সংকেতবিজ্ঞান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
→‎top: বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্য থাকল এর পরিচালককে জানান।
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
বিষয়বস্তু যোগ, বিষয়শ্রেণী
১ নং লাইন:
'''সঙ্কেতবিজ্ঞান''' ([[ইংরেজি]]: Semiotics) হল সঙ্কেত সংক্রান্ত গবেষণার ক্ষেত্র। সঙ্কেতবিজ্ঞানে সঙ্কেতের বাহ্যিক রূপ ও অন্তর্নিহিত অর্থের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করা হয়, বিশেষ করে ভাষাবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে। একটি সঙ্কেত দুইটি অংশ নিয়ে গঠিত – বাহ্যিক রূপ বা দ্যোতক (signifier) ও অন্তর্নিহিত অর্থ বা দ্যোতিত (signified)। যেমন ভাষাবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে দ্যোতক হল কোন ধ্বনিসমষ্টি বা চিত্র, যেমন “কুকুর” একটি ধ্বনিত শব্দ বা লিখিত শব্দ। অন্যদিকে দ্যোতিত হল কুকুরের ধারণা, অর্থাৎ একটি বিশেষ ধরনের চারপেয়ে প্রভুভক্ত রক্ষক প্রাণী। এই দুইটি উপাদান একত্রে মিলে সঙ্কেত তৈরি করেছে।
'''সংকেতবিজ্ঞান''' ([[ইংরেজি]]: Semiotics) হল প্রতীক, সংকেত, চিহ্ন, ইত্যাদি গবেষণার শাস্ত্র। এতে কীভাবে বিভিন্ন সংকেতের অর্থ তৈরি হয় এবং এই অর্থ কীভাবে বোঝা হয়, সে নিয়ে গবেষণা করা হয়।
ভাষা বিজ্ঞানকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায় ।
 
পাশ্চাত্য দর্শনে সঙ্কেতের উপর চিন্তাভাবনার ইতিহাস দীর্ঘ। তবে ২০শ শতকে এসে এ সংক্রান্ত গবেষণা বিকাশ লাভ করে, যার প্রাতিষ্ঠানিক নাম দেওয়া হয় সঙ্কেতবিজ্ঞান। সঙ্কেতবিজ্ঞানের ইংরেজি পরিভাষা হল সেমিওটিক্‌স; মার্কিন দার্শনিক [[চার্লস স্যান্ডার্স পিয়ার্স]] পরিভাষাটি সর্বপ্রথম প্রয়োগ করেন। অন্যদিকে সুইজারল্যান্ডীয় ভাষাবিজ্ঞানী [[ফের্দিনঁ দ্য সোস্যুর]] “সেমিওলজি” নামের সমার্থক একটি পরিভাষা ব্যবহার করেন। পিয়ার্স ও সোস্যুরকে সঙ্কেতবিজ্ঞানের দুই প্রধান প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে গণ্য করা হয়।
'''•শব্দতত্ত্ব:'''[[Semantics]] একে শব্দার্থতত্ত্ব, অর্থতত্ত্ব, ইত্যাদি নামেও বাংলায় ডাকা হয়।
 
