উষ্ণপ্রস্রবণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Tonoy Mahmud (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
{{কাজ চলছে/২০১৯}}
 
 
[[চিত্র:Strokkur geyser eruption, close-up view.jpg|thumb|স্ট্রোককুর উষ্ণপ্রস্রবণ, আইসল্যান্ড]]
১৬ ⟶ ১৫ নং লাইন:
উষ্ণপ্রস্রবণ একটি অস্থায়ী ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য।উষ্ণপ্রস্রবণ সাধারণত আগ্নেয়গিরি এলাকার আসেপাশে দেখা যায়।<ref name="wyo">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Conditions needed for the formation of geysers |ইউআরএল=http://www.wyojones.com/how__geysers_form.htm |ওয়েবসাইট=www.wyojones.com}}</ref> উষ্ণপ্রস্রবণের ভেতর যখন পানি ফুটে উঠে, তখন উষ্ণপ্রস্রবণের নলতন্ত্রের ভেতর চাপ বেরে যায় এবং ফলশ্রুতিে নলতন্ত্রের ভেতর থেকে বাষ্প এবং পানি, একটি কলাম আকারে বের হয়ে আসে। গিয়ারের গঠন হতে তিনটি ভূতাত্ত্বিক অবস্থার সমন্বয় প্রয়োজন যা বিশেষত আগ্নেয়গিরির ভূখণ্ডে পাওয়া যায়।<ref name="wyo" />
 
উষ্ণপ্রস্রবণ গঠনের জন্য যে তাপটি প্রয়োজন তা পৃথিবীর পৃষ্ঠের কাছাকাছি থাকা ম্যাগমা থেকে আসে। <ref>{{Citeবই bookউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=https://books.google.com/books?id=ljXMs4rkv3gC&pg=PA127&dq=heat+for+geyser+formation+comes+from+near+surface+magma&hl=en&sa=X&ved=0ahUKEwj21vfdw9DUAhUF2mMKHfB9CoQQ6AEIRzAH#v=onepage&q=heat%20for%20geyser%20formation%20comes%20from%20near%20surface%20magma&f=false|titleশিরোনাম=Quakes, Eruptions, and Other Geologic Cataclysms: Revealing the Earth's Hazards|lastশেষাংশ=Erickson|firstপ্রথমাংশ=Jon|dateতারিখ=2014-05-14|publisherপ্রকাশক=Infobase Publishing|isbnআইএসবিএন=9781438109695|languageভাষা=en}}</ref> উত্তপ্ত জলের একটি উষ্ণপ্রস্রবণ তৈরির জন্য, ফাটল, চিড়, ছিদ্রযুক্ত শূণ্যস্থান এবং কখনও কখনও গহ্বর দিয়ে তৈরি নলতন্ত্রের প্রয়োজন। এর সাথে পানি গরম হবার সময় তা ধরে রাখতে একটি জলাধার থাকতে হয়। উষ্ণপ্রস্রবণ সাধারণত ফাটল বরাবর তৈরি হয়। <ref name="wyo" />
== উদ্গিরণ ==
{| class="infobox" style="width: 300px;"
৩৫ ⟶ ৩৪ নং লাইন:
|}
 
উষ্ণপ্রস্রবণের কার্যপদ্ধতি, সমস্ত গরম পানির ঝরনার মত, পৃষ্ঠ জল ধীরে ধীরে মাটির নিচে চুয়ে চুয়ে ম্যাগমা দ্বারা উত্তপ্ত পাথরের সংশ্পর্শে আসে। ভূতাত্ত্বিকভাবে উত্তপ্ত পানি তারপর ফাটল এবং ছিদ্রযুক্ত পাথরের মধ্য দিয়ে পরিচলন পদ্ধতিতে পৃষ্ঠের দিকে উঠে আসে। উষ্ণপ্রস্রবণের ভূগর্ভস্থ কাঠামো, অবিস্ফোরণশীল গরম পানির ঝরনার থেকে ভিন্ন; অধিকাংশই গঠিত হয় চাপে আঁটা পাথর এবং পৃষ্ঠের ছোট ছোট ফাঁক দিয়ে যা এক বা একাধিক সংকীর্ণ নল দিয়ে ভূগর্ভস্থ জলাশয়ের সাখে যুক্ত। <ref name="leekry">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=Krystek |firstপ্রথমাংশ=Lee |urlইউআরএল=http://www.unmuseum.org/geysers.htm |titleশিরোনাম=Weird Geology: Geysers] |publisherপ্রকাশক=Museum of Unnatural Mystery |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2008-03-28}}</ref>
 
