জ্যোতিষশাস্ত্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Praxidicae (আলোচনা | অবদান)
47.11.238.149-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Salim Khandoker-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
১ নং লাইন:
'''[https://g.co/kgs/0lmG7j জ্যোতিষশাস্ত্র]''' এমন একটি বিজ্ঞান যা নভোমণ্ডলে বিভিন্ন জ্যোতিষ্ক অর্থাৎ গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান বিবেচনা করতঃ মানুষের ভাগ্যগণনা তথা ভাগ্য নিরূপণ করে। যারা এরূপে ভাগ্য গণনা করে তাদের বলা হয় '''জ্যোতিষ'''।
 
জ্যোতিষ একটি সংস্কৃত শব্দ। এই শব্দের একটি অর্থ হল “জ্যোতির্বিষয়ক” এবং অস্ত্যর্থে এই শব্দের একটি অর্থ হল “জ্যোতিষশাস্ত্রবিৎ” এবং অন্য অর্থ “জ্যোতির্ব্বিৎ” <ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=বঙ্গীয় শব্দকোষ, প্রথম খন্ড|last=বন্দ্যোপাধ্যায়|first=হরিচরণ|publisher=সাহিত্য একাদেমি|year=১৯৬৬|isbn=81-260-0077-5|location=রবীন্দ্রভবন, ৩৫ ফিরোজশাহ রোড, নতুন দিল্লী ১১০ ০০১|pages=৯৫৭}}</ref>। জ্যোতিষ ৬ টি বেদাঙ্গের অন্যতম। বেদাঙ্গ জ্যোতিষের উপলব্ধ শ্লোকগুলিতে মূলতঃ সূর্য্য-চন্দ্রের আবর্তন ও ঋতুপরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয় আলোচিত হয়েছে। বেদের লিপিবদ্ধকরণের সময় যজ্ঞানুষ্ঠানের দিন, ক্ষণ ও মূহুর্তাদি নির্ণয়েও জ্যোতিষের বহুল ব্যবহার ছিল। উল্লেখ্য এই যে সেই সময় [https://g.co/kgs/0lmG7j [জ্যোতির্বিদ্যা]] ও জ্যোতিষবিদ্যা অভিন্ন ছিল।
 
বর্তমানে প্রশ্নকর্তার জন্মসময়, তারিখ এবং জন্মস্থানের ভিত্তিতে, জন্মকালে মহাকাশে গ্রহের অবস্থান নিরুপণ করে অথবা প্রশ্নের সময় গ্রহাদির অবস্থান নির্ণয় করে, অথবা হস্তরেখাবিচার, শরীরের চিহ্নবিচার ইত্যাদি বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহারে প্রশ্নকর্তার ভবিষ্যতের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করার জ্ঞান ও পদ্ধতিকে '''জ্যোতিষশাস্ত্র''' বলা হয়। আবার জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি বিভাগ দেশ, রাজ্য, শহর, গ্রাম ইত্যাদির এবং প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর যেমন বৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ভূমিকম্প, ঝড়, ঝঞ্ঝা, মহামারী বা প্লাবণের ভবিষ্যদ্বাণী করতেও ব্যবহৃত হয়।[[চিত্র:Astrological Glyphs.svg|thumb|right|250px|[[Astronomical symbols|Astrological glyphs]] for some of the [[planets in astrology|planets of astrology]], including the [[Sun]], the [[Earth]], the [[Moon]], and [[Pluto]].|সূর্য, পৃথিবী, চাঁদ এবং প্লুটো সহ জ্যোতিষের কয়েকটি গ্রহের জন্য জ্যোতিষশাস্ত্র বর্ণরূপ চিত্র]]
 
যিনি জ্যোতিষশাস্ত্রের চর্চা করেন, তিনি [https://g.co/kgs/0lmG7j [জ্যোতিষী]] নামে পরিচিত। আধুনিককালের জ্যোতিষীগণ প্রতীকের মাধ্যমে জ্যোতিষশাস্ত্র অধ্যয়ন করে থাকেন। এছাড়াও এটি এক ধরনের কলাশাস্ত্র বা ভবিষ্যৎকথন হিসেবে পরিচিত।
 