সঙ্কেতবিজ্ঞানে পিয়ার্সের গবেষণা ছিল যুক্তিবিজ্ঞান ও প্রয়োগবাদভিত্তিক। পিয়ার্স মনে করতেন যে সঙ্কেতবিজ্ঞান হল স্বয়ং যুক্তিবিজ্ঞানের ভিত্তি। তিনি যুক্তিবিজ্ঞানকে “সঙ্কেতসমূহের জন্য প্রয়োজনীয় সাধারণ বিধিসমূহের বিজ্ঞান” হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেন। পিয়ার্সের দ্যোতক, দ্যোতিত ও বাস্তব বিশ্বে নির্দেশিত বস্তুর মধ্যকার সম্পর্কগুলির প্রকৃতি অনুযায়ী সমস্ত সঙ্কেত শ্রেণীবদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালান। সঙ্কেতবিজ্ঞানে পিয়ার্সের দুইটি প্রধান অবদান আছে। প্রথম অবদানটি হল সঙ্কেতের শ্রেণীবদ্ধকরণ। পিয়ার্স সমস্ত সঙ্কেতকে তিনটি প্রধান শ্রেণীতে ভাগ করেন। এগুলি হল ১) প্রতিমূর্তি (আইকন), যা নির্দেশিত বস্তুর সদৃশ হয় অর্থাৎ তার মত দেখতে হয়। ২) সূচক (ইনডেক্স), যা নির্দেশিত বস্তুর সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়। এবং ৩) প্রতীক (সিম্বল), যা নির্দেশিত বস্তুর সাথে কেবল প্রচলিত রীতি অনুযায়ী সম্পর্কযুক্ত হয়, যেমন কোনও ভাষার শব্দসমূহ। অবশ্য ধ্বন্যাত্মক শব্দগুলি (onomatopoeic words) এবং চীনা ভাষার ভাবচিত্রাক্ষরগুলি (ideogram) এর ব্যতিক্রম। পিয়ার্সের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান এই যে তিনি প্রমাণ করেন যে একটি সঙ্কেতের কখনোই সুনির্দিষ্ট অর্থ থাকতে পারে না, কেননা অর্থকে অবিরাম নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
'''•বাক্যতত্ত্ব:'''[[Syntax|Syntactics]] বাক্যতত্ত্ব নামক ভাষাবিজ্ঞানের শাখায় বাক্যের গঠন নিয়ে আলোচনা করা হয়। অর্থাৎ একাধিক শব্দ কী নিয়মে যুক্ত হয়ে বৃহত্তর এককসমূহ গঠন করে।
 
সোস্যুর মূলত ভাষাবিজ্ঞানে আগ্রহী ছিলেন, তাই তিনি শুধুমাত্র ভাষিক সংকেত নিয়ে কাজ করেন। তিনি ভাষার বিভিন্ন দিককে পৃথককারী একটি শ্রেণীকরণমূলক তন্ত্র বা ব্যবস্থা তৈরির প্রচেষ্টা চালান। সোস্যুরকে সাংগঠনিক ভাষাবিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে গণ্য করা হয়। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ হল ‘’কুর দ্য লাঁগ্যুইস্তিক জেনেরাল’’ (১৯১৬ ''Cours de linguistique générale''; "সাধারণ ভাষাবিজ্ঞানের পাঠ")। সোস্যুরের সাঙ্কেততাত্ত্বিক বিশ্লেষণগুলিতে বিপরীত জোড় নিয়ে কাজ করার প্রবণতা দেখা যায়। প্রথমত, ভাষাবৈজ্ঞানিক গবেষণা কালান্তরী বা ঐতিহাসিক ও এককালিক – এই দুই ধরনের হতে পারে। দ্বিতীয়ত, ভাষাকে হয় লঁগ বা পারল, এই দুইয়ের যেকোনও একটি হিসেবে গণ্য করা যায়। লঁগ হল কোনও একটি ভাষার আর্থিক ও বাক্যতাত্ত্বিক নিয়ম বা সূত্রগুলির সাধারণ সমষ্টি। আর পারল হল বাস্তবজীবনে ব্যক্তিবিশেষের ব্যবহৃত ভাষা। তৃতীয়ত ভাষিক সংকেত দ্যোতক ও দ্যোতিত – এই দুইয়ের সমন্বয়ে গঠিত; এদের মধ্যকার সম্পর্ক যাদৃচ্ছিক।
'''•প্রয়োগতত্ত্ব:''' [[Pragmatics]]প্রয়োগতত্ত্ব হলো ভাষাবিজ্ঞান ও সংকেতবিজ্ঞান-এর একটি উপশাখা যেখানে প্রেক্ষাপট কোনো অর্থ বোঝাতে সাহায্য করে তার চর্চা করা হয়।
 
[[বিষয়শ্রেণী:সংকেতবিজ্ঞানযোগাযোগ শিক্ষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভাষার দর্শন]]