চৈতন্যভাগবত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
আইএসবিএন টেমপ্লেট যোগ
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
{{হিন্দুশাস্ত্র}}
'''''চৈতন্যভাগবত''''' প্রসিদ্ধ [[বৈষ্ণব]] সন্তকবি [[বৃন্দাবন দাস ঠাকুর]] (১৫০৭–১৫৮৯ খ্রিস্টাব্দ) রচিত [[চৈতন্য মহাপ্রভু]]র একটি [[সন্তজীবনী|জীবনীগ্রন্থ]]। এটি [[বাংলা ভাষা]]য় রচিত চৈতন্য মহাপ্রভুর প্রথম পূর্ণাঙ্গ জীবনী। এই গ্রন্থে চৈতন্যদেবের প্রথম জীবন এবং [[গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম|গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের]] প্রবর্তকরূপে তাঁরতার ভূমিকার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। গ্রন্থে [[রাধা]] ও [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণের]] যুগ্ম [[অবতার]]রূপে গৌড়ীয় বৈষ্ণব ভক্তসমাজে প্রচলিত চৈতন্যদেবের অবতারতত্ত্বেরও ধর্মীয় ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে। বৃন্দাবন দাস ঠাকুরের গুরু তথা চৈতন্যদেবের প্রধান পার্ষদ [[নিত্যানন্দ]] চৈতন্যজীবনীরূপে ''চৈতন্যভাগবত'' গ্রন্থটিকে অনুমোদন করেন।
 
== নামকরণ ==
১০ নং লাইন:
 
;আদিখণ্ড
আদিখণ্ডে চোদ্দোটি অধ্যায় রয়েছে। এই খণ্ডের উপজীব্য বিষয় হল: চৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাবের পূর্বে [[বঙ্গ|বাংলার]] সামাজিক ও ধর্মীয় অবস্থা, চৈতন্যদেবের জন্ম, শিক্ষা, ও লক্ষ্মীপ্রিয়ার সহিত বিবাহ; তাঁরতার তর্কযুদ্ধে পণ্ডিতদের পরাস্তকরণ, [[পূর্ববঙ্গ]] ভ্রমণ, লক্ষ্মীপ্রিয়ার মৃত্যু, [[গয়া]] ভ্রমণ এবং [[ঈশ্বর পুরী]]র নিকট [[দীক্ষা|দীক্ষাগ্রহণ]]।
 
;মধ্যখণ্ড
মধ্যখণ্ডে সাতাশটি অধ্যায় রয়েছে। এই খণ্ডের উপজীব্য বিষয় হল: চৈতন্য মহাপ্রভুর হৃদয়ে ভক্তির উদয়, ভক্তিধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে তাঁরতার সঙ্গে তাঁরতার অনুগামীদের যোগদান, দুষ্ট জগাই ও মাধাইয়ের সঙ্গে কথোপকথন, স্থানীয় শাসক চাঁদ কাজী [[কৃষ্ণ]]নাম প্রচার নিষিদ্ধ করলে চৈতন্যদেবের আইন অমান্য আন্দোলন (কাজীদলন)।
 
;অন্ত্যখণ্ড
অন্ত্যখণ্ডে রয়েছে দশটি অধ্যায়। এই খণ্ডের মূল উপজীব্য: চৈতন্যদেবের সন্ন্যাসগ্রহণ, শচীমাতার বিলাপ, [[পুরী]] ভ্রমণ, ন্যায়শাস্ত্রবিদ [[সার্বভৌম ভট্টাচার্য|সার্বভৌম ভট্টাচার্যের]] সহিত আলাপ এবং নানা ভক্তের সঙ্গে তাঁরতার সম্পর্ক ও আলাপআলোচনা।
 
''চৈতন্যভাগবত'' গ্রন্থের দুটি পুথিতে ''অন্ত্যখণ্ড''-এর শেষে আরও তিনটি অতিরিক্ত অধ্যায় পাওয়া যায়। আধুনিক গবেষকগণ এই অধ্যায়গুলিকে মূল গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত মনে করেন না।<ref>সুকুমার সেন (২০০৭). ''বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস'', প্রথম খণ্ড, কলকাতা: আনন্দ পাবলিশার্স, {{আইএসবিএন|81-7066-966-9}}, p.269</ref>