হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সৌমেন মান্না (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সৌমেন মান্না-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে InternetArchiveBot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
৩৬ নং লাইন:
 
[[১৯২০]] সালে তিনি বেগম নেয়াজ ফাতেমাকে বিয়ে করেন। বেগম নেয়াজ ফাতেমা ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার আবদুর রহিমের কন্যা।
 
গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং এর অন্যতম মাথা সোহরাওয়ার্দী রাজনীতিতে ঢোকার সময় সামান্যও বাংলা বলতে
পারতেন না।
আসলে দুএকটি ব্যতিক্রমী উদাহরণ বাদ দিলে বাংলায় বহিরাগত মুসলিম পরিবার যারা ‚ অর্থাৎ ইরানী -তুর্কি -আফগান -পাঠান -শেখ এদের বেশিরভাগই বাংলা ভাষার প্রতি এক তীব্র ঘৃনা বোধ করত কারণ বাংলা ছিলো তাদের কাছে দরিদ্র চাষাভূষা শ্রেণীর ভাষা! তাই নিজেদের বাড়িতে তারা ফার্সী বা উর্দুতেই কথাবার্তা চালাতো!
.
যদিও অপ্রাসঙ্গিক তাও জানিয়ে রাখি ‚ ভারতে দীর্ঘ মুসলিম শাসনে এই বহিরাগত মুসলিম শ্রেনীই কিন্তু সমস্ত ক্ষমতা করায়ত্ত্ব করে রেখেছিলো! ভারতীয় ধর্মান্তরিত মুসলিমরা শুধুমাত্র আমাদের ধর্মই রাষ্ট্রধর্ম বলে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতো মাত্র ‚ লাভের গুড় তাদের ভাগ্যে কানাকড়িও জোটেনি! ক্ষমতার কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগই তাদের কোনোদিনও হয়নি। যা কিছু সব ক্ষমতা ভাগাভাগি করে খেত মধ্যএশিয়া থেকে আসা লুঠেরারা!
আর গর্বান্ধ ভারতীয় মুসলিমরা দূর থেকে বিদেশী মুসলিমদের খাওয়া ঘিয়ের গন্ধ শুঁকেই সন্তুষ্ট থাকতে বাধ্য হত ! ভারতের ভাষা -সংস্কৃতি -ধর্ম এমনকি মানুষ ‚ সবকিছু কেই ঘৃণার চোখে দেখতো সেই বিদেশী দখলদাররা!
.
খুব সম্ভবত ভারতের মুসলিম দের প্রথম সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করেছেন ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র! তিনি একদিকে যেমন ভারতের গরীব চাষী হাসিম শেখের দুঃখে কাতর হয়েছেন ‚ অন্যদিকে বিদেশী মুসলিম দের দিকে তর্জনী তুলে তাদের আক্রমণকারী বলে চিহ্নিত করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি!
.
.
যাকগে যেখানে ছিলাম ! তো আমাদের এই সোহরাওয়ার্দী প্রথম জীবনে বাংলা জানতেন না। কিন্তু যখন রাজনীতিতে আসতে চাইলেন তখন দেখলেন ক্ষমতার স্বাদ চাখার জন্যে এই চাষাভুষার বাংলা ভাষা শেখা ছাড়া গতি নেই। তাই তিনি তখন বাংলা শিখতে শুরু করেন! এবং পরবর্তীতে তিনি বেশ ভালোই বাংলা শিখেছিলেন!
.
.
কিন্তু প্রথম দিকে ‚মানে যখন তিনি সবে বাংলা শিখতে শুরু করেছেন তখন তাঁর অদ্ভুত ধরনের বাংলা বক্তৃতা মানুষের ভেতর হাসির খোরাক জোটাতো ।
.
যেমন ‚
একবার কলকাতার
মুসলিম ইন্সটিটিউটে ভদ্রলোক বক্তৃতা দিচ্ছেন। নতুন বাংলা শেখার অতিউৎসাহে তিনি ভাবলেন
লেডিস এন্ড জেন্টেলম্যানের বাংলা অনুবাদ
করে বক্তৃতা শুরু করবেন ।
.
ফলে তার বক্তৃতা শুরু হল এইভাবে ‚
"ভদ্র মহোদয় ও ভদ্র মাগীগণ"।
.
.
সেবার বহুকষ্টে পাবলিককে শান্ত করতে পেরেছিলো উদ্যোক্তারা!
.
.
<ref>[https://www.ittadishop.com/products/details/0b513a21ff5f11e7af9f04018da4a601/shomoyer-konthoshar.html সময়ের কন্ঠস্বর, মোজাফফর আহমদ]</ref>
 
== রাজনৈতিক জীবন ==