সাম্যবাদী দল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সৌমেন মান্না (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৬ নং লাইন:
 
[[এস্তোনিয়া]], [[লাটভিয়া]], [[লিথুয়ানিয়া]], [[ইন্দোনেশিয়া]], [[ইরান]], [[রোমানিয়া]] এবং [[দক্ষিণ কোরিয়া|দক্ষিণ কোরিয়ায়]] কমিউনিস্ট পার্টি অবৈধ।<ref>[http://www.raek.nl/index.php?option=com_content&view=article&id=2387:het-spook-van-het-communisme-waart-nog-steeds-door-europa&catid=51:fascisme-tot-op-de-bodem&Itemid=86 Domeinnaam niet ingeschakeld<!-- Bot generated title -->]</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |ইউআরএল=http://www.pvda.be/nieuws/artikel/twintig-jaar-na-de-val-van-de-muur-4-letse-kandidaat-president-voor-europese-unie-heeft-vuile-h/print.html |সংগ্রহের-তারিখ=৩ আগস্ট ২০১৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131110045859/http://www.pvda.be/nieuws/artikel/twintig-jaar-na-de-val-van-de-muur-4-letse-kandidaat-president-voor-europese-unie-heeft-vuile-h/print.html |আর্কাইভের-তারিখ=১০ নভেম্বর ২০১৩ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
== কমিউনিস্ট কারা ==
কমিউনিস্ট শব্দটার মানে আপনার কাছে কি ?
.
অন্য কার কাছে কি জানিনা ‚ আমার কাছে অন্তত কমিউনিস্ট মানেই আগাপাছতলা ছোটোলোক একটা চীনা দালাল ছাড়া আর কিছুইনা !
.
চীনা দালাল কেন? সে আর না বললেও চলবে ‚ ৬২ তে জ্যোতি বসুর চীনকে সাপোর্ট দেওয়া বা '৭১ এ নকশালদের "চীনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান " স্লোগান তো নিশ্চয়ই জানেন!
.
তবে ‚ ইদানীং তার সাথে জেহাদী দালাল শব্দটাও যুক্ত করা উচিৎ! যদিও ইদানীং না ‚ শুরু থেকেই তাই ছিলো! মুসলিম লীগের পাকিস্তান প্রস্তাবের বাস্তবায়নে অন্যতম সাহায্যকারী ছিলো কমিউনিস্টরা! আর শুধু তখন কেন? এখনো তো ‚ কানহাইয়া স্লোগান তোলে ব্রাহ্মন্যবাদ সে আজাদী ‚ আচ্ছা ‚১০০ বার সমর্থন ‚আমরাও তো কুখ্যাত ব্রাহ্মন্যবাদ ধ্বংস হোক। কিন্তু তার সাথে "শরিয়ত সে আজাদী " টুকুও কেন জায়গা পায়না কানহাইয়ার স্লোগানে ?
এরা কি আদৌ প্রগতিশীল? নাকি ইরান বা বাংলাদেশের মতো জেহাদী দের টাকায় পুষ্ট সিস্টেম বিরোধী এজেন্ট? যাদের কাজ নন মুসলিম এবং প্রগতিশীল মুসলিম দের দ্বিধাগ্রস্ত করে জেহাদী দের সুবিধা করে দেওয়া?
আমাদের ভাবা উচিৎ!
.
.
তবে আজ সেসব কথা না। আজ কমিউনিস্ট দের ছোটোলোকামি নিয়ে দুটো কথা বলি। অবশ্য হ্যাঁ ‚ হুমায়ূন আজাদ কথিত ভন্ড পীরের মতো ছোটোলোক কমিউনিস্ট শব্দটাও বোধহয় দ্বৈত শব্দ! কমিউনিস্ট মানেই সে ছোটোলোক ‚ এটা আলাদা করে বলতে হয়না। কমিউনিস্ট কখনো ভদ্রলোক হয়না। নিজের ব্যাঙ্কে টাকা জমিয়ে ‚ নিজের জন্যে ভোগ্যপণ্য ব্যবহার করে দিনরাত ভোগবাদের বিরোধিতা ‚ পুঁজির বিরোধিতা করে বেড়ানোর জন্যে আলাদা লেভেলের দোগলাপনা লাগে! এসব সবার দ্বারা হয়না!
