অ্যান্টার্কটিকার ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
{{কাজ চলছে/২০১৯}}
 
: ''আন্টার্কটিক মহাদেশের প্রাকৃতিক ইতিহাস জন্য, দেখুন [[অ্যান্টার্কটিকা]]'' ।
 
[[চিত্র:James_Weddell_Expedition.jpg|থাম্ব|300x300পিক্সেল| [[জেমস ওয়েডেল|জেমস''ওয়েডেলের'']] দ্বিতীয় অভিযানের কল্পিত চিত্র, ব্রিগ ''জেন'' এবং ''কাটার বউফ্রো'' কে দেখানো হয়েছে। ]]
[[অ্যান্টার্কটিকা|অ্যান্টার্কটিকার]] ইতিহাসের সূচনা প্রাচীন পশ্চিমা তত্ত্বের এক বিস্তীর্ণ মহাদেশের অস্তিত্বের বর্ণনা থেকে। এতে এই মহাদেশটি [[টেরা অস্ট্রালিস]] নামে পরিচিত, যা বিশ্বের সুদূর দক্ষিণে অবস্থিত বলে মনে করা হয়। ''আন্টার্কটিক'' শব্দটি খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দিতে [[Marinus of Tyre|টায়ার এর মারিনাস]] সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন যার অর্থ "আর্কটিক বা [[সুমেরু বৃত্ত|সুমেরুবৃত্তের]] বিপরীত"।
 
পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে কেপ অফ গুড হোপ এবং কেপ হর্ন এর বৃত্তান্ত প্রমাণ করে যে যদি ''টেরা অস্ট্রালিস ইনকোনিটিটা'' ("অজানা দক্ষিণাঞ্চলীয় ভূমি") বলে কোন স্থানের অস্তিত্ব থাকে, তবে এটি একটি স্বতন্ত্র মহাদেশ হবে। ১৭৭৩ সালে [[জেমস কুক]] এবং তার নাবিকদল সর্বপ্রথম অ্যান্টার্কটিক সার্কেল বা কুমেরুবৃত্ত অতিক্রম করেন ও এর নিকটবর্তী দ্বীপগুলি আবিষ্কার করেন। তবে তারা অ্যান্টার্কটিকার মূল ভূখণ্ড দেখতে পাননি। ধারণা করা হয় যে তারা মূল ভূখণ্ডের প্রায় ২৪০ কি.মি.(১৫০ মাইল) দূরে অবস্থান করছিলেন।
 
১৮১৯ সালে ৭৪ টি কামান বিশিষ্ট ''[[ সান টেলমো (জাহাজ) |সান তেলমো]]'' জাহাজের ৬৪৪ জন নাবিকের মধ্যে কয়েকজন সম্ভবত হাইপোথার্মিয়ায় মৃত্যুবরণ করার পূর্বে অ্যান্টার্কটিকায় প্রথম পা রাখেন। যদিও এ ঘটনার কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় না। এর এক বছর পর ১৮২০ সালের ২৭শে জানুয়ারি, [[ফাবিয়ান গোতলিয়েব ফন বেলিংশসন]] ও [[মিখাইল লাযারেভ]] এর নেতৃত্বে পরিচালিত এক অভিযানে তারা প্রিন্সেস মার্থা উপকূলের সাথে সংযুক্ত একটি বরফের চাঁই এর তাক বা আইস শেলফ আবিষ্কার করেন যা পরবর্তীতে ফিম্বুল আইস শেলফ নামে পরিচিত হয়। [[ফাবিয়ান গোতলিয়েব ফন বেলিংশসন|বেলিংশসন]] ও [[মিখাইল লাযারেভ|লাযারেভ]] আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যান্টার্কটিকার মূল ভূখণ্ড দর্শনকারী ও আবিষ্কারকরূপে পরিচিত হন। এর তিনদিন পর ১৮২০ সালের ৩০শে জানুয়ারী, [[এডওয়ার্ড বার্নসফিল্ড|এডওয়ার্ড বার্নসফিল্ডে]]<nowiki/>র নেতৃত্বে এক ব্রিটিশ অভিযাত্রীদল [[ট্রিনিটি পেনিনসুলা]] দেখতে পান, এবং এর দশ মাস পরে ১৭ই নভেম্বর, ১৮২০ তারিখে আমেরিকান সীল-শিকারী নাথানিয়েল পামার অ্যান্টার্কটিকা দেখতে পান। প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যান্টার্কটিকায় মানুষের পদার্পণ ঘটে সম্ভবত মাত্র এক বছর পরে যখন ক্যাপ্টেন জন ডেভিস নামে একজন আমেরিকান সীল-শিকারী সেখানে বরফের উপর পা রাখেন।
 
বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিককে "অ্যান্টার্কটিক অভিযানের স্বর্ণযুগ" আখ্যা দেয়া হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি অভিযাত্রীদল [[দক্ষিণ মেরু|দক্ষিণ মেরুতে]] পৌঁছাতে চেষ্টা করেছিল। এদের মধ্যে অনেকেই আহত হন ও মৃত্যুবরণ করেন। নরওয়ের [[রুয়াল আমুনসেন]] ব্রিটনের রবার্ট ফ্যালকন স্কটের সাথে এক নাটকীয় প্রতিযোগিতার পর ১৩ই ডিদিসেম্বর১৯১১ সালে অ্যান্টার্কটিকায় পৌঁছেছিলেন।
 
== প্রাথমিক অনুসন্ধান ==
১৬ নং লাইন:
=== ''টেরা অস্ট্রালিস ইনকোনিটিটা ("অজানা দক্ষিণাঞ্চলীয় ভূমি") এর খোঁজে'' অনুসন্ধান ===
[[চিত্র:OrteliusWorldMap.jpeg|ডান|থাম্ব|250x250পিক্সেল| ১৫৭০ সালে [[Abraham Ortelius|অরটেলিয়াস]] কর্তৃক তৈরি একটি মানচিত্র। এতে প্রস্তাবিত এন্টার্কটিকা মহাদেশ এবং [[দক্ষিণ আমেরিকা|দক্ষিণ আমেরিকার]] মধ্যে কাল্পনিক সংযোগ দেখানো হয়েছে। এখানে [[উত্তর মেরু|উত্তর মেরুর]] আশেপাশের প্রস্তাবিত স্থলভূমির অবস্থানও লক্ষণীয়। ]]
অ্যারিস্টটল অনুমান করেছিলেন, "এখন যেহেতু দক্ষিণ মেরুর সাথে একই রকম সম্পর্কযুক্ত একটি অঞ্চল থাকতে হবে যেমনটা আমাদের বাসভূমির সাথে আমাদের মেরুর রয়েছে... " । <ref>[http://classics.mit.edu/Aristotle/meteorology.2.ii.html ''Meteorologica'' Book II 5]</ref>
 
১৪১৮ সালে [[ প্রিন্স হেনরি ন্যাভিগেটর |প্রিন্স হেনরি দ্য নেভিগেটর]] কর্তৃক [[আফ্রিকা]] পরিভ্রমণের মাধ্যমে [[ভারত]] পৌঁছানোর প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করার আগ পর্যন্ত ইউরোপীয়ানরা ট্রপিক্যাল অঞ্চল অতিক্রম করে দক্ষিণে গোলার্ধের অনুসন্ধান শুরু করেনি। <ref name="EB1911">{{EB1911|wstitle=Polar Regions#Antarctic_Region|display=Polar Regions § ''Antarctic Region''|first=Hugh Robert|last=Mill|inline=1}}</ref> ১৪৭৩ সালে [[পর্তুগাল|পর্তুগীজ]] নাবিক [[ Lopes Gonçalves |লোপেস গনকাভস]] প্রমাণ করেছিলেন যে [[নিরক্ষরেখা]] অতিক্রম করা সম্ভব এবং মানচিত্রকার ও নাবিকরা পরিচিত বিশ্বের দক্ষিণে আরেকটি নাতিশীতোষ্ণ মহাদেশের অস্তিত্ব অনুমান করতে আরম্ভ করেছিলেন।
 
১৪৮৭ সালে [[ Bartolomeu Dias |বারটোলোমিউ ডায়াসের]] [[কেপ অব গুড হোপ|কেপ অফ গুড হোপের]] দ্বৈত্ব অভিযাত্রীদের প্রথম অ্যান্টার্কটিক শৈত্যের সংস্পর্শে নিয়ে আসে এবং প্রমাণ হয় যে [[আফ্রিকা]] এবং অ্যান্টার্কটিক স্থলভূমিকে পৃথককারী একটি মহাসাগরের অস্তিত্ব থাকতে পারে। <ref name="EB1911">{{EB1911|wstitle=Polar Regions#Antarctic_Region|display=Polar Regions § ''Antarctic Region''|first=Hugh Robert|last=Mill|inline=1}}</ref>
 
[[ফার্ডিনান্ড ম্যাগেলান]], যিনি ১৫২০ সালে [[ম্যাজেলান প্রণালী]] অতিক্রম করেন, মনে করেছিলেন দক্ষিণের [[তিয়ের্‌রা দেল ফুয়েগো|তিয়েরা দেল ফুয়েগো]] দ্বীপগুলি অজানা দক্ষিণ অঞ্চলের একটি বর্ধিত অংশ। [[Abraham Ortelius|অরটেলিয়াসের]] একটি মানচিত্রেও এটিকে সেরকম ভাবেই উপস্থাপন করা হয়: "''Terra australis recenter inventa sed nondum plene cognita"'' (দক্ষিণ ভূমি সম্প্রতি আবিষ্কৃত কিন্তু এখনও সম্পূর্ণরূপে জ্ঞাত নয়)। <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Review of OF MAPS AND MEN: THE MYSTERIOUS DISCOVERY OF ANTARCTICA|শেষাংশ=Barr|প্রথমাংশ=William|তারিখ=2014|পাতাসমূহ=410–411|jstor=24363785}}</ref>