গেইসার ভরাট হয়ে গেলে, কলামের উপরের অংশে পানি ঠান্ডা হয়ে যায়, তবে প্রণালীর সংকীর্ণতার কারণে জলাধারের পানির শীতলকরণ সম্ভব হয় না। উপরে শীতল জল নিচের গরম জলকে চাপা দেয়, এটি চাপ চুল্লীর ঢাকনার বিপরীত রুপে কাজ করে, ফলে জলাধারের জল অত্যধিক গরম হয়ে ওঠে, তাই মান চাপ স্ফুটনাঙ্ক তাপমাত্রার উপরের তাপমাত্রায় জল তরল থাকে। <ref name="leekry" />
 
অবশেষে, উষ্ণপ্রস্রবণের তলের তাপমাত্রা যখন স্ফুটনাঙ্কে উঠে আসে তখন তা বাষ্পের বুদবুদ উপরে উঠতে বাধ্য করে। উষ্ণপ্রস্রবণের পানি এভাবে ফেটে বেরিয়ে যাওয়ার ফলে, কিছু পানি উপচে বা ছিটকে যায়, ফলে পানির কলামের ওজন এবং এইরূপে নীচের পানির উপর চাপ হ্রাস করে। এই চাপ মুক্তির সাথে, অতিউষ্ণ জল মুহূর্তে বাষ্পে পরিণত হয় যা কলাম জুড়ে তীব্রভাবে ফুটতে খাকে। এই প্রসারিত হতে থাকা বাষ্প এবং গরম পানির ফেনা ফলে উষ্ণপ্রস্রবণের মুখ থেকে ফিনকি দিয়ে বের হয়। <ref name="wyo" /><ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=Lewin |firstপ্রথমাংশ=Sarah |titleশিরোনাম = Instant Egghead: How do geysers erupt over and over? |urlইউআরএল=http://www.scientificamerican.com/article/instant-egghead-how-do-geysers-erupt-over-and-over |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2015-05-17 }}</ref>
 
উষ্ণপ্রস্রবণের কাছাকাছি পাথরে পাওয়া গেসেরাইট নামক একটি উপাদান উষ্ণপ্রস্রবণের কার্যক্রম সমর্থ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গেসেরাইট -বেশিরভাগ সিলিকন ডাই অক্সাইড (SiO<sub>2</sub>), পাথর থেকে দ্রবীভূত হয় এবং উষ্ণপ্রস্রবণের নলতন্ত্রের প্রাচীর এবং পৃষ্ঠের উপর জমা হয়। জমে খাকা গেসেরাইটগুলি পৃষ্ঠে পানি নিয়ে যাওয়া প্রণালীগুলিকে চাপে আঁটসাঁট করে রাখতে পারে। সর্বোপরি এটি এই চাপকে বজায় রেখে উপরের দিকে নিয়ে যেতে পারে এবং উষ্ণপ্রস্রবণের এলাকার নীচে সাধারণত যে আলগা কাঁঠাল বা মাটি থাকে তা দিয়ে বের হয়ে যেতে দেয় না। <ref name="leekry" />
৭৪ ⟶ ৭৩ নং লাইন:
১৯৬০ এর দশকে যখন উষ্ণপ্রস্রবণের জীববিজ্ঞান নিয়ে প্রথম গবেষণা শুরু হয়, তখন বিজ্ঞানীরা সাধারণত নিশ্চিত ছিলেন যে সর্বোচ্চ ৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৬৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট) উপরে কোনও প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে না-যা সায়ানোব্যাকটিরিয়ার বেঁচে থাকার জন্য সর্বোচ্চসীমা কারণ এর উপরে সেলুলার প্রোটিন এবং ডিয়োক্সোরিবোনিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ) ধ্বংস হয়ে যায়। থার্মোফাইলিক ব্যাকটেরিয়ার জন্য অনুকূল তাপমাত্রা আরও কম বলে ধারনা ছিল, গড় ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৩১ ডিগ্রী ফারেনহাইট)। <ref name="bot" />
 
যাইহোক, পর্যবেক্ষণ প্রমাণ করে যে এত উচ্চ তাপমাত্রায় জীবন আসলেই সম্ভব এবং কিছু ব্যাকটেরিয়া এমনকি পানির স্ফুটনাঙ্কের চেয়ে বেশি তাপমাত্রায় থাকতে পছন্দ করে। একাধিক এমন ব্যাকটেরিয়া সম্পর্কে পরে জানা যায়। <ref>Michael T. Madigan and Barry L. Marrs; [http://atropos.as.arizona.edu/aiz/teaching/a204/extremophile.pdf Extremophiles] atropos.as.arizona.edu Retrieved on 2008-04-01</ref> থার্মোফিলিস ৫০ থেকে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২২ থেকে ১৫৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রা পছন্দ করে, হাইপারথার্মোফিলিস ৮০ থেকে ১১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৭৬ থেকে ২৩০ ডিগ্রী ফারেনহাইট) তাপমাত্রায় ভাল বাড়ে। উচ্চ তাপমাত্রায়ও তাদের কার্যকলাপ বজায় রাখার মত তাপ-স্থিতিশীল এনজাইম থাকার কারণে, এদের থার্মোস্টেবল সরঞ্জাম তৈরির উৎস হিসাবে ব্যবহার করা হয়, যা ঔষধ এবং জৈব প্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ, <ref>Vielle, C.; Zeikus, G.J. ''Hyperthermophilic Enzymes: Sources, Uses, and Molecular Mechanisms for Thermostability.'' Microbiology and Molecular Biology Reviews. 2001, '''65(1)''', 1-34.</ref> উদাহরণস্বরূপ, এন্টিবায়োটিক, প্লাস্টিক, ডিটারজেন্ট(তাপ-স্থিতিশীল এনজাইম লাইপেসেস, পুলুলানাসেস এবং প্রোটিয়াজ ব্যবহার করে), এবং গাঁজন পণ্য (উদাহরণস্বরূপ ইথানল উৎপাদন) তৈরি। এর মধ্যে, সর্ব প্রথম এবং জৈবপ্রযুক্তিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হল থার্মাস আকুয়াটিকাস। <ref>[http://www.udel.edu/chem/bahnson/chem645/websites/Heaton/ Industrial Uses of Thermophilic Cellulase] [[University of Delaware]], Retrieved on 2008-03-29 {{webarchiveওয়েব আর্কাইভ |urlইউআরএল=https://web.archive.org/web/20071010114505/http://www.udel.edu/chem/bahnson/chem645/websites/Heaton/ |dateতারিখ=October 10, 2007 }}</ref>
 
== মুখ্য উষ্ণপ্রস্রবণের ক্ষেত্র এবং তাদের অবস্থান ==
৮০ ⟶ ৭৯ নং লাইন:
[[File:World geyser distribution.gif|alt=Map showing that locations of geysers tend to cluster in specific areas of the world.|300px|thumb|right|বিশ্বের প্রধান উষ্ণপ্রস্রবণের অবস্থান.]]
 
উষ্ণপ্রস্রবণ খুব বিরল ঘটনা, এতে জল, তাপ, এবং নলতন্ত্রের দৈবাৎ সমন্বয় প্রয়োজন। এই সংমিশ্রণটি পৃথিবীর অল্প কয়েকটি স্থানে বিদ্যমান। <ref>Glennon, J.A. and Pfaff R.M. 2003; Bryan 1995</ref><ref name="uweb">Glennon, J Allan [http://www.uweb.ucsb.edu/~glennon/geysers/world.htm "World Geyser Fields"] {{webarchiveওয়েব আর্কাইভ|urlইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070630141427/http://www.uweb.ucsb.edu/~glennon/geysers/world.htm |dateতারিখ=2007-06-30 }} Retrieved on 2008-04-04</ref>
 
=== ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক, ইউ. এস ===
৮৬ ⟶ ৮৫ নং লাইন:
 
=== উষ্ণপ্রস্রবণের উপত্যকা, রাশিয়া ===
রাশিয়ার কামচটকা উপদ্বীপে অবস্থিত উষ্ণপ্রস্রবণের উপত্যকা (রাশিয়ান ভাষায় "দোলিনা গিজরোভ") ইউরেশিয়াতে একমাত্র উষ্ণপ্রস্রবণের ক্ষেত্র এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম উষ্ণপ্রস্রবণের কেন্দ্রস্থল। ১৯৪১ সালে তাতিয়ানা উস্তিনোভা এই এলাকা আবিষ্কার এবং অনুসন্ধান করেন। প্রায় ২00 টি উষ্ণপ্রস্রবণের পাশাপাশি এখানে গরম পানির ঝরণা এবং চিরস্থায়ী স্পাউটার বিদ্যমান। এলাকাটি একটি জোরালো অগ্ন্যুত্পাতের কারণে গঠিত হয়েছিল। অদ্ভুত রকমের অগ্ন্যুত্পাত, এই উষ্ণপ্রস্রবণগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। বেশিরভাগ উষ্ণপ্রস্রবণ একটু বাকা ভাবে উদ্গিরিত হয় এবং উষ্ণপ্রস্রবণের কোণ পৃথিবীর অন্যান্য ক্ষেত্রের উষ্ণপ্রস্রবণে খুবই কম থাকে। <ref name="uweb" /> ৩ জুন, ২০০৭ সালে, উপত্যকার দুই তৃতীয়াংশ একটি বড় মাডফ্লো প্রভাবিত করে। <ref name="NG">{{citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি | firstপ্রথমাংশ=Aalok | lastশেষাংশ=Mehta | titleশিরোনাম=Photo in the News: Russia's Valley of the Geysers Lost in Landslide | urlইউআরএল=http://news.nationalgeographic.com/news/2007/06/070605-geyser-valley.html | publisherপ্রকাশক=[[National Geographic Society|National Geographic]] | dateতারিখ=2008-04-16 | accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-06-07 }}</ref> পরে জানা যায় যে উপত্যকার উপরে একটি তাপীয় হ্রদ গঠিত হট্ছিল। <ref>{{citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি |firstপ্রথমাংশ=Luke |lastশেষাংশ=Harding |titleশিরোনাম=Mudslide fully changes terrain in Kamchatka’s Valley of Geysers |urlইউআরএল=https://www.theguardian.com/russia/article/0,,2095579,00.html |workকর্ম=[[Guardian Unlimited]] |dateতারিখ=2007-06-05 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2008-04-16 }}</ref> কিছুদিন পরে পানি কিছুটা কমে গেলে কিছু ডুবে থাকা আকৃতি ও বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়। ভেলিকান উষ্ণপ্রস্রবণ, সবচেয়ে বড় উষ্ণপ্রস্রবণের একটি, মাডফ্লোতে দেবে যায়নি এবং সম্প্রতি এটি সক্রিয় হতে দেখা গেছে। <ref>{{citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি|firstপ্রথমাংশ=Igor |lastশেষাংশ=Shpilenok|titleশিরোনাম=June 2007 Special release - The Natural Disaster at the Valley of the Geysers |urlইউআরএল=http://www.shpilenok.com/new/index.htm|dateতারিখ=2007-06-09|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2008-04-16|archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20080412111753/http://www.shpilenok.com/new/index.htm |archivedateআর্কাইভের-তারিখ = April 12, 2008|deadurlঅকার্যকর-ইউআরএল=yes}}</ref>
 
=== এল তাইতো, চিলি ===
৯৪ ⟶ ৯৩ নং লাইন:
 
=== টাউপো আগ্নেয় বলয়, নিউজিল্যান্ড ===
টাউপো আগ্নেয় অঞ্চল নিউ জিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপে অবস্থিত। এটি ৩৫০ কিলোমিটার (২১৭ মাইল) দীর্ঘ ও ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দীর্ঘ এবং এটি ভূত্বকে একটি সাবডাকশন জোনের উপর অবস্থিত। এটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ রুয়াপিহু পর্বত চিহ্নিত করে, সমুদ্রগর্ভস্থ ওয়াকটানে আগ্নেয়গিরি ( হোয়াইট দ্বীপের ৮৫ কিলোমিটার বা ৫৩ মাইল পরে) তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমা হিসাবে বিবেচিত হয়। <ref>{{Citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Gamble |firstপ্রথমাংশ=J. A. |first2প্রথমাংশ২=I. C. |last2শেষাংশ২=Wright |first3প্রথমাংশ৩=J. A. |last3শেষাংশ৩=Baker |doiডিওআই=10.1080/00288306.1993.9514588 |yearবছর=1993 |titleশিরোনাম=Seafloor geology and petrology in the oceanic to continental transition zone of the Kermadec-Havre-Taupo Volcanic Zone arc system, New Zealand |urlইউআরএল=http://www.rsnz.org/publish/nzjgg/1993/40.php |journalসাময়িকী=New Zealand Journal of Geology and Geophysics |volumeখণ্ড=36 |issueসংখ্যা নং=4 |pagesপাতাসমূহ=417–435 |deadurlঅকার্যকর-ইউআরএল=yes |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20081122075312/http://www.rsnz.org/publish/nzjgg/1993/40.php |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=2008-11-22 |df= }}</ref> ভূ-তাপীয় উণ্নয়ন এবং জলবিদ্যুত জলাধারের কারণে এই অঞ্চলের অনেকগুলি উষ্ণপ্রস্রবণ ধ্বংস হয়ে গেছে, তবে কয়েক ডজন উষ্ণপ্রস্রবণ এখনও বিদ্যমান। বিংশ শতকের শুরুতে, সর্বকালের সব থেকে বড় উষ্ণপ্রস্রবণ বলে পরিচিত, ওয়াইমুঙ্গু উষ্ণপ্রস্রবণ এই অঞ্চলে বিদ্যমান ছিল। ১৯০০ সালে এটির উদ্গিরণ শুরু হয় এবং ভূমিধসে স্থানীয় ভুজলতল পরিবর্তন হবার আগ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে চার বছর ধরে উদ্গিরিত হয়। ওয়াইমুঙ্গুর উদ্গিরণ সাধারণত ১৬০ মিটার (৫২০ ফুট) পর্যন্ত পৌঁছাতো এবং কিছু সুপারবার্স্ট ৫০০ মিটার (১,৬০০ফুট) পৌঁছেছে বলে জানা যায়। <ref name="uweb" /> সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে জোনটির নীচে ভূত্বক ৫ কিলোমিটার (৩.১ মাইল) পুরু হতে পারে ও এটির নীচে ৫০ কিলোমিটার (৩০ মাইল) চওড়া এবং ১৬০ কিলোমিটার (১০০ মাইল) দীর্ঘ একটি ম্যাগমার স্তর রয়েছে। <ref>[http://www.stuff.co.nz/4202557a11.html Central North Island sitting on magma film] Paul Easton, The Dominion Post, 15 September 2007. Retrieved 2008-04-16</ref>
 
=== আইসল্যান্ড ===
১১৭ ⟶ ১১৬ নং লাইন:
== বাণিজ্যিকীকরণ ==
[[File:Strokkur, Iceland.jpg|thumb|upright|alt=Bystanders watch a nearby geyser erupting.|আইসল্যান্ডের স্ট্রোককুর উষ্ণপ্রস্রবণ – একটি পর্যটন কেন্দ্র]]
উষ্ণপ্রস্রবণ বিভিন্ন কাজের জন্য যেমন বিদ্যুত উৎপাদন, উত্তাপন এবং পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়। সারা বিশ্বে অনেক ভূ-তাপীয় মজুদ পাওয়া যায়। আইসল্যান্ডের উষ্ণপ্রস্রবণ ক্ষেত্র বিশ্বের সবচেয়ে বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর। ১৯২০ সাল থেকে উষ্ণপ্রস্রবণের গরম পানি ব্যবহার করা হতো গ্রীনহাউস গরম করার জন্য এবং খাদ্য উৎপাদনের জন্য, যা অন্যথায় আইসল্যান্ডের অস্বাভাবিক জলবায়ুতে চাষ করা সম্ভব হত না। উষ্ণপ্রস্রবণ থেকে আসা বাষ্প এবং গরম পানি. ১৯৪৩ সাল থেকে আইসল্যান্ডে ঘর গরম করার জন্যও ব্যবহার করা হচ্ছে। ১৯৭৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি বিভাগ (ডিওই) সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন গবেষণামূলক কার্যক্রম এবং জিওথার্মাল লোন গ্যারান্টি কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যালিস্টগার কাছাকাছি অবস্থিত "গেইসার্স-ক্যালিস্টগা নোন জিওথার্মাল রিসোর্স এরিয়া" (কেজিআরএ) -এর ভূ-তাপীয় শক্তির ব্যবহার উন্নয়নে প্রচার করেছে। <ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.osti.gov/scitech/biblio/6817678 |titleশিরোনাম=Geothermal energy and the land resource: conflicts and constraints in The Geysers-Calistoga KGRA |publisherপ্রকাশক=DOE–SciTech |dateতারিখ=14 July 1980 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=October 2015}}</ref> বিভাগটি ভূ-তাপীয় বিকাশের পরিবেশের উপর সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন করার জন্য আইন দ্বারা দায়বদ্ধ। <ref>Kerry O’Banion and Charles Hall [http://www.osti.gov/bridge/servlets/purl/6817678-VCD58M/6817678.PDF Geothermal energy and the land resource: conflicts and constraints in The Geysers- Calistoga KGRA] osti.gov Retrieved on 2008-04-12</ref>
 
== ক্রায়োগেইসার ==
১২৩ ⟶ ১২২ নং লাইন:
 