.
যাকগে ‚ আসল কথায় আসি!
.
অতুল্য ঘোষের নাম শুনেছেন তো? তিনি ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য।
1942-এ “ভারত ছাড়ো” আন্দোলনের সময় তাঁকে গ্রেফতার করে পাঠানো হয় মেদিনীপুর জেলে। জেলের ভেতরেই এক অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। ফলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
লাঠিচার্জের সময়ে, পি কিড নামে এক ইংরেজ অফিসার তাঁর হাতের লাঠি অতুল্য ঘোষের চোখে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। ফলে আজীবনের জন্যে তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়।
.
এছাড়া সেইসময়ই জেলে তাঁর স্পাইনাল টিউবারকলোসিস রোগ ধরা পড়ে। কিন্তু জেলের ইংরেজ ডাক্তার তাঁকে ভুল ওষুধ দেওয়ায় অবস্থার অবনতি হয়। পরে সেই ডাক্তার ক্ষমা চেয়ে নেন অতুল্য ঘোষের কাছে। আর একবার জেলেই মেরে তাঁর ঘাড় থেকে কোমর পর্যন্ত হাড় ভেঙে দেওয়া হয়। যার ফলে তাঁকে আজীবন খুঁড়িয়ে চলতে হয়েছে এবং শরীরের পিছনের দিকে তাঁকে আজীবন লোহার খাঁচা জাতীয় একটি সরঞ্জাম বেঁধে থাকতে হয়েছে।
.
.
আচ্ছা ‚ এক ভদ্রলোকের ‚ তাও আবার যে সে না ‚ রীতিমতো একজন স্বাধীনতা যোদ্ধার এক চোখ নষ্ট! তাকে আপনি কি করবেন? ব্যাঙ্গ করবেন? কানা বলে ডাকবেন? নাম দেবেন কানা অতুল্য?
.
দেবেন না তো ? কিন্তু কমিউনিস্টরা দিয়েছিলো! স্যাডিস্ট শূয়রের বাচ্চার দল এই মহান ব্যক্তিকে নিয়ে তিনটে ছড়াও লিখে ফেলেছিল ! পড়বেন ছড়া তিনটে ? wait!
.
.
১- দুআনা সের বেগুন কিনে
মন হলো প্রফুল্ল‚
বাড়িতে এসে কেটে দেখি
*কানা অতুল্য*
.
২- ইন্দিরা মাসি বাজায় কাঁসি
প্রফুল্ল বাজায় ঢোল।
আয় অতুল্য খাবি আয়
*কানা* বেগুনের ঝোল।
.
৩- "মাছের শত্রু কচুরিপানা‚
দেশের শত্রু *অতুল্য কানা* " ।
.
.
এই তিনটে ছড়া সেইসময় ( '৬৭) সারা বাংলা জুড়ে দেয়ালে লিখে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল!
শুধু তাইই না ‚ তখন লাইট পোস্টের মাথায় মাথায় কানা বেগুন ঝুলিয়ে রাখা হতো অন্ধ অতুল্য ঘোষের প্রতি ইঙ্গিত করে !
.
আরেকটা ছোটোলোকামির উদাহরণ দিই?
অতুল্য ঘোষের বাঁকুড়া জেলায় একটি ছোট্ট বাড়ি ছিলো। গ্রামের বাড়িতে যেমন হয়, এই বাড়ির সামনেও একটি পুকুর ছিলো। দূরে দেখা যেতো পাহাড়। বামপন্থী নেতা যতীন চক্রবর্তী সেদিন এর বর্ণনা দিয়েছিলেন এ ভাবে,
“আপনাদের বঙ্গেশ্বর অতুল্য ঘোষ বাঁকুড়ায় সুইমিং পুল করেছেন, বিরাট রাজপ্রাসাদ করেছেন। সেখানে উনি এক চোখ দিয়ে অর্ধ-উলঙ্গ যুবতীদের স্নান উপভোগ করেন। বলুন, সেই বঙ্গেশ্বর ও তাঁর দলের পাণ্ডাদের দিয়ে কি সরকার চলে ?”
