মীর মশাররফ হোসেন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক ব্যক্তি
| name = সৈয়দ মীর মশাররফ হোসেন
| image = Syed Mir mosharraf hossain.jpg
| caption =
| birth_name = সৈয়দ মীর মশাররফ হোসেন
| birth_date = ১৮৪৭
| birth_place = [[কুষ্টিয়া জেলা|কুষ্টিয়া]] (বর্তমান [[বাংলাদেশ]])
২২ নং লাইন:
}}
 
সৈয়দ '''মীর মশাররফ হোসেন''' (নভেম্বর ১৩, ১৮৪৭ - ডিসেম্বর ১৯, ১৯১১) ছিলেন একজন বাঙালি ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী ও বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।<ref name="বাংলাপিডিয়া" /> কারবালার যুদ্ধকে উপজীব্য করে রচিত ''[[বিষাদ সিন্ধু]]'' তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় সাহিত্যকর্ম।
 
তিনি তৎকালীন [[ব্রিটিশ ভারত|বৃটিশ ভারতে]] (বর্তমান বাংলাদেশ) [[কুষ্টিয়া জেলা|কুষ্টিয়া জেলার]] কুমারখালি উপজেলার চাঁপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর লেখাপড়ার জীবন কাটে প্রথমে কুষ্টিয়ায়, পরে [[ফরিদপুর জেলা|ফরিদপুরের]] পদমদীতে ও শেষে কৃষ্ণনগরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে। তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় হয় ফরিদপুরের নবাব এস্টেটে চাকরি করে। তিনি কিছুকাল [[কলকাতা|কলকাতায়]] বসবাস করেন।
২৯ নং লাইন:
 
==প্রাথমিক জীবন==
সৈয়দ মীর মশাররফ হোসেন খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর একটি ছোট গ্রাম লাহিনিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Mir Mosharraf Hossain: A pioneering Bengali writer|ইউআরএল=http://www.theindependentbd.com/index.php?option=com_content&view=article&id=171824:mir-mosharraf-hossain-a-pioneering-bengali-writer&catid=123:art-culture&Itemid=217|সংগ্রহের-তারিখ=18 February 2014|সংবাদপত্র=The Independent|তারিখ=1 June 2013}}</ref> কিন্তু তার জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দির পদমদীতে অতিবাহিত করেন। তবে তার জন্ম তারিখ ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর বলে ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়।<ref>ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়: 'স্বর্ণকুমারী দেবী, মীর মশাররফ হোসেন'। সাহিত্য সাধক-চরিতমালা' : ২৮-২৯ সংখ্যক পুস্তিকা। পঞ্চম-সং: কলিকাতা, জৈষ্ঠ্য ১৩৬১. পৃষ্ঠা ৩১।</ref> কিন্তু কিছু গবেষক তার জন্ম তারিখ ১৮৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর বলে দাবী করেন।<ref>আবুল আহসান চৌধুরী. মীর মশাররফ হোসেন. জীবনী গ্রন্থমালা সিরিজ. বাংলা একাডেমী. ঢাকা. ১৯৯৩. পৃষ্ঠা-১১।</ref> তিনি নবাব সৈয়দ মীর মোয়াজ্জেম হোসেন<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://members.iinet.net.au/~royalty/ips/p/padamdi.html|শিরোনাম=নবাব সৈয়দ মীর মোয়াজ্জেম হোসেন|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> (মুসলিম সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি, তৎকালীন পদমদী নবাব এস্টেটের জমিদার) এবং দৌলতুন্নেছার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।
 
==শিক্ষাজীবন==
 
সৈয়দ মীর মশাররফ হোসেনের স্কুল জীবন কেটেছে প্রথমে কুষ্টিয়ায়, পরে পদমদী এবং শেষে [[কৃষ্ণনগর]] শহরে। জগমোহন নন্দীর পাঠশালা, কুমারখালির ইংলিশ স্কুল, পদমদী নবাব স্কুল ও [[কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল]] এ পড়ার কথা লেখকের আত্নজীবনীতে লেখা আছে। <ref name="ReferenceA">[[সেলিনা হোসেন]] ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত; [[বাংলা একাডেমী]] চরিতাভিধান; ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭; পৃষ্ঠা- ২৮৬।</ref>
 
{{উক্তি|text=‘বঙ্গবাসী মুসলমানদের দেশভাষা বা মাতৃভাষা “বাঙ্গালা”। মাতৃভাষায় যাহার আস্থা নাই, সে মানুষ নহে। বিশেষ সাংসারিক কাজকর্ম্মে মাতৃভাষারই সম্পূর্ণ অধিকার। মাতৃভাষায় অবহেলা করিয়া অন্য দুই ভাষায় বিখ্যাত পণ্ডিত হইলেও তাহার প্রতিপত্তি নাই। পরিবার, আত্মীয়স্বজন, এমনকি প্রাণের প্রাণ যে স্ত্রী, তাহার নিকটেও আদর নাই। অসুবিধাও বিস্তর। ইস্তক ঘরকন্নার কার্য্য নাগাদে রাজসংশ্রবী যাবতীয় কার্য্যে বঙ্গবাসী মুসলমানদের বাঙ্গালা ভাষার প্রয়োজন।|sign=মীর মশাররফ হোসেন ("আমাদের শিক্ষা" নামক প্রবন্ধ) <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bonikbarta.net/bangla/news/2016-08-11/83428/%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B0%E0%A6%AB-%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8--/|শিরোনাম=মীর মশাররফ হোসেন|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|কর্ম=বণিক বার্তা|সংগ্রহের-তারিখ=2018-05-19}}</ref>|source=}}