১৮৯৯ থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে ১৯১৩ সাল পর্যন্ত ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে অধিকাংশ খেলায় অংশ নেন। এ সময়ে তিনি ৩৪৩টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ক্রিকইনফোয় তাঁকেতাকে ওরচেস্টারশায়ারের প্রথম-শ্রেণীর মর্যাদা লাভ থেকে বঞ্চিত হওয়া অন্য যে-কোন খেলোয়াড়ের তুলনায় তিনি অধিকতর ব্যথিত হয়েছিলেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। গৃহীত কাউন্টি দলের [[কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ|চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায়]] আঠারোটি শতরানের ইনিংসের পাশাপাশি সহস্রাধিক উইকেট পেয়েছেন তিনি। ১৯০০ সালে [[ইয়র্কশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|ইয়র্কশায়ারের]] বিপক্ষে দল ৪৩ রানে গুটিয়ে গেলেও একমাত্র তিনিই নিজেকে মেলে ধরেছিলেন।
== টেস্ট ক্রিকেট ==
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১০ টেস্টে অংশগ্রহণ করার সৌভাগ্য হয় তাঁর।তার। ১১ ডিসেম্বর, ১৯০৩ তারিখে [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট ক্রিকেটে]] টেড আর্নল্ডের অভিষেক ঘটে।
তিন টেস্ট সিরিজ বিজয়ী ইংল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। তন্মধ্যে, ১৯০৩-০৪ মৌসুমে [[পেলহাম ওয়ার্নার|প্লাম ওয়ার্নারের]] নেতৃত্বে [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়া]] সফরে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এ সফরেই তাঁরতার টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল। ঐ সিরিজে [[ব্যাটিং অর্ডার|উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান]] - [[রেজি ডাফ]] ও [[ভিক্টর ট্রাম্পার|ভিক্টর ট্রাম্পারকে]] দলীয় সংগ্রহ দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শের পূর্বেই ৯ রানে তাঁদের বিদায় করেন। এছাড়াও, সিরিজের চতুর্থ টেস্ট বিজয়ে তাঁরতার বেশ অবদান ছিল। যদিও ব্যাট হাতে [[pairs in test and first-class cricket|জোড়া শূন্য]] পেয়েছেন; তাসত্ত্বেও, প্রথম ইনিংসে চার উইকেট পান ও ভিক্টর ট্রাম্পারকে দুইবার আউট করেছিলেন।
== খেলার ধরন ==
বলে বৈচিত্র্যতা এনে উঁচুতে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন। বলগুলো দেখতে একই ধরনের ছিল। নিজস্ব শারীরিক কাঠামোর পূর্ণাঙ্গ সুযোগ কাজে লাগান। লাফিয়ে বোলিং করার ভঙ্গীমায় [[বিল বোস|বিল বোসের]] ন্যায় তিনিও উইকেটে বলকে পর্যাপ্ত উত্তোলন ঘটাতে পারতেন। বৃষ্টি আক্রান্ত উইকেটে এ ধরনের পদক্ষেপ সবিশেষ কাজে লাগতো। পর্যাপ্ত পরিমাণে বলকে সুইং করতেন। ব্যাটের বেশ দূর থেকে এ সুইং করতেন তিনি। ব্যাটসম্যান হিসেবে টেড আর্নল্ড প্রায় সবধরনের স্ট্রোক মারতেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শক্তিমত্তা নিয়ে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, দর্শনীয়ভাবে রক্ষণাত্মক ভঙ্গীমায় বল রুখে দিতেন। স্লিপ ফিল্ডার হিসেবেও সুনাম ছিল তাঁর।তার।
উইজডেন কর্তৃপক্ষ তাঁরতার স্মরণে মন্তব্য করে যে, খাঁটিমানের অল-রাউন্ডার ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। শুরুর দিককার সুইং বোলিংয়ের অন্যতম ব্যবহারকারী ছিলেন। [[জর্জ হার্স্ট|জর্জ হার্স্টকে]] আদর্শ মেনে চমকপ্রদ আউট সুইংগার করতেন। তবে, টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাট হাতে তেমন কোন ভূমিকাই রাখতে পারেননি।
== ব্যক্তিগত জীবন ==
তাঁরতার ভাইপো জন প্রাইস ও উইলিয়াম প্রাইস - উভয়েই ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ২৫ অক্টোবর, ১৯৪২ তারিখে ওরচেস্টারে ৬৫ বছর বয়সে টেড আর্নল্ডের দেহাবসান ঘটে।
