সংকেত (তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
ভূমিকা সংশোধন ও সম্প্রসারণ
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
১ নং লাইন:
[[File:International Morse Code.svg|right|thumb|290px|মোর্স সংকেতলিখন পদ্ধতি (মোর্স কোড), একটি বিখ্যাত সংকেতলিখন পদ্ধতি]]
যোগাযোগ ও তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে '''সঙ্কেতলিখন পদ্ধতি''' (ইংরেজি পরিভাষায় '''কোড''' Code) বলতে কতগুলি নিয়ম বা সূত্রের একটি পদ্ধতিকে বোঝায় যার মাধ্যমে কোনও তথ্য যেমন [[বর্ণ]], [[সংখ্যা]], [[শব্দ]], [[চিত্র]] বা [[ইঙ্গিত]]কে অন্য একটি রূপে পরিবর্তন বা রূপান্তর করা যায়। সংকেতলিখন পদ্ধতির মাধ্যমে উৎপাদিত উপাত্ত বা তথ্যকে '''সাঙ্কেতিক তথ্য-উপাত্ত''' বাবলে। ইংরেজিতেইংরেজি "পরিভাষায় '''কোড" বলা হয়। সংকেতলিখন প্রক্রিয়াতে তথ্য ও উপাত্তকে [[উপাত্ত সংকোচন|সংকুচিত]] করা হতে পারে কিংবা এর অর্থকে [[গুপ্তায়ন|গুপ্ত]] করা হতে পারে। সঙ্কেতায়িত তথ্য বা বার্তাটিকে একটি যোগাযোগের প্রণালী''' (Communication channelCode) শব্দটি দিয়ে সম্প্রচারসঙ্কেতলিখন করাপদ্ধতি হতেএবং পারে, কিংবা কোনও সংরক্ষণপদ্ধতির মাধ্যমে (Storageউৎপাদিত medium)সাঙ্কেতিক সংরক্ষণতথ্য-উপাত্ত করাউভয়কেই হতে পারে।বোঝানো হয়।
 
সংকেতলিখন প্রক্রিয়াতে তথ্য-উপাত্তকে [[উপাত্ত সংকোচন|সংকুচিত]] করা হতে পারে কিংবা এর অর্থকে [[গুপ্তায়ন|গুপ্ত]] করা হতে পারে। সঙ্কেতায়িত তথ্য-উপাত্ত সম্বলিত বার্তাটিকে একটি যোগাযোগের প্রণালী (Communication channel) দিয়ে সম্প্রচার করা হতে পারে, কিংবা কোনও সংরক্ষণ মাধ্যমে (Storage medium) সংরক্ষণ করা হতে পারে।
সঙ্কেতলিখন পদ্ধতির সবচেয়ে প্রাচীন উদাহরণ হল মানুষের মুখের [[স্বাভাবিক ভাষা]], যার সুবাদে একজন ব্যক্তি কথা বলার (speech) মাধ্যমে অন্য ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে সে যা কিছু দেখে, শোনে, অনুভব করে বা চিন্তা করে, তা শ্রোতাকে জ্ঞাপন করতে বা অবহিত করতে পারে। কিন্তু কোনও ব্যক্তির কণ্ঠ যত বেশী দূরত্ব পর্যন্ত শোনা যায়, ঠিক ততদূর পর্যন্ত মুখের ভাষার পরিধি সীমিত, ফলে মানুষের মুখের স্বাভাবিক ভাষা শোনার জন্য অন্য শ্রোতাদেরকে বক্তার কথা বলার সময় কাছাকাছি অবস্থানে উপস্থিত থাকতে হয়। এরপর [[লিখন পদ্ধতি]]র উদ্ভাবনের ফলে কথিত ভাষাকে দৃশ্যমান প্রতীকে রূপান্তর করা সম্ভব হয় এবং যোগাযোগের পরিসর স্থান-কালের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়।
 
সঙ্কেতলিখন পদ্ধতির সবচেয়ে প্রাচীন উদাহরণ হল মানুষের মুখের [[স্বাভাবিক ভাষা]], যার সুবাদে একজন ব্যক্তি কথা বলার (speech) মাধ্যমে অন্য ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং সে যা কিছু দেখে, শোনে, অনুভব করে বা চিন্তা করে, তা উপস্থিত এক বা একাধিক শ্রোতাকে মৌখিক বার্তারূপে জ্ঞাপন করতে বা অবহিত করতে পারে। কিন্তু কোনও ব্যক্তির কণ্ঠ যত বেশী দূরত্ব পর্যন্ত শোনা যায়, ঠিক ততদূর পর্যন্ত মুখের ভাষার পরিধি সীমিত, ফলে মানুষের মুখের স্বাভাবিক ভাষা শোনার জন্য অন্য শ্রোতাদেরকে বক্তার কথা বলার সময় কাছাকাছি অবস্থানে উপস্থিত থাকতে হয়। এরপর [[লিখন পদ্ধতি]]র উদ্ভাবনের ফলে কথিত ভাষাকে দৃশ্যমান প্রতীকে রূপান্তর করা সম্ভব হয় এবং যোগাযোগের পরিসর স্থান-কালের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়। ১৯শ শতকে টেলিগ্রাফ বা দূরলিখন প্রযুক্তির উদ্ভাবনের সুবাদে লিখিত বার্তা এবং এরপর বিংশ শতাব্দীতে টেলিফোন বা দূরালাপনী প্রযুক্তির উদ্ভাবনের ফলে মৌখিক বার্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে স্থান-কালের সীমানা পেরিয়ে জ্ঞাপন করা সম্ভব হয়।
 
'''সাঙ্কেতিকীকরণ''' (Encoding এনকোডিং) প্রক্রিয়াতে যোগাযোগের কোনও উৎস থেকে প্রাপ্ত মানুষের বোধগম্য তথ্যকে যোগাযোগের বা সংরক্ষণের স্বার্থে সঙ্কেত বা প্রতীকে রূপান্তর করা হয়। এর বিপরীতমুখী প্রক্রিয়া হল '''বিসাঙ্কেতিকীকরণ''' (Decoding ডিকোডিং) যেখানে সাঙ্কেতিক উপাত্ত বা তথ্য তথা কোডকে পুনরায় গ্রহীতা মানুষের বোধগম্য একটি রূপে (যেমন মানুষের স্বাভাবিক ভাষা) রূপান্তরিত করা হয়। আধুনিক ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র কম্পিউটারে যোগাযোগ ও তথ্য বিশ্লেষণের জন্য যে সঙ্কেতলিখন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তা হল বাইনারি সঙ্কেতলিখন পদ্ধতি।