ডায়নামো তত্ত্ব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ahmad Abdullah Nufaer (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Ahmad Abdullah Nufaer (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
{{কাজ চলছে/২০১৯}}
[[File:Outer_core_convection_rolls.jpg|সংযোগ=https://en.wikipedia.org/wiki/File:Outer_core_convection_rolls.jpg|alt=|থাম্ব|পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র যে ডায়নামো মেকানিজম দ্বারা হয়, তার বিশদঃ পৃথিবীর বহিরাংশে তরল ধাতুর [[পরিচলন]] প্রবাহ, যা অভ্যান্তরের তাপ প্রবাহ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, এটি [[:en:Coriolis_force|করোলিয়াস বল]]<nowiki/>দ্বারা রোল এর মতো সাজানো থাকে, এর ফলে চক্রাকারে পরিভ্রমণরত তড়িৎপ্রবাহের সৃষ্টি হয় , যা চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে।<ref>{{cite web|title=How does the Earth's core generate a magnetic field?|website=USGS FAQs|publisher=United States Geological Survey|url=http://www.usgs.gov/faq/?q=categories/9782/2738|accessdate=21 October 2013|deadurl=yes|archiveurl=https://web.archive.org/web/20150118213104/http://www.usgs.gov/faq/?q=categories%2F9782%2F2738|archivedate=18 January 2015|df=}}</ref>]]
{{about|পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের উৎসের ব্যাপারে একটি প্রস্তাবিত মতবাদ|একটি যান্ত্রিক ডায়নামোর কার্যপ্রণালীর ব্যাখ্যার|ডায়নামো}}পাদার্থবিদ্যা অনুসারে ডায়নামো তত্ত্ব হলো এমন প্রকৃয়া, যার মাধ্যমে কোন অপার্থিব জিনিস যেমন পৃথিবী বা তারকারাজি চৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি করে। ডায়নামো তত্ত্ব বর্ণনা করে, যে প্রকৃয়ায় ঘূর্ণনশীল, পরিচলনরত এবং বিদ্যুৎ পরিবাহী কোন তরল সৌর সময়ের মধ্যে একটি চৌম্বক ক্ষেত্র বজায় রাখে। এই ডায়নামো তত্ত্বকেই পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র সহ দীর্ঘকায় জোভিয়ান গ্রহপুঞ্জ, পারদ এগুলোর চৌম্বকক্ষেত্রের উৎস হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
 
== তত্ত্বের ইতিহাস ==
যখন১৬০০ সালে ইংরেজ বিজ্ঞানী [[উইলিয়াম গিলবার্ট]] ১৬০০যখন সালেতাঁর [[ডি ম্যাগনেট]] প্রকাশ করেছিলেন, তখন তিনি উপসংহারে এসেছিলেন যে, পৃথিবী চৌম্বকীয়চৌম্বকীয়। এবংতিনি এইঅনুমান চৌম্বকবাদেরকরেছিলেন, উৎসেরএই ব্যাপারেচৌম্বকত্বের স্থায়ীউৎস চৌম্বকহলো যেমনআয়োডোস্টোনের আয়োডোস্টনেমতোই পাওয়া যায়স্থায়ী এর প্রস্তাব করেছিলেন।চুম্বক। ১৯১৯ সালে [[জোসেফ লারমোর]] প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে, কোনও ডায়নামো এই চোম্বকক্ষেত্রটি তৈরি করছে।<ref name="Larmor1919">{{cite journal|first=J.|last=Larmor|year=1919|title=How could a rotating body such as the Sun become a magnet?|journal=Reports of the British Association|volume=87|pages=159–160}}</ref><ref>{{cite journal|first=J.|last=Larmor|year=1919|title=Possible rotational origin of magnetic fields of sun and earth|journal=Electrical Review|volume=85|pages=412ff}} Reprinted in ''Engineering'', vol. 108, pages 461ff (3 October 1919).</ref> যাইহোক, তিনি তাঁর প্রস্তাবনাকে আরো উন্নত করার পরেও তৎকালীন কিছু বিশিষ্ট বিজ্ঞানী বিকল্প ব্যাখ্যা নিয়েই কাজ করছিলেন। আইনস্টাইন বিশ্বাস করতেন যে, ইলেক্ট্রন এবং প্রোটনের আধানের মধ্যে হয়তো অসাম্য থাকতে পারে যার ফলে পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রটি পুরো পৃথিবী দ্বারাই উৎপাদিতউৎপন্ন হয়। নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী প্যাট্রিক ব্ল্যাকেট কৌণিক গতিশক্তি এবং চৌম্বকীয় গতিশক্তির মধ্যে মৌলিক সম্পর্কের সন্ধানে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন, কিন্তু তিনি কিছুই খুঁজে পাননি।<ref>{{cite journal|last=Nye|first=Mary Jo|title=Temptations of theory, strategies of evidence: P. M. S. Blackett and the earth's magnetism, 1947–52|journal=The British Journal for the History of Science|date=1 March 1999|volume=32|issue=1|pages=69–92|doi=10.1017/S0007087498003495}}</ref> <ref>{{harvnb|Merrill|McElhinny|McFadden|1996|loc=page 17}} claim that in 1905, shortly after composing his [[special relativity]] paper, [[Albert Einstein]] described the origin of the [[Earth's magnetic field]] as being one of the great unsolved problems facing modern [[Physicist|physicists]]. However, they do not provide details on where he made this statement.</ref>
 