লক্ষণীয় এই যে জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রয়োগসূত্রগুলি কেবল সম্ভাবনা নির্দেশ করে, কিন্তু কোন নিশ্চিত ঘটনার কথা বলে না। তার কারণ এই যে জ্যোতিষীগণ মনে করেন মানুষ সচেতন কর্মের সাহায্যে অথবা ঈশ্বরের আশীর্বাদে অথবা এই দুইয়ের মিশ্রিতফলে ভাগ্য অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবর্তন করতে পারে। এই নিশ্চয়তার তারতম্যের কারণে অনেক বিজ্ঞানী জ্যোতিষশাস্ত্রকে মান্যতা দেন না। একদিকে যেমন বিখ্যাত বিজ্ঞানী [[ইয়োহানেস কেপলার]] একই সাথে জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং জ্যোতিষী ছিলেন, আবার অন্যদিকে বিজ্ঞানীদের অনেকে জ্যোতিষশাস্ত্রকে ভ্রান্ত প্রতিপন্ন করতে চেয়েছেন। যেমন, ১৯৭৫ সালের সেপ্টেম্বরে ''দ্য হিউম্যানিস্ট'' পত্রিকায় অনেক বিজ্ঞানী আনুষ্ঠানিকভাবে জ্যোতিষশাস্ত্রের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।<ref>জ্যোতিষশাস্ত্র, জ্যোতির্বিজ্ঞান শব্দকোষ, ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী, পৃষ্ঠা ২০</ref> এছাড়া বিখ্যাত বিজ্ঞান কাহিনী লেখক [[কার্ল সেগান]] তার একটি প্রামাণ্য চিত্রে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন।<ref>কসমস, কার্ল সেগান</ref> তৎসত্ত্বেও জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রতি বহু মানুষের বিশ্বাস এখনও অটুট আছে।
২০২ নং লাইন:
আধ্যাত্মিক, কার্মিক, ঔষধীক পদ্ধতিতে এবং রত্নধারণের মাধ্যমে প্রতিকার বিধান করা হয়ে থাকে। মন্ত্রজপ, যন্ত্রস্থাপনা, তন্ত্রসাধনা, পূজা ও দান ইত্যাদি আধ্যাত্মিক প্রতিকারের পথ। পূণ্যকর্ম, তপ, ত্যাগ, সাম্যভাব অবলম্বন ইত্যাদি হল কার্মিক প্রতিকার। ভেষজ, ধাতব ও রাসায়নিক প্রতিকার হল ঔষধীক প্রতিকারের উদাহরণ। জ্যোতিষীগণ প্রতিকারের জন্য সাধারণতঃ আধ্যাত্মিক, কার্মিক প্রতিকার এবং উদ্ভিদমূল, ধাতু ও রত্নধারণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
 
==[https://www.facebook.com/AstrologerSamareshSarkar/ হস্তরেখাবিদ্যা]==
হস্তরেখাবিদ্যা হাত ও হাতের রেখা বিশ্লেষণের মাধ্যমে কারও মানসিক অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের শুভাশুভ নির্ধারণ করার বিদ্যা। প্রাচীন ব্যাবিলন ও কালদিয়া ( Chaldea) অঞ্চলে এ বিদ্যার শুরু বলে মনে করা হয় এবং সেখান থেকে তা সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। <ref>http://bn.banglapedia.org/index.php?title=হস্তরেখাবিদ্যা</ref>
ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্রের গুরুত্ব যে কতখানি , আজকের যুগে সারা বিশ্বের মানুষ তা জানতে পেরেছেন। মানুষের করতল এবং তার ভেতরের রেখাসমূহ দেখে – তার ভূত – ভবিষ্যৎ বর্তমান বেশ সহজেই বলা যায় । হাজার হাজার বছরেরও পূর্ব থেকে ভারতে এই জ্যোতিষ – বিদ্যা ও সামুদ্রিক বিদ্যা চলে আসছে । তারপর কালক্রমে যত দিন যেতে থাকে, ততই এই বিদ্যা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এক্ষেত্রে বলা যায় যে, প্রাতঃস্মরণীয় জ্যোতিষী বরাহমিহিরেরও আগে এই শাস্ত্রের প্রচলন । তারপর বিভিন্ন মনীষী এই বিষয় নিয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন । তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, সারা পৃথিবীর মধ্য জ্যোতিষচর্চ্চা , সামুদ্রিক বিচার অর্থাৎ হস্তরেখা বিচার প্রভৃতি সর্বপ্রথম শুরু হয় ভারতবর্ষে । তারপর ভারত থেকে আরব-বণিকদের মাধ্যমে এই বিদ্যা আরবে চড়িয়ে পড়ে । তারপর মিশরে পৌঁছায় এবং অনেক উন্নত হয় । ক্রমে মিশর থেকে গ্রীস, রোম এবং অন্যান্য দেশ গুলিতে এই শাস্ত্র ছড়িয়ে পড়ে ।
 
== বাড়তি পঠন ==
== https://www.facebook.com/AstrologerSamareshSarkar/ ==
=== জ্যোতিষ বনাম বিজ্ঞান ===
* ''অলৌকিক নয় লৌকিক'' (৩য় খণ্ড), প্রবীর ঘোষ।
* ''বিজ্ঞান জ্যোতিষ সমাজ'', উৎস, মানুষ সংকলন।
* ''রাশিফল বিশ্বাস করি না'' নিবন্ধ, মো. আ. জব্বার; [[মহাকাশ বার্তা]], নভেম্বর ১৯৯৩ সংখ্যা।
 
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা|30em}}
 
{{অসম্পূর্ণ}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:জ্যোতিষ শাস্ত্র]]