জ্যাক লিওন্স: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
কমন্স বিষয়শ্রেণী যুক্তকরণ!
Suvray (আলোচনা | অবদান)
ইংল্যান্ড গমন - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
৩ নং লাইন:
| image = Jack Lyons.jpg
| caption = ১৮৯৬ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জ্যাক লিওন্স
| fullname = জন জেমস জ্যাক লিওন্স
| nickname =
| birth_date = {{জন্ম তারিখ|1863|5|21|df=yes}}
| birth_place = গলার, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া
| death_date = {{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|1927|7|21|1863|5|21|df=yes}}
| death_place = মাগিল, অ্যাডিলেড, অস্ট্রেলিয়া
| heightft =
| heightinch =
| family =
 
| batting = ডানহাতি
| bowling = ডানহাতি মিডিয়াম
| role = [[অল-রাউন্ডার]]
 
| columns = 2
৫৬ ⟶ ৬৫ নং লাইন:
'''জন জেমস জ্যাক বা জে.জে. লিওন্স''' ({{lang-en|Jack Lyons}}; [[জন্ম]]: [[২১ মে]], [[১৮৬৩]] - [[মৃত্যু]]: [[২১ জুলাই]], [[১৯২৭]]) দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার গলারে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের]] অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৮৭ থেকে ১৮৯৭ সময়কালে ১৪ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন '''জ্যাক লিওন্স'''।
 
এছাড়াও, ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ [[অল-রাউন্ডার]] ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে বোলিংয়েও পারদর্শিতা দেখিয়েছেন তিনি।
 
== খেলোয়াড়ী জীবন ==
২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৭ তারিখে সিডনিতে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর টেস্ট অভিষেক ঘটে। ১৮৮৪-৮৫ মৌসুম থেকে ১৮৯৯-১৯০০ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবন চলমান ছিল তাঁর। লিওন্সের ব্যাটিং কৌশল তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনে প্রভাববিস্তার করলেও একসময় কার্যকরী বোলার হিসেবেও নিজের পরিচিতি ঘটান। ১৮৮৭-৮৮ মৌসুমে অ্যাডিলেডে সফররত ইংরেজ একাদশের বিপক্ষে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার সদস্যরূপে ৭/৯৪ পান।
 
২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৭ তারিখে সফরকারী [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ড দলের]] বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার [[Reginald Allen (Australian cricketer)|আরসি অ্যালেন]], [[ফ্রেডরিক বার্টন|এফজে বার্টন]], [[জন কটাম|জেটি কটাম]], [[ওয়াল্টার গিফেন|ডব্লিউএফ গিফেন]] ও জেজে লিওন্স এবং ইংল্যান্ডের [[রেজিনাল্ড উড|আর উডের]] একযোগে টেস্ট অভিষেক ঘটেছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.cricinfo.com/ci/engine/match/62421.html|শিরোনাম= England in Australia (1886 &ndash; 1887): Scorecard of second Test|প্রকাশক=Cricinfo|সংগ্রহের-তারিখ=August 31, 2019}}</ref> সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত সিরিজের ঐ দ্বিতীয় টেস্টে তিনি মাত্র ১১ রান তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। বল হাতে নিয়ে কোন উইকেটের সন্ধান পাননি। ঐ খেলায় তাঁর দল ৭১ রানে পরাভূত হয়।
১৮৮৮, ১৮৯০ ও ১৮৯৩ সালে সর্বমোট তিনবার ইংল্যান্ড সফরে যান। এ সফরগুলোয় তিনি ব্যাট হাতে মারকূটে ভূমিকা পালন করেন। [[জর্জ বোনর|জর্জ বোনরের]] ন্যায় তেমন জনপ্রিয়তা পাননি। [[পার্সি ম্যাকডোনেল|পার্সি ম্যাকডোনেলের]] ন্যায় সকল ধরনের উইকেটেও সমান দক্ষতা প্রদর্শন করেননি। তবে স্পিন বল যদি বাঁক নিতো তাহলে তিনি সহজেই বোলারের শিকারে পরিণত হতেন। কিন্তু, হার্ড ও প্রকৃত উইকেটে ব্যাট হাতে রুদ্রমূর্তি ধারণ করতেন। বিশেষ করে সেরা বোলারগণ তাঁর হাতে বেশ নাকানি-চুবানি খেতেন। প্রথম সফরেই তিনি সফলতা পান। ১৮৯১-৯২ মৌসুমের শীতকালে ডব্লিউ. জি. গ্রেসের নেতৃত্বাধীন লর্ড শেফিল্ডের দলের বিপক্ষে সিডনি টেস্টে ১৩৪ রানের চমকপ্রদ ইনিংস খেলেন। ১৮৯৩ সালে ইংরেজরা তাঁর সেরা খেলা অবলোকন করে। সবগুলো খেলায় অংশ নিয়ে ১,৬০৫ রান তুলে ২৮ ঊর্ধ্ব গড়ে। তন্মধ্যে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর করেন ১৪৯। এর পরের বারও তিনি ২৩ ইনিংসে ৩৩ গড়ে ৭৬১ তোলেন। মে, ১৮৯৩ সালে লর্ডসে লিওন্স তাঁর সেরা ইনিংসটি উপহার দেন। অস্ট্রেলীয়রা দ্বিতীয়বারের মতো শক্তিশালী এমসিসি দলের বিপক্ষে ১৮১ রান পিছনে থেকে ব্যাটিংয়ে নামেন। এক উইকেট পতনের পর লিওন ও [[আলিক ব্যানারম্যান]] উইকেটে নামেন। এবার তিনি করেন ১৪৯ রান। ১২৪ রানের জুটিতে তাঁর সংগৃহীত ১০০ রান তুলেন এক ঘন্টায়। সম্পূর্ণ ইনিংসে তিনি বাইশ চার, তিনটি তিন, বিশটি দুই এবং বারোটি একক রান ছিল। ঐদিন দর্শকেরা লর্ডসে অন্যতম সেরা ব্যাটিং প্রদর্শনী অবলোকন করেন।
 
== ইংল্যান্ড গমন ==
লিওন্সের ব্যাটিং কৌশল তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনে প্রভাববিস্তার করলেও একসময় কার্যকরী বোলার হিসেবেও নিজের পরিচিতি ঘটান। ১৮৮৭-৮৮ মৌসুমে অ্যাডিলেডে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার সদস্যরূপে ৭/৯৪ পান। ১৮৯০ সালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে ৫/৩০ লাভের পাশাপাশি ৫৫ ও ৩৩ রান তুলে সবিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় দেন।
১৮৮৮, ১৮৯০ ও ১৮৯৩ সালে সর্বমোট তিনবার ইংল্যান্ড সফরে যান। এ সফরগুলোয় তিনি ব্যাট হাতে মারকূটে ভূমিকা পালন করেন। [[জর্জ বোনর|জর্জ বোনরের]] ন্যায় তেমন জনপ্রিয়তা পাননি। [[পার্সি ম্যাকডোনেল|পার্সি ম্যাকডোনেলের]] ন্যায় সকল ধরনের উইকেটেও সমান দক্ষতা প্রদর্শন করেননি। তবে স্পিন বল যদি বাঁক নিতো তাহলে তিনি সহজেই বোলারের শিকারে পরিণত হতেন। কিন্তু, হার্ড ও প্রকৃত উইকেটে ব্যাট হাতে রুদ্রমূর্তি ধারণ করতেন। বিশেষ করে সেরা বোলারগণ তাঁর হাতে বেশ নাকানি-চুবানি খেতেন। প্রথম সফরেই তিনি সফলতা পান। ১৮৯০ সালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে ৫/৩০ লাভের পাশাপাশি ৫৫ ও ৩৩ রান তুলে সবিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় দেন।
 
১৮৮৮, ১৮৯০ ও ১৮৯৩ সালে সর্বমোট তিনবার ইংল্যান্ড সফরে যান। এ সফরগুলোয় তিনি ব্যাট হাতে মারকূটে ভূমিকা পালন করেন। [[জর্জ বোনর|জর্জ বোনরের]] ন্যায় তেমন জনপ্রিয়তা পাননি। [[পার্সি ম্যাকডোনেল|পার্সি ম্যাকডোনেলের]] ন্যায় সকল ধরনের উইকেটেও সমান দক্ষতা প্রদর্শন করেননি। তবে স্পিন বল যদি বাঁক নিতো তাহলে তিনি সহজেই বোলারের শিকারে পরিণত হতেন। কিন্তু, হার্ড ও প্রকৃত উইকেটে ব্যাট হাতে রুদ্রমূর্তি ধারণ করতেন। বিশেষ করে সেরা বোলারগণ তাঁর হাতে বেশ নাকানি-চুবানি খেতেন। প্রথম সফরেই তিনি সফলতা পান। ১৮৯১-৯২ মৌসুমের শীতকালে ডব্লিউ. জি. গ্রেসের নেতৃত্বাধীন লর্ড শেফিল্ডের দলের বিপক্ষে সিডনি টেস্টে ১৩৪ রানের চমকপ্রদ ইনিংস খেলেন। ১৮৯৩ সালে ইংরেজরা তাঁর সেরা খেলা অবলোকন করে। সবগুলো খেলায় অংশ নিয়ে ১,৬০৫ রান তুলে ২৮ ঊর্ধ্ব গড়ে। তন্মধ্যে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর করেন ১৪৯। এর পরের বারওপরেরবারও তিনি ২৩ ইনিংসে ৩৩ গড়ে ৭৬১ তোলেন। মে, ১৮৯৩ সালে লর্ডসে লিওন্স তাঁর সেরা ইনিংসটি উপহার দেন। অস্ট্রেলীয়রা দ্বিতীয়বারের মতো শক্তিশালী এমসিসি দলের বিপক্ষে ১৮১ রান পিছনে থেকে ব্যাটিংয়ে নামেন। এক উইকেট পতনের পর লিওনলিওন্স ও [[আলিক ব্যানারম্যান]] উইকেটে নামেন। এবার তিনি করেন ১৪৯ রান। ১২৪ রানের জুটিতে তাঁর সংগৃহীত ১০০ রান তুলেন এক ঘন্টায়। সম্পূর্ণ ইনিংসে তিনি বাইশ চার, তিনটি তিন, বিশটি দুই এবং বারোটি একক রান ছিল। ঐদিন দর্শকেরা লর্ডসে অন্যতম সেরা ব্যাটিং প্রদর্শনী অবলোকন করেন।
 
== অবসর ==
৭৪ ⟶ ৮৬ নং লাইন:
 
== আরও দেখুন ==
* [[হ্যারি ট্রট]]
* [[জর্জ ইউলিট]]
* [[কুইন্সল্যান্ড ক্রিকেট দল]]
* [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল]]
* [[টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকে দুইবার ৫ উইকেট লাভকারী ক্রিকেটারদের তালিকা]]
৮০ ⟶ ৯৪ নং লাইন:
 
== বহিঃসংযোগ ==
{{কমন্স বিষয়শ্রেণী|Category:Jack Lyons (cricketer)|জ্যাক লিওন্স}}
* {{ক্রিকইনফো}}
* {{ক্রিকেটআর্কাইভ}}