[[চিত্র:Entrance of Armenian Church in Old Dhaka.JPG|thumb|left|পুরান ঢাকার আর্মেনিয়ান গির্জার প্রবেশপথ]]
ঢাকার নামকরণের সঠিক ইতিহাস নিয়ে ব্যাপক মতভেদ রয়েছে। কথিত আছে যে, [[সেন রাজবংশ|সেন বংশের]] রাজা [[বল্লাল সেন]] [[বুড়িগঙ্গা নদী|বুড়িগঙ্গা নদীর]] তীরবর্তী এলাকায় ভ্রমণকালে সন্নিহিত জঙ্গলে [[হিন্দু ধর্ম|হিন্দু]] দেবী [[দুর্গা|দুর্গার]] একটি বিগ্রহ খুঁজে পান। দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ রাজা [[বল্লাল সেন]] ঐ এলাকায় একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। যেহেতু দেবীর বিগ্রহ ''ঢাকা'' বা গুপ্ত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছিলো, তাই রাজা, মন্দিরের নাম রাখেন [[ঢাকেশ্বরী মন্দির]]। মন্দিরের নাম থেকেই কালক্রমে স্থানটির নাম ঢাকা হিসেবে গড়ে ওঠে।
আবার অনেক ঐতিহাসিকের মতে, মোঘল সম্রাট [[জাহাঙ্গীর]] যখন ঢাকাকে [[সুবা বাংলা|সুবা বাংলার]] রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন; তখন [[সুবাদার]] [[ইসলাম খান]] আনন্দের বহিঃপ্রকাশস্বরূপ শহরে 'ঢাক' বাজানোর নির্দেশ দেন। এই ঢাক বাজানোর কাহিনী লোকমুখে কিংবদন্তির রূপ নেয় এবং তা থেকেই শহরের নাম ঢাকা হয়ে যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, মোঘল সাম্রাজ্যের বেশ কিছু সময় ঢাকা [[সম্রাট জাহাঙ্গীর|সম্রাট জাহাঙ্গীরের]] প্রতি সম্মান জানিয়ে [[জাহাঙ্গীরনগর]] নামে পরিচিত ছিলো।
ঢাকা নগরীকে বর্তমানে দু'ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে - ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর। ঢাকা দক্ষিণই মূলতঃ মূল নগরী। ঢাকা উত্তর ঢাকার নবীন বর্ধিত উপশহরগুলো নিয়ে গঠিত।