জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎ব্যবহার: বিষয়বস্তুতে সামান্য সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৮৭ নং লাইন:
{{ভারতের প্রতীক}}
[[চিত্র:Netaji Subhas Chandra Bose.jpg|thumb|left|200px|''জনগণমন''-কে জাতীয় সঙ্গীতের স্বীকৃতি দেবার প্রস্তাব প্রথম রাখেন [[নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু]]]]
ভারতের স্বাধীনতার প্রাক্কালে কোনো জাতীয় সংগীত নির্বাচিত হয়নি। [[১৯৪৭]] সংগীত স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে [[জাতিসংঘ|জাতিসংঘে]] ভারতীয় প্রতিনিধিদলের কাছে কোনো এক অনুষ্ঠানে বাজানোর জন্য ভারতের জাতীয় সংগীতের একটি রেকর্ড চাওয়া হলে, তাঁরাতারা তৎক্ষণাৎ ভারত সরকারকে বিষয়টি অবহিত করেন ও ''জনগণমন'' বাজানোর পক্ষে মত প্রকাশ করেন। সরকারের অনুমোদনক্রমে জাতিসংঘের অর্কেস্ট্রাবাদনের একটি গ্রামোফোন রেকর্ড সেই অনুষ্ঠানে সাফল্যের সঙ্গে বাজানো হয়। [[জওহরলাল নেহেরু|জওহরলাল নেহরু]] পরে বলেছিলেন, এই গানের সুর সেদিন সবার দ্বারা প্রশংসিত হয় এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা এই সুরটির স্বাতন্ত্র্য ও আভিজাত্যে মুগ্ধ হয়ে এর স্বরলিপি চেয়ে পাঠান। <ref>Our National Songs, Publication Division, Ministry of Information and Broadcasting, Government of India, New Delhi, 1962, p.4</ref>
 
পরবর্তীকালে ‘গায়নযোগ্যতা’ বা ‘singability’-এর কারণে ''বন্দেমাতরম''-এর বদলে ''জনগণমন''-কেই ভারতের জাতীয় সংগীত করার পক্ষে বিশেষজ্ঞরা মতপ্রকাশ করেন। একই সাথে ভারতের মুসলমান সমাজের কাছেও এই গানটির গ্রহণযোগ্যতা ছিল। ''বন্দেমাতরম''-এ দেশকে হিন্দু দেবীর আদলে বন্দনা করায় সেই গানটি তাঁদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। অবশেষে [[২৪ জানুয়ারি]] [[১৯৫০]] তারিখে ভারতের সংবিধান সভা এই গানটিকে ''জাতীয় সংগীত'' বা ''ন্যাশনাল অ্যানথেম'' হিসাবে গ্রহণ করেন। সভাপতি ডক্টর [[রাজেন্দ্র প্রসাদ]] বলেন, “''জনগণমন'' নামে পরিচিত গানটি কথা ও সুরসহ ভারতের জাতীয় সংগীতরূপে সরকারিভাবে গীত হবে। কোনো নির্দিষ্ট কারণ উপস্থিত হলে সরকার এই গানের কথায় যে কোনো রকম পরিবর্তন আনতে পারবেন। ''বন্দেমাতরম'' গানটি যেহেতু ভারতের জাতীয় সংগ্রামে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের অধিকারী, সেই হেতু এটিও জনগণমন-এর সমমর্যাদাসম্পন্ন হবে।” <ref>Our National Songs, Publication Division, Ministry of Information and Broadcasting, Government of India, New Delhi, 1962, p.4 (মূল ইংরেজি থেকে অনূদিত)</ref>