ওয়াল্টার এম এলসাসার, বর্তমানে গৃহীত ডায়নামো তত্ত্বের একজন "পিতা" হিসাবে বিবেচিত হয়েছিলেন, পৃথিবীর চৌম্বকত্বের গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা করার জন্য। তিনি প্রস্তাব করেছিলেন যে, এই চৌম্বকীয় ক্ষেত্রটিচৌম্বকক্ষেত্রটি পৃথিবীর তরল বহিরাংশে তড়িৎপ্রবাহের ফলে তৈরি হয়েছে। তিনি পাথরের খনিজগুলির চৌম্বকীয় বিশ্লেষণ করে পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রেরচৌম্বকক্ষেত্রের ইতিহাস প্রকাশ করেছিলেন।
 
ওহমিক ক্ষয়ের বিরুদ্ধে চৌম্বকীয় ক্ষেত্রটি বজায় রাখতে (যা ২০,০০০ বছরের মধ্যে দ্বিমেরুক্ষেত্রের জন্য ঘটে) বিরুদ্ধে চৌম্বকীয় ক্ষেত্রটি বজায় রাখতে, পৃথিবীর বাহ্যিক কোরটি অবশ্যই পরিচলনরত হতে হবে। এই পরিচিলনটি তাপীয় পরিচলন এবং ভূপৃষ্ঠের পদার্থের পরিচলন দোনোভাবেই হয়ে থাকে। আবরনটি কোর থেকে তাপ নিষ্কাশনের হার নিয়ন্ত্রণ করে। এই তাপের উৎসগুলো হলো, পৃথিবীর কোরের সংকোচনের ফলে যে মহাকর্ষীয় শক্তির নিঃস্বরন হয়, ক্রমবর্ধমান পৃথিবীর অভ্যান্তরীন কোরে আলোক নিঃস্বরনকারী উপাদানগুলি (যেমন সালফার, অক্সিজেন বা সিলিকন) কে প্রত্যাখ্যান করতে যে মহাকর্ষীয় শক্তির নিঃস্বরন হয়, অভ্যন্তরীণ কোরের স্ফটিকগুলোর সুপ্ত তাপ, এবং পটাশিয়াম, ইউরেনিয়াম এবং থোরিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা।<ref>{{cite news|first=Robert|last=Sanders|title=Radioactive potassium may be major heat source in Earth's core|publisher=UC Berkeley News|date=2003-12-10|url=http://www.berkeley.edu/news/media/releases/2003/12/10_heat.shtml|accessdate=2007-02-28}}</ref>
 
একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে, পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের গাণিতিক মডেলি সফলভাবে দেখানো যায়নি, যদিও হয়তো তা ছিল বলে মনে করা হয়। প্রাথমিক মডেলগুলি গ্রহের তরল বাহ্যিক কোরের মধ্যে পরিচলন দ্বারা চৌম্বকক্ষেত্র তৈরির উপর দৃষ্টিপাত করেছিলো। পৃথিবীর মতো শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রের মতো গ্রহগুলোর চৌম্বকক্ষেত্রের উৎস ব্যাখ্যা করা সম্ভব ছিলো যখন মডেলটিতে অভিন্ন কোর-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা এবং কোরের তরলের ব্যতিক্রমী রকম উচ্চ সান্দ্রতা থাকে। হিসেবগুলো খুবই বাস্তব সম্মত ফলাফল দিচ্ছিলো, এমনকি যে গ্রহগুলো পৃথিবীর সাথে কম মিলে এমন চৌম্বকক্ষেত্রের ব্যাপারেও গণনাগুলো এমন ফলাফল দিচ্ছিলো, যাতে করে হিসেবের কোথায় ভূল তা উপলব্ধি করে তা সংশোধন ক্রেকরে নেয়া যাচ্ছিলো। এটা দেখানো সম্ভব ছিলো গণনাগুলি যা আরও বাস্তবসম্মত প্যারামিটার মানগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল এমন চৌম্বকীয় ক্ষেত্রগুলি পেয়েছিল যা পৃথিবীর মতো কম ছিল, তবে এটি মডেল পরিশোধনগুলির দিকেও ইঙ্গিত করে যা শেষ পর্যন্ত সঠিক বিশ্লেষণী মডেলের দিকে নিয়ে যেতে পারে।যায়। কোর-পৃষ্ঠের তাপমাত্রায় কয়েক মিলিকেলভিনের সামান্য কিছু পরিবর্তনও পরিচলন প্রবাহ অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছিলোদেয় যা চৌম্বকক্ষেত্রের আরো বাস্তব ব্যাখ্যা দেয়।দিতে পারে। <ref>{{Cite journal|last=Sakuraba|first=Ataru|author2=Paul H. Roberts|title=Generation of a strong magnetic field using uniform heat flux at the surface of the core|journal=Nature Geoscience|volume=2|pages=802–805|date=4 October 2009|doi=10.1038/ngeo643|bibcode=2009NatGe...2..802S|issue=11}}</ref><ref>{{Cite journal|last=Buffett|first=Bruce|title=Geodynamo: A matter of boundaries|journal=Nature Geoscience|issue=11|pages=741–742|year=2009|doi=10.1038/ngeo673|bibcode=2009NatGe...2..741B|volume=2}}</ref>
 
একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে, পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের গাণিতিক মডেলি সফলভাবে দেখানো যায়নি, যদিও হয়তো তা ছিল বলে মনে করা হয়। প্রাথমিক মডেলগুলি গ্রহের তরল বাহ্যিক কোরের মধ্যে পরিচলন দ্বারা চৌম্বকক্ষেত্র তৈরির উপর দৃষ্টিপাত করেছিলো। পৃথিবীর মতো শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রের মতো গ্রহগুলোর চৌম্বকক্ষেত্রের উৎস ব্যাখ্যা করা সম্ভব ছিলো যখন মডেলটিতে অভিন্ন কোর-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা এবং কোরের তরলের ব্যতিক্রমী রকম উচ্চ সান্দ্রতা থাকে। হিসেবগুলো খুবই বাস্তব সম্মত ফলাফল দিচ্ছিলো, এমনকি যে গ্রহগুলো পৃথিবীর সাথে কম মিলে এমন চৌম্বকক্ষেত্রের ব্যাপারেও গণনাগুলো এমন ফলাফল দিচ্ছিলো, যাতে করে হিসেবের কোথায় ভূল তা উপলব্ধি করে তা সংশোধন ক্রে নেয়া যাচ্ছিলো। এটা দেখানো সম্ভব ছিলো গণনাগুলি যা আরও বাস্তবসম্মত প্যারামিটার মানগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল এমন চৌম্বকীয় ক্ষেত্রগুলি পেয়েছিল যা পৃথিবীর মতো কম ছিল, তবে এটি মডেল পরিশোধনগুলির দিকেও ইঙ্গিত করে যা শেষ পর্যন্ত সঠিক বিশ্লেষণী মডেলের দিকে নিয়ে যেতে পারে। কোর-পৃষ্ঠের তাপমাত্রায় কয়েক মিলিকেলভিনের সামান্য কিছু পরিবর্তনও পরিচলন প্রবাহ অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছিলো যা চৌম্বকক্ষেত্রের আরো বাস্তব ব্যাখ্যা দেয়। <ref>{{Cite journal|last=Sakuraba|first=Ataru|author2=Paul H. Roberts|title=Generation of a strong magnetic field using uniform heat flux at the surface of the core|journal=Nature Geoscience|volume=2|pages=802–805|date=4 October 2009|doi=10.1038/ngeo643|bibcode=2009NatGe...2..802S|issue=11}}</ref><ref>{{Cite journal|last=Buffett|first=Bruce|title=Geodynamo: A matter of boundaries|journal=Nature Geoscience|issue=11|pages=741–742|year=2009|doi=10.1038/ngeo673|bibcode=2009NatGe...2..741B|volume=2}}</ref>
 
== প্রচলিত সংজ্ঞা ==