.
আজ্ঞে হ্যাঁ ‚ এই প্রজাতির নামই কমিউনিস্ট!
.
.
আরও একটা বলি?
.
1967 সালের ভোটের সময়ের ঘটনা এটা! অতুল্য ঘোষকে ‘পাকিস্তানের চর’ ( আজ্ঞে না ভুল পড়ছেন না ) বানাতে তাঁর নামে কুৎসা রটানোর লক্ষ্যে একটি লিফলেটের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছিল দিল্লিতে বসে। সেখানে ছাপাতে গেলে যদি জানাজানি হয়ে যায়, সে জন্য ওই খসড়া পাঠিয়ে দেওয়া হল পাটনায়! সেখানেই ছাপা হলো সেই লিফলেট ! যার সারমর্ম ছিলো, “অতুল্য ঘোষ একজন পাকিস্তানের চর। কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে তিনি দেশকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেবার চক্রান্ত করেছেন”।
তাঁর লেখা বলে একটি জাল চিঠি এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা দফতর থেকে আসা কতগুলি জাল প্রত্যুত্তর ব্যাখ্য দিয়ে
ছাপানো হল। কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হলো, গভীর রাতে অতুল্য ঘোষের নির্বাচন কেন্দ্রে ঘুরে
ঘুরে এগুলি ছড়িয়ে দিতে হবে।
বামেদের এই পরিকল্পিত মিথ্যাচারের উদ্দেশ্য সফল হয়েছিলো।
সেবার অতুল্য ঘোষ হেরে যান নির্বাচনে।
.
.
আরও শুনতে চান? আরো জানতে চান? এই অত্যন্ত ভালো মানুষটি কিভাবে চরমতম হেনস্থার শিকার হয়েছিল কমিউনিস্ট দের দ্বারা? শুনুন তবে।
.
ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে কমিউনিস্ট পার্টির তরফে প্রচার করা হলো, কংগ্রেস সরকারকে ব্যবহার করে বর্তমান বিবাদি বাগের স্টিফেন হাউস নামের প্রাসাদ তুল্য বাড়িটি মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল সেন এবং অতুল্য ঘোষ, এই দু’জনে মিলে কিনে নিয়েছেন বা দখল নিয়েছেন।
কমিউনিস্টরা চিরকালই প্রোপাগান্ডা ছড়াতে চ্যাম্পিয়ন! সেই সময়ে এমন জবরদস্ত প্রচার মানুষ বিশ্বাসও করেছিলো। স্টেটসম্যান পত্রিকার প্রাক্তন চিফ রিপোর্টার মিহির মুখোপাধ্যায় অনেক পরে তাঁর স্মৃতিচারণায় লিখেছিলেন,
"সাধারন মানুষ তো কোন ছাড়, তাঁর বহু বন্ধুবান্ধবও একথা বিশ্বাস করেছিলেন!"
.
এই প্রচার যে মিথ্যে ছিলো তা বোঝানোর জন্যে একটি উদাহরণই যথেষ্ট! প্রফুল্ল সেনের শেষ জীবন কেটেছিল অন্যের আশ্রয়ে! অশোককৃষ্ণ দত্ত তাঁর মিডলটন রোডের ফ্ল্যাটে প্রফুল্ল সেনকে শেষজীবনে থাকতে না দিলে, স্টিফেন হাউসের তথাকথিত মালিক হতভাগ্য এই লোকটি হয়তো বৃদ্ধ বয়সে থাকার জায়গাও পেতেননা!
.
#ঋন_স্বীকার_কনাদ_দাশগুপ্ত
 
==কমিউনিস্ট পার্টির সতর্কতা==