* ''' এনসেলাদাস '''
শনিগ্রহের চাদ এনসেলাদাসের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের "টাইগার স্ট্রিপস" এর নির্গমনপথ থেকে বরফ কণা এবং অল্প পরিমাণে অন্যান্য উপাদান (যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন, অ্যামোনিয়া, হাইড্রোকার্বন এবং সিলিকেটস) সহ বাষ্পের প্লুম উদ্গিরিত হতে ক্যাসিনি অরবিটার দিয়ে দেখা গেছে। এই প্লুমগুলি তৈরি হবার প্রক্রিয়ার কারন অনিশ্চিত, তবে চাঁদ ডায়িওনের সাথে ২:১ গড়-গতির কক্ষপথের অনুরণনের কারণে কক্ষপথের উৎকেন্দ্রতা তৈরি হয় যার ফলে জোয়ার উত্তাপনের কারণে এটি আংশিক ভাবে চালিত হয় বলে মনে করা হয়। <ref name="coldgeysermodel" /><ref name="Porco Helfenstein et al. 2006">{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি| doiডিওআই = 10.1126/science.1123013| last1শেষাংশ১ = Porco| first1প্রথমাংশ১ = C. C.| authorlink1লেখক-সংযোগ১ = Carolyn Porco| last2শেষাংশ২ = Helfenstein| first2প্রথমাংশ২ = P.| last3শেষাংশ৩ = Thomas| first3প্রথমাংশ৩ = P. C.| last4শেষাংশ৪ = Ingersoll| first4প্রথমাংশ৪ = A. P.| last5শেষাংশ৫ = Wisdom| first5প্রথমাংশ৫ = J.| last6শেষাংশ৬ = West| first6প্রথমাংশ৬ = R.| last7শেষাংশ৭ = Neukum| first7প্রথমাংশ৭ = G.| last8শেষাংশ৮ = Denk| first8প্রথমাংশ৮ = T.| last9শেষাংশ৯ = Wagner| first9প্রথমাংশ৯ = R.| dateতারিখ = 10 March 2006| titleশিরোনাম = Cassini Observes the Active South Pole of Enceladus| journalসাময়িকী = Science| volumeখণ্ড = 311| issueসংখ্যা নং = 5766| pagesপাতাসমূহ = 1393–1401| pmid = 16527964| pmc = | bibcodeবিবকোড = 2006Sci...311.1393P| refসূত্র = {{sfnRef|Porco Helfenstein et al. 2006}}}}</ref>
 
* '''ইউরোপা'''
২০১৩ এর ডিসেম্বরে, হাবল স্পেস টেলিস্কোপ বৃহস্পতির গ্যালিলিয়ান চাঁদের একটি, ইউরোপার দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে উপরে জলীয় বাষ্পের প্লুম সনাক্ত করে। মনে করা হয় যে ইউরোপা লিনিয়া থেকে এই জলের বাষ্প বের হয়, এনসেলাদাস অনুরূপ প্রক্রিয়া ঘটে। <ref name="NASA-20131212-EU">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|last1শেষাংশ১=Cook |first1প্রথমাংশ১=Jia-Rui C. |last2শেষাংশ২=Gutro |first2প্রথমাংশ২=Rob |last3শেষাংশ৩=Brown |first3প্রথমাংশ৩=Dwayne |last4শেষাংশ৪=Harrington |first4প্রথমাংশ৪=J.D. |last5শেষাংশ৫=Fohn |first5প্রথমাংশ৫=Joe |titleশিরোনাম=Hubble Sees Evidence of Water Vapor at Jupiter Moon |urlইউআরএল=http://www.jpl.nasa.gov/news/news.php?release=2013-363 |dateতারিখ=12 December 2013 |workকর্ম=NASA}}</ref>
 
* '''মঙ্গলগ্রহ'''
প্রতি বসন্তে মঙ্গলগ্রহের দক্ষিণ মেরু চুড়া থেকে সৌর-তাপ-চালিত জেটগুলির অনুরূপ কার্বন ডাই অক্সাইডের পিচকারি উদ্গিরণ হয়। যদিও এই উদ্গিরণগুলি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হয়নি তবে তারা শুষ্ক বরফের উপরে কাল দাগ এবং হালকা পাখার আকারের দাগ দেখা গেছে, যা বালি এবং ধুলো উদ্গিরণের দ্বারা উঁচুতে উঠেছে এটা চিত্রিত করে, এবং এর নিচে বহির্মুখী গ্যাসের দ্বারা মাকড়সা-মত খাঁজ তৈরি হয়। <ref name = "THEMIS">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি
| lastশেষাংশ = Burnham
| firstপ্রথমাংশ = Robert
| লেখক-সংযোগ =
| authorlink =
| coauthors =
| titleশিরোনাম = Gas jet plumes unveil mystery of 'spiders' on Mars
| workকর্ম = [[Arizona State University]] web site
| publisherপ্রকাশক =
| dateতারিখ = 2006-08-16
| urlইউআরএল = http://www.asu.edu/news/stories/200608/20060818_marsplumes.htm
| doiডিওআই =
| accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 2009-08-29}}</ref>
 
