বিশ্ব সিংহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
২৬ নং লাইন:
১৫০৯ সাল নাগাদ বিশু জনজাতীয় নেতাদেরকে একজোট করার অভিযান আরম্ভ করেন।<ref>{{Harvcol|Nath|1989|pp=28–29}}</ref> দরং, করাইবারী, আতিয়াবারী, কামতাবারী, বলরামপুর ইত্যাদি কয়েকটি জনজাতীয় অঞ্চল তাঁর সাথে জোটবদ্ধ হয়।<ref>{{Harvcol|Nath|1989|pp=23}}</ref> এই অভিযানে তিনি ঔগুরির কুসুম ভূঞা, দীঘলা ভূঞা, কলিয়া ভূঞা, ঝারগ্রাঁ- কবিলাস ভূঞা, কর্ণপুর, ফুলগুরি, বিজনী এবং শেষে পাণ্ডুনাথের ([[গুয়াহাটি]]র পাণ্ডু) ভূঞাকে পরাস্ত করেছিলেন। কর্ণপুরের ভূঞার বিরুদ্ধে অভিযান অতি কঠিন সাব্যস্ত হয়েছিল।<ref>{{Harvcol|Nath|1989|pp=25}}</ref> এই অভিযান বান্দুকা এবং সজলাগ্রামের মত স্থানের ভূঞাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করেছিল।
===কামতাপুরে===
ভূঞাদেরকে পরাস্ত করে বিশু তাঁর কর্মস্থ চিকণার থেকে কামতাপুরে (বর্তমানরবর্তমান [[কোচবিহার]] শহরের নগররকয়েক কেইমাইলমানমাইল দক্ষিণ-পূবেপূর্বে) তুলে আনেন এবং নিজকে [[কামতা রাজ্য্ররাজ্য]]-এর শাসক বলে ঘোষণা করেন। তিনি ''বিশ্ব সিংহ'' বলে হিন্দু নাম গ্রহণ করেন। এইভাবে ১৫১৫ সালে কামতার কোচ রাজবংশের সূত্রপাত হয়।<ref>{{Harvcol|Nath|1989|pp=28}}</ref> তিনি ভায়েরভাই শিশুকে (শিষ্য সিংহ) ''যুবরাজ'' ঘোষণা করেন। পরে শিশুর সন্তান-সন্ততি জলপাইগুড়ির [[রাইকূট]] রাজা হয়। ভূঞার বিরুদ্ধে অভিযানে সহায়তা করা জনজাতীয় নেতাসমূহের মধ্যে থেকে তিনি ''কার্জি'' নামক বারজন মন্ত্রীর পদের সৃষ্টি করেন। এ্রএই দুজন ''কার্জি'' এবং ''যুবরাজ'' মিলে মন্ত্রীসভা গঠন করে। সেনাবাহিনীর নায়ক হিসেবে ''সেনাপতি'' পদের সৃষ্টি করা হয়। একটা লোকগণনার পরে তিনি প্রজার সুনিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন পদবীর সৃষ্টি করেন। সুস্থ-সবল পুরুষদেরকে পাইক বলা হত, তার ওপর ছিলেন ''ঠাকুরীয়া'' (২০ জন পাইকের ওপর), ''শইকীয়া'' (১০০ জন পাইকের ওপর), ''হাজারী'' (১০০০ জন পাইকের ওপর), ''ওমরা'' (৩০০০ জন পাইকের ওপর) এবং ''নবাব'' (৬৬,০০০ জন পাইকের ওপরে)।<ref>{{Harvcol|Nath|1989|pp=29–32}}</ref>
 
জনজাতীয় লোকদেরকে ''কার্জি'' হিসেবে নিযুক্ত করে বিশ্ব সিংহ‌ তাঁদের সাথে সম্পর্ক অব্যাহত রাখেন। নিযুক্ত করা একমাত্র ব্রাহ্মণ ছিলেন ''রাজ পুরোহিত''।<ref>{{Harvcol|Nath|1989|pp=32}}</ref>
 
বিশ্ব সিংহ বিবাহের মাধ্যমে অন্য রাজা এবং নেতাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। [[নেপাল]], [[গৌড়]], কামরূপ, বারাণসী, মিথিলা এবং [[কাশ্মীর]]-এর থেকে তাঁতাঁর আঠারোটি পত্নী ছিল এবং তাঁদের থেকে আঠারোজন পুত্র লাভ করেছিলেন। পুত্রদেরকেও প্রশাসনিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। নর সিংহকে (নেপালের রত্নকান্তির পুত্র) [[ভূটান]]-এর রাজার থেকে জয় করা অঞ্চলের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। গৌড়ের হেমপ্রভার পুত্র মল্লদেব (পরে [[নরনারায়ণ]]) উত্তরাধিকারী ছিলেন। গৌড়ের পদ্মাবতীর পুত্র শুক্লধ্বজ (পরে [[চিলারায়]]), কামরূপের চন্দ্রকান্তির পুত্র গোহাঁই কমল ইত্যাদি রাজ্যের কাজের দায়িত্বে ছিলেন।
 
===প্রাবর রাজ্য===