জিউস-ক্রোনাসের যুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩ নং লাইন:
টাইটানগণ ছিলেন এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবকিছুর সর্বাধিকারী। তাদের শক্তি ছিল অবিশ্বাস্য। তারা সংখ্যায় ছিলেন অনেক। তবে তাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন '''ক্রনাস'''। তিনি টাইটানদের শাসনকর্তা ছিলেন। %%%তবে পরবর্তীতে তাকে পরাজিত করে সকল ক্ষমতার অধিকারী হন তার পুত্র 'জিউস'।
 
টাইটানদের সন্তান ছিল বারো জন। তারা সকলে বাস করতো পৃথিবীর সকল পর্বতশৃঙ্গ থেকে উচ্চতম স্থানে। এর নাম ছিল অলিম্পাস। অলিম্পাসে বসবাসের কারণে তাদের বলা হতো অলিম্পীয়।
== আদি প্রেক্ষাপট ==
গ্রিক মিথলজিতে বিভিন্ন দেব-দেবী কিংবা বিশেষ চরিত্রের যুদ্ধ, বীরত্ব, প্রেম, বিরহ ইত্যাদি নানাবিধ বিষয় নিয়ে চমকপ্রদ কাহিনী রয়েছে। সেরকম প্রথম নারী সৃষ্টি নিয়েও রয়েছে এক চমকপ্রদ কাহিনী, যার শুরুটি হয় পিতা ক্রনাসের বিরুদ্ধে জিউসের বিদ্রোহের দ্বারা।
আদিযুগের তথ্যানুযায়ী, ক্রনাস তার পিতা ইউরেনাসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। মূলত মায়ের নির্দেশেই ক্রনাস এমনটি করেন। কেননা, ইউরেনাস ছিলেন একজন বাজে শাসক। এমনি তিনি তার সন্তানদেরও মায়ের থেকে দূরে রাখতেন। মূলত এই ক্ষোভ থেকে ক্রনাসের মা তার পিতাকে সিংহাসনচ্যুত করার নির্দেশ দেন। তবে ক্রনাসও পিতার থেকে ব্যতিক্রম ছিলেন না। তিনি যখন জানতে পারলেন, তার সন্তানই তাকে সিংহাসনচ্যুত করবে, তখন থেকেই তিনি তার সন্তানদের হত্যা করতে শুরু করেন। তবে জিউসের মা রিয়া জিউসকে বাঁচাতে সক্ষম হন। রিয়াই মূলত জিউসকে নির্দেশকে দেন ক্রনাসকে সিংহাসনচ্যুত করার জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় পিতা ক্রনাসের বিরুদ্ধে জিউস বিদ্রোহ ঘোষণা করলে সংঘটিত হয় ভয়াবহ এক যুদ্ধ।
 
== প্রেক্ষাপট ==
আদিযুগের তথ্যানুযায়ী, ক্রনাস তার পিতা ইউরেনাসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। মূলত মায়ের নির্দেশেই ক্রনাস এমনটি করেন। কেননা, ইউরেনাস ছিলেন একজন বাজে শাসক। তিনি তার সন্তানদেরও মায়ের থেকে দূরে রাখতেন। মূলত এই ক্ষোভ থেকে ক্রনাসের মা তার পিতাকে সিংহাসনচ্যুত করার নির্দেশ দেন। তবে ক্রনাসও পিতার থেকে ব্যতিক্রম ছিলেন না। তিনি যখন জানতে পারলেন, তার সন্তানই তাকে সিংহাসনচ্যুত করবে, তখন থেকেই তিনি তার সন্তানদের হত্যা করতে শুরু করেন। তবে জিউসের মা রিয়া জিউসকে বাঁচাতে সক্ষম হন। রিয়াই মূলত জিউসকে নির্দেশকে দেন ক্রনাসকে সিংহাসনচ্যুত করার জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় পিতা ক্রনাসের বিরুদ্ধে জিউস বিদ্রোহ ঘোষণা করলে সংঘটিত হয় ভয়াবহ এক যুদ্ধ।
যখন ক্রনাস সিংহাসনে বসেন তখন এক ভবিষ্যৎবর্ণনাকারী তাকে জানান তার সন্তানই তাকে সিংহাসনচ্যুত করবে। তখন থেকেই তিনি তার সন্তানদের হত্যা করতে শুরু করেন। তবে জিউসের মা রিয়া জিউসকে বাঁচাতে সক্ষম হন। রিয়াই মূলত জিউসকে নির্দেশকে দেন ক্রনাসকে সিংহাসনচ্যুত করার জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় পিতা ক্রনাসের বিরুদ্ধে জিউস বিদ্রোহ ঘোষণা করলে সংঘটিত হয় ভয়াবহ এক যুদ্ধ।
 
