অতীশ দীপঙ্কর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Salim Khandoker (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২৩ নং লাইন:
== শৈশব ==
ছোটবেলায় তাঁরতার নাম ছিল আদিনাথ চন্দ্রগর্ভ। তিন ভাইয়ের মধ্যে অতীশ ছিলেন দ্বিতীয়। তার অপর দুই ভাইয়ের নাম ছিল পদ্মগর্ভ ও শ্রীগর্ভ। অতীশ খুব অল্প বয়সে বিয়ে করেন। কথিত আছে তার পাঁচ স্ত্রীর গর্ভে মোট ৯টি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন।<ref name="Dhaka"/> তবে পুন্যশ্রী নামে একটি পুত্রের নামই শুধু জানা যায়।<ref name="p-alo">''[http://archive.prothom-alo.com/detail/news/188756 অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের খোঁজে]'',অদিতি ফাল্গুনী, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৬-০৯-২০১১ খ্রিস্টাব্দ।</ref><ref name="onushilon">''[http://www.onushilon.org/corita/at1.htm দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান অতীশ]'', বাংলা বিশ্বকোষ। দ্বিতীয় খণ্ড। নওরোজ কিতাবিস্তান। ডিসেম্বর ১৯৭৫, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। প্রথম খণ্ড। জানুয়ারি ২০০২।</ref>
 
== শিক্ষা ==
২৯ নং লাইন:
প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন মায়ের কাছে। তিন বছর বয়সে সংস্কৃত ভাষায় পড়তে শেখা ও ১০ বছর নাগাদ বৌদ্ধ ও অবৌদ্ধ শাস্ত্রের পার্থক্য বুঝতে পারার বিরল প্রতিভা প্রদর্শন করেন তিনি। মহাবৈয়াকরণ বৌদ্ধ পণ্ডিত জেত্রির পরামর্শ অণুযায়ী তিনি [[নালন্দা]]য় শাস্ত্র শিক্ষা করতে যান।<ref name="p-alo"/>
 
১২ বছর বয়সে নালন্দায় আচার্য বোধিভদ্র তাঁকেতাকে শ্রমণ রূপে দীক্ষা দেন এবং তখন থেকে তাঁরতার নাম হয় দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি বোধিভদ্রের গুরুদেব অবধূতিপাদের নিকট সর্ব শাস্ত্রে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। ১৮ থেকে ২১ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি [[বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়|বিক্রমশীলা]] বিহারের উত্তর দ্বারের দ্বারপন্ডিত নাঙপাদের নিকট তন্ত্র শিক্ষা করেন। এরপর মগধের ওদন্তপুরী বিহারে মহা সাংঘিক আচার্য শীলরক্ষিতের কাছে উপসম্পদা দীক্ষা গ্রহণ করেন।<ref name="তিব্বতে সওয়া বছর">তিব্বতে সওয়া বছর - রাহুল সাংকৃত্যায়ন, অনুবাদ - মলয় চট্টোপাধ্যায়, প্রকাশক - চিরায়ত প্রকাশন প্রাইভেট লিমিটেড, ১২ বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০৭৩, ISBN 81-85696-27-6</ref> ধর্মীয় জ্ঞানার্জনের জন্য তিনি পশ্চিম ভারতের কৃষ্ণগিরি বিহারে গমন করেন এবং সেখানে প্রখ্যাত পণ্ডিত রাহুল গুপ্তের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। বৌদ্ধ শাস্ত্রের আধ্যাত্নিক গুহ্যাবিদ্যায় শিক্ষা গ্রহণ করে ‘গুহ্যজ্ঞানবজ্র’ উপাধিতে ভূষিত হন।
 
দীপঙ্কর ১০১১ খ্রিস্টাব্দে শতাধিক শিষ্যসহ মালয়দেশের সুবর্ণদ্বীপে (বর্তমানে [[ইন্দোনেশিয়া|ইন্দোনেশিয়ার]] সুমাত্রা দ্বীপ) গমন করেন এবং আচার্য ধর্মপালের কাছে দীর্ঘ ১২ বছর বৌদ্ধ দর্শনশাস্ত্রের বিভিন্ন বিষয়ের উপর অধ্যয়ন করে স্বদেশে ফিরে আসার পর তিনি বিক্রমশীলা বিহারে অধ্যাপনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।<ref name="bangladeshbarta">''[http://bangladeshbarta.com/2012/03/08/মুন্সিগঞ্জের-বজ্রযোগিনী/ মুন্সিগঞ্জের বজ্রযোগিনী গ্রামে শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্করের বাস্ত ভিটা]'',মো: রুবেল, বাংলাদেশ বার্তা ডট কম। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ৮ মার্চ, ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।</ref>
 