* '''ট্রাইটন'''
১৯৮৯ সালে ভয়জার ২ এর এক বিস্ময়কর ঘটনা ছিল নেপচুন গ্রহের চাঁদ ট্রাইটনে উদ্গিরণের আবিষ্কার। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দেথেন পৃষ্ঠের উপরে প্রায় ৮ কিমি উঁচুতে কাল প্লুম উঠছে এবং বাতাস প্রবাহের দিকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দুরে নিয়ে ফেলে। <ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি
| dateতারিখ = June 1, 2005
| titleশিরোনাম = Triton (Voyager)
| publisherপ্রকাশক = NASA (Voyager The Interstellar Mission)
| urlইউআরএল = http://voyager.jpl.nasa.gov/science/neptune_triton.html
| accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 2008-04-03
}}</ref> এই প্লমগুলি ধুলো মিশ্রিত গ্যাসীয় নাইট্রোজেনের অদৃশ্য জেটকে চিন্হিত করে। এদের ট্রাইটন এর সুর্যের আলোর যেখানে থাড়াভাবে পরে তার কাছাকাছি হতে দেথা গেছে যা নির্দেশ করে যে এগুলো সৌর-তাপ-চালিত উদ্গিরণ। ধারণা করা হয় যে ট্রাইটন পৃষ্ঠের সম্ভবত একটি গাঢ় নিম্নস্তরের উপরে হিমায়িত নাইট্রোজেনের আধা-স্বচ্ছ স্তর রয়েছে যা একটি "কঠিন গ্রিনহাউস প্রভাব" তৈরি করে, বরফ পৃষ্ঠের নীচের অংশটি উত্তপ্ত এবং বাষ্পীয়করণ করে, যতক্ষন না চাপের ফলে একটি উদ্গিরণের শুরুতে পৃষ্ঠ ভেঙে যায়। ভয়জারের চিত্রগুলিতে ট্রাইটনের দক্ষিণ গোলার্ধে গেইসারের ক্রিয়াকলাপের জন্য কাল পদার্থের অনেকগুলি দাগ দেখা যায়। <ref name="harv">Kirk, R.L., Branch of Astrogeology [http://articles.adsabs.harvard.edu/cgi-bin/nph-iarticle_query?db_key=AST&bibcode=1990LPI....21..633K&letter=.&classic=YES&defaultprint=YES&whole_paper=YES&page=633&epage=633&send=Send+PDF&filetype=.pdf "Thermal Models of Insolation-driven Nitrogen Geysers on Triton"] ''[[Harvard University|Harvard]]'' Retrieved 2008-04-08</ref>
 
১৬২ ⟶ ১৬১ নং লাইন:
|caption1 = ট্রাইটনে উষ্ণপ্রস্রবণের ফলে জমা হওয়া কাল দাগ
|caption2 = এনসেলাদাসের পৃষ্ঠে হওয়া উদ্গিরণকে উষ্ণপ্রস্রবণ বলে মনে করা হয়
|caption3 = ঠান্ডা উষ্ণপ্রস্রবণের নকশা– ক্রায়োআগ্নেয়গিরির জন্য একটি প্রস্তাবিত ব্যাখ্যা <ref name="coldgeysermodel">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.nasa.gov/mission_pages/cassini/multimedia/pia07799.html |workকর্ম=NASA |titleশিরোনাম=Enceladus "Cold Geyser" Model |dateতারিখ=3 September 2006}}</ref>
}}
{{clear}}
 
== টীকা ==
{{সূত্র তালিকা}}
{{Reflist}}
 
== তথ্যসূত্র ==