== সমর ==
এই যুদ্ধে ক্রনাসের পক্ষে ছিলেন তার ভাই টাইটানেরা এবং জিউসের পক্ষে ছিলেন তার পাঁচ ভাই-বোন। এছাড়াও টাইটান আয়াপেটাসের পুত্র প্রমিথিউসও জিউসের পক্ষ নিয়ে লড়াই করলেন। জিউস শত হস্তবিশিষ্ট দানবদের মুক্ত করে দেন। তারা তাদের অস্ত্রশস্ত্র, বজ্রপাত, ভূমিকম্প দিয়ে জিউসের পক্ষে যুদ্ধ করলো। এছাড়াও জিউসের পক্ষে ছিল প্রমিথিউসের তীক্ষ্ণ বুদ্ধি। এই ভয়াবহ যুদ্ধে ধ্বংস হয় সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। তবে অসীম শক্তি ও বুদ্ধির জোরে জয় হয় জিউসের। তবে এখানেই শেষ নয়। ধরিত্রীদেবী জন্ম দিলেন তার সবচেয়ে বিপজ্জনক সন্তান- টাইফন। তবে জিউসের কাছে ছিল বজ্র ও আলোক-সম্পাতের নিয়ন্ত্রণ। এর দ্বারাই পরাস্ত করা হয় টাইফনকে। এরপর জায়ান্টরাও বিদ্রোহ করলো। তবে ততদিনে দেবতারা অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল। ফলে জায়ান্টদেরও পরাস্ত হতে হয়।
এই যুদ্ধে ক্রনাসের পক্ষে ছিলেন তার ভাই টাইটানেরা এবং জিউসের পক্ষে ছিলেন তার পাঁচ ভাই-বোন। এছাড়াও টাইটান আয়াপেটাসের পুত্র প্রমিথিউসও জিউসের পক্ষ নিয়ে লড়াই করলেন।
 
জিউস শত হস্তবিশিষ্ট দানবদের মুক্ত করে দেন। তারা তাদের অস্ত্রশস্ত্র, বজ্রপাত, ভূমিকম্প দিয়ে জিউসের পক্ষে যুদ্ধ করলো। এছাড়াও জিউসের পক্ষে ছিল প্রমিথিউসের তীক্ষ্ণ বুদ্ধি। প্রমিথিউসের সুচতুর বুদ্ধি আর জিউসের অসীম শক্তি ও বুদ্ধির জোরে জয় হয় জিউসের।
এরপর জিউস ও তার ভাই-বোনেরা হলেন সকল কিছুর একচ্ছত্র অধিপতি। পৃথিবী তখন ছিল মানুষের বসবাসের উপযুক্ত। ছিল না কোনো টাইটান কিংবা দানবদের ভয়। পৃথিবী ছিল একটি গোলাকৃতির চাকতির ন্যায়, যা সমুদ্র দিয়ে দু'টি সমান অংশে বিভক্ত ছিল। তাই দেবতারা সৃষ্টি করলেন মনুষ্যজাতিকে। সোজাভাবে বললে, কেবল পুরুষজাতিকে। প্রথমে তারা সৃষ্টি করলেন স্বর্ণ প্রজাতি। এরা ছিল সকল শ্রম ও যন্ত্রণা থেকে দূরে, তবে এরা মরণশীল ছিল। এদের ছিল প্রচুর শস্য ও ফসল, তাছাড়া প্রচুর পশুপালনও করতো। তাই এরা ছিল দেবতাদের প্রিয়।
জয় শেষে ধরিত্রীদেবী [[জিউস]]কে পরাজিত করতে পাঠালেন তার সবচেয়ে বিপজ্জনক সন্তান [[[টাইফন]]কে। তবে জিউসের কাছে ছিল বজ্র ও আলোক-সম্পাতের নিয়ন্ত্রণ। এর দ্বারাই পরাস্ত করা হয় টাইফনকে।
 
== সমর পরবর্তী ঘটনা ==
এর পরবর্তী মনুষ্যপ্রজন্ম তৈরি হলো রূপা দিয়ে। এদের বুদ্ধিমত্তা এতই কম ছিল যে, তারা নিজেরাই নিজেদের আঘাত করার মাধ্যমে ধরিত্রী থেকে বিদায় নিল। এর পরবর্তীতে এলো তাম্র প্রজাতি। এরা ছিল খুব ভয়ংকর ও শক্তিশালী। এরা নিজেরাই নিজেদের হাতে ধ্বংস হয়েছিল। এরপর পৃথিবীতে এলো দেবতাদের মতো বীর। তারা বিভিন্ন গৌরবময় যুদ্ধ ও দুঃসাহসিক অভিযানে লিপ্ত ছিল। অবশেষে তাদের স্থান হলো স্বর্গের মতো এক দ্বীপে, যেখানে তারা চিরকাল থাকবে। সর্বশেষ হলো লৌহ প্রজাতি, যারা এখন বসবাস করছে পৃথিবীতে।
এরপর জিউস ও তার ভাই-বোনেরা জয়ের পর হলেন সকল কিছুর একচ্ছত্র অধিপতি। পৃথিবী তখন ছিল মানুষের বসবাসের উপযুক্ত। ছিলতৎকালীন নামানুষের কোনোধারণা টাইটান কিংবা দানবদের ভয়।ছিল পৃথিবী ছিল একটি গোলাকৃতির চাকতির ন্যায়, যা সমুদ্র দিয়ে দু'টিদুটি সমান অংশে বিভক্ত ছিল। তাই দেবতারা সৃষ্টি করলেন মনুষ্যজাতিকে। সোজাভাবে বললে, কেবল পুরুষজাতিকে। প্রথমে তারা সৃষ্টি করলেন স্বর্ণ প্রজাতি। এরা ছিল সকল শ্রম ও যন্ত্রণা থেকে দূরে, তবে এরা মরণশীল ছিল। এদের ছিল প্রচুর শস্য ও ফসল, তাছাড়া প্রচুর পশুপালনও করতো। তাই এরা ছিল দেবতাদের প্রিয়।
=== স্বর্ণ জাতি ===
প্রথমে তারা সৃষ্টি করলেন স্বর্ণ প্রজাতি। এরা ছিল সকল শ্রম ও যন্ত্রণা থেকে দূরে, তবে এরা মরণশীল ছিল। এদের ছিল প্রচুর শস্য ও ফসল, তাছাড়া প্রচুর পশুপালনও করতো। তাই এরা ছিল দেবতাদের প্রিয়।
=== রৌপ জাতি ===
দেবতারা স্বর্ণ জাতির পর মনুষ্যপ্রজন্ম তৈরি হলো রূপা দিয়ে। এদের বুদ্ধিমত্তা এতই কম ছিল যে, তারা নিজেরাই নিজেদের আঘাত করার মাধ্যমে ধরিত্রী থেকে বিদায় নিল।
=== তাম্র জাতি ও লৌহ জাতি ===
এররৌপের পরবর্তী মনুষ্যপ্রজন্ম তৈরি হলো রূপা দিয়ে। এদের বুদ্ধিমত্তা এতই কম ছিল যে, তারা নিজেরাই নিজেদের আঘাত করার মাধ্যমে ধরিত্রী থেকে বিদায় নিল। এর পরবর্তীতেপরে এলো তাম্র প্রজাতি। এরা ছিল খুব ভয়ংকর ও শক্তিশালী। এরা নিজেরাই নিজেদের হাতে ধ্বংস হয়েছিল। এরপর পৃথিবীতে এলো দেবতাদের মতো বীর। তারা বিভিন্ন গৌরবময় যুদ্ধ ও দুঃসাহসিক অভিযানে লিপ্ত ছিল। অবশেষে তাদের স্থান হলো স্বর্গের মতো এক দ্বীপে, যেখানে তারা চিরকাল থাকবে। সর্বশেষ হলো লৌহ প্রজাতি, যারা এখন বসবাস করছে পৃথিবীতে।
 
প্রমিথিউস মনুষ্যজাতির প্রতি অর্থাৎ পুরুষদের প্রতি ছিলেন উদার। তিনি তাদের জন্য সূর্য থেকে আগুন চুরি করলেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি এমন এক ব্যবস্থা করলেন, যাতে দেবতাদের উদ্দেশে উৎসর্গকৃত পশুর উৎকৃষ্ট অংশটি পায় পুরুষেরা এবং নিকৃষ্ট অংশটি পায় দেবতারা। তিনি একটি ষাঁড় জবাই করলেন, উৎকৃষ্ট অংশটুকু তিনি আচ্ছাদনে লুকিয়ে রাখলেন। আর হাড়গুলো তিনি স্তূপাকারে সাজালেন। এগুলোকে তিনি আচ্ছাদিত করলেন উজ্জ্বল চর্বি দ্বারা। এরপর তিনি জিউসকে যেকোনো একটি অংশ পছন্দ করতে বললেন। জিউস পছন্দ করলেন চর্বিযুক্ত অংশটি। তবে পরবর্তীতে তিনি দেখলেন, এটি কেবল চর্বি দিয়ে সাজানো হাড়ের স্তূপ। কিন্তু তখন আর কিছুই করার ছিল না। কেননা তিনি ইতোমধ্যেই নিজ পছন্দ সেরে ফেলেছিলেন।