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/41/41354.html|শিরোনাম=Scorecard: England v Australia – Australia in British Isles 1981 (2nd Test)|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=18 June 2010}}</ref> হেডিংলিতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্টে টেল সাতটি ক্যাচ নিয়েছিলেন। বোথামের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়ানৈপুণ্যের কারণে ইংল্যান্ড মাত্র ১৮ রানের নাটকীয় জয় তুলে নিতে সক্ষম হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/41/41434.html|শিরোনাম=Scorecard: England v Australia – Australia in British Isles 1981 (3rd Test)|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=18 June 2010}}</ref> এরপর ৩০ জুলাই এজবাস্টন টেস্টে দুই ক্যাচ ও আট রান করে ইংল্যান্ডের ২৯ রানের জয়ে ভূমিকা রাখেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/41/41505.html|শিরোনাম=Scorecard: England v Australia – Australia in British Isles 1981 (4th Test)|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=18 June 2010}}</ref>
১৯৪ নং লাইন:
পঞ্চম টেস্ট শুরুর পূর্বে নট [[ক্যারি প্যাকার|প্যাকার সিরিজ]] থেকে ফিরে আসেন ও টেস্ট দলে জায়গা করে নেন। তিনি সিরিজের শেষ দুই টেস্টে টেলরের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। এ অ্যাশেজ সিরিজটিতে টেলর ৩.৮৩ গড়ে মাত্র ২৩ রান তুলেছিলেন। বোলিংয়ে অভিজ্ঞদের চেয়েও তিনি সর্বনিম্নস্থানে অবস্থান করেন। ১৩ ক্যাচ নিয়ে কিছুটা ভূমিকা পালন করেন। তবে, নট তার ব্যাটিংয়ের দক্ষতায় খেলার জন্য মনোনীত হন। দুই টেস্টে অংশ নিয়ে ৫৯.৩৩ গড়ে ১৭৮ রান তুলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Events/ENG/Australia_in_British_Isles_1981/t_England_Batting.html|শিরোনাম=Australia in British Isles 1981|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=18 June 2010}}</ref>
ডার্বিশায়ারে ফিরে ঐ মৌসুমে ১৯.২৫ গড়ে ২৩১ রান তুলেন। তন্মধ্যে,
== শেষের বছরগুলো ==
১৯৮১-৮২ মৌসুমের শীতকালে ভারত ও শ্রীলঙ্কা গমন করেন। সাত টেস্টে অংশ নেন তিনি। উইকেট রক্ষণে ১৯জন ব্যাটসম্যান
এরপর পুণরায়
১৯৮২-৮৩ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। ২২ অক্টোবর তারিখে [[Queensland cricket team|কুইন্সল্যান্ডের]] বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম-শ্রেণীর খেলায় তিনি ১১,০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/42/42923.html|শিরোনাম=Scorecard: Queensland v England XI – England in Australia 1982/83|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=21 June 2010}}</ref> এরপূর্বে পাচ টেস্টের সিরিজের সবকটিতেই
দেশে ফিরে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে ডার্বিশায়ারের সদস্যরূপে বেশ কয়েকটি খেলায় অংশ নেন। তবে, ব্যাট হাতে
১৯৮৪ সালে পূর্ণোদ্যমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় অংশ নেন। ১৮ খেলায় ২০.২০ গড়ে ৩০৩ রানের পাশাপাশি গ্লাভস হাতে ৩২জন
৮ সেপ্টেম্বর তারিখে ডার্বিশায়ার প্রথম একাদশের পক্ষে সর্বশেষ চারদিনের খেলায় অংশ নেন বব টেলর। হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন খেলা হয়নি। ফলে জন প্লেয়ার স্পেশাল লীগে উভয় দল মুখোমুখি হয়। দুইটি ক্যাচ নিলেও
== অবসর ==
অবসর গ্রহণ করলেও ক্লাবের সাথে
১৯৮৬ সালে লর্ডসে অনুষ্ঠিত সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট চলাকালে বব টেলর অতিথিশালায় অবস্থান করছিলেন। [[রিচার্ড হ্যাডলি|রিচার্ড হ্যাডলির]] বলে [[Bruce French (cricketer)|ব্রুস ফ্রেঞ্চ]] আঘাত পেলে [[বিল অ্যাথে]] উইকেটের পিছনে অবস্থান করতে বাধ্য হন। এ পর্যায়ে নিউজিল্যান্ডীয় অধিনায়ক [[জেরেমি কোনি]] টেলরকে বাদ-বাকী দিনের জন্য উইকেট রক্ষণের অনুমতি দেন। দুই বছর পূর্বে সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও তিনি বেশ দক্ষতা প্রদর্শন করেছিলেন।<ref name="Welcome back, we weren't expecting you"/>
এছাড়াও ১৯৮৬ সালে [[ব্রায়ান ক্লোজ|ব্রায়ান ক্লোজের]] আমন্ত্রিত একাদশের পক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন তিন ও স্কারবোরায় ৩১ আগস্ট তারিখে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অংশ নেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |সদস্যতা=yes |ইউআরএল=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/47/47810.html|শিরোনাম=Scorecard: DB Close's XI v New Zealanders – New Zealand in England 1986|কর্ম=Cricket Archive|সংগ্রহের-তারিখ=21 June 2010}}</ref> ১৯৮৮ সালে [[Michael Parkinson|মাইকেল পারকিনসন]] বিশ্ব একাদশের সদস্য হিসেবে
== খেলার ধরন ==
বব টেলরের উইকেট-রক্ষণের সক্ষমতার বিষয়ে প্রায়শঃই উচ্ছ্বসিত প্রশংসা লাভ করেছিল। ১৯৭৭ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে উইজডেন মন্তব্য করে যে, ধ্রুপদী ক্রীড়াশৈলীর অধিকারী তিনি। স্ট্যাম্পের পিছনে দীর্ঘকাল বর্ণাঢ্যময় নৈপুণ্যতা দেখিয়েছেন। দূর্বল ডার্বিশায়ারের অন্যতম রক্ষকর্তা ছিলেন। ঝাঁপিয়ে ফিল্ডিং করার পাশাপাশি উদ্যমতা বজায় রেখেছেন। কয়েক বছর
শারীরিকভাবে বেশ সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন। ১৯৬৪ সালে গোড়ালীতে আঘাতের কারণে ঐ মৌসুমের সাত খেলায় অনুপস্থিত ছিলেন।<ref name="Bob Taylor - Wisden Cricketer of the Year" />
|