অ্যান্টিবডি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NAWAR HOSSAIN (আলোচনা | অবদান)
add link
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NAWAR HOSSAIN (আলোচনা | অবদান)
add link
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৫ নং লাইন:
যখন দেহে একটি বহিরাগত পদার্থ বা প্রতিরক্ষা-উদ্দীপক প্রবেশ করে, দেহের অনাক্রম্যতন্ত্র পদার্থটিকে বহিরাগত হিসেবে শনাক্ত করতে পারে। এর কারণ প্রতিরক্ষা-উদ্দীপকের পৃষ্ঠতলীয় অণুগুলি দেহের অণুগুলির চেয়ে ভিন্ন হয়। ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের প্রোটিন উপাদানগুলি সাধারণত প্রতিরক্ষা-উদ্দীপকের ভূমিকা পালন করে। এই প্রতিরক্ষা-উদ্দীপকগুলি দেহে রোগ সংক্রমণের সময় প্রবেশ করতে পারে কিংবা টিকাদানের সময় উদ্দেশ্যমূলকভাবে এগুলিকে দেহে প্রবেশ করানো হতে পারে, যাতে প্রতিরক্ষিকা উৎপাদন প্রক্রিয়াটি উদ্দীপ্ত হয়।
 
দেহের এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীগুলিকে ধ্বংস করার জন্য দেহের অনাক্রম্যতন্ত্র বেশ কিছু পদ্ধতির সহায়তা গ্রহণ করে। এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া হল অ্যান্টিবডি বা প্রতিরক্ষিকা সংশ্লেষণ বা উৎপাদন। রক্তের “বি” লসিকাকোষ (বি [[লিম্ফোসাইট]]) নামক এক বিশেষ ধরনের শ্বেত রক্তকণিকা এসব প্রতিরক্ষিকা উৎপাদন করে। এদেরকে বি-কোষ নামেও ডাকা হয়। যখন কোন প্রতিরক্ষা-উদ্দীপক বি-কোষের পৃষ্ঠের সাথে আবদ্ধ হয়, তখন বি-কোষটি উদ্দীপ্ত হয়ে পরিপক্কতা লাভ করে ও এক গুচ্ছ অভিন্নরূপী কোষে বিভক্ত হয়ে যায়, যাদেরকে "[[ক্লোন]]" বলা হয়। এই পরিপক্ক বি-কোষগুলি (যাদেরকে রক্তরস কোষ বা [[প্নাজমা কোষ]] নামেও ডাকা হয়) থেকে রক্তপ্রবাহে ও লসিকাতন্ত্রে লক্ষ লক্ষ প্রতিরক্ষিকা ক্ষরিত হয়।
 
অ্যান্টিবডি বা প্রতিরক্ষিকা উৎপাদন প্রক্রিয়া একবার শুরু হলে বেশ কিছু দিন অব্যাহত থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত সমস্ত প্রতিরক্ষা-উদ্দীপক অণু দেহ থেকে বিতাড়িত হয়। এর পরেও আরও বেশ কিছু মাস প্রতিরক্ষিকাগুলি রক্তপ্রবাহে প্রবহমান থাকে এবং ঐ নির্দিষ্ট প্রতিরক্ষা-উদ্দীপকটির বিরুদ্ধে দেহকে দীর্ঘস্থায়ী [[অনাক্রম্যতা]] প্রদান করে।
 
==রোগপ্রতিরোধে অ্যান্টিবডি বা প্রতিরক্ষিকার ভূমিকা==