বিজিআর-৩৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Winged Blades of Godric (আলোচনা | অবদান)
One para left _ citations left _ headers left _
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
{{কাজ চলছে/২০১৯}}
'''বিজিআর-৩৪''' (ব্লাড গ্লুকোজ রেগুলেটর-৩৪) একটি আয়ুর্বেদিক ড্রাগ যা টাইপ 2 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ভারতবর্ষে ওভার-দ্য-কাউন্টার পিল হিসাবে বিক্রি হয়। ২০১৫ সালে দুই সরকারি ল্যাবরেটরি দ্বারা ঔষধটি তৈরি করা হয় এবং ২০১৬ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে মার্কেটিং করা হয়েছিল।
 
এখনোবধি, বিজিআর-৩৪ শুধুমাত্র একটি ক্ষুদ্রাকৃতির হিউমান-ট্রায়াল এ পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রচুর ক্ষেত্রে, ওষুধটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে এবং অধিক সংখ্যার উন্নত গুণমানের ক্লিনিকাল ট্রায়াল ছাড়া, কার্যকারিতা নির্ধারণ করা অসম্ভব। নির্মাতারা ওষুধটির অযোগ্যতা এবং অন্যান্য উদ্বেগ অস্বীকার করেছে।
২৪ নং লাইন:
ক্রেতাদের মুখে বিবিধ রকমের পর্যালোচনা শোনা যায় এবং এই ড্রাগ বিক্রি রধ করার জন্য আদালতে মামলা-ও দায়ের করা হয়েছিল।
 
দীর্ঘব্যাপী এবং বহুল সমালোচনা সত্ত্বেও, সিএসআইআর বিজিআর -৩৪ কে এক বিপ্লবী উদ্ভাবন হিসাবে গণ্য করে এসেছে।
 
সিআইএমএপি পরিচালক অনিল কুমার ত্রিপাঠি দাবি করেন যে নিয়মাবলী অনুযায়ী কোনো পণ্যের স্বত্ব দায়ের করলে, তার ৬ মাসের মধ্যে কোনোরূপ গবেষণাসমূহ প্রকাশ করা যায় না; সেই জন্যেই রিসার্চ papers এর প্রাথমিক অভাব। ২০১৪ সালে এক সম্মেলনে, সিএসআইআর মহাপরিচালক গিরিশ সাহনি বলেন যে, "দ্রাক্ষা-শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে যে কোনও ব্র্যান্ডেড আধুনিক ঔষধের কার্যকারিতাকে পাল্লা দিতে পারে বিজিআর-৩৪"। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন দাবি করেন যে জনগণ এই ড্রাগটিকে সমাদরে গ্রহণ করেছে এবং প্রমাণিত হয়েছে যে বিজিআর-৩৪ রক্তের দ্রাক্ষা-শর্করা মাত্রা হ্রাস করে।
 
রাজ্যসভার প্রশ্নোত্তর সেশনে, আয়ুষ মন্ত্রালয়ের রাজ্য মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক বলেন যে বিজিআর-৩৪ "বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং টাইপ 2 ডায়াবেটিস চিকিৎসার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর"। বিপরীতদিকে, মন্ত্রালয়ের পূর্বতন সচিব এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন যে ড্রাগটির আয়ুষ মন্ত্রালয় দ্বারা অনুমোদিত হওয়ার তথ্য ভুয়ো এবং আয়ুষ মন্ত্রালয়ের এ বিষয়ে কোনো ভূমিকা ছিল না।
 
বিজিআর-৩৪ কেন্দ্রীয় (ও কিছু রাজ্য) সরকারের ডায়াবেটিস-বিরোধী-প্রচারাভিযানেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
 
এই একই রকম ভাবে একাধিক অ্যান্টি-ডায়াবেটিক আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করা হয়েছে এবং সেগুলি উৎপাদন করার জন্য শিল্প-লাইসেন্স-ও দেওয়া হয়েছে। আয়ুষ মন্ত্রালয়ের অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, "সেন্ট্রাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন আয়ুর্বেদিক সাইন্সেস" (সিসিআরএএসএস), আয়ুষ-৮২ নামক এক ড্রাগ তৈরি করে, যার মধ্যে রয়েছে চারটি ভেষজ উপাদান;- করলা (মোমোডিকা চরান্তিয়া), জামুন (সিজিজিিয়াম কমিনি), আমরা (স্পন্ডিয়াস মোমবিন) এবং গুদমার (জিমেনি সিলেস্ট্রেট) সহ শিলাজিৎ। সিসিআরএএস-এর বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন যে ড্রাগটি ছয় মাসের মধ্যে টাইপ -২ ডায়াবেটিস স্থায়ীভাবে নিরাময় করে এবং এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
 
এরপর কুডোস ল্যাবরেটরি-কে ড্রাগ উৎপাদন ও বিতরণ - এর অধিকার প্রদান করা হয়, যা আইএমই-৯ হিসাবে রিব্র্যান্ডেড হয়। বিজিআর-৩৪ এর ন্যায় এখানেও যথাযথ ফার্মাকোলজিকাল গবেষণার অভাব, অর্থহীন ক্লিনিকাল ট্রিয়ালস, predatory জার্নাল-এ প্রকাশনা ইত্যাদি দেখা যায় যা অনুরূপ সমালোচনার পরিবেশ তৈরী করে।