== তিব্বত যাত্রা ==
[[গুজ]] রাজ্যের দ্বিতীয় রাজা [[ব্যাং-ছুব-য়ে-শেস'-ওদ]] [[নাগ-ত্শো-লো-ত্সা-বা-ত্শুল-খ্রিম্স-র্গ্যাল-বা]] সহ কয়েক জন ভিক্ষুর হাতে প্রচুর স্বর্ণ উপঢৌকন দিয়ে দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানকে [[তিব্বত]] ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানালে দীপঙ্কর সবিনয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন। এতে নিরাশ না হয়ে [[ব্যাং-ছুব-য়ে-শেস'-ওদ]] সীমান্ত অঞ্চলে সোনা সংগ্রহের জন্য গেলে [[কারাখানী খানাত|কারাখানী খানাতের]] শাসক তাঁকেতাকে বন্দী করেন ও প্রচুর সোনা মুক্তিপণ হিসেবে দাবী করেন। [[ব্যাং-ছুব-য়ে-শেস'-ওদ]] তাঁরতার পুত্র ল্হা-লামা-ব্যাং-ছুব-ওদকে মুক্তিপণ দিতে বারণ করেন এবং ঐ অর্থ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানকে [[তিব্বত|তিব্বতে]] আনানোর জন্য ব্যয় করতে বলেন। ল্হা-লামা-ব্যাং-ছুব-ওদ [[গুজ]] রাজ্যের রাজা হয়ে গুং-থং-পা নামে এক বৌদ্ধ উপাসককে ও আরো কয়েক জন অনুগামীকে দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানকে [[তিব্বত|তিব্বতে]] আনানোর দায়িত্ব দেন। এরা নেপালের পথে বিক্রমশীলা বিহারে উপস্থিত হন এবং দীপঙ্করের সাথে সাক্ষাৎ করে সমস্ত সোনা নিবেদন করে ভূতপূর্ব রাজা [[ব্যাং-ছুব-য়ে-শেস'-ওদ|ব্যাং-ছুব-য়ে-শেস'-ওদের]] বন্দী হওয়ার কাহিনী ও তাঁরতার শেষ ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করলে দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান অভিভূত হন। আঠারো মাস পরে ১০৪০ খ্রিষ্টাব্দে বিহারের সমস্ত দায়িত্বভার লাঘব করে দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান [[তিব্বত]] যাত্রার জন্য প্রস্তুত হন। তিনি বারো জন সহযাত্রী নিয়ে প্রথমে [[বুদ্ধগয়া]] হয়ে নেপালের রাজধানীতে উপস্থিত হন এবং নেপালরাজের আগ্রহে এক বছর সেখানে কাটান। এরপর [[নেপাল]] অতিক্রম করে থুঙ বিহারে এলে তাঁরতার সঙ্গী র্গ্যা-লো-ত্সা-বা-ব্র্ত্সোন-'গ্রুস-সেং-গে ({{bo|w=rgya lo tsA ba brtson 'grus seng ge}}) অসুস্থ হয়ে মারা যান। ১০৪২ খ্রিষ্টাব্দে [[তিব্বত|তিব্বতে]] র পশ্চিম প্রান্তের ডংরী প্রদেশে পৌছন। সেখানে পৌছলে ল্হা-লামা-ব্যাং-ছুব-ওদ এক রাজকীয় সংবর্ধনার আয়োজন করে তাঁকেতাকে থোলিং বিহারে নিয়ে যান। এখানে দীপঙ্কর তাঁরতার বিখ্যাত গ্রন্থ [[বোধিপথপ্রদীপ]] রচনা করেন। ১০৪৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পুরঙে, ১০৪৭ খ্রিষ্টাব্দে [[সম-য়ে বৌদ্ধ বিহার]] ও ১০৫০ খ্রিষ্টাব্দে বে-এ-বাতে উপস্থিত হন।<ref name="তিব্বতে সওয়া বছর"/>
 
== তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার ==