সংস্কৃতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Lazy-restless (আলোচনা | অবদান)
Lazy-restless (আলোচনা | অবদান)
১ নং লাইন:
[[File:Gobustan ancient Azerbaycan full.jpg|thumb|আজারবাইজানে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক গুহাচিত্রটি প্রাচীন সংস্কৃতির একটি নিদর্শন।]]
'''সংস্কৃতি''' (বা '''কৃষ্টি''') ({{lang-en|'''Culture''', কালচার}}) হল বিভিন্ন সমাজে প্রাপ্ত সামাজিক আচরণ ও তার সামষ্টিক বহিঃপ্রকাশ।
==শব্দতত্ত্ব==
সংস্কৃতি শব্দটির আভিধানিক অর্থ চিৎপ্রকর্ষ বা মানবীয় বৈশিষ্ট্যের উৎকর্ষ সাধন। ইংরেজি Culture-এর প্রতিশব্দ হিসেবে সংস্কৃতি শব্দটি ১৯২২ সালে বাংলায় প্রথম ব্যবহার করা শুরু হয়। <ref name=habibur>{{বই উদ্ধৃতি
| শেষাংশ = রহমান
| প্রথমাংশ = মুহাম্মদ হাবিবুর
৯ ⟶ ১১ নং লাইন:
| পাতাসমূহ = ২৬
}}</ref>
==সংজ্ঞায়ন==
কোন স্থানের মানুষের আচার-ব্যবহার, জীবিকার উপায়, [[সঙ্গীত]], [[নৃত্য]], [[সাহিত্য]], নাট্যশালা, সামাজিক সম্পর্ক, ধর্মীয় রীতি-নীতি, [[শিক্ষা]]-দীক্ষা ইত্যাদির মাধ্যমে যে অভিব্যক্তি প্রকাশ করা হয়, তাই সংস্কৃতি। উক্ত বিষয়গুলোকে আবার দু’ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমভাগ নিত্যদিনকার জীবনযাপনের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। আর দ্বিতীয়ভাগ জীবন উপভোগের ব্যবস্থা এবং উপকরণের সাথে সম্পকির্ত। <ref>বদরুদ্দীন উমর, সংস্কৃতির সংকট, মুক্তধারা প্রকাশনী, ১৯৮৪, ২৭ পৃ:</ref> সংস্কৃতি হল টিকে থাকার কৌশল এবং পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র সংস্কৃতিবান প্রাণী। মানুষের এই কৌশলগুলো ভৌগোলিক, সামাজিক, জৈবিকসহ নানা বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে।<ref name="সংস্কৃতি"/> পূর্বপুরুষদের যেমন এই কৌশলগুলো ছিল তা থেকে উত্তরপুরুষেরা এই কৌশলগুলো পেয়ে থাকে। অধিকন্তু সময় ও যুগের প্রেক্ষিতেও তারা কিছু কৌশল সৃষ্টি করে থাকে। তাই বলা যায় সংস্কৃতি একদিকে যেমন আরোপিত অর্থাৎ উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত তেমনি তা অর্জিতও বটে।<ref name="সংস্কৃতি">{{বই উদ্ধৃতি | শিরোনাম=স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস | প্রকাশক=গ্রন্থ কুটির | লেখক=এ কে এম শওকত আলী খান | বছর=২০১৪ | পাতাসমূহ=৪৭ | আইএসবিএন=978-984-91024-2-7}}</ref>
নৃবিজ্ঞানী টেইলরের ভাষ্যমতে{{sfn|Tylor|1974|loc=1}},
১৫ ⟶ ১৮ নং লাইন:
{{quote|''সংস্কৃতি হল মানব সৃষ্ট এমন সব কৌশল বা উপায় যার মাধ্যমে সে তার উদ্দেশ্য চরিতার্থ করে।''}}
স্যামুয়েল পুফেনডর্ফের সংজ্ঞা অনুযায়ী,
{{quote|''সংস্কৃতি বলতে সেই সকল পন্থাকে বোঝায় যার মধ্য দিয়ে মানব জাতি তাদের প্রকৃত বর্বরতাকে কাটিয়ে ওঠে এবং ছলনাময়ভ্রান্তিমূলক কৌশলের মাধ্যমে পূর্ণরূপে মানুষে পরিণত হয়।''<ref name=velkley>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Being after Rousseau: Philosophy and Culture in Question| শেষাংশ=Velkley|প্রথমাংশ=Richard|বছর=2002|অধ্যায়=The Tension in the Beautiful: On Culture and Civilization in Rousseau and German Philosophy|পাতাসমূহ=11–30|প্রকাশক=The University of Chicago Press|সূত্র=harv}}</ref>}}
==সংস্কৃতি পাঠ==
বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে যুক্তরাজ্যের সমাজবিজ্ঞানীগণ এবং স্টুয়ার্ট হল ও রেইমন্ড উইলিয়ামসের মত মার্ক্সবাদে প্রভাবিত কিছু পণ্ডিত [[সংস্কৃতি অধ্যয়ন]]-র উন্মেষ ঘটান।<ref name="Williams">[[Raymond Williams]] (1976) ''[[Keywords: A Vocabulary of Culture and Society]]''. Rev. Ed. (New York: Oxford UP, 1983), pp. 87–93 and 236–8.</ref><ref>John Berger, Peter Smith Pub. Inc., (1971) ''Ways of Seeing''</ref> [[মার্ক্সবাদ]] ও সমালোচক তত্ত্বের মত দর্শনের কিছু পাঠশালা দাবি করে যে, সংস্কৃতিকে প্রায়শই রাজনৈতিকভাবে অভিজাত-শ্রেণীর একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয় যা নিম্ন শ্রেণীর মানুষদের নিয়ন্ত্রণ করে এবং একটি "ভ্রান্ত চেতনা"র সৃষ্টি করে; সংস্কৃতি অধ্যয়নের পাঠ্যক্রমে এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি বহুলভাবে প্